নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
পৃথিবীর সবচেয়ে বড় দর্শন হল হিসাব বিজ্ঞানের ডেবিট এবং ক্রেডিট । সবসময় যতখানি ডেবিট, ঠিক ততখানিই ক্রেডিট হয় । পরকালের হিসেব যা-ই হোক, এই ইহকালে আমরা ঠিক যেভাবে শূন্য হাতে পৃথিবীতে এসেছি, সেভাবে শূন্য হাতেই পৃথিবী ছেড়ে যাব । এটাই পৃথিবীর আবর্তনিক নিয়ম । অনেকে আমরা এটা বুঝতে ব্যর্থ হই ।আপনি কারো ক্ষতি করবেন তো আজ অথবা কাল আপনার ক্ষতি হবেই হবে । ভালো করলেও তার ফল আপনি জীবদ্দশাতেই পাবেন ।অনেকে দেখবেন রাস্তাঘাটে অযথা হোঁচট খায়, অসুখে ভোগে- এসব এমনি এমনি নয়, হয় এর অতীত, নয়তো ভবিষ্যৎ প্রসারী কোন কারণ আছে । যদি আপনি কারো ক্ষতি না করেন, তবে আমি নিশ্চয়তা দিচ্ছি, আপনার কোন ক্ষতি হবে না । কেউ চেষ্টা করলেও আপনার ক্ষতি করতে পারবে না ।শুদ্ধ থাকুন, শুদ্ধতার শুভ্রতাকে উপভোগ করুন । জীবন সুন্দর হবে ।আমি সবার মতের প্রতিই শ্রদ্ধাশীল।আশা করি আপনিও তাই।সৌজন্যবোধ ও মানবতার জয় হোক !
বিষয়টা উস্কানির না, বিষয়টা মেরুদণ্ড সোজা করে দাঁড়াবার!
আপনারা তাইওয়ানের নাম শুনেছেন, চীনের সাথে লাগোয়া, চীনেরই অংশ একটি দেশ, যা নিজেদের পৃথক করেছে এবং নিজস্ব গভর্নমেন্ট করেছে! তাইওয়ানের মানচিত্র দেখবেন, চীনের তুলনায় কত ক্ষুদ্র! অথচ তারা নিজেদের চীনের কম্পিটিটর মনে করে! এবং চীনও তাদেরকে নিজেদের কম্পিটিটর বিবেচনা করে তোয়াজ করে!
আপনারা জাপানকে চেনেন, জাপানও চীনের তুলনায় ক্ষুদ্র! এবং এই জাপান চীনকে ইনভেইড করেছে, নির্যাতনও করেছে কয়েকবার, যা এখনও চাইনিজ মুভ্যিতে চাইনিজদের সরলতার প্রতি সফট কর্নার হিসেবে দেখানো হয়!
আপনারা অনেক কুস্তিতেই দেখবেন, দৈহিক আকৃতিতে বিশাল হলেই কুস্তিগির সর্বশক্তিমান, সবার সঙ্গেই জিতে যায় বা অপ্রতিরোধ্য হয় এমন নয়! বিরাট কুস্তিগিরের সাথে হ্যাংলা কুস্তিগির অনেক সময় জিতে যায়, কেন? তাইওয়ান, জাপানের মত ছোট্ট দেশ চীনের সাথে পারে, কেন পারে?
পারে কারণ ওই মেরুদণ্ড! তারা বিশ্বাস করে, আমরা পারব! তারা ছোট বলে আগেই নিজেকে সারেন্ডার করে বসে থাকেনি! বরং তারা উল্টো প্রতিরোধ করেছে, এবং তাই তারা পেরেছে।
আপনি সাইজে বড় না ছোট সেটা জরুরি না, আপনি কতটা শার্প সেটা জরুরি! এবং আপনি কথাবার্তায় আচার আচরণে শার্প হলে আপনার পথে ঘাঁটে উঠতে বসতে সবার সাথে মারামারি করারও দরকার হয় না অধিকার পেতে, আপনার শার্পনেস দেখে এমনিতেই মানুষ আপনাকে তোয়াজ করে প্রাপ্য সম্মানটুকু দেবে! আপনি কতটা সোজা হয়ে দাঁড়াচ্ছেন, কতটা স্ট্রংলি কথা বলছেন- এটাই মুখ্য। আপনার গায়ে কতটুকু শক্তি আছে, সেটা মুখ্য না।
এই আপনি আগেই ভেবে রেখেছেন ভারতের সাথে আপনি পারবেন না! আপনার মাথায়ই গেঁথে আছে, আপনি ভারতের বগলের তলে, আপনি আগেই মাথায় সেট করে বসে আছেন, ভারত আপনাকে চারপাশ থেকে ঘিরে রেখেছে, আপনাকে একটা চাপ দিলেই আপনি সাগরে পড়ে যাচ্ছেন!
কখনও বিড়ালকে ইঁদুর ধরতে দেখেছেন? বা বিড়ালকে পাখি ধরতে দেখেছেন?
