নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

\"সেকি অন্য তত্ত্ব মানে, মানুষতত্ত্ব যার সত্য হয় মনে\"

আজব লিংকন

শব্দ দাও অথবা মৃত্যু

আজব লিংকন › বিস্তারিত পোস্টঃ

শিক্ষাগুরুর মর্যাদা

০৫ ই অক্টোবর, ২০২৪ বিকাল ৫:২০

শিক্ষক নিয়ে লেখা আমরা অনেকে কবিতা পড়েছি। অনেকেই শিক্ষকের সম্মান, ভালবাসা ও শ্রদ্ধায় অনেক কবিতা লিখেছেন। শিক্ষকের মর্যাদা নিয়ে লেখা "শিক্ষাগুরুর মর্যাদা" নামক একটা কবিতা আমি ছোটবেলায় পড়েছিলাম। যা আমার শোনা শ্রেষ্ঠ কবিতাগুলোর মধ্যে অন্যতম।

একদিন ভোরবেলা দিল্লীর বাদশাহ্ আলমগীর দেখেন তার প্রিয় পুত্র মৌলভী শিক্ষকের পায়ে পানি ঢেলে দিচ্ছে। আর শিক্ষক তার নিজ হাতে পায়ের আঙ্গুলে লেগে থাকা ধুলাবালি পরিষ্কার করছেন। ইহা দেখে বাদশাহ্ আলমগীর পরের দিন শিক্ষককে তার কেল্লায় তলব করলেন। বাদশাহর তলব শুনে মৌলভী শিক্ষক মনে করলো আজ তার আর প্রাণে রক্ষা নেই। সামান্য শিক্ষক হয়ে সে বাদশাহর কলিজার টুকরা প্রিয় পুত্রের দ্বারা পানি ঢালিয়েছেন। এমন অপরাধে আজ বোধহয় বাদশাহ তার গর্দান উড়িয়ে দিবেন।

এমন সব দ্বিধাদ্বন্দ্ব ভয়ভীতি কথা ভাবতে ভাবতে মৌলভী শিক্ষক চিন্তা করলেন, আমি শিক্ষক শিক্ষাগুরু, আমি সবার শ্রেষ্ঠ, আমার কিসের ভয়। কাল্লা কাটা গেলেও যাক তবু আজ সে বাদশাহ্ আলমগীরকে বলবে, শাস্ত্রে লেখা শিক্ষকের সম্মান এবং মর্যাদা কত বড়, যার সামনে বাদশাহ কিছুই না।

পরদিন বাদশাহর একজন দূত এসে মৌলভী শিক্ষককে বাদশাহর কেল্লায় নিয়ে গেলেন। তাকে প্রবেশ করানো হলো বাদশাহর খাস কামরায়। কামরায় ঢুকে শিক্ষক বাদশাহর মুখোমুখি দাঁড়ালেন। বাদশাহ শিক্ষককে উদ্দেশ্য করে বললেন, আপনি কি আমার পুত্রকে কোন সৌজন্য শেখান নি? সেদিন সকালে দেখলাম, আমার পুত্র আপনার চরণে পানি ঢেলে দিচ্ছে আর আপনি নিজ হাতে আপনার পায়ের ধুলাবালি পরিষ্কার করছেন। তবে কি আমরা পুত্রকে আপনি কেবল গুরুজনদের প্রতি বেয়াদবি আর অবহেলায় শিখিয়েছেন? এসব দেখে আমি অন্তরে খুব আঘাত পেয়েছি। কেন আমার পুত্র নিজ হাতে আপনার পায়ের ধুলো পরিষ্কার করে দেয়নি।

বাদশাহ্ আলমগীরের মুখ থেকে এমন কথা শুনে, মৌলভী শিক্ষক আবেগে আপ্লুত হয়ে বাদশাহকে সালাম জানিয়ে বললেন,
”আজ হতে চির-উন্নত হল শিক্ষাগুরুর শির,
সত্যই তুমি মহান উদার বাদশাহ্ আলমগীর।”

