নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
পৃথিবীর সবচেয়ে বড় দর্শন হল হিসাব বিজ্ঞানের ডেবিট এবং ক্রেডিট । সবসময় যতখানি ডেবিট, ঠিক ততখানিই ক্রেডিট হয় । পরকালের হিসেব যা-ই হোক, এই ইহকালে আমরা ঠিক যেভাবে শূন্য হাতে পৃথিবীতে এসেছি, সেভাবে শূন্য হাতেই পৃথিবী ছেড়ে যাব । এটাই পৃথিবীর আবর্তনিক নিয়ম । অনেকে আমরা এটা বুঝতে ব্যর্থ হই ।আপনি কারো ক্ষতি করবেন তো আজ অথবা কাল আপনার ক্ষতি হবেই হবে । ভালো করলেও তার ফল আপনি জীবদ্দশাতেই পাবেন ।অনেকে দেখবেন রাস্তাঘাটে অযথা হোঁচট খায়, অসুখে ভোগে- এসব এমনি এমনি নয়, হয় এর অতীত, নয়তো ভবিষ্যৎ প্রসারী কোন কারণ আছে । যদি আপনি কারো ক্ষতি না করেন, তবে আমি নিশ্চয়তা দিচ্ছি, আপনার কোন ক্ষতি হবে না । কেউ চেষ্টা করলেও আপনার ক্ষতি করতে পারবে না ।শুদ্ধ থাকুন, শুদ্ধতার শুভ্রতাকে উপভোগ করুন । জীবন সুন্দর হবে ।আমি সবার মতের প্রতিই শ্রদ্ধাশীল।আশা করি আপনিও তাই।সৌজন্যবোধ ও মানবতার জয় হোক !
তা মোদি'জি, জনগণকে ভোট দিতে দিচ্ছেন না কেন?
এ্যা? কী বলেন এইটা? কাদের কথা বলতেছেন? কোন জনগণ? যে জনগণ কিছু একটা হইলেই হুজুগে লাফায়? যে জনগণের নিজেরই রাইট রং বোঝার ক্ষমতা নাই, যে জনগণরে একটা ফটোশপ দিয়াই বোকা বানানো যায়, তাদের বুঝ দিয়া আমার চললে হইবো? আপনে একটা জিনিস খেয়াল করেন, যখন সিমের ফিঙ্গারপ্রিন্ট রেজিস্ট্রেশন শুরু হইল, তখন মানুষ কী হারে বিরোধিতা শুরু করল, এই ফিঙ্গারপ্রিন্ট দিয়া নাকি সবাইকে ম্যানিপুলেট করে ফাঁসিয়ে দেওয়া হবে, ফিঙ্গারপ্রিন্ট দিয়া নাকি দলিলে বসাইয়া জায়গা সম্পত্তি নিয়া যাওয়া হবে, অথচ মানুষ গত তিনশো বছর ধইরা এই ফিঙ্গারপ্রিন্ট দিয়াই সবখানে কাজ চালাইয়া আসতেছে এইটা কেউ বুঝল না৷ শেষে কী হইল, সবাই ঠিকই ফিঙ্গার করল, মাঝখানে কয়দিন কাউতালি! এই জনগন কিচ্ছু বোঝে না, যখন যে যেই তাল দেয়, সেই তালে লাফায়, লাফাইয়া ক্লান্ত হয়, তারপর মাইনা লয়! কিচ্ছু বোঝে না!
আপনি জনগণকে ছোট করে দেখছেন, বুঝতেছেন আপনি কী বলতেছেন এইগুলা?
হ, আমার কথাডা তিতা সইত্য, শুনলেই খারাপ লাগবে, কিন্তু ডিপলি চিন্তা কইরা দেখেন, জিনিসের দাম বাড়ছে, মানুষ চিল্লায়! অথচ বেক্কলেরা এইডা দ্যাহে না যে সারা বিশ্বে ডলারের দাম বাড়ছে! তো ডলারের দাম বাড়লে সবকিছুর দামই বাড়বো না?
