নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
পৃথিবীর সবচেয়ে বড় দর্শন হল হিসাব বিজ্ঞানের ডেবিট এবং ক্রেডিট । সবসময় যতখানি ডেবিট, ঠিক ততখানিই ক্রেডিট হয় । পরকালের হিসেব যা-ই হোক, এই ইহকালে আমরা ঠিক যেভাবে শূন্য হাতে পৃথিবীতে এসেছি, সেভাবে শূন্য হাতেই পৃথিবী ছেড়ে যাব । এটাই পৃথিবীর আবর্তনিক নিয়ম । অনেকে আমরা এটা বুঝতে ব্যর্থ হই ।আপনি কারো ক্ষতি করবেন তো আজ অথবা কাল আপনার ক্ষতি হবেই হবে । ভালো করলেও তার ফল আপনি জীবদ্দশাতেই পাবেন ।অনেকে দেখবেন রাস্তাঘাটে অযথা হোঁচট খায়, অসুখে ভোগে- এসব এমনি এমনি নয়, হয় এর অতীত, নয়তো ভবিষ্যৎ প্রসারী কোন কারণ আছে । যদি আপনি কারো ক্ষতি না করেন, তবে আমি নিশ্চয়তা দিচ্ছি, আপনার কোন ক্ষতি হবে না । কেউ চেষ্টা করলেও আপনার ক্ষতি করতে পারবে না ।শুদ্ধ থাকুন, শুদ্ধতার শুভ্রতাকে উপভোগ করুন । জীবন সুন্দর হবে ।আমি সবার মতের প্রতিই শ্রদ্ধাশীল।আশা করি আপনিও তাই।সৌজন্যবোধ ও মানবতার জয় হোক !
নিমাই সিদ্ধান্ত লইয়াছে সন্ন্যাস লইবে, ভগবানের অন্বেষণে সংসারত্যাগী হইবে৷
এই ভাবিয়া সে বাহির হইল, গলির মুখে যাইতে না যাইতেই এক লোক হাত তুলিয়া পথ আগলাইলো, বলিল, থাম বাছা, আমিই ভগবান!
নিমাই এক ঝটকায় তাহাকে পথ হইতে সরাইয়া দিল, ব্যাটা, গুল মারিবার আর জায়গা পাও না, গলির মুখেই ভগবান পাওয়া যায়!
নিমাই চলিতে লাগিল নিরন্তর, মাস পার হইল, পরিধেয় বস্ত্র জীর্ণ হইল, শরীর হইল অস্থিচর্মসার, তাহাকে দেখিলে যে কাহারোই মায়া হইবে৷ সে স্টেশনে বসিয়া আছে, ক্ষুধায় পেট জ্বলিতেছে, এমন সময় এক লোক কলা পাতায় কিছু প্রসাদ লইয়া সামনে আসিল, নে বাছা, খা, আমিই ভগবান!
নিমাই ততক্ষণে সে খাবার মুখে দিয়াছিল, ওই লোক ভগবান শুনিবামাত্রই থুহ করিয়া ফেলিয়া দিল৷ বলিল, দূর হ, ভণ্ড কোথাকার! ভগবান এত সহজ বিষয়? এত সহজে মেলে!!
ছয় বৎসর অতিক্রান্ত হইয়াছে, নিমাইয়ের শরীর গিয়াছে, স্বাস্থ্য গিয়াছে, বস্ত্র তো বহুত আগেই গিয়াছে, সে এখন নাগা সন্ন্যাসী, বেনারসে ঘুরিয়াছে, কাশী গয়া এমনকি রাজস্থান তিব্বত অবধি ঘুরিয়াছে, সন্ন্যাসের চক্কোরে দুই বার বলাৎকারও হইয়াছে, তবু তাহার মনে হইতেছে পর্যাপ্ত সাধনা এখনও হইয়া ওঠে নাই, ভগবানের অনুগ্রহ লাভের আশায় রোজই অশ্রুবিসর্জন করে, তপস্যার তবু শেষ নাই৷
গত ছয় বছরে কমপক্ষে দুই ডজন লোক বিভিন্ন সময়ে সামনে আসিয়া বলিয়াছে, বাছা, আর কষ্ট করিস নে, এবার থাম, আমিই তোর কাঙ্খিত ভগবান৷
নিমাই এসব লোককে প্রতিবারই বিবিধ প্রকারের গালাগাল করিয়া তাড়াইয়া দিয়াছে, ব্যাটা ভণ্ড, ভগবান কি এত সহজে মেলে? এত সস্তায় যে ভগবান ধরা দেয়, তাহাকে তো আমি চাই না!
