নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
পৃথিবীর সবচেয়ে বড় দর্শন হল হিসাব বিজ্ঞানের ডেবিট এবং ক্রেডিট । সবসময় যতখানি ডেবিট, ঠিক ততখানিই ক্রেডিট হয় । পরকালের হিসেব যা-ই হোক, এই ইহকালে আমরা ঠিক যেভাবে শূন্য হাতে পৃথিবীতে এসেছি, সেভাবে শূন্য হাতেই পৃথিবী ছেড়ে যাব । এটাই পৃথিবীর আবর্তনিক নিয়ম । অনেকে আমরা এটা বুঝতে ব্যর্থ হই ।আপনি কারো ক্ষতি করবেন তো আজ অথবা কাল আপনার ক্ষতি হবেই হবে । ভালো করলেও তার ফল আপনি জীবদ্দশাতেই পাবেন ।অনেকে দেখবেন রাস্তাঘাটে অযথা হোঁচট খায়, অসুখে ভোগে- এসব এমনি এমনি নয়, হয় এর অতীত, নয়তো ভবিষ্যৎ প্রসারী কোন কারণ আছে । যদি আপনি কারো ক্ষতি না করেন, তবে আমি নিশ্চয়তা দিচ্ছি, আপনার কোন ক্ষতি হবে না । কেউ চেষ্টা করলেও আপনার ক্ষতি করতে পারবে না ।শুদ্ধ থাকুন, শুদ্ধতার শুভ্রতাকে উপভোগ করুন । জীবন সুন্দর হবে ।আমি সবার মতের প্রতিই শ্রদ্ধাশীল।আশা করি আপনিও তাই।সৌজন্যবোধ ও মানবতার জয় হোক !
আমাদের যখন কথা হচ্ছিল,
আমি আড়চোখে তাকিয়ে দেখলাম তোমার চোখে
সেখানে আমার জন্য আগ্রহ ছিল না!
এরপর আমি আমার করুণ গল্পটি বললাম তেমাকে,
তারপর চোখ তুলে চাইলাম তোমার মুখের দিকে!
খুব করে চাইছিলাম, আমার জন্য মায়া ফুটে উঠুক!
না মায়া মুখে, সমবেদনাও না!
তোমার জন্য করা হয়নি কিছুই,
শুধু চেষ্টা হয়েছে অনেক,
আমার কেনা নীল শাড়ি তোমাকে মানায়নি,
লিপস্টিকটা বড্ড সস্তা ছিল,
একটু রোদেই অমনি গলে কাদা হয়ে গেল!
শত চেষ্টা করেও
আঁজলা ভরে সুখ নিয়ে আসা হল না,
অনাহারী জীর্ণ আঙুলে হাতটাই ভেজে,
জল আটকায় না!
আমি ভেজা হাতে তোমার হাত ছুঁয়ে তাকালাম,
নির্লিপ্ত শীতলতা দেখে কুঁকড়ে গেলাম ফের!
এরপর রোদ হল, বৃষ্টি হল,
হাত শুকালো, চোখ শুকালো
তোমার জন্য করা গেল না কিছুই!
আমি কাক হয়ে শেষমেশ
পিণ্ডি গিলতে তোমার দুয়ারে গেলাম!
কুৎসিত স্বরে কেঁদে ডাকলাম,
তুমি ভাত ছিটালে,
আমি খেতে খেতে চকচকে কাকচক্ষু বাঁকিয়ে
তোমার চোখে চাইলাম!
না ছিল সেখানে দয়া, না করুণা!
অতঃপর
আমি আমার চোখ ফিরিয়ে নিলাম!
©somewhere in net ltd.
১| ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০২৪ রাত ১২:১৬
শূন্যের ঘুড়ি বলেছেন: আপনার লেখনী যেন দৃশ্যমান আমার চোখে