কিন্তু পাকিস্তানে যে চিনির দাম কম, শ্রীলংকায় চিনির দাম কম, ওদের অর্থনীতি তো আমাদের চাইতে খারাপ, দেউলিয়া দেশ!
ত যান গা, পাকিস্তানই যান গা! পাকিস্তানের প্রতি প্রেম, মিয়া বাংলাদেশের চিনির দাম কত জানেন? হেইডা চোখে পড়ে না? কাঁঠাল আমার দেশে আশি রুপি, অস্ট্রেলিয়ায় কাঁঠাল সাতশো রুপি, কই হেইডা চোখে দেহেন না? কচুরিপানা আমার দেশে কোন দাম নাই, ফেলনা! চীনে যাইয়া দেখেন, আড়াইশো রুপি বোন্দা, তো এখন বলেন, অগোর লগে তাল মিলাইতে আমরাও কাঁঠাল সাতশো রুপিতে বেচি, তহন নাইলে চিনির দাম কমামুনে ওইটার টাকা দিয়া!
আপনি ঘুরেফিরে সেই দাম বাড়ানোর ধান্ধায়ই আছেন দেখছি!
এই বাড়ানোর কথা কইয়া দিলেন তো মিয়া হাসাইয়া! শোনেন, একটা গল্প বলি, পার্কস্ট্রিট থেইকা এক মাইয়ায় যাইবো এসপ্লানেড, বাইক ডাকলো, বাইকার কইলো যামু, তয় পেমেন্ট একটু বাড়ায় দিয়েন! মাইয়ায় কইলো, ক্যান, পেমেন্ট হাতে দিলে কী সমস্যা!
আপনি জনগনের দুর্ভোগ নিয়ে পরিহাস করছেন মোদি'জি!
পরিহাস? আবার বলেন এই কথা৷ আমি বুঝতেছি স্পষ্ট, আপনে বিরোধী দলের সাংবাদিক, তাই না? দুর্ভোগ বলতেছেন মিয়া, এইডা তো বিশ্ব পরিস্থিতি, কেউ ভালা নাই, কী আর করবেন! সারভাইভাল অপ দি ফিটেস্ট! সইতে হবে, সইতে সইতে মানায় নিতে হবে৷ নইলে টিকে থাকা যাবে না তো!
মানে বলতে চাইছেন, এই জুলুম সইতে না চাইলেই ফেলে দেবেন!
ছিঃ ছিঃ, এই কথা আমি একবারও কইছি জবান দিয়া? কেন বিরোধী দলের মন্ত্রণায় নাচতেছেন! আসেন, বোঝেন বিষয়টা! বিশ্বের এখন যে অবস্থা, আপনার কি মনে হয়, আপনার দল ক্ষমতায় আইলে চাইলের দাম দশ রুপি হয়ে যাবে? তেলের দাম ত্রিশ রুপি হয়ে যাবে? হবে না৷ তখন পরিস্থিতি আরো খারাপ হবে৷ পৃথিবীর উন্নত দেশগুলোতে তাকায় দেখেন, সব দেশ উন্নতি করছে একনায়কতন্ত্রের মাধ্যমে৷ এজন্যেই মোদিজিকি সরকার হার বার দরকার!
তো এজন্যই আপনি ভোট দিতে দিবেন না??
আরে মিয়া, আপনে তো পেজগির মইদ্যে পইড়া আছেন! না, আপনে মনে হয় নিজেই ইচ্ছা কইরা পেজগির মইদ্যে শুইয়া আছেন! ভোট নিয়া আপনের এত পাড়াপাড়ি ক্যা? আইচ্ছা, ধরেন, এই যে আম্বানি, সে এক পক্ষে দাঁড়াইলো আর আপনে দাঁড়াইলেন বিপক্ষে৷ কার পাল্লা ভারি হবে বলেন? না টাকার জন্য না শুধু, আম্বানির ট্যালেন্ট আর আপনের ট্যালেণ্ট সমান? তাইলে আম্বানির মতামত আর আপনার মতামত কোনটা বেশি গুরুত্ব পাইবো বলেন? আম্বানির ডিসিশন আর গলির মোড়ের পান দোকানদারের ডিসিশন এক সমান হইবো, বলেন?? হইবো না৷ অর্থাৎ ম্যান টু ম্যান ভারি করে৷ সব ম্যানের ওজন সমান না, সব ম্যানের বুদ্ধি সমান না, যোগ্যতা সমান না, আউটপুট সমান না৷ তাইলে আম্বানির রায় এক ভোট, আর পান দোকানদারের রায় এক ভোট সমান হয় ক্যামনে??