এভাবেই চলিতেছে তপস্যা, নিমাইয়েরও, ভগবানেরও৷ ভগবান কঠিন হইতে গিয়াও হইতে পারেন না, নিমাইয়ের কষ্ট দেখিলেই ছুটিয়া আসেন, আর নিমাই উহাকে তাড়াইয়া দেয়, যা শালা, ভগবান কী এত সহজ বিষয়????
১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:৩৫
জীয়ন আমাঞ্জা বলেছেন: ধন্যবাদ, ভাই৷
২| ১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ রাত ৯:০৭
কামাল১৮ বলেছেন: ভগবান পাওয়া যায় বিশ্বাসে।ভগবানতো নিরাকার অতয়েব আপনি গরু,ছাগল যেটাকে বিশ্বাস করবেন সেটাই ভগবান।বিশ্বাসে মিলায়———।
২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ রাত ১২:০২
জীয়ন আমাঞ্জা বলেছেন: আপনার জ্ঞানগর্ভ মন্তব্যের জন্য নিরন্তর ধন্যবাদ, কামাল ভাই৷
৩| ১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ রাত ১০:২৯
বিষাদ সময় বলেছেন: অনেক আগেই পড়েছি পঠকদের প্রতিক্রিয়া দেখার জন্য ইচ্ছে করেই দেরি করে মন্তব্য করলাম। চমৎকার একটি গল্প অথচ মন্তব্য খরায় ভুগছে। এটাই সামুর দুর্বলতা।
২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ রাত ১২:০৫
জীয়ন আমাঞ্জা বলেছেন: একবার তো একটা লেখা পড়ে সামুর কোন এক এডমিন বলেছিলেন, আরে আপনি তো খুব ভালো লিখেছেন, আপনার এই লেখা নির্বাচিত পোস্টে আসেনি কেন!
আমি বললাম, সে তো আপনারা ভালো জানবেন!
পরে উনাদের আর কোন ফিডব্যাক না পেয়ে বুঝলাম, বিষয়টা উনারাও ভালো জানেন না৷
৪| ১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ রাত ১০:৫০
স্মৃতিভুক বলেছেন: অনেকদিন পর চমৎকার একটা লেখা পড়লাম। ছোট্ট একটা গল্প, কিন্তু পরিপূর্ণ।
গল্পে একটা মেসেজ রেখেছেন, তার জন্যেও আপনাকে ধন্যবাদ।
২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ রাত ১২:০৭
জীয়ন আমাঞ্জা বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ, ভাই৷
৫| ১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ রাত ১০:৫৪
রাজীব নুর বলেছেন: পড়লাম।
বুঝতে কিছুটা বেগ পেতে হলো।
২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ রাত ১২:০৭
জীয়ন আমাঞ্জা বলেছেন: শেষমেশ বোঝা গেল তো?
৬| ২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ রাত ১:১২
শায়মা বলেছেন: পরশ পাথরের কবিতার মত.....
২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ রাত ১:৫১
জীয়ন আমাঞ্জা বলেছেন: পড়িনি৷
©somewhere in net ltd.
১| ১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:২০
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: ভগবান কি এত সহজ বিষয়?
ভগবান সহজ বিষয়ই, তবে, ভগবানকে পাওয়ার সাধনা সহজ নয়।
যাই হোক, আপনার পোস্ট দেখেই লগিন করলুম।