নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
২৩ মে, ১৯৮০
মোশতাকের জনসভায় বোমা বিস্ফোরণ : সভাস্থল ও মঞ্চে সাপ চালান
বায়তুল মোকাররম প্রাঙ্গণে বাংলাদেশ ডেমোক্রেটিক লীগের জনসভায় গ্রেনেড নিক্ষিপ্ত হওয়ার ফলে প্রাণ হারাইয়াছেন একজন সাংবাদিকসহ ৭ জন। আহতের সংখ্যা শতাধিক। ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে আহত ৪৮ জনকে ভর্তি করা হইয়াছে। ২ জন সাংবাদিকসহ ২০ জনের অবস্থা আশাঙ্কাজনক। খোন্দাকার মোশতাক আহমদ তাহার বাসভবনে প্রতিনিধির নিকট প্রতিক্রিয়া জানাইতে গিয়া ক্ষমতাসীন পার্টির চেয়ারম্যানকে দায়ী করিয়াছেন। নিহত কর্তব্যরত সাংবাদিকের নাম কাজী মোস্তাফিজুর রহমান। সমাবেশে একাধিক উন্মুক্ত বিষধর সাপ দেখে মানুষের দিগবিদিক দৌঁড়াদোড়িতে অনেকেই আহত হয়েছেন।
২৩ মে, ২০০৫
বিচারপতি আজিজ নয়া সিইসি
রাষ্ট্রপতি আপীল বিভাগের কর্মরত বিচারক বিচারপতি এমএ আজিজকে গতকাল প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) হিসাবে নিয়োগ দিয়েছেন। অত্যন্ত দ্রুততার সঙ্গে নিয়োগ সংক্রান্ত কার্যক্রম সম্পন্ন হওয়ার পর নবনিযুক্ত প্রধান নির্বাচন কমিশনার শপথ গ্রহণ করেছেন। প্রধান বিচারপতি সৈয়দ জেআর মোদাচ্ছির হোসেন সুপ্রীম কোর্টের জাজেস লাউঞ্জে বিকাল ৫টায় এক অনাড়ম্বর অনুষ্ঠানের মাধ্যমে নবনিযুক্ত প্রধান নির্বাচন কমিশনারকে শপথবাক্য পাঠ করান। শপথ গ্রহণ শেষে সিইসি বিচারপতি এমএ আজিজ ইত্তেফাককে বলেন, সংবিধান, বিবেক ও জনগণের গ্রহণযোগ্যতাই হবে আমার কর্মপরিচালনার ভিত্তি। তিনি বলেন, আমি একজন বিচারক, বিতর্কিত ব্যক্তি নই। আমার বিশ্বাস দেশের সকল রাজনৈতিক দল এ নিয়োগ মেনে নেবে। এদিকে, প্রধান বিরোধী দল আওয়ামী লীগ এ নিয়োগকে প্রত্যাখ্যান করেছে। একজন কর্মরত বিচারক তার পদ বহাল রেখে প্রধান নির্বাচন কমিশনার পদের দায়িত্ব পালন করতে পারেন কিনা আইন বিশেষজ্ঞদের মধ্যে এনিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
২৩ মে ২০০৬
ক্ষোভে ফেটে পড়েছে হাজার হাজার শ্রমিক
ভোর থেকে সাভারে ঢাকা ইপিজেড ও আশুলিয়ার জামগড়া শিল্প এলাকা, উত্তরা থেকে শুরু হয়ে গাজীপুরের কোনাবাড়ি, ঢাকার মিরপুর, তেজগাঁ শিল্প এলাকা এবং ওয়ারী, রূপগঞ্জ ও কালিয়াকৈরসহ গার্মেন্টস শিল্প অধ্যুষিত এলাকাসমূহে ব্যাপক ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগের ফলে চরম নৈরাজ্যকর পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়। এসব এলাকায় কমপক্ষে ৯টি কারখানায় অগ্নিসংযোগ করা হয়। ভাংচুর হয়েছে শত শত কারখানা ও যানবাহন। জনদুর্ভোগও হয়ে উঠেছিল অসহনীয়। পুলিশ, র্যাব