এভাবে দিল্লির মহান সম্রাট বাদশাহ্ আলমগীরের কাছ থেকে শিক্ষক পেয়েছিলেন তার মর্যাদা। একেই বলে শিক্ষকের প্রতি সম্মান। কাজী কাদের নেওয়াজ -এর লেখা শিক্ষাগুরুর মর্যাদা নামক কবিতা পরে দেখতে পারেন।

শিক্ষাগুরুর মর্যাদা
কাজী কাদের নেওয়াজ

বাদশাহ্ আলমগীর-
কুমারে তাঁহার পড়াইত এক মৌলবী দিল্লীর্
‌একদা প্রভাতে গিয়া
দেখেন বাদশা-শাহাজাদা এক পাত্র হস্তে নিয়া
ঢালিতেছে বারি গুরুর চরণে
পুলকিত হৃদে আনত-নয়নে,
শিক্ষক শুধু নিজ হাত দিয়া নিজেরি পায়ের ধূলি
ধুয়ে মুছে সব করিছেন সাফ সঞ্চারি অঙ্গুলি।

শিক্ষক মৌলবী
ভাবিলেন, আজি নিস্তার নাহি, যায় বুঝ তাঁর সবি।
দিল্লীপতির পুত্রের করে
লইয়াছে পানি চরণের পরে,
স্পর্ধার কাজ, হেন অপরাধ কে করেছে-কোন কালে।
ভবিতে ভাবিতে চিন্তার রেখা দেখা দিল তাঁর ভালে।

হঠাৎ কী ভাবি উঠি
কহিলেন, আমি ভয় করি নাক, যায় যাবে শির টুটি,
শিক্ষক অমি শ্রেষ্ঠ সবার
দিল্লীর পতি সে তো কোন ছার,
ভয় করি নাক, ধারি নাক ধার, মনে আছে মোর বল,
বাদশাহ শুধালে শাস্ত্রের কথা শুনাব অনর্গল।

যায় যাবে প্রাণ তাহে,
প্রাণের চেয়েও মান বড়, আমি বোঝাব শাহানশাহে।
তার পরদিন প্রাতে
বাদশাহর দূত শিক্ষকে ডেকে নিয়ে গেল কেল্লাতে।
শিক্ষকে ডাকি বাদশাহ কহেন,‘শুনুন জনাব তবে,
পুত্র আমার আপনার কাছে
সৌজন্য কি কিছু শিখিয়াছে?
বরং শিখেছে বেয়াদবি আর গুরুজনে অবহেলা,
নাহিলে সেদিন দেখিলাম যাহা স্বয়ং সকাল বেলা।’

শিক্ষক কন-‘জাহাপনা, আমি বুঝিতে পারি নে, হায়,
কী কথা বলিতে আজিকে আমায় ডেকেছেন নিরালায়?’
বাদশাহ কহেন, ‘সেদিন প্রভাতে
দেখিলাম আমি দাঁড়ায়ে তফাতে
নিজ হাতে যবে চরণ আপনি করেন প্রক্ষালন,
পুত্র আমার জল ঢালি শুধু ভিজাইছে ও চরণ।
নিজ হাত খানি আপনার পায়ে বুলাইয়া সযতনে
ধুয়ে দিল না'ক কেন সে চরণ, স্মরি ব্যাথা পাই মনে।’

উচ্ছ্বাস ভরে শিক্ষক তবে দাঁড়ায়ে সগৌরবে,
কুর্ণিশ করি বাদশাহর তরে কহেন উচ্চরবে-
‘আজ হতে চিরউন্নত হল শিক্ষাগুরুর শির
সত্যই তুমি মহান উদার বাদশাহ আলমগীর।’

পক্ষান্তরে আজকে আমাদের সমাজ ব্যবস্থায় শিক্ষকের সম্মান নিয়ে বলার মত আমার কিছুই নেই। সব আপনাদের চোখের সামনে।

মন্তব্য ১৬ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১৬) মন্তব্য লিখুন

১| ০৫ ই অক্টোবর, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:১০

সোনাগাজী বলেছেন:



আপনি শিক্ষক?