তার মানে আপনি গণতন্ত্রে বিশ্বাসী না?
রাখেন গণতন্ত্র! যেখানে ৫০০ রুপি দিলেই ভোট বিক্রি হইয়া যায়, সেখানে আবার গণতন্ত্র! এইডা একটা অকাজের জিনিস৷ দেশ চালাবে, দেশ সম্পর্কে সিদ্ধান্ত নিতে পারবে তারাই -যাগো দেশের প্রতি অবদান রাখার সামর্থ্য আছে৷ যাত্রাপালার রূপবান ক্যাবিনেটের বোঝে কী, কূটনীতির বোঝে কী, অর্থনীতির বোঝে কী? তাইলে ওরে দিয়া আমার কাজ কী? নাকি এখন আমার দেশের খাসির দাম বাড়াবো কি না, ব্যাংক রেট উঠাব না নামাবো সেইটা আমি রূপবানের মতামত নিয়া করব? গণতন্ত্র হিসাবে ওর মতামতেরও তো মূল্য আছে, তাই না? তো প্রতিটা ডিসিশনের আগে আমার কি জনগণকে জিজ্ঞাসা করে নিতে হবে? না সেইটার সুযোগ আছে? নায়ক সিনেমার মত কইতে পারলে ভালো হইত, আসো, এই চেয়ারে বইসা দেখ, কত কঠিন দেশ চালানো, কিন্তু কমু না, কারণ সিনেমাডা তো তুমিও দেখছো৷
জ্বি, দেখছি৷ তার মানে ওই সিনেমার মত আপনারও ঘাপলা আছে, সেটা নিয়া আপনার ভয়ও আছে, এই তো?
নোবডি ইজ দুধে ধোয়া তুলসীপাতা ইন পলিটিক্স, বুঝলা মিয়া৷ বহুত, পেচাল পাড়ছো, যাও, আমারে এহন একটু দেশ নিয়া ভাবতে দেও! আর হ, যাইবার সময় শ্লোগান দিতে দিতে যাইবা, মোদিজিকি? জেয়!! মোদিজিকি?? জেয়!! যাও এলা কইতে কইতে যাও... নাইলে কিন্তু গুল্লি করবো আমার বডিগার্ডে, অর ফায়ারিংএর কিন্তুক কোনো কৈফিয়ত লাগে না...
২| ১১ ই জুন, ২০২৩ রাত ১১:২২
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন:
৩| ১১ ই জুন, ২০২৩ রাত ১১:২৪
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: নিকটা বাংলা করেছেন দেখে ভালো লাগলো
১১ ই জুন, ২০২৩ রাত ১১:৪৩
জীয়ন আমাঞ্জা বলেছেন: আমি বাংলা করিনি৷ সম্ভবত কর্তৃপক্ষ স্বয়ংক্রিয়ভাবে করে দিয়েছে৷ সমস্যা হল, আমার নামটির বাংলা বানান আমি কীভাবে লিখি তা কর্তৃপক্ষ জানতে চায়নি, বা এক্ষেত্রে নিজেদেরও কোন বুদ্ধিমত্তা খাটায়নি৷ আমি বাংলায় নামটিকে লিখি জীয়ন আমাঞ্জা৷
এটা নিয়ে আজ নাম সংশোধনের আবেদন করতে গেলাম, অনুরোধ গৃহীত হল না!