এবং বিডিআর নামিয়েও পরিস্থিতি সামাল দেয়া যায়নি। শ্রমিকরা টঙ্গি-আশুলিয়া, টঙ্গি-গাজীপুর, ঢাকা-সিলেট ও ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়ক অবরোধ করে রাখে। রাজধানীতে মিরপুরের রোকেয়া সরণি এবং তেজগাঁ শিল্প এলাকার সড়কও বন্ধ হয়ে যায়। বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা গতকাল সাভারে ঢাকা ইপিজেড ও আশুলিয়ার জামগড়া শিল্প এলাকায় ৪টি রফতানিমুখী গার্মেন্টস কারখানায় ও ৪টি গাড়িতে অগ্নিসংযোগ করে।
২৩ মে ১৯৭৩
বঙ্গবন্ধু জুলিওকুরি শান্তি পদকে ভূষিত
বিশ্বশান্তি পরিষদের তিনদিনব্যাপী এশীয় শাস্তি সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে জাতির পিতা প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে আনুষ্ঠানিকভাবে "জুলি কুরী" শাস্তিপদকে ভূষিত করা হয়েছে। বিশ্বশান্তি পরিষদের সেক্রেটারী জেনারেল শ্রী রমেশ "জুলিওকুরী" শাস্তি পদকটি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মুজিবকোর্টে লাগিয়ে দেওয়ার সময় সন্মেলনে যোগদানকারী দেশি-বিদেশিপ্রতিনিধিবর্গ বিপুল করতালির মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুকে স্বাগত জানান।
২৩ মে ১৯৭২
বাংলার মাটি শত্রুমুক্ত, এবার দেশ গঠনের পালা - অস্ত্র জমা দিন
বাংলাদেশ কেন্দ্রীয় ছাত্র সংগ্রান পরিষদের চারজন নেতা নুরে আলম সিদ্দিকী, শাজা সিরাজ, আ. স. ম. আবদুর রব এবং আবদুল কুদ্দস মাখন সকল মুক্তিযোদ্ধার অস্ত্র জমা দেওয়ার জন্য এক যুক্ত বিবৃতিতে আবেদন করিয়াছেন । যুক্ত বিরতিতে নেতৃচতুষ্টয় বলেন : “জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর নির্দেশে ও নেতৃত্বে বাংলার মাটি হইতে পশ্চিম পাকিস্তানের হানাদার শত্রু সেনাদের বিতাড়িত করিয়া বাংলার মাটিকে শত্রুমুক্ত করা এবং জাতির জনককে কারাগার হইতে ছিনাইয়া আনার প্রত্যয় ও দৃঢ় প্রতিজ্ঞায় বাংলার কৃষক-শ্রমিক-জনতা নিজেদের হাতে অস্ত্র তুলিয়া লইয়াছিলেন এবং মরণজয়ী সংগ্রামে মুক্তিযোদ্ধারা নিজেদের উৎসর্গ করিয়াছিলেন। দেশ আজ শত্রুমুক্ত হইরাছে। তাই জাতির জনক এই মুহূর্তে দেশের মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণকারী প্রত্যেকের অস্ত্র জমা দেওয়ার যে নির্দেশ দিয়েছেন তা মেনে সহযোগিতা করুন।
২৩ মে ১৯৭১
উদ্বাস্তু সমাগমে ভারতে জটিল পরিস্থিতি - প্রেঃ সাদাতের কাছে ইন্দিরার পত্র
পধানমন্ত্রী শ্রীমতি ইন্দিরা গান্ধী সংযুক্ত আরব সাধারণতন্ত্রের প্রেসিডেন্ট মিঃ আনোয়ার সাদাতকে লিখিত পত্রে বাংলাদেশের শোচনীয় পরিস্থিতি ও উদ্বাস্তু সমাগমে ভারতে যে আশংকাজনক অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে সেই কথাটি তুলে ধরেছেন। তিনি পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খানকে বাংলাদেশে খুনখারাপি বন্ধ করার ব্যাপারে তাঁর প্রভাব-প্রতিপত্তি খাটাতে বলেছেন।
উদ্ধৃতি:
"বিদ্যুৎখাতে কতটুকু উন্নয়ন তারা (সরকার) করেছে তা জনগণের কাছে আজ আবারো পরিষ্কার হয়ে গেছে।"
-বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া : ২৩ মে ২০১৭
সূত্র:
১। উইকিপিডিয়া
২। বিবিসি
৩। দৈনিক ইত্তেফাক
৪। দৈনিক প্রথম আলো
৫। দৈনিক সমকাল
৮। https://songramernotebook.com/
২৪ শে মে, ২০২৪ রাত ১২:০৫
জোবাইর বলেছেন: খোন্দকার মোশতাক আওয়ামী লীগের জন্মলগ্ন থেকেই দলে ছিলেন। ব্যক্তিগত জীবনে মোশতাক যে চালবাজ ও হিংসুক প্রকৃতির ছিলেন তা দলের অন্যান্য নেতারা জানতেন। বঙ্গবন্ধু ছিলেন উদার মন-মানসিকতা সম্পন্ন ব্যক্তি। তাই তিনি মোশতাককে মন্ত্রীও করেছিলেন। খোন্দকার মোশতাক কূটচরিত্রের লোক হলেও এত বড় বেঈমানী করবে কেউ ভাবেনি। ১৯৭৫ এর ৩ নভেম্বরে খালেদ মোশাররফ এর নেতৃত্বে অভ্যুত্থানে খন্দকার মোশতাক গংকে হত্যা না করে খালেদ মোশাররফ ভুল করেছিলেন।
২| ২৩ শে মে, ২০২৪ রাত ১০:৫৮
ঘুম ভাঙ্গা শহরে বলেছেন: নির্মম ভয়াবহ এক দিন।
২৪ শে মে, ২০২৪ রাত ১২:১১
জোবাইর বলেছেন: বাংলাদেশের দীর্ঘ ৫৩ বছরের ইতিহাসে এরকম আরো ভয়াবহ দিন আছে। আমি এখানে সংক্ষেপে শুধু কয়েকটি তুলে ধরলাম, যাতে নতুন প্রজন্মের তরুণেরা অতীতের এসব ঘটনা জেনে নিজেরাই এদেশের রাজনীতি ও রাজনীতিবিদদের সঠিকভাবে মূল্যায়ন করতে পারে।
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
৩| ২৪ শে মে, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৫৮
কামাল১৮ বলেছেন: ঐ দিনের জনসভায় আমি উপস্থিত ছিলাম।জনসভা দেখা আমার একটা নেশা ছিলো।
২৫ শে মে, ২০২৪ দুপুর ১:৪৭
জোবাইর বলেছেন: ৪৪ বছর আগের ঘটনা! অথচ এখনও পুরো ঘটনা চোখে ভাসছে। মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
©somewhere in net ltd.
১| ২৩ শে মে, ২০২৪ রাত ১০:৫৩
রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: খোন্দকার মোশতাক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের চেয়ে বয়সে বড়ো ছিল। আওয়ামী মুসলিম লীগ গঠনের সময় তার পদটাও বড়ো ছিল। কিন্তু সে বঙ্গবন্ধুর মতো প্রভাব বিস্তারকারী হতে পারেনি। বঙ্গবন্ধুকে হিংসা করত। বঙ্গবন্ধুর উচিত হয়নি এই ধূর্তকে পরবর্তীতে বন্ধুরূপে গ্রহণ করা। বঙ্গবন্ধু হত্যার পর সে ভেবেছিল আরামে থাকবে। কিন্তু সেটা সাময়িক ছিল। ইতিহাসে সে মীর জাফর হিসেবেই স্বীকৃত।