নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি একটি পথ, আপনি চাইলে হেঁটে দেখতে পারেন....

জীয়ন আমাঞ্জা

পৃথিবীর সবচেয়ে বড় দর্শন হল হিসাব বিজ্ঞানের ডেবিট এবং ক্রেডিট । সবসময় যতখানি ডেবিট, ঠিক ততখানিই ক্রেডিট হয় । পরকালের হিসেব যা-ই হোক, এই ইহকালে আমরা ঠিক যেভাবে শূন্য হাতে পৃথিবীতে এসেছি, সেভাবে শূন্য হাতেই পৃথিবী ছেড়ে যাব । এটাই পৃথিবীর আবর্তনিক নিয়ম । অনেকে আমরা এটা বুঝতে ব্যর্থ হই ।আপনি কারো ক্ষতি করবেন তো আজ অথবা কাল আপনার ক্ষতি হবেই হবে । ভালো করলেও তার ফল আপনি জীবদ্দশাতেই পাবেন ।অনেকে দেখবেন রাস্তাঘাটে অযথা হোঁচট খায়, অসুখে ভোগে- এসব এমনি এমনি নয়, হয় এর অতীত, নয়তো ভবিষ্যৎ প্রসারী কোন কারণ আছে । যদি আপনি কারো ক্ষতি না করেন, তবে আমি নিশ্চয়তা দিচ্ছি, আপনার কোন ক্ষতি হবে না । কেউ চেষ্টা করলেও আপনার ক্ষতি করতে পারবে না ।শুদ্ধ থাকুন, শুদ্ধতার শুভ্রতাকে উপভোগ করুন । জীবন সুন্দর হবে ।আমি সবার মতের প্রতিই শ্রদ্ধাশীল।আশা করি আপনিও তাই।সৌজন্যবোধ ও মানবতার জয় হোক !

জীয়ন আমাঞ্জা › বিস্তারিত পোস্টঃ

ধর্ষণ, যৌনতাবোধ এবং ভ্রান্ত পুরুষালি ধারণা

১৭ ই মার্চ, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৫৩



আলোচনা শুরু করব একটি প্রশ্ন দিয়ে, ধর্ষণ কতটুকু যৌনতৃপ্তির নিয়ামক?

১.
যাঁরা বিবাহিত আছেন, তাঁরা স্বীকার করবেন নিশ্চিত, জবরদস্তি করে সঙ্গমে কোন তৃপ্তি নেই। এতে কেবল বিরক্তি তৈরি হয় এবং দাম্পত্য কলহই সৃষ্টি হয়। এই জবরদস্তিতে উভয় পক্ষেরই অত্যাচার হয়, আগ্রহী অনাগ্রহী উভয় পক্ষেরই। তাহলে এটুকু বলাই যথেষ্ট যে, জোর করে সঙ্গমে কোন যৌন তৃপ্তি ঘটে না।

২.
বিয়ে হবার পর একটানা তিনদিন চেষ্টা করার পর এক দম্পতি সফলভাবে সঙ্গম করতে পেরেছিলেন, এমনটা আমার জানা আছে। দুই পক্ষই আগ্রহী, পরিবেশও অনুকূল, অথচ তারপরও সঙ্গম সম্ভব হচ্ছে না! তাঁদের ব্যক্তিগত বিষয় এরচেয়ে আর স্পষ্ট করে বলতে চাইছি না। অভিশাপ আপনার মানসিকতাকে যদি এই ভেবে মুচকি হাসেন যে, তিনদিন লাগে যার, সে নিশ্চিত আধা হিজড়া!
অভিশাপ এমন চিন্তা করা মানুষদের!

তাঁদের পরস্পরকে বুঝতে সময় লাগছিল, পরস্পরের প্রস্তুত হয়ে উঠতে সময় লাগছিল এটাই মূল কারণ। সঙ্গমে এই পরস্পরকে বোঝার ব্যাপারটা জরুরি, নইলে সেটা সুখকর হয় না।

৩.
পতিতাপল্লীতে অনেকে গিয়েও এই অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হয়েছে যে, সব আয়োজন পাবার পরও শিশ্ন উত্তেজিত হচ্ছে না! এই মানুষগুলোকে অক্ষম পুরুষ বলবেন আপনি?

