নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
পৃথিবীর সবচেয়ে বড় দর্শন হল হিসাব বিজ্ঞানের ডেবিট এবং ক্রেডিট । সবসময় যতখানি ডেবিট, ঠিক ততখানিই ক্রেডিট হয় । পরকালের হিসেব যা-ই হোক, এই ইহকালে আমরা ঠিক যেভাবে শূন্য হাতে পৃথিবীতে এসেছি, সেভাবে শূন্য হাতেই পৃথিবী ছেড়ে যাব । এটাই পৃথিবীর আবর্তনিক নিয়ম । অনেকে আমরা এটা বুঝতে ব্যর্থ হই ।আপনি কারো ক্ষতি করবেন তো আজ অথবা কাল আপনার ক্ষতি হবেই হবে । ভালো করলেও তার ফল আপনি জীবদ্দশাতেই পাবেন ।অনেকে দেখবেন রাস্তাঘাটে অযথা হোঁচট খায়, অসুখে ভোগে- এসব এমনি এমনি নয়, হয় এর অতীত, নয়তো ভবিষ্যৎ প্রসারী কোন কারণ আছে । যদি আপনি কারো ক্ষতি না করেন, তবে আমি নিশ্চয়তা দিচ্ছি, আপনার কোন ক্ষতি হবে না । কেউ চেষ্টা করলেও আপনার ক্ষতি করতে পারবে না ।শুদ্ধ থাকুন, শুদ্ধতার শুভ্রতাকে উপভোগ করুন । জীবন সুন্দর হবে ।আমি সবার মতের প্রতিই শ্রদ্ধাশীল।আশা করি আপনিও তাই।সৌজন্যবোধ ও মানবতার জয় হোক !
আপনি একটি মুদি দোকানে গেলে অকারণে জিনিসপাতি ঘেটে না কিনে চলে এসেছেন কখনও? না আসতে পেরেছেন?? না কখনও এমনটা চিন্তা করার সাহসও করেছেন???
ধরা যাক, আপনি একটা মুদি দোকানে গিয়ে দুইটা পণ্য চেয়ে হাতে নিলেন, দাম জানতে চাইলেন, কম কত রাখা যাবে সেটাও জানতে চাইলেন, পণ্যের মেয়াদ ইত্যাদিও খুঁটিয়ে দেখার চেষ্টা করলেন, তারপর না নিয়ে চলে আসতে চাইলেন, তখন কী হবে?
ওই দোকানদার আপনার কলার ধরে বেঁধে রাখবে, নিশ্চিত না?? সাথে গালি ফ্রি!!
এবং এটুকু হুঁশ আপনারও আছে বলেই আপনি অকারণে কখনই ওখানে ঘাটতে যাবেন না, যখন আপনার কেনার ইচ্ছেই নেই বা কেনার সামর্থ্য নেই।
কিন্তু আপনি একটি সুপারশপে গিয়ে ঘাটাঘাটি করার বেলায় এই জিনিসটা চিন্তা করেন কখনও??? অনেকে তো এমনও আছে, পকেটে বাসায় যাবার গাড়িভাড়া নেই অথচ সে গাড়ির শোরুমে গিয়ে গাড়ির দরদাম করছে দিব্যি!
আপনার পায়ের ছেঁড়া জুতো দেখেও কিন্তু ওখানকার সেলসম্যানটা আপনাকে প্রথমে সুন্দর করে একটা সালাম দেয়, স্যার বলে সম্বোধন করে, আপনি কিনবেন না জেনেও আপনাকে যত্ন নিয়ে গাড়িটা দেখায়, আপনার হাজারটা বোকাটে প্রশ্নেরও এমন করে উত্তর দেয় যাতে আপনি বলদ হিসেবে লজ্জা না পান।
আপনি সেখানে সেলসম্যানকে অবজ্ঞা করে কথা বলেন, তুই তুকারিও করে বসেন, এবং সেলসম্যানটা তাও হাসিমুখে বলতে থাকে, আই এ্যাম সো স্যরি স্যার।
জাস্ট সী দ্য ডিফারেন্স!
