নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
“ মানূষের জীবনকাল মাত্র দুই দিনের যার একদিন যায় স্বপ্ন দেখতে- একদিন যায় স্বপ্ন ভাঙ্গতে ” ।
বঙ্গীয় উপদ্বীপ পললভুমির
এই পোড়া দেশে-
আপন সন্তানকে 'মানুষের মতো
মানুষ' করবেন বলে
নিকটবর্তী মানুষের বিদ্যালয়ে
খোঁজ নিতে গেলেন
'তুবা' নামীয় অসহায় শিশুটির 'মা' ....।
( পৃথিবীর তাবৎ মায়েরাই'তো তাঁর ঔরশের
সন্তানকে মানুষ করবেন-
বলে ভিত্তিপ্রস্তরের খোঁজে ছুটে বেড়ান )।
কিন্তু কী আশ্চর্যজনকভাবে তিনি
লক্ষ্য করলেন ...
এইসব মানুষের বিদ্যালয়ে
কী অদ্ভুতভাবে দাঁড়িয়ে রয়েছে
'মানব' গড়ার কারিগরের স্থলে
'দানব' গড়ার কারিগরেরা... . !
নাকি- সেখানে প্রতিনিয়ত 'মানবের'
আদলে শুধু 'দানবই' তৈরি হয়...!
তাইতো, সেখানে একজন 'মানব' মায়ের উপস্থিতি টের পেয়ে
হুমড়ি খেয়ে পড়ে হায়েনারুপি চাড়াল দানবেরা.... !!
এই দানব গড়ার স্কুলে ওরা একটিই মাত্র অক্ষর শেখে-
আর তা হচ্ছে প্রমিত বাংলা পাঠ্য বই এর
প্রথম হাতেখড়ি-'অ' ।
স্কুলে 'দানব' গড়ার কারিগরেরা হাতে-কলমে তাদের শিখিয়েছে -
অ-অসম্মান ।
অ-অশ্রদ্ধা ।
অ-অসচেতনতা ।
অ-অমানবিকতা ।
অ-অশ্লীলতা ।
অ-অপ্রেম ।
অ-অবজ্ঞা ।
অ-অপাংক্তেয় ।
অ-অমান্যতা ।
অ-অকৃতজ্ঞ ।
অ-অজ্ঞতা ।
অ-....
তাই'তো তাদের যাপিত জীবনে আষ্ঠেপিষ্ঠে জড়িয়ে রয়েছে
সমস্ত গুণবাচক শব্দের শুরুতেই 'অ' সংযোজিত বিষধর 'কেউটে'
কিংবা গোগ্রাসে গিলে ফেলা 'অজগর'।
________________________________________
----একটি বাস্তব ঘটনা অবলম্বনে কল্পকথার স্ট্যাটাস ।
পুণশ্চ :
-'সবাই কবি নয়, কেউ কেউ কবি' ।
-'সবাই দানব নয়, কেউ কেউ দানব' ।
-'সবাই দানব গড়ার কারিগর নন, কেউ কেউ দানব গড়ার কারিগর' ।
(*) ২০১৯ সালের ২০ জুলাই রাজধানীর বাড্ডার একটি স্কুলে সন্তানদের ভর্তির বিষয়ে খোঁজ নিতে গিয়ে দুই সন্তান মাহিন ও তুবার বুকে বিরাট শুন্যতা তৈরি করে ছেলেধরা সন্দেহে গণপিটুনিতে নিহত হন তাসলিমা বেগম রেনু। সাম্প্রতিক সময়ে ‘তুবা’র মায়ের হত্যাকারীদের বিচারকাজ সম্পন্ন হয়েছে । এতে একজনকে মৃত্যুদণ্ড, চারজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং ৮ জনকে খালাস দেওয়া হয়েছে।
(**) ওই স্কুলের দানব গড়ার কারিগরদের মাঝে এইসব বিশেষণ বৈশিষ্ট্য বিদ্যমান বিধায়, সেই হতভাগ্য 'তুবার মাকে' তাঁরাও বাঁচাতে এগিয়ে আসেননি । আশ্চর্যের বিষয়- তাঁরা শিক্ষিত- সজ্জন ব্যক্তি । এই মায়ের কাছ থেকে তাঁর বিস্তারিত জেনে বডি ল্যাংগুয়েজ-ফেসমুভম্যান্ট বুঝে নিয়ে কিংবা সম্ভব না হলে থানায় ফোন দিয়ে তাঁকে বাঁচাতে পারতেন ...!
২৮ শে অক্টোবর, ২০২৪ দুপুর ১২:৪৬
আহমেদ রুহুল আমিন বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ ।
২| ২৮ শে অক্টোবর, ২০২৪ দুপুর ১২:৩০
রাজীব নুর বলেছেন: ছবিটা সুন্দর।
২৮ শে অক্টোবর, ২০২৪ দুপুর ১২:৪৬
আহমেদ রুহুল আমিন বলেছেন: ধন্যবাদ ।
©somewhere in net ltd.
১| ২৮ শে অক্টোবর, ২০২৪ দুপুর ১২:২৭
কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: এই বিষয় নিয়ে আমিও লিখেছিলাম। বড় কষ্ট লেগেছিল তখন
ধন্যবাদ আপনাকে