০৫ ই অক্টোবর, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৪৫

আজব লিংকন বলেছেন: নাহ.. আমি শিক্ষক নই।
আমি সেই লাষ্ট জামানার যে জামানায় শিক্ষকরা ছাত্রদের বেতের আঘাত দিত।

স্যারের প্রচুর মাইর খেয়েছি। আম্মা বলতো, মাংস জাউক হাড্ডি থাউক। চিকন কঞ্চির মাইর।
এখন এসব বে-আইনি।

২| ০৫ ই অক্টোবর, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:১৩

সোনাগাজী বলেছেন:


এবারের আন্দোলনের পর, আন্দোলনকারীরা কি পরিমাণ শিক্ষককে নাজেহাল, অপমান করে চাকুরীতে রিজাইন করতে বাধ্য করেছে?

০৫ ই অক্টোবর, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৪৮

আজব লিংকন বলেছেন: জ্বী দেখেছিলাম ব্যাপারটা দুঃখজনক এবং ফেসবুকের প্রতিবাদও করেছিলাম।
তখন লিখেছিলাম,

যত নেশা দ্রব্য রয়েছে সেসবের থেকেও বড় নেশা হচ্ছে আজ ফেসবুকে ভাইরালের নেশা। কোন কিছুর ট্রেন্ড চালু করে দিলেই হয়। ভেড়ার পালের মতো একদল মানুষ চোখ বন্ধ করে সে দিকেই ছুটবে।

শিক্ষকদের আজ যারা শিক্ষা দিচ্ছে তাদের কি শিক্ষা দিবেন? ছোটরা বড়দের দেখে শেখে, এ শেখা আসলে শিক্ষা নয় বরং এক প্রকার অনুকরণ। যেমন সিনেমায় ভিলেনের স্ট্রং মনোমুগ্ধকর ক্যারেক্টর দেখে অনেকেই বাস্তব জীবনে ভিলেন হতে চায়। আসলে প্রকৃত শিক্ষার অভাবে তারা সঠিক এবং ভুলের মাঝে পার্থক্য নির্ণয় করতে পারে না।

অতি উৎসুক কিছু ছাত্র-জনতা না বুঝেই আজ এমন কিছু ট্রেন্ডের দিকে ক্রমাগত পা বাড়িয়েই চলেছে। না বুঝেই আজ তারা একটা ঘোরের মাঝে অনেক ক্ষেত্রেই অপমান করে যাচ্ছে নিজেদের থেকে বড় গুণীজনদের এবং মুরুব্বিদের। আমাদের সমাজ ব্যবস্থায় যার বিরূপ প্রভাব অনেক দিন পযন্ত রয়ে যাবে।

আসলে দোষ তাদেরও না। আমাদের সমাজের কতিপয় গুণীজনেরা আজ নিজেদের অবস্থান এতটাই নিন্ম পর্যায়ে নামিয়েছেন যার ফলস্বরূপ আজ আমাদের এমন সব কুরুচিপূর্ণ বিব্রতিকর দৃশ্য দেখতে হচ্ছে।

বাংলাদেশের প্রতিটা সেক্টর আজ দুর্নীতির গ্রাসে জর্জরিত। একদিনে এ সংকট থেকে নিস্তারের উপায় নেই। নতুন অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠিত হয়েছে। এ সংকট মোকাবেলার লক্ষ্যে তারা নিজেদের অবস্থান থেকে কাজ শুরু করে দিয়েছেন। আমাদের উচিৎ হবে একটু ধৈর্য ধরে তাদের সময় দেয়া।

সফলতা পেতে হলে সর্বপ্রথম তোমাকে জানতে হবে যে কোথায় তোমাকে থামতে হবে। সীমানা নির্ধারণ করা অত্যন্ত জরুরি।