আপনাকে কোন সেলসম্যানই এরপরেও মানা করবে না যে আপনি না কিনলে আসবেন না, বরং আপনি এলেই তারা খুশি হয়, আপনি না কেনেন, কোন সমস্যা নেই।
এতগুলো কথা বলার কারণ হল, আমি একটা জায়গায় সেলসম্যানদের খুব অবহেলিত হতে দেখি, সেটা হল, আপনি যখন কোন একটা কোম্পানির ব্র্যান্ডশপে প্রবেশ করেন, আপনাকে সুন্দর করে সালাম দেওয়া হয়, আপনি পণ্য কেনেন বা না কেনেন, সালামের উত্তরটা তো দিতে পারেন, আচ্ছা, উত্তরও দিতে না চান, একটু হেসে মাথা তো দোলাতে পারেন, আপনাকেই সম্মানিত করা হচ্ছে, সালামের জবাবে জমিদারের মত মাথা দোলালে আপনারই সম্মান বাড়ে। আপনি এটুকু সাড়া অন্তত দেবেন, প্লিজ। অনেক জায়গাতেই দেখেছি, একজন ভিজিটর ঢোকার পরে সালাম বা সম্বোধনটাকে এমনভাবে ইগনোর করে যেন খুব নোংরা কেউ তাকে ছুঁতে আসছে, সে ফিরেও তাকায় না ওদিকে!
কী অদ্ভুত না!
আমি ছাত্রজীবনে কখনও কোন শোরুমেই পণ্য দেখতে যাইনি, কারণ, আমি জানি আমার টাকা নেই, যদি দোকানদার কখনও বলে বসে, না কিনলে আসছেন কেন, আমি খুব লজ্জা পাব- এটা একটা সিম্পল বোধ। এখন চাকরি করি, টাকা আছে, কেনার সামর্থ্য আছে, এখন শোরুমে যাই, কিনি, এবং না কেনার মন থাকলে ভেতরে ঢোকামাত্রই কেউ এগিয়ে এলে আগেই হেসে বলে দেই, ভাই, কষ্ট করতে হবে না, আমি এখন কিনব না, আপনি রিল্যাক্স থাকেন, আমি নিজের মত করে দেখে নিচ্ছি।
আমি যেহেতু কিনব না, লোকটাকে আমি কেন অযথা খাটাব? সে আরেকটা কাস্টমার ডীল করবে সেখানে আমি অযথা কেন ডিস্টার্ব করব??
এটারে অন্তত ভোক্তা অধিকার বলে না। মুদি দোকানদার অবজ্ঞা করে ফিরিয়ে দিলে সেখানে আমাদের ভোক্তা অধিকার চেতনা কাজ করে না, কারণ, সে সেলসম্যান না, সে ব্যবসায়ী, ভোক্তা অধিকার কেবল নিরীহ সেলসম্যানের কাছে এলেই চেতে ওঠে!!
২| ২৪ শে নভেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১২:১২
রাজীব নুর বলেছেন: আমি নিজে মোবাইল কিনতে গিয়েছি দশ হাজার টাকার মধ্যে কিন্তু সেলস আমাকে বুঝি সুঝিয়ে ত্রিশ হাজার টাকার দামের মোবাইল দিয়ে দিয়েছে।
ছেলেটা দারুন স্মার্ট, কথায় পটু। আমি নিয়ে নিলাম ত্রিশ হাজার টাকা দিয়ে মোবাইল।
২৪ শে নভেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১২:১৪
জীয়ন আমাঞ্জা বলেছেন: হাহাহা
৩| ২৪ শে নভেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৪:১১
ফারিহা হোসেন প্রভা বলেছেন: ভালো বিষয় নিয়ে পোষ্ট করেছেন, ধন্যবাদ।
২৪ শে নভেম্বর, ২০১৮ রাত ৯:২৫
জীয়ন আমাঞ্জা বলেছেন: স্বাগতম।
©somewhere in net ltd.
১| ২৪ শে নভেম্বর, ২০১৮ সকাল ১১:৫৩
আর্কিওপটেরিক্স বলেছেন: পড়লাম