মোটেই না! এই পুরুষটা জানোয়ার নয়, সে শরীর আর মনস্তত্বের সম্বন্ধটা বোঝে। তাকে দিয়ে প্রেম হবে, সঙ্গম হবে, ধর্ষণ হবে না। আমি এমন পুরুষকেই প্রকৃত পুরুষ বলব। যে পুরুষ পতিতা পল্লীতে গিয়ে নগ্ন শরীর পাওয়া মাত্রই নিমিষে ঝাঁপিয়ে পড়তে পারে উত্তেজিত শিশ্ন নিয়ে, তাকে এই সমাজের ভয় পাবার কারণ আছে। এই মানুষটার মাঝেই ধর্ষক হবার মানসিকতা আছে!
যার যখন তখন শিশ্ন উত্তেজিত হয়ে যায়, সে সত্যিই সমাজের জন্য আতঙ্ক!

যখন কলেজে পড়তাম, তখন এক সহপাঠী একবার ইন্ধন দিয়েছিল পতিতা পল্লীতে যাবার! আমি অবাক হয়ে বললাম, আলমগীর, আমি যাকে চিনি না, জানি না, যার প্রতি আমার কোন ভালো লাগা নেই আমি গিয়ে মাত্রই গরুর মত তার গায়ের উপর উঠে যাব কিভাবে? আগে আমার আবেগ তো জাগতে হবে!
ও বিরক্ত হয়ে বলেছিল, তুই ভাবতেই থাক, আমি বরং ওখান থেকে ঘুরে আসি। তোর এখনও এই আবেগ জাগার ক্ষমতা হয় নাই!

আমি অবশ্য মনে মনে আরও দুইটি জিনিস ভাবছিলাম, একমাস পরিশ্রম করে টিউশনি থেকে পাচ্ছিলাম পাঁচশো টাকা, সেই টাকার অর্ধেক দিয়ে দেব কেবল আধা ঘণ্টার সুখের জন্যে!! এত বিলাসিতার সাহস আমার হয়নি; আর ভাবছিলাম, ওখানে গেলে যদি রোগ বেঁধে যায় কোনো! কনডমই তো কেবল সুরক্ষা নয়, যৌনব্যাধি তো লালার মাধ্যমেও ছড়াতে পারে! "বেঁচে গেছি"- নিজেকে এই সান্ত্বনা দিয়ে তৃপ্তির হাসি হাসলাম।

৪.
আমি নীতি নৈতিকতা সততার ঢোল পেটাচ্ছি না, আমি এটাই বুঝি যে, যৌনতা এভাবে হয় না। একটা মেয়েকে কাছে পেলেই বা ধরে এনেই অমনি শিশ্ন ঢুকিয়ে দেওয়া কিভাবে সম্ভব সেটাই আমি ভেবে পাই না। সুখময়, উপভোগ্য যৌনসঙ্গমের জন্য মানসিক একাত্মতা লাগে, নিরবিচ্ছিন্ন পরিবেশ লাগে। তাড়াহুড়ো করে এটার স্বাদ কখনও পাওয়া যায় না, অতৃপ্তি নিয়ে ফিরতে হয় তখন। তাহলে একজন ধর্ষক এটা কিভাবে পারে সেটাই মারাত্মক আশ্চর্যের বিষয় ঠেকে আমার কাছে! আমার যা মনে হয়, ওখানে সঙ্গম হবার চেয়ে ধস্তাধস্তি আর খামচি কিল থাপ্পড় ইত্যাদি শারীরিক অত্যাচারই বেশি হয়! তাহলে এই জিনিসে কাজ কী? কোথায় যৌনসুখ?? কেন এটা করবে মানুষ? ঝোঁকের বশে, জেদের বশে কী একটা মারাত্মক ভুল মানুষ করে ফেলছে!!


এবারে আসি ধর্ষণের ধরন প্রসঙ্গে। ধর্ষণের যে খবরগুলো আমরা দেখতে পাই, তাতে দুইটা বিষয় বা ধরন দেখা যায়- আকস্মিক ধর্ষণ এবং পরিকল্পিত ধর্ষণ। এই বিষয় পার্থক্যটাকে অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়ে দেখার আছে।

১.
আকস্মিক ধর্ষণ বলতে আত্মীয় বা প্রতিবেশী কর্তৃক ঘরে একা পেয়ে ধর্ষণ, পথচারী কর্তৃক সুবিধামত পরিবেশে একা পেয়ে ধর্ষণ ইত্যাদিকে বোঝাচ্ছি। এখানে যে বিষয়টা লক্ষণীয়, তা হল পরিবেশ! একটি খালি ঘরে একটি মেয়ে আপনার সামনে, চারিদিক সুনসান! এমন অবস্থায় আপনি ঈশ্বরকে স্মরণ করে দুই রাকাত নফল নামাজ বা উপাসনায় বসে যাবেন কিনা আমার জানা নেই, তবে আপনার মত নিছক ভদ্র মানুষটি যে হঠাত ওই মেয়েটিকে কাছে টানতে আগ্রহী হয়ে উঠতেই পারেন এটা আমি জানি।

প্রতিরোধের চেয়ে প্রতিষেধন বেহতর। তাই মেয়েদের এবং তাদের পরিবারের সদস্যদের এই পরিবেশ সম্পর্কে সচেতন থাকা সবার আগে জরুরি! আমি আমার মেয়েকে ঘরে একা রেখে যাবার সাহস করি না, এতে কেউ আমাকে সংকীর্ণ রক্ষণশীল পুরুষতান্ত্রিক ভাবতে এলে সোজা জুতোপেটা করব। যে স্বাধীনতা আমাকে অরক্ষিত করবে, অনিশ্চিত বিপদে ফেলবে সে স্বাধীনতায় আমি থুথু নিক্ষেপ করি।

আমি স্বাধীনতায় বিশ্বাসী, আমি মুক্ত চেতনায় বিশ্বাসী, আমি সভ্য রুচিতে বিশ্বাসী কিংবা ধরা যাক আমি একদম সুফি বান্দা, তাই বলে আমার পাশের জন যে রুচিবান, মুক্তমনা, সভ্য, সুফি মহামানব হবে এই ভেবে তো নিশ্চিন্তে ঘুমানো যায় না, তাই না? আমার সতর্কতা আমাকে আগে নিশ্চিত করতে হবে।

যাইহোক, এরপরও দুর্ঘটনা ঘটে, বিশ্বাসের অপব্যবহার হয়, পরিস্থিতি প্রতিকূলে যায়, সেটা পরের কথা। আমরা প্রথমে নিজেরা সতর্ক হই।

আগের ফ্যান্টাসিটাই আবার তুলে ধরি, একা ঘরে একটি মেয়েকে পেলে আপনি কী করবেন আসলে?
সাধুর ভনিতায় কাজ নেই, আমার নিজেরও হয়ত তাকে কাছে টানার ইচ্ছে জাগতে পারে, সেক্ষেত্রে আমি তাকে ইম্প্রেস করতে চেষ্টা করতে পারি, প্রেমের প্রস্তাব দিতে পারি, বা বিয়ের প্রতিশ্রুতিও দিতে পারি তারপরে এগুতে পারি হয়ত, কিন্তু জোর করে ধর্ষণ করার বা লুটে নেওয়ার ইচ্ছে আমার অন্তত হবে না, আপনার হবে কি?

মানুষ মাত্রই নিজের সম্পর্কে উচ্চ ধারণা পোষণ করে, নিজের কল্পনাজগতে নিজেকেই সবক্ষেত্রে নায়করূপে দেখে! এটা ভালো, এটা উচিত। যে নিজেকে নায়ক হিসেবে দেখে, সে খলনায়কের কাজ কিভাবে করবে সুযোগ পেলেই? যে নিজের সম্পর্কে উচ্চ ধারণা পোষণ করে, সে গর্হিত কাজের দিকে পা বাড়াবার আগে বিবেকের মুখোমুখি হোক এটাই প্রত্যাশা করি। নিজেকে লজ্জিত কেন করব আমরা? চুরি করার সুযোগ পেলেই কি চুরি করব, যদি আত্মসম্মানবোধ থাকে আমাদের? তেমনি পরিবেশ পেলেই নিশ্চয়ই ধর্ষণ করব না, তাই না?
হ্যাঁ, এরকম খালি কামরায় একটি মেয়েকে একা পেলে যদি রিরংসা জাগেই তবে নায়কের মত সুন্দর উপায়ে এগোন, কেবল নাহয় প্রেমহীন প্রতিশ্রুতিহীন যৌনতাই হোক, তবু সমঝোতায় হোক, জবরদস্তিতে নয়।

আর এই ক্ষেত্রে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ যে কথাটি আমার বলার আছে, তা হল- যৌন উত্তেজনাই যদি হয়, সেটা মাত্র পাঁচ মিনিটের ব্যাপার, হস্তমৈথুনেই উত্তেজনা লাঘব করা যায়। এই পাঁচ মিনিটের সাময়িক উত্তেজনার জন্য আপনি কিভাবে ধর্ষণের মত এত মারাত্মক একটা দুঃসাহস করেন? মাত্র পাঁচ মিনিটের উত্তেজনার জন্য নিছক ঝোঁকের বশে বা খেয়ালিপনায় কেইসকাণ্ড, থানা পুলিশ, জেল হাজত কেলেঙ্কারি এত এত ঝুঁকি আপনি নিতে যাবেন কোন নির্বুদ্ধিতায়??

২.
এরপরে পরিকল্পিত ধর্ষণের বিষয়ে আলোকপাত করা যাক।
ধর্ষণে যৌনতা তো থাকেই না, থাকে কেবল লালসা! ছিঁড়ে নিচ্ছি, খুবলে নিচ্ছি টাইপের একটি পাশবিক মানসিকতা কাজ করে শুধু! এই মানুষগুলো যৌনতায় খুব সক্ষম বলে আমার মনে হয় না, এরা শারীরিক সুখও বোঝে না, কেবল চোখের লালসা আর বিকৃত মস্তিষ্কের কুৎসিত চিন্তাই বোঝে। এই মানুষগুলো ওৎ পেতে থাকে, দীর্ঘদিন ধরে টার্গেট করে তবেই হানা দেয়, সুতরাং এদের প্রতি আমাদের সতর্ক চোখ রাখা সম্ভব, কেবল চোখ কান খোলা রাখতে হবে, সন্তানের অভিযোগকে গুরুত্ব দিয়ে শুনতে হবে, সন্তানের সঙ্গে ওইটুকু দূরত্ব রাখা যাবে না যে, তারা কোন একটা সমস্যা জানাতে সঙ্কোচ করবে।

কার চোখের দৃষ্টি কেমন সেটা বোঝা অত জটিল নয় আমার মনে হয়। এখন এই চোখের দৃষ্টি নিকট আত্মীয়ের হতে পারে, বন্ধুর হতে পারে, শিক্ষকের হতে পারে, এমন কি গলির মোড়ে দাঁড়ানো ছেলেটিরও হতে পারে! এদের ব্যাপারে আমাদের সতর্ক থাকতে হবে।

পরিকল্পিত ধর্ষণ বলতে আমি যেটা বুঝি সেটার প্রতিকার যে কোথায় চাইব আমার জানা নেই। গত মাসে সাতক্ষীরায় এক এসএসসি পরীক্ষার্থীকে তার বাবা মায়ের সামনে হাত পা বেঁধে ধর্ষণ করা হয়! কয়েকটি ছেলে একটা বাড়িতে হামলা করল আর এলাকাবাসী কি মরে গিয়েছিল তখন???? এর প্রতিবাদে বিক্ষোভের ভাষাই আমি খুঁজে পাই না। এক্ষেত্রে তদন্ত কমিটি, আইনি প্রক্রিয়া, মেডিকেল টেস্ট ইত্যাদি ইত্যাদি ইত্যাদি ইত্যাদি ইত্যাদি এবং সবশেষে জয় গণতন্ত্রের জয়! সরাসরি বিচারের কথা কেউ বলে না। এই লেখা পড়েও আপনারা হাত তালি দেবেন, এবং এই হাত তালি দিয়েই সব শেষ! এরপরে আর কিছুই না।

এই লীডার, পুচকে নেতা, সন্ত্রাসবাদ এগুলো গণতন্ত্রের কুফল। এলাকার নেতা সাপোর্ট দেয় বলে এখন স্কুলের বাচ্চা ছেলেটাও বাস থামিয়ে আগুন দেয়, গ্যাঙ রেইপের সাহস করে বসে! এর প্রতিকার কোথায় আমি এখনও জানি না। তবে একটা জিনিস বুঝি, নেতা একজন, আর জনগণ সংখ্যায় হাজার। ওই একের চেয়ে হাজারের ক্ষমতা বেশি। নেতার জোরে যদি কেউ আপনাকে অত্যাচার করতে আসে তবে আমাদের গোটা এলাকাবাসীর উচিত হবে এটাকে একযোগে প্রতিহত করা। আজ আপনি ভয়ে যদি না এগোন তাহলে আপনার বেলাতেও কাল কেউ এগুবে না। একটা ঘরে হামলা হচ্ছে আর গোটা এলাকা গা বাঁচাতে দুয়ার দিয়ে লুকিয়েছে!
কী অদ্ভুত ভিনগ্রহে বসবাস আমাদের!

এরকম ধর্ষণকে উৎসাহিত করেছে প্রথমত আমাদের পত্রিকার সংবাদ লেখার কৌশল, দ্বিতীয়ত লঘু শাস্তি বা বিনা শাস্তিতে ধর্ষকের মুক্তির দৃষ্টান্তগুলো! পত্রিকায় একেকটি ধর্ষণের ঘটনাকে এমনভাবে লেখা হত যে, পাঠকেরও লালা ঝরা শুরু হত, বিক্ষোভের বদলে উল্টো পাঠকের মধ্যে ফ্যান্টাসি তৈরি হত যেন চটি পড়া হচ্ছে! শুকরিয়া যে, এই ধারাটা এখন বন্ধ হয়েছে।
আর ধর্ষণের উল্লেখযোগ্য কোন শাস্তি হয় না বলেই একজনের পর আরও একশো জন পরদিন ধর্ষণে নামার সাহস পাচ্ছে! এর সমাধান আমার জানা নেই, সরকার বা আইনের বিধায়কদের কাছে থাকতে পারে।


পরিশেষে বলব, আমরা চেতনার শ্লোগান সবাই দেই, কিন্তু চেতনার পরিচর্যা কেউ করি না। নারী মানেই আমরা প্রথমে নিতম্ব বুঝি, বুক কতখানি উঁচু সেটার কল্পনা বুঝি আমাদের মূল পচনটা এখানেই। আমরা নারীকে কেবল শরীর ছাড়া আর কিছু ভাবতে পারছি না। একজন নারী যে আমার মতই সুস্থ সবল একজন মানুষ এই বোধটা আমাদের খুব কম মানুষেরই আছে।

যারা যৌনতায় অস্থির, তারা হস্তমৈথুন করলেই পারেন, পতিতার কাছে গেলেই পারেন। কেন সামান্য পাঁচ মিনিটের খেয়ালিপনায় এত বড় ঝুঁকি নেবেন? কোন আহাম্মকীতে পেয়েছে যে এই তুচ্ছ জিনিস নিয়ে জীবনে এত বড় একটা প্রলয় ডেকে আনব আমরা??
আসুন, আমরা জীবনটাকে কুৎসিত আর জটিল না করে সুন্দর করি।

এই জাতির রুচির বিকাশ ঘটুক, সুবোধ তুই ফিরে আয়!

মন্তব্য ২৪ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২৪) মন্তব্য লিখুন

১| ১৭ ই মার্চ, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:২৩

মো: নিজাম উদ্দিন মন্ডল বলেছেন: একটু বেশী উদারপন্থি মনোভাব নিয়ে লিখেছেন।:P

১৭ ই মার্চ, ২০১৮ রাত ৮:০৯

জীয়ন আমাঞ্জা বলেছেন: কথায় আছে না, চোরা না শোনে ধর্মের কাহিনী!
ওদেরকে নাহমাদুহু নুসাল্লিহি বলে কোন ফায়দা নেই।
ওদের যে সেন্স কাজ করে ওই সেন্স দিয়েই ওদের বোঝাতে হবে।
তবু যদি চিন্তায় পরিবর্তন আসে!

২| ১৭ ই মার্চ, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৫৩

পলাশবাবা বলেছেন: ধর্ষক একজন বিকারগ্রস্থ ব্যক্তি। তার চিকিৎসা প্রয়োজন।

১৭ ই মার্চ, ২০১৮ রাত ৮:১১

জীয়ন আমাঞ্জা বলেছেন: নো সিম্প্যাথি ফর আ রেইপিস্ট!
ওরা অসংস্কারযোগ্য। একবার যার পচন ধরেছে, সে আর শোধরাবে না।

৩| ১৭ ই মার্চ, ২০১৮ রাত ৮:৫৮

খায়রুল আহসান বলেছেন: "একের চেয়ে হাজারের ক্ষমতা বেশী" - এ কথাটাতো আমরা ভুলতেই বসেছি। মাঝে মাঝে মনে হয়, এসব মারাত্মক সামাজিক অপরাধ দমনে এখনকার চেয়ে আগেকার গ্রাম্য মাতব্বরদের বিচার ব্যবস্থা এবং শাসনামল অনেক বেশী কার্যকর ছিল।
এ ধরণের অপরাধের উৎস, কারণ এবং প্রতিরোধের উপায় নিয়ে সমