নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
পৃথিবীর সবচেয়ে বড় দর্শন হল হিসাব বিজ্ঞানের ডেবিট এবং ক্রেডিট । সবসময় যতখানি ডেবিট, ঠিক ততখানিই ক্রেডিট হয় । পরকালের হিসেব যা-ই হোক, এই ইহকালে আমরা ঠিক যেভাবে শূন্য হাতে পৃথিবীতে এসেছি, সেভাবে শূন্য হাতেই পৃথিবী ছেড়ে যাব । এটাই পৃথিবীর আবর্তনিক নিয়ম । অনেকে আমরা এটা বুঝতে ব্যর্থ হই ।আপনি কারো ক্ষতি করবেন তো আজ অথবা কাল আপনার ক্ষতি হবেই হবে । ভালো করলেও তার ফল আপনি জীবদ্দশাতেই পাবেন ।অনেকে দেখবেন রাস্তাঘাটে অযথা হোঁচট খায়, অসুখে ভোগে- এসব এমনি এমনি নয়, হয় এর অতীত, নয়তো ভবিষ্যৎ প্রসারী কোন কারণ আছে । যদি আপনি কারো ক্ষতি না করেন, তবে আমি নিশ্চয়তা দিচ্ছি, আপনার কোন ক্ষতি হবে না । কেউ চেষ্টা করলেও আপনার ক্ষতি করতে পারবে না ।শুদ্ধ থাকুন, শুদ্ধতার শুভ্রতাকে উপভোগ করুন । জীবন সুন্দর হবে ।আমি সবার মতের প্রতিই শ্রদ্ধাশীল।আশা করি আপনিও তাই।সৌজন্যবোধ ও মানবতার জয় হোক !
ফোন টোন ছাড়াই তৈয়ব আলী এসে হাজির!
কলিং বেলের আওয়াজে দরজা খুলতেই দেখি চোরের মত মুখ করে কুঁজো হয়ে দাঁড়িয়ে আছেন! আমাকে দোর খুলতে দেখেই তড়িঘড়ি করে ঢুকে পড়লেন!
কিছু বুঝে উঠতে না পেরে জানতে চাইলাম, ব্যাপার কী?
চোখে খুশির আলো ফুটিয়ে উনি বলে উঠলেন, আইজকা আপনারে আমি পার্টি দিমু!
বলতে বলতেই দুইটা বোতল বের করে টেবিলে রাখলেন!
আমি খুব বিরক্ত হলাম, খেতে ইচ্ছে করছে না৷ সরাসরি না বলাও যাচ্ছে না!
তৈয়ব আলী আমার মুখ দেখে সম্ভবত সেটা বুঝতে পারলেন, অতঃপর মিনমিন করে বললেন, আইজকে আমার মন ভালো নাই!
না হেসে পারলাম না৷ বললাম, আইজকে না, আসকে! মুখে পান রেখে বললেই যথার্থ উচ্চারণ হবে৷ শচীন দেব মুখে পান নিয়ে গেয়েছিলেন রঙিলা রঙিলা রঙিলা রে... সেটা ন্যাচারাল, কিন্তু কুমার শানু যখন ও হানসিনি গাওয়ার সময় মুখে পান রাখার ভান করে তখন গায়কীটাই কেমন...
তৈয়ব আলী আমার আঁতেলেকচুয়াল বেতাল ফিলোসোফি থামিয়ে দিয়ে করুণ মুখ করে বলে উঠলেন, ভাইজান, আইজকে আসলেই আমার মন ভালো নাই!
আমি হই হই করে উঠলাম, বললাম, ধুর মিয়া, আমি তো আপনারে আজকে কল দিয়েই আনাতাম, আইজকে ব্যাপক ফিলিং হইতেছে!
আমার সান্ত্বনায় তৈয়ব আলীর ভাবগতির কোন পরিবর্তন হল বলে মনে হচ্ছে না! মন আমার নিজেরও ভালো নেই, এই সময়টায় একা থাকতে চাইছিলাম৷ কী আর করা!
রাগ ভৈরবী চালিয়ে বসলাম তৈয়ব আলীর মুখোমুখি৷ রাগ ভৈরবী তেমন সুবিধে করতে পারছে না, তৈয়ব আলীর কপাল কুচকে আছে৷ বললাম, উচ্চাঙ্গসংগীত নিয়ে একটা মজার ঘটনা বলি শোনেন৷ তখন সারা গ্রামে টিভি ছিল কেবল আমাদের বাড়িতে৷ বোঝেনই তো, শুক্রবার ছাড়াও প্রতি সন্ধ্যায়ই বারান্দায় মানুষ এসে অপেক্ষা করত কখন টিভিটা চালানো হবে! বিটিভি তো রোজ রোজ মজার অনুষ্ঠান দেয় না, যা দেয় মানুষ তাই দেখতে বাধ্য হয়! তো একদিন হল কী, টিভিতে তেমন কিছুই হচ্ছে না৷ কী একটা আলোচনা সভা চলছে, যার টপিক অর্থনৈতিক মিথস্ক্রিয়া! আলোচনা সভায় কে কী বলছে মনে হচ্ছে উপস্থিত আলোচকরাই ঠিকঠাক বুঝতে পারছে না, আমাদের বারান্দায় বসা গ্রামের সরল সাধারণ দর্শক তার কী বুঝবে৷ দুয়েকজন মন খারাপ করে ধীরে ধীরে উঠতে শুরু করলেন৷ কিন্তু আনো ফরাজি নামে একজন উঠলেন না৷ বরং আরো দুইজনকে বসিয়ে রাখলেন আকর্ষণীয় একটা প্রলোভন দেখিয়ে৷ সেটা হল, আলোচনা সভার ফাঁকে এর মধ্যে দুই বার অনুষ্ঠান ঘোষক উঁকি দিয়ে বলে গেছেন রাত দশটার ইংরেজি সংবাদের পর অনুষ্ঠিত হবে উচ্চাঙ্গসংগীতের অনুষ্ঠান!
আনো ফরাজি সবাইকে বোঝালেন, উচ্চাইঙ্গো মানে বোঝ? তোমরা রেডিওতে যেইসব গান শুইন্য মাথা দুলাও, এই উচ্চাইঙ্গো হইল সেগুলানের বাপ!
যেহেতু উচ্চাঙ্গ, বাকিরাও মোটামুটি ভরসা পেল৷ এবং সেই রাত দশটার ইংরেজি সংবাদ দাঁতে দাঁত টিপে হজম করল৷ অতঃপর মাহেন্দ্রক্ষণটা এলো, শুরু হল উচ্চাঙ্গসংগীত, এবং মোটামুটি তিন মিনিট পার হবার পর আমার বারান্দার কী পরিস্থিতি অনুমান করেন!
তৈয়ব আলী হাসতে শুরু করেছেন৷
অতঃপর তৈয়ব আলী মুখ খুললেন, বললেন, আপনি একবার বলছিলেন না, যে চলে যায় তার আর ফিরে আসতে নাই?
-হু৷
: কথাডা ভীষণ সত্যি ভাইজান৷
আমার কান খাড়া হল, বুঝতে দিলাম না৷
তৈয়ব আলী বলতে শুরু করলেন, আপনারে আমার এক্সের কাহিনি বলি?
আমি খানিকটা বিস্ময় নিয়ে বললাম, আপনার এক্স? মানে এই বুড়ো বয়সে!
তৈয়ব আলী বললেন, ক্যান, আপনে জুয়ান কালে প্রেম করতে পারছেন, আমি পারমু না ক্যান?
-প্রেম করা নিয়ে অবাক হচ্ছি না, অবাক হচ্ছি ত্রিশ পঁয়ত্রিশ বছর পরে ফেইসবুক মেসেঞ্জারের যুগ আসার পর নতুন করে পুরনো প্রেমিক প্রেমিকাকে আবিষ্কার করার বিষয়টা ভাবতেই কেমন অন্যরকম একটা অনুভূতি দিচ্ছে!
: হ, এত বছর পর সেই জুয়ান কালের অনুভূতি আইলে প্রথমেই যেইটা হয়, বর্তমান কাল মাথা থেইকা ভ্যানিশ হইয়া যায়! আমি যে বিবাহিত, বৌ সন্তান আছে কিচ্ছু মনে থাকে না, শুধু মনে আসে সেই কলেজ জীবনডা৷ আমার যে চুল দাড়ি পাকছে, হাঁটুতে বাতের ব্যথা জমছে, ওজন বাড়ছে এইসব কিছুই মনে থাকে না, নিজেরে আবার সেই জুয়ান মনে হয়! এই ফিলিংডা সুন্দর ভাইজান!
মনে মনে জিভ কাটলাম, এই বয়সে আবার না তৈয়ব আলী ঘর ভাঙতে নামেন! উস্কানি হয়ে যাচ্ছে অবচেতনেই৷ এখনই হাল ফেরানো উচিত৷
তৈয়ব আলী বলতে লাগলেন, এক জীবনে কি মানুষ শুধু একজনরেই ভালোবাসে? জীবনে তো অনেক মানুষ আসে, ভিন্ন ভিন্ন মানুষ, ভিন্ন ভিন্ন অনুভব, ভালোবাসার রং, আমেজ এসবও ভিন্ন ভিন্ন!
তৈয়ব আলী ইদানিং ফিলোসফিতে আমাকে টপকে যাচ্ছেন, মাঝে মাঝে ঈর্ষা হয়!
তৈয়ব আলী বলে যাচ্ছেন, ভাইজান, আপনার যাদের সাথে প্রেম ছিল পরিচয় ছিল, তাগোর সবাইরেই আপনার মনে আছে?
- হ্যাঁ, আছে৷
: তাগো কথা মনে পড়লে আপনার কষ্ট লাগে, না রাগ লাগে?
- খুব ভালো একটা প্রসঙ্গ তুলেছেন ভাই৷ এই উত্তরটা আমি বোতলটা শেষ হবার পর দিতে চাই!
তৈয়ব আলী প্রশ্নবিদ্ধ চোখে আমার দিকে কিছুক্ষণ তাকিয়ে রইলেন, মনে হল উনি তাল পাচ্ছেন না৷ আমি এই উত্তরটা দিলেই বোধকরি উনার আলাপ জমত৷ আমি উৎসাহ দিতে বললাম, তো? পুরনো প্রেমিকা হানা দিয়ে মনকে দুঃখী করে দিয়েছে?
: প্রেমিকা না, প্রেমিকারা!
-বলেন কী! কয়জন?
: তিনজন৷
- সবাই একসাথে?
: প্রায় একসাথেই, আগে পরে৷
- আচ্ছা!
: হ, ফেইসবুক খোলার পর সর্বপ্রথম আমার যে এক্স আমারে নক দেয়, তার কথা বলি৷ তার আগে একটা জিনিস বলি, আপনারে একটু আগে যে জিগাইলাম, এক্সের কথা মনে পড়লে রাগ লাগে না কষ্ট লাগে, এটার কারণ আছে৷ বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই মানুষ প্রেম ভাঙলে কষ্ট পায় যে কয়টা কারণে তার মধ্যে অন্যতম কারণ হল স্বপ্ন ভাঙা! যাকে নিয়ে আপনার যত বেশি স্বপ্ন দেখা হবে তাকে ভুলতে বা সে যে আর আপনার সাথে নাই এইটা মানতে আপনার ততবেশি কষ্ট হবে৷
- একদম ঠিক বলেছেন৷ আমি তাল দিলাম৷
: আবার যে আপনার সাথে ওয়াদা করে কাঁচকলা দেখাইয়া পল্টি নেবে তার বেলায় আপনার কাজ করবে ক্ষোভ, প্রতিশোধের আগুন৷
- হু৷
: সময়ের সাথে সাথে আমরা সবাইরেই ভুলে যাই কমবেশি৷ কিন্তু, কিছু ঘা থাকে, যা কখনও শুকায় না৷ যাউক গা, ঘটনা বলি৷ যে আমারে প্রথম নক দেয় তারে নিয়া আমার যথেষ্ট আফসোস ছিল৷ তার সাথে বিয়াডা হইলে জীবন হয়ত অন্য রকম হইতো৷ তো, সে নক দিয়া আমার খোঁজ খবর নিতে শুরু করল৷ আমার পুরানা প্রেম জাইগা উঠল৷ আমি আমার সেই আফসোসগুলা বলা শুরু করলাম৷ তারে না পাইয়া আমার জীবনের কী অবস্থা, কতটা কষ্টে আছি, আপনার ভাবীর কাছ থেকে যে সমস্ত আঘাত, না পাওয়া, আমাদের মইধ্যে অমিল নিয়া সংসারের যেসব হতাশা- সেগুলা বলতে শুরু করলাম! সে দুই দিন তিন দিন পর পর নক দিত, আমার ঘরে এরপর আর কী কী সমস্যা সেসব জানতে চাইত৷ আমিও আফসোসের সুরে আমার কষ্টগুলো বলতে থাকতাম৷ সে শুনত, কিছু না বলে অফলাইন হয়ে যেত৷ এরকম অনেক দিন, অনেক বার! আমি এত কষ্টের কথা বলতাম, সে ভালো মন্দ কিছুই বলত না৷ শুধু আমি কতটা কষ্টে আছি সেটাই খুঁচিয়ে খুঁচিয়ে শুনতে চাইত৷ এরপর আমি বুঝলাম, সে আসলে আমার এসব শুনে একধরনের শান্তি পাইতেছে! আমার জন্য তার কোন সিম্প্যাথি কাজ করে না, বরং সে যে আমার স্ত্রীর উপর জিতে গেছে সেই আনন্দটাই নিতেছে! তখন বুঝলাম, অযথাই এর কাছে নিজেরে, আপনার ভাবীরে ছোট করতেছি৷ এরপর তার জন্য আমার মনে ভেতরে যে না পাওয়ার আফসোসটা ছিল, সেটা আর কাজ করছে না৷ উল্টা রাগ হইলো এইটা বুইঝাই যে, আমার জন্য তার কোন ফিলিং তো নাইই, বরং সে আমার দুরবস্থা দেখে মজা নেয়!
- এই তো, সঠিক পথে আসছেন৷
: হ৷ পরেরটা বলি৷ মাঝখানে আপনার ভাবী যখন চলে গেল, আমি পুরাপুরি একা দিন কাটাই৷ এই সময় দ্বিতীয় জন নক দিল৷ জানাইলাম যে, একা আছি৷ সে জানাইলো, সেও একা৷ আপনার ভাবি নাই, সেই সুবাদে তার সাথে ফোনে কথা হইত৷ আমি ডিটারমাইন্ড যে আপনার ভাবির সাথে আর সংসার করব না৷ ডিভোর্সের প্রিপারেশন নিচ্ছি, আমার পুরানা ভালোবাসার মানুষ, সেও একা৷ যদি সে ফিরে আসে, আমি তারেই বিয়ে করব এমন মানসিক প্রস্তুতিও নিতেছি মনে মনে৷ কিন্তু তখন খেয়াল করলাম, সে শুধু তার কষ্টের কথাই বলতে চায়, আমার কোন কষ্টের কথা সে শুনতে চায় না৷ তার কষ্ট শুনে আমি মনে মনে তৈরি হইতেছি যে, আমার এই সংসার যেহেতু টিকবেই না, আমি তাহলে এরপর ওকেই আমার কাছে নিয়া আসব বাকি জীবন আর কষ্ট পাইতে দিব না! কিন্তু ওই যে খেয়াল করলাম, সে তার নিঃসঙ্গতায় আমাকে শুধু ইউজ করতেছে টাইমপাস হিসেবে, আমার কোন কিছুর পরোয়া করছে না! সে আগেও, মানে ভালোবাসা থাকার সময়েও এমনই আত্মকেন্দ্রিক ছিল৷ কখনও আমারটা বুঝে নাই! আমি খেয়াল করলাম, আমার কোন কষ্টে সে নাই, অথচ তার সব কষ্টে আমি তারে আগলানোর চেষ্টা করতেছি! এটা বুঝে আমি একটু দম নিলাম৷ তার কয়েকদিন পরই তার আইডিতে আপডেট দেখলাম, সে আবার বিয়া করছে! ভাই, এই বাঁসি ছ্যাকার রিনিউডা আমারে সবচাইতে বেশি কষ্ট দিছে!