প্রিয় সাধারণত ছাত্র-ছাত্রীরা তোমাদের উচিৎ হবে এখনি থেমে যাওয়া। যদি না থামো একটা মহল তোমাদেরকে সমাজের চোখে বিষিয়ে তুলবে। সমাজে তোমাদের কোন মূল্যায়ন রবে না। একদল মানুষের ক্ষোভ ও ঘৃণার শিকার হবে তোমরা।

৩| ০৫ ই অক্টোবর, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:২৭

সৈয়দ কুতুব বলেছেন: বাংলাদেশের খারাপ রাজনৈতিক কালচার এর কারণে শিক্ষক দের প্রতি ছাত্রদের আগের মতো সম্মান কাজ করে না। আবার স্কুল কলেজে ব্যাচ, প্রাইভেট পড়ানোর জন্য চাপ প্রয়োগ করার কারণে ছাত্ররা বিরক্ত। ব্যাচ প্রাইভেট এ গেলে টিচার রা ঘুরিয়ে পেচিয়ে প্রশ্ন দিয়ে দেয় তাই স্টুডেন্ট রা মনে করে টিচার রা তাদের কেনা গোলাম।

০৫ ই অক্টোবর, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৫৮

আজব লিংকন বলেছেন: সত্য বলেছেন। স্কুলে লাইফে আমি এরকম অনেক নোংরা সিচুয়েশন ফেস করেছি। প্রাইভেট না পরার করানে নাম্বার দেওয়া হতো না। আবার যে টিচারের কাছে পড়তাম সেই টিচারের সাবজেক্টে সবচেয়ে বেশি মার্ক পেতাম। এমনকি পরীক্ষার আগে দশটি প্রশ্ন দিত। সেই ১০ টি প্রশ্নের মধ্য থেকে পাঁচটি প্রশ্ন কমন পড়তো।

স্কুল-কলেজ লাইফে শিক্ষকদের রাজনীতির বিষয়টা তেমন একটা আমি লক্ষ্য করিনি।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্ষেত্রে রাজনৈতিক ব্যাপারটা ভয়াবহ রকমের প্রভাব বিস্তার করে। যা বলার মত না। ভয়াবহ জঘন্য।

পরিবর্তন দরকার। সত্যিই পরিবর্তন দরকার।
তবে সেটা ছাত্রদের হাত দিয়ে নয়।
সিনিয়ারদের হাত দিয়েই পরিবর্তনটা দরকার।

৪| ০৫ ই অক্টোবর, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:২৭

বিউটিফুল ইউ বলেছেন: যারা শিক্ষকদের লাঞ্চিত করে তারা কোন ভাবেই শিক্ষত নয়। জগতের সকল শিক্ষা গুরুর প্রতি শ্রদ্ধা জানাই।

০৬ ই অক্টোবর, ২০২৪ সকাল ১১:১৫

আজব লিংকন বলেছেন: বিউটিফুল থট লাইক দ্যাট।

৫| ০৫ ই অক্টোবর, ২০২৪ রাত ৯:২৯

জুল ভার্ন বলেছেন: এখন আর সেই শিক্ষকও নাই, ছাত্রও নাই। এখনকার বেশীরভাগ শিক্ষক মানেই রাজনৈতিক লেজুড়বৃত্তিক তেলবাজ। এরা মাস্তানী করে শিক্ষক নেতা হয়, ছাত্রীদের নম্বর বেশী দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে অনৈতিক সম্পর্ক গড়ে। দলবাজি করে প্রোমোশন বাগায়। গত ১৫ বছরে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের এমন একজন ভিসি, রেজিস্ট্রার খুঁজে পাবেন না, যারা দুর্নীতিগ্রস্ত ছিলো না। তাইতো এখন শিক্ষকরা অহরহ ছাত্রদের হাতে লাথিগুতা খায়।