কাকে জানাবো সেটাও বুঝতে পারছি না৷
৪| ১২ ই জুন, ২০২৩ রাত ১:২০
কামাল১৮ বলেছেন: গনতন্ত্র শেষ কথা নয়।কিন্তু আপাতত গনতন্ত্রের বিকল্প নাই।বিশ্বে বহু রকমের গনতন্ত্র আছে।।এর মধ্যে পূর্ব ইউরোপের দেশগুলির গনতন্ত্র কিছুটা ভালো।
৫| ১২ ই জুন, ২০২৩ সকাল ৮:৪৩
শেরজা তপন বলেছেন: বাইকার কইলো যামু, তয় পেমেন্ট একটু বাড়ায় দিয়েন! মাইয়ায় কইলো, ক্যান, পেমেন্ট হাতে দিলে কী সমস্যা!
দারুণ স্যাটায়ারধর্মী লেখা। এই কথাগুলো ভারতের গা লাগানো অন্য দেশের ব্যাপারেও খাটে।
৬| ১২ ই জুন, ২০২৩ দুপুর ১:২৪
রাজীব নুর বলেছেন: অনেকেই মনে করেন মোদি ইসলাম বিদ্বেষী।
না, মোদী ইসলাম বিদ্বেষী নয়।
তবে মোদি একজন ধার্মিক মানুষ।
৭| ১২ ই জুন, ২০২৩ দুপুর ২:১৮
আমি সাজিদ বলেছেন: ওরা যারা হালুয়া রুটির ভাগ পেয়েছে!
৮| ১২ ই জুন, ২০২৩ বিকাল ৩:৪৩
ঢাবিয়ান বলেছেন: ফায়ারিং এর কিন্তুক কোন কৈফয়ত লাগে না। এইডাই হইল মিডনাইট গনতন্ত্রের মুল কতা
৯| ১২ ই জুন, ২০২৩ বিকাল ৫:৪১
মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: জিগায় - ভাত খাইচ < জবাব < কি যে চমতকার আপনি ।
আহা বেশ _বেশ- বেশ ।
এক বার<<<<দু বার<<<<<<<আগলি বার <<<<<<<<<<< বার দরকার মোদিকি ছরকার। আর কাউকে নাই দরকার।
মোদী ঐছে **ুদির ভাই (দেশ দরদী নেতা),আম জনতার ছালা নাই।
১০| ১২ ই জুন, ২০২৩ রাত ৮:৫০
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: মিষ্টি কথায় ভালো লিখেছেন। কিন্তু আমার প্রশ্ন অন্য জায়গায়। লেখাটি লিখেছেন ব্লগে।আর বুঝিয়েছেন মোদিজীকে উপমা টেনে।অথচ যে কথ্য ভাষা ব্যবহার করেছেন সেটা পূব দেশের। এমতাবস্থায় কি মোদিজীকে নিশানা করে আরেক শাসকের উদ্দেশ্য লেখা তৈরি? অবশ্য আমার ধারণা ভুল হতেই পারে।এনিওয়ে ভালো লিখেছেন। পোস্টে লাইক।
শুভেচ্ছা আপনাকে।
২২ শে জুন, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৫২
জীয়ন আমাঞ্জা বলেছেন: লেখকের কাজ শুধুই লিখে দেওয়া৷ পড়ার পর কোন পাঠকের কাছে সেটা দৈববাণী ঠেকবে, কোন পাঠকের কাছে সেটা তুচ্ছ কাহিনি ঠেকবে, কেউ তা পড়ে তার নিজের হৃদয়ের কথা মনে করবে, কেউ নিজের দেশের কথা মনে করবে, আবার কেউ কিছুই৷ মনে করবে না৷ এই বিচিত্রিতা তৈরি করতে পারাই লেখকের কাজ৷
১১| ১২ ই জুন, ২০২৩ রাত ১১:২৪
রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: লেখা ভালো হয়েছে।
©somewhere in net ltd.
১| ১১ ই জুন, ২০২৩ রাত ১০:৫৪
জ্যাক স্মিথ বলেছেন: নোবডি ইজ দুধে ধোয়া তুলসীপাতা ইন পলিটিক্স।