নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি একটি পথ, আপনি চাইলে হেঁটে দেখতে পারেন....

জীয়ন আমাঞ্জা

পৃথিবীর সবচেয়ে বড় দর্শন হল হিসাব বিজ্ঞানের ডেবিট এবং ক্রেডিট । সবসময় যতখানি ডেবিট, ঠিক ততখানিই ক্রেডিট হয় । পরকালের হিসেব যা-ই হোক, এই ইহকালে আমরা ঠিক যেভাবে শূন্য হাতে পৃথিবীতে এসেছি, সেভাবে শূন্য হাতেই পৃথিবী ছেড়ে যাব । এটাই পৃথিবীর আবর্তনিক নিয়ম । অনেকে আমরা এটা বুঝতে ব্যর্থ হই ।আপনি কারো ক্ষতি করবেন তো আজ অথবা কাল আপনার ক্ষতি হবেই হবে । ভালো করলেও তার ফল আপনি জীবদ্দশাতেই পাবেন ।অনেকে দেখবেন রাস্তাঘাটে অযথা হোঁচট খায়, অসুখে ভোগে- এসব এমনি এমনি নয়, হয় এর অতীত, নয়তো ভবিষ্যৎ প্রসারী কোন কারণ আছে । যদি আপনি কারো ক্ষতি না করেন, তবে আমি নিশ্চয়তা দিচ্ছি, আপনার কোন ক্ষতি হবে না । কেউ চেষ্টা করলেও আপনার ক্ষতি করতে পারবে না ।শুদ্ধ থাকুন, শুদ্ধতার শুভ্রতাকে উপভোগ করুন । জীবন সুন্দর হবে ।আমি সবার মতের প্রতিই শ্রদ্ধাশীল।আশা করি আপনিও তাই।সৌজন্যবোধ ও মানবতার জয় হোক !

জীয়ন আমাঞ্জা › বিস্তারিত পোস্টঃ

প্রবৃত্তি: মুনি ও মুষিক শাবকের গল্প

১৯ শে জুন, ২০২৪ রাত ১১:৪৬

যে গল্প সবাই জানে তা আর নতুন করে বলায় আমি কোন আগ্রহ পাই না৷ আমি বলব এমন কিছু যা আগে কেউ শোনেনি৷ মুষিক (ইঁদুর) শাবক ও এক মুনি'র একটা গল্প আমি শৈশবে পড়েছিলাম, সে গল্পটা ইন্টারনেটে অনেক ঘেঁটেও আর কোথাও পাচ্ছি না, যেটা পাচ্ছি, সেটা অকৃতজ্ঞতা সংক্রান্ত অন্য গল্প৷ অতএব, আমার গল্পটি তাহলে আনকোরা, এটি বলা যায়৷

একবার এক মুষিক শাবককে একটি বাজপাখি তাড়া করল, জীবন বাঁচাতে শাবকটি এক মুনি বা ঋষির কাছে গিয়ে জীবন ভিক্ষা তথা আশ্রয় চাইল৷ মুনি বর দিয়ে ইঁদুর শাবকটিকে একটি মনুষ্যকন্যায় রূপান্তরিত করে দিলেন। অতঃপর বললেন, বেটি, আর ভয় নেই, তুই আমার কন্যা হয়েই থাক৷ অতঃপর বছরের পর বছর গড়ালো, সেই কন্যা বড় হতে হতে যুবতী হয়ে উঠল৷ অত বছরে পিত্ররূপ মুনি বেমালুম ভুলে গেলেন যে এই কন্যা কোন এককালে মুষিক ছিল৷ তো কন্যা যুবতী হবার পর মুনিকে এসে বলল, বাবা, আমি তো যুবা হয়েছি, এবার আমায় বে দাও!

মুনিও ভাবলেন, আরে, তাই তো! এবার তো বিয়ে দিতে হয়!
উনি পাত্র আনেন, কন্যার পছন্দ হয় না৷ রাজপুত্রেরা আসে পাত্র হয়ে, বিদ্বানেরা আসে পাত্র হয়ে, কন্যার পছন্দ হয় না, যেই আসে তাকেই কন্যার পছন্দ হয় না! মুনি বিপাকে পড়ে জিজ্ঞেস করলেন, আচ্ছা, তুইই বল, তুই কেমন পাত্র চাস!

কন্যা বলল, আমি চাই, আমার পতি শক্তিতে শ্রেষ্ঠ হোক৷ আপনি বলুন, কে শক্তিতে শ্রেষ্ঠ!
মুনি বললেন, শক্তিতে শ্রেষ্ঠ অগ্নিদেব, হেন বস্তু নেই যা আগুন পোড়াতে পারে না, তুই কি অগ্নিদেবকে বিয়ে করবি?

কন্যা বলল, আগুনকে পরাস্ত করতে পারে এমন কিছুই কি নেই?

মুনি ভেবে বললেন, তা আছে, জল! জল আগুনকে মিটিয়ে দিতে পারে!

কন্যা বলল, জলকে শক্তিতে হারায় এমন কেউ নেই?

মুনি ভেবে বললেন, আছে তো৷ বায়ু৷ বায়ুর এমন শক্তি, সে যেদিকে চায় সেদিকেই জলকে তাড়িয়ে নিতে পারে৷ তুই বায়ুকে বিয়ে করবি?

কন্যা বলল, বায়ুর ক্ষমতাই সবচেয়ে বেশি?? তাকে আটকাবার কেউ নেই?

মুনি ভ্রু কুচকে বললেন, বায়ুকে রোধে এমন কেউ? হাঁ, আছে৷ পর্বত! তুই বিশালদেহী পর্বতকে স্বামী হিসেবে চাস?

কন্যা বলল, কিন্তু পর্বতকে ছিদ্র করতে পারে এমন একজনও তো আছে, আছে না?

মুনি বললেন, পর্বতকে আবার ছিদ্র করবে কে?

কন্যা বলল, কেন, ইঁদুর! আমি তো দেখলাম, পর্বতের গায়ে ইঁদুরে ইয়া বড় বড় গর্ত করে রাখে!!

মুনি চোয়াল ঝুলিয়ে বললেন, ও রে হারামজাদী, রতনে রতন চেনে শুয়োরে চেনে কচু! তুই যে ইঁদুর ছিলি, তা তোকে যতই সাজিয়ে পরিয়ে রাখি না কেন, তোর রুচি তো ওই ইঁদুরের দিকেই যাবে!! যাহ, তুই ফের ইঁদুরই হয়ে যা।

আমার গল্প শেষ!
মানুষ তার রুট, তার খাইসলতকেও এভাবে এড়াতে পারে না৷ সে জীবনে যতই উন্নতি করুক, তার খাইসলতে সে সুযোগ পেলেই ফিরে আসবেই! শুভরাত্রি৷

মন্তব্য ০ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.