খেয়াল করে দেখবেন, ইঁদুরের সামনে বিড়াল এসে পড়লে ইঁদুর প্রথমেই নার্ভাস হয়ে যায়! না সে ফাইট করার চেষ্টা করে, না সে পালানোর চেষ্টা করে! ধরার আগেই একদম আধমরা হয়ে নিঃশ্বাস নিতে থাকে! পাখির বেলাতেও তাই, বিড়ালের থাবা এমন কিছু বড় না, অথচ একটা থাবা দিলেই পাখি নেতিয়ে যায়, সে দ্বিতীয়বার ওড়ার চেষ্টা করে না, ফাইট করার চেষ্টাও করে না, তার হার্ট ফেইল করে! অথচ সে আরেকটু ফাইট করলে হয়ত পারত, সে ফাইট করে না! তার মাথায় সেট হয়ে আছে, ও রে বাবা, ও তো বেড়াল!
একজন কুস্তিগির আপনাকে মারতে এলে আপনি প্রথমেই আত্মবিশ্বাস হারান, এবং আপনি মার খান। অথচ আপনি এটা ভাবতেই চান না কোন দিক দিয়ে তাকে একটা মারা যায়, বা তাকে কী করে কাবু করা যায়! এগুলো জাস্ট মাইন্ডসেট। মারামারি করাই লাগে না, আপনার চোখে যত ভয় ভর করে, আপনার অপোনেন্টের আত্মবিশ্বাস ততই বাড়ে, সে ততই সাহসী হয়ে ওঠে! আর আপনি বুক চিতিয়ে চোখে চোখ রেখে ঘুরে দাঁড়ালে আপনার অপোনেন্ট যতই শক্তিশালী হোক, সে সাধারণত প্রথমে তর্ক করার চেষ্টা করবে, আগেই হাত চালাবে না। এটা পৃথিবীর সবল বনাম দুর্বলের কমন সূত্র ভাই!
আপনি ভারতকে আজীবন ভয় পেয়ে এসেছেন, তার সঙ্গে চোখে চোখ রেখে বুক টান করে কথা বলে দেখেননি বলেই ভারত এত সাহস পেয়েছে! আমি বিশ্বাস করি, আমরা যত ছোটই হই, আমরা ঘুরে দাঁড়ালেই আগ্রাসন পেছাবে! শুধু আমি ভয় করি না এবং আমি পারব- এটুকু মানসিকতাই জরুরি! আপনি যখন মনে প্রাণে কিছু করবেন বলে স্থির করেই ফেলেন, তখন আর কোন কিছুতেই সেটা আটকায় না!
বড়াইবাড়ি ২০০১, ৩ বনাম ১৭৮ মনে আছে তো?
আপনি যে মোটেও দুর্বল না, বড়াইবাড়ির এই ঘটনাটাই তার ছোট্ট একটা ঝলক ছিল। আপনি সম্ভবত সে ইতিহাসও জানেন না! এতকিছু পড়ার পর আপনি যদি বলেন, উস্কানি দিয়েন না, আমরা ভারতের সাথে যুদ্ধে পারব না, তাহলে আপনি পোস্ট তো বোঝেনইনি, আপনার সময় নষ্টের খেসারত হিসেবে আপনাকে আবার এক লাইনে বলি, এই পোস্টে আপনাকে যুদ্ধ করতে বলা হয়নি, মেরুদণ্ড সোজা করে দাঁড়িয়ে অধিকার চাইতে বলা হয়েছে! ভয় না পেতে বলা হয়েছে, আপনি ছোট হলেই যে দুর্বল হবেন, সেটা না ভাবতে বলা হয়েছে। ক্লিয়ার নাউ???
২| ২৭ শে আগস্ট, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:০৮
মাকার মাহিতা বলেছেন: আমরা কেন ট্রেনের ইঞ্জিন বনাতে পারবো না?
৩| ২৭ শে আগস্ট, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:১০
কামাল১৮ বলেছেন: ভারত ভীতিরও দরকার নাই অতি সাহস দেখানোরও দরকার নাই।শান্তিতে সহঅস্থান করাই উত্তম।হাজার হাজার বছর আমরা এক সাথেই ছিলাম।কখনো ভারতের অংশ হয়ে কখনো বিচ্ছিন্ন হয়ে।ধর্ম আমাদের আলাদা করেছে।
৪| ২৭ শে আগস্ট, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৫৫
প্রহররাজা বলেছেন: ১৯৭১ সালের ১৬ই ডিসেম্বর থেকে ভারত ভীতি শুরু। এটা বাংলাদেশীদের জন্মগত সমস্যা।
৫| ২৭ শে আগস্ট, ২০২৪ রাত ৯:১০
ইলি বলেছেন: শান্তিতে সহঅস্থান করাই উত্তম।
©somewhere in net ltd.
১| ২৭ শে আগস্ট, ২০২৪ বিকাল ৫:৪০
রাসেল বলেছেন: হতে পারে ভারতভীতি, তারসাথে ব্যক্তিগত স্বার্থ আছে বলেই মনে হয়, সর্বশেষ নির্বাচনে সকল দলই তার মহড়া দিয়েছে । এক দল বিশ্বাস অর্জন করতে পারেনি, ওপর দল পেরেছে ।