নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
শাহাবুদ্দিন শুভ লেখালেখির নেশাটা ছাড়তে পারিনি। তাই এক সময় জড়িয়ে গেলাম সাংবাদিকতায়। কাজ করেছি দেশ ও দেশের বাহিরের পত্রিকাতে। আর এখন পুরোপুরি একজন ব্যাংকার স্বত্ব সংরক্ষিত e-mail- [email protected] ০০৮৮ ০১৭১৬ ১৫৯২৮০ e-mail- [email protected] +৮৮ ০১৭১৬১৫৯২৮০
রাজধানী ঢাকা মহানগরীতে বসবাসরত লক্ষাধিক সিলেটিদের ঐক্য ও মিলনকেন্দ্র জালালাবাদ এসোসিয়েশন, ঢাকা একটি সামাজিক প্রতিষ্ঠান। সুরমা, কুশিয়ারা, মনু ও খোয়াই নদীবিধৌত সিলেট বিভাগের চারটি জেলা-সুনামগঞ্জ, হবিগঞ্জ, মৌলভীবাজার ও সিলেট, তথা দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে অবস্থিত অঞ্চল নিয়েই জালালাবাদ এলাকা। এ এলাকার প্রবাসী জনগোষ্ঠীর সংগঠন জালালাবাদ এসোসিয়েশন। জালালাবাদের মূল উদ্দেশ্য জাতীয় অগ্রযাত্রার সাথে সাথে সিলেট বিভাগের সার্বিক উন্নতি ও অগ্রগতির অভিষ্ট লক্ষ্যে অগ্রসর হওয়া। জালালাবাদ এসোসিয়েশন, ঢাকা ১৯৪৮ সালে প্রতিষ্ঠার পর থেকে নিরবচ্ছিন্নভাবে প্রবাসী এলাকাবাসীদের মধ্যে সম্প্রীতি বৃদ্ধিসহ সিলেট বিভাগ ও জাতীয় উন্নয়নের জন্য কাজ করে যাচ্ছে।
কার্যক্রম
বর্তমানে কয়েক সহ¯্রাধিক আজীবন ও সাধারন সদস্য এবং দেশ-বিদেশের প্রবাসী সিলেটিদের সহযোগিতায় অগ্রসরমান জালালাবাদ এসোসিয়েশন। জালালাবাদ শিক্ষা ট্রাস্ট, জালালাবাদ ভবন ট্রাস্ট ও জালালাবাদ কল্যাণ ট্রাস্ট-এর মতো সহযোগী সংগঠনসমূহের মাধ্যমে এসোসিয়েশন ক্রমশ তার উন্নয়ন ও সেবা কার্যক্রম বিস্তৃত করে এগিয়ে যাচ্ছে।
শিক্ষা
১৯৪৮ সালে প্রতিষ্ঠার পর থেকেই সামাজিক, সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রে বিশেষ অবদান রাখা সংগঠনটি রাজধানীতে বসবাসরত সিলেটের ঐক্য ও ভালাবাসার মিলন কেন্দ্র জালালাবদ এসোসিয়েশন । তবে বিগত কয়েক বছর থেকে অনান্য ক্ষেত্রে বিশেষ অবদান রেখে আসছে । বিশেষ করে শিক্ষার্থীদের কথা বিবেচনা করে শিক্ষা বৃত্তি প্রদান, শিক্ষার্থীদের প্রশিক্ষণ সর্বোপরি শিক্ষার কথা বিবেচনা করে জালালাবাদ ইউনির্ভাসিটি গঠনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ২ জালালাবাদ এসোসিয়েশন ,ঢাকা ২২ মে ২০১৫ সিলেট বিভাগের প্রতিষ্টান সমূহে অধ্যয়নরত: ৫২০ জ ছাত্র-ছাত্রীর মাঝে শিক্ষা বৃত্তি বিতরন করেছে। এসোসিয়েশনের শিক্ষা ট্রাস্ট রিকাবিবাজার সিলেটস্থ কবি নজরুল অডিটরিয়ামে তা বিতরণ করে।
প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে সংগঠনটির অগ্রযাত্রায় সহযোগিতা করেছেন এবং সাহস জুগিয়েছেন সিলেট বিভাগের মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী, উপদেষ্টা, সরকারি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা ও ব্যবসায়ীসহ সমাজের বিশিষ্টজনরা। যাদের ঐকান্তিক সহযোগিতায় মসৃণ হয়েছে জালালাবাদের পথচলা।
নিউজ লেটার
জালালাবাদ এসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে জালালাবাদ নিউজ লেটার এর প্রথম সংখ্যা সেপ্টম্বর ২০১৪ তে প্রকাশিত হয়েছিল কার্যনির্বাহী কমিটির অভিষেক ও ঈদ পুর্নমিলনী উপলেক্ষ । অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত নিউজ লেটারের মোড়ক উন্মোচন করেছেন। পাঠক মহলে নিউজ লেটারের প্রথম সংখ্যা বেশ সারা জাগিয়েছে। মৃদুভাষণ নির্বাহী সম্পাদক ও এসোসিয়েশনের আজীবন সদস্য শাহাবুদ্দিন শুভ 'র সম্পাদনায় জালালাবাদ নিউজ লেটার নিয়মিত প্রকাশিত হচ্ছে।
কলকাতায় ইন্দো-বাংলা সিলেট উৎসব
প্রথমবারের মতো পশ্চিমবঙ্গের কলকাতায় অনুষ্ঠিত হয়েছে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে থাকা বৃহত্তর সিলেট এলাকার ব্যক্তিদের সম্মেলন । ২৬ থেকে ২৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত অনুষ্ঠেয় তিন দিনের ওই সম্মেলন উদ্বোধন করেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। কলকাতার যোধপুর হাইস্কুল মাঠে দুই দেশের জাতীয় সংগীত গাওয়ার মধ্য দিয়ে শুরু হয় এ উৎসব।
ঢাকায় বসবাসরত সিলেটের মানুষদের সংগঠন ‘জালালাবাদ অ্যাসোসিয়েশন’ ও ‘দক্ষিণ কলকাতা সিলেট অ্যাসোসিয়েশন’র যৌথ উদ্যোগে ‘ইন্দো-বাংলা সিলেট উৎসব’ নামে এ আয়োজন উৎসর্গ করা হয় বাউল সম্রাট শাহ আবদুল করিমকে। আবদুল করিমের কালজয়ী গান ‘আগে কী সুন্দর দিন কাটাইতাম’ এই উৎসবের থিম হিসেবে রাখা হয়।
জালালাবাদ অ্যাসোসিয়েশনের আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক শাকুর মজিদ জানান, এ উৎসবে অংশ নিতে ৬০ সদস্যের একটি সাংস্কৃতিক দল গিয়েছিল। দলে সুবীর নন্দী, সেলিম চৌধুরী, শুভ্রদেব, শাম্মী আক্তারসহ আরও অনেক জনপ্রিয় শিল্পীও ছিলেন। এ উৎসবে অংশ নিতে যুক্তরাজ্য, জাপান, যুক্তরাষ্ট্রসহ বিভিন্ন দেশ থেকে সিলেটিরা এসে জড়ো হয়েছেন কলকাতায়।
সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক
১৯৪৮ সালে জালালাবাদের প্রতিষ্ঠা কালীন সভাপতি চিলেন মরহুম খান বাহাদুর মোহাম্মদ মাহমুদ আর বর্তমান সভাপতি সি এম তোফায়েল সামি। প্রতিষ্ঠাকালীন সাধারণ সম্পাদক মরহুম এম এস লস্কর এবং বর্তমান সৈয়দ জগলুল পাশা।
জালালাবাদ ভবন
রাজধানীর প্রাণ কেন্দ্র ২২ কাওরান বাজারের রয়েছে এসোসিয়েশনের নিজস্ব ১২ তলা ভবন। যার নাম জালালাবাদ ভবন। ভবনের ৪র্থ তলায় রয়েছে অফিস, অডিটরিয়াম ও লাইব্রেরী।
©somewhere in net ltd.
১| ২৭ শে জুন, ২০১৬ রাত ৩:০২
অশ্রুকারিগর বলেছেন: জালালাবাদ এসোসিয়েশন ,ঢাকা ২২ মে ২০১৫ সিলেট বিভাগের প্রতিষ্টান সমূহে অধ্যয়নরত: ৫২০ জন ছাত্র-ছাত্রীর মাঝে শিক্ষা বৃত্তি বিতরন করেছে।
৫২০ জনের মাঝে আমিও ছিলাম।
সংগঠনের ইতিহাসটা জানা ছিল না, এটা যে ১৯৪৮ সালে প্রতিষ্টিত হয়েছে জেনে খুবই আনন্দিত হলাম।
আগামীর পথচলা সুন্দর হোক, জালালাবাদ অঞ্চলের শিক্ষা,সাহিত্য,সংস্কৃতির বিকাশে অবদান রাখুক এই শুভকামনা রইলো।