নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
শাহাবুদ্দিন শুভ লেখালেখির নেশাটা ছাড়তে পারিনি। তাই এক সময় জড়িয়ে গেলাম সাংবাদিকতায়। কাজ করেছি দেশ ও দেশের বাহিরের পত্রিকাতে। আর এখন পুরোপুরি একজন ব্যাংকার স্বত্ব সংরক্ষিত e-mail- [email protected] ০০৮৮ ০১৭১৬ ১৫৯২৮০ e-mail- [email protected] +৮৮ ০১৭১৬১৫৯২৮০
(২৭ জানুয়ারী কিবরিয়ার ৯ম মৃত্যু বার্ষিকী)
দুঃসহ যন্ত্রনা ও বেদনা বুকে নিয়ে স্বামী শাহ এএসএম কিবরিয়র মৃত্যুর দু’বছর পার করেছি আমি। তাকে ছাড়া এই দু’বছর কী করে বেঁচে আছি ভাবতে পারি না। কষ্ট বোঝানোর মত ভাষা আমার জানা নেই। আমার মতো এ ভাবে কাউকে যেন বৈধব্য বরণ করতে না হয়। কারো স্বামী যেন এভাবে মৃত্যু বরণ করতে না হয়, এই আমার প্রার্থনা। আমার স্বামীকে যেভাবে গ্রেনেড হামলা করে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়েছে, তা কোন সভ্য দেশে সম্ভব কিন না ভাববার বিষয়। যে গ্রেনেড যুদ্ধ ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয় , এই দেশে গ্রেনেড রাজনৈতিক স্বার্থসিদ্ধির জন্য এখন নিক্ষেপ করা হচ্ছে নিরপরাধ মানুষের উপর। দশ ট্রাক ভর্তি গ্রেনেড আনা হয়েছিল চট্রগ্রাম বন্দরে। ফলাও করে এগুলো দেখানো হয়েছি টেলিভিশন গুলোতে। কিন্তু কে বা কারা এগুলো এনেছিল তার কোন তদন্ত ঠিকমত হয়নি। সেই গ্রেনেড গুলো কোথায় রাখা হয়েছে। সেগুলো দিয়ে কি করা হয়েছে তার জনগণকে জানাতে পারল না। ভাবতে অবাক লাগে একজন শান্তি প্রিয়, অমায়িক ,পরহিতৈষী, সুযোগ্য দেশ প্রেমিককে হত্যা করতে কারো হাত কাপলো না। কিবরিয়ার হত্যার পর জীবন সঙ্গীকে হারিয়ে আক্ষেপের সুরে আসমা কিবরিয়া সাপ্তাহিক ‘মৃধুভাষ’নে এই কথা গুলো লিখে ছিলেন তার লেখা বেদনায় নীল হয়ে আছি শিরোনামে ২০০৭।
১৯৯১ সালের প্রথম দিকের মাঝামাঝি কিবরিয় প্রবাসের চাকুরি থেকে অবসরের পর নিজের দেশে প্রস্থান। ইচ্ছা করলে প্রবাসে থেকে যেথে পারতেন । না সেখানে থাকতে পারেন নি। সাধারণ জনগণের কথা তাকে ভাবিয়ে তুলে তাই তিনি দেশের জনগণের জন্য কাজ করার লক্ষ্যে যোগদান করে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগে। আওয়ামীলীগের সরকারের সময় অর্থমন্ত্রী এবং পরের বার বিরোধী দলীয় সাংসদ।
আসমা কিবরিয়া বলেছিলেন এদেশে ভাল মানুষের কোন মুল্যায়ন নেই। এদেশে তাদের বাচঁতে দেওয়া হয় না। আসলে তাই যদি আমরা একটু চোখ কুলে থাকাই তাহলেই দেখতে পারি তার বাস্তব প্রমাণ যারা দেশের দরিদ্র জনগোষ্টিকে বঞ্চিত করে নিজের পকেট ভারি করেছে তাদের উপর কেউ গ্রেনেড চুড়ে না। তাদের পকেট ফুলে দিনে দিনে বড় হয়। বাড়ি গাড়ি সংখ্যা ভারে। অথচ যারা দেশের জন্য কোন কিছু করতে চায়। নিজের পকেট ভাড়ি করতে চায় না। তাদের অকালেই চলে যেথে হয়। তাদের বাচঁতে দেওয়া হয় না, আহসান উল্লা মাষ্টারকে বাঁচতে দেওয়া হয়নি, বাঁচতে দেওয়া হয়নি শাহ এএমএস কিবরিয়াকে। এটাই কি ভাল ও সৎ রাজনীতিবিদদের প্রাপ্তি?
আসমা কিবরিয়া বলেছিলেন এদেশে ভাল মানুষের কোন মুল্যায়ন নেই। আসলে সে কথা কতখানি সত্যি তা বোধ করি দেশের সাধারণ জনগণ ইতিমেধ্য বুঝে গেছেন। ২০০৫ সালের ২৭ জানুয়ারী হবিগঞ্জের বৈদ্যের বাজার সাবেক অর্থমন্ত্রী আর্š—জাতিক খ্যাতি সম্পন্ন কুটনৈতিকবিদ শাহ এএমএস কিবরিয়া গ্রেনেড হামলার শিকার হবার পর। যখন সরকারে কাছে হেলিকাপ্টার চাওয়া হয়েছিল তখন পাওযা যায়নি। অথচ মোস্টওয়ানটেট জঙ্গি নেতা শায়খ রহমানকে বাঁচানোর জন্য হেলিকাপ্টারের ব্যবস্থা করা হয়। ঢাকা নিয়ে গিয়ে উন্নত চিকিৎসা করানো হয় কিন্তু কিবরিয়া ভাগ্যে জুটে না হেলিকাপ্টার। একোন আজব দেশে আমাদের বসবাস। আর ফলশ্রুতিতে শেষ পরিণতি মৃত্যু.......।
শাহ এএমএস কিবরিয়া হত্যাকান্ডের বিচারের দাবিতে কিবরিয়া পরিবার কয়েক বছর শান্তির স্বপক্ষে নীরব প্রতিবাদ কর্মসুচি পালন করেছেন। ‘শান্তির সপক্ষে নীলিমা’ নামে ইতিমধ্যে দেশব্যাপী পরিচিতি পাওয়া এই অভিনব কর্মসুচি ব্যাপক সাড়া জাগিয়েছে। সপ্তাহে প্রতি বৃহঃ বার বেদনার রঙ নীল বস্ত্র পরিধান করে কিংবা নীল কোনো কিছু নিয়ে তার পরিবার সাধারণ মানুষকে সঙ্গে নিয়ে অবস্থান কর্মসুচি চালিয়েছেন।
দেশের সবার একটাই চাওয়া দেশের এই কৃতি সন্তানকে হত্যার পেছনে যাদের হাত আছে তাদের খুঁজে বের করে বিচারের মুখোমুখি করা। তাহলে শান্তি পাবে কিবরিয়ার আত্ম, পরিবার ও হবিগঞ্জের জনগণ।
©somewhere in net ltd.
১| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:০৮
মুনতাশীর বলেছেন: গত ৫ বাছরে এমন হাজার হাজার কিবরিয়াদের আত্মা কেঁদে মরছে.......