আমি বলে উঠলাম, যদি আমি ভুল অনুমান না করে থাকি, এই ঘটনার পরই তো আপনি ভাবীকে ফিরিয়ে এনেছিলেন, তাই না?
: হ৷
- তাহলে দেখেন, এই যে উনি আপনাকে শুধু নিজের প্রয়োজনেই ইউজ করে গেলেন, এতে আপনি কষ্ট পেলেও আপনার লাভ হল এই যে, আপনার সংসারটা আবার জোড়া লাগল!
: তা ঠিক!
- আবার ওই যে প্রথম জনের কথা বললেন, সে এসেও কিন্তু আপনার একটা উপকার করে দিয়ে গেছে!
: কী রকম?
- ওই যে, আপনার মনে যে আফসোসটা ছিল, যা বুকে নিয়ে আজীবন পুড়তেন, তা কিন্তু মিটিয়ে দিয়ে গেছে!
: বাহ৷ দারুন কইলেন তো!
- হু৷ আপনি আমাকে একটু আগে জিজ্ঞেস করলেন না যে, এক্সদের কখা মনে পড়লে আমার রাগ হয় কি না! রাগ ক্ষোভ এসব হয় না৷ আমাদের প্রাক্তনেরা আমাদের জীবনকে পূর্ণতার পথে এগিয়ে দিয়ে যায়, আমাদের জীবন সম্পর্কে অনেক কিছু শিখিয়ে দিয়ে যায়!
: কী কন! কত মানুষ ছ্যাঁকা খাইয়া ব্যাঁকা হইয়া আর জীবনে উইঠা দাঁড়াইতে পারে না৷
- সেগুলো অলস অকর্মাদের যুক্তি৷ নিজের কিছু করার তাগিদ থাকলে ছ্যাঁকা খেয়ে রাস্তায় পড়ে থাকার কথা না৷ ওটা একদম ভিন্ন ইস্যু৷ আমি যেটা বলছিলাম, সেটা শেষ করি৷ দেখুন, নারী নারীত্ব পায় তার শারীরিক পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে৷ কিন্তু আমরা কচি কিশোর থেকে আত্মবিশ্বাসী পুরুষ হয়ে উঠি ওই নারীর সংস্পর্শে এসে৷ কোন এক ভদ্র পরিবারের ভদ্র মেয়েই আমাদের শেখায় প্রথম চোখে চোখ রাখার শিহরণ, প্রথম স্পর্শ, প্রথম চুম্বন! আমরা এই ভালোবাসাতেই পূর্ণ পুরুষ হয়ে উঠতে শুরু করি৷ এছাড়া ধরুন, আমাদের গত আসরের টপিক যেটা ছিল, রোজ রোজ মানুষ পাল্টে আমাদের এক্সপেরিমেন্ট করার সুযোগ নেই যে, এর সাথে না হয়ে ওর সাথে সংসারটা হলে কেমন হত! অথচ আমাদের প্রেমগুলো আমাদের সেটাই শিখিয়ে দেয় যে, আন্ডারস্ট্যান্ডিং কোথায় কেমন হয়, কোন কোন কারণে কখন কীভাবে রিলেশন ফল করে৷ আমরা কোথায় কোন ভুলে জীবন থেকে মানুষকে হারাই! আমাদের জীবন সম্পর্কে এই অভিজ্ঞতাগুলো দিয়ে আমাদের পূর্ণতা দিয়ে যায় আমাদের প্রাক্তনেরা৷ তারা যদি আমাদের সাথে প্রতারণাও করে যায় তবুও আমাদের তাদের প্রতি কৃতজ্ঞ হওয়া উচিত যে, তারা আমাদের বোধ জাগিয়ে দিয়ে গেছে, সঠিক মানুষ আর ভুল মানুষের তফাত চিনতে শিখিয়ে দিয়ে গেছে৷ দাগা দিয়ে, ঠকিয়ে তো একজন ডাকাত বা একজন ছিনতাইকারীও আমাদের শিখিয়ে যেতে পারে অনেক কিছু, কিন্তু সেটা এই বুকের মধ্যে বসতি তৈরি করে রোজ রোজ আবেগের উপাদান দিয়ে আমাদের আত্মবিশ্বাসী করে তোলার মধ্য দিয়ে নয়৷ ওই মানুষগুলো আমাদের হৃদয়ে আসন করে ছিল, তাদের আমরা অশ্রদ্ধা কেন করব৷ আমার বড়জোর তার কথা ভেবে মায়া হয় এজন্য যে, আমাকে ছেড়ে গিয়ে সে কতদিক থেকেই না বঞ্চিত হয়েছে! কখনও এটা ভেবে কষ্ট পাই যে, আমার ভালোবাসার মানুষটা না জানি তার সংসারে কেমন ট্রিট পাচ্ছে, না জানি কখন কোন মনোমালিন্যে তার চোখে জল আসছে৷ পরেই আবার সামলে নিই এই ভেবে যে, ইটস হার চয়েস, শী চৌজ দ্যাট লাইফ হারসেল্ফ, সো শী হ্যাজ টু গৌ থ্রু ইট৷ দ্য ভেরি বেস্ট আই ক্যান ডু ফর হার ইজ, আই ক্যান প্রে অল দ্য ভেরি বেস্ট উইশেস ফর হার, এভরিডে৷
: ভাইজান, আপনের ইংরেজি শুরু হইয়া গেছে, তার মানে আইজকে আপনারে ধরছে৷ নেন, এখন ঘুমায়া পড়েন৷ গুডনাইট৷
আমার মনে হচ্ছে আমি একটা তরঙ্গের ওপর ভাসছি৷ হাত পায়ের শিরাগুলো ভেতরে ঝিমঝিম করছে৷ ঘুমিয়ে পড়লেই বোধহয় বেটার হবে৷ চোখ ডুবে যাচ্ছে অন্ধকারের গভীরে.… ঘুমের সাগরে ডুবতে ডুবতে ক্ষীণ একটা চিন্তা এল... তৈয়ব আলী তো দুই প্রাক্তনের কাহিনি বলেছে, তৃতীয়জন তাহলে কই!!
২| ২৬ শে জুন, ২০২২ দুপুর ১২:৩৪
সৈয়দ মশিউর রহমান বলেছেন: লিখতে থাকুন।
৩| ২৬ শে জুন, ২০২২ দুপুর ১:২৬
রাজীব নুর বলেছেন: ভালোই লিখেছেন।
৪| ২৭ শে জুন, ২০২২ দুপুর ১২:০৮
গেঁয়ো ভূত বলেছেন:
"ইটস হার চয়েস, শী চৌজ দ্যাট লাইফ হারসেল্ফ, সো শী হ্যাজ টু গৌ থ্রু ইট৷ দ্য ভেরি বেস্ট আই ক্যান ডু ফর হার ইজ, আই ক্যান প্রে অল দ্য ভেরি বেস্ট উইশেস ফর হার, এভরিডে৷"
©somewhere in net ltd.
১| ২৬ শে জুন, ২০২২ সকাল ১০:৪২
রানার ব্লগ বলেছেন: আসলেই আজকে আমার মন ভালো নেই !!