০৬ ই অক্টোবর, ২০২৪ সকাল ১১:১৬

আজব লিংকন বলেছেন: আসলেই ব্যাপার গুলো খুব দুঃখজনক। ছাত্র শিক্ষক রাজনীতি বন্ধ হওয়া উচিত। না সাদা দল না নীল দল।

❝ছাত্রীদের নম্বর বেশী দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে অনৈতিক সম্পর্ক গড়ে।❞ এমন কিছু কুলাঙ্গার শিক্ষক সত্যিই রয়েছে।

আবার কিছু কুলাঙ্গার শিক্ষক ছাত্রীদের সাথে প্রেমে করে বিয়ে করে শিক্ষক সমাজকে কলঙ্কিত করছে।

৬| ০৫ ই অক্টোবর, ২০২৪ রাত ৯:৩৩

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন:




- বেশিরভাগ শিক্ষক তাদের নিজেদের সম্মানের স্থানটা ধরে রাখতে পারেন নাই।

০৬ ই অক্টোবর, ২০২৪ সকাল ১১:১৭

আজব লিংকন বলেছেন: হয়তো তারা তাদের ভুলের প্রায়শ্চিত্ত একটা সময় ঠিকই করবে। কিন্তু তখন আর করার কিচ্ছু থাকবে না। কিছু কুলাঙ্গারের জন্য সকল শিক্ষক সমাজ প্রশ্নবিদ্ধ!

৭| ০৮ ই অক্টোবর, ২০২৪ রাত ১২:৫৬

আমি সাজিদ বলেছেন: শ্রদ্ধাভরে আমার শিক্ষকদের স্মরণ করি। আমাদের প্রজন্মের পরের প্রজন্মগুলো ছাত্র-শিক্ষকের সম্পর্কের মিষ্টতা পায়নি৷

০৮ ই অক্টোবর, ২০২৪ সকাল ৯:৫৪

আজব লিংকন বলেছেন: সত্যি ভাই যতটা দুঃখজনক তার চেয়েও অধিক চিন্তাজনক।
পরিবর্তন প্রয়োজন। : (

৮| ১১ ই অক্টোবর, ২০২৪ দুপুর ১:০৬

মাস্টারদা বলেছেন: আমরা যা পড়ি, উপদেশ পাই, তেমন তো লেখক নিজেও আদর্শবান নয়! উপদেশ দাতার‌ও পেছনে সূচের ফুটো। যারা উপদেশ দেন, লেখেন; তারা তো সেভাবে চলেন‌ না। তাহলে ছোটরা কেন চলবে? ছোটরা দেখেই শেখে। ভালো হতে উপদেশ না-দিয়ে, নিজে ভালো হলেই হয়। জ্যান্ত আদর্শ কোই যাকে দেখে তারা ভালো হতে শিখবে?

আমি আমার ভাইয়ের সাথে ঝগড়া করি। যৌক্তিক হলেও। আমার ছেলে মেয়ের সামনেই। মেটাবার পদক্ষেপ নেই না। স্বপ্নে বুক বেঁধে ছেলেদের মাথায় হাত বুলিয়ে বলি.."আমার ছেলেরা কক্খনো এমন করবে না!"
অথচ তাদের দেখালাম, যৌক্তিক হলে ঝগড়া কত্তে হয়। মেটাবার চেষ্টা কত্তে হয় ক্যামনে সেটার শিক্ষা সে পেলোই না!

শিক্ষকতায় আছি, দেখছি। মুতে দেয় না, তাতেই শুকরিয়া!

১৪ ই অক্টোবর, ২০২৪ সকাল ১১:৪৭

আজব লিংকন বলেছেন: আপনি শিক্ষকতায় আছেন জেনে ভালো লাগলো।
আপনার মন্তব্য পরে মনে হলো অনেক আক্ষেপ রয়েছে আপনার মাঝে।

আপনার আক্ষেপগুলো নিয়ে লিখুন আমরাও জানতে চাই।

আশা করি একসময় সব ঠিক হয়ে যাবে। ইনশাআল্লাহ।।
ভালো থাকবেন মাষ্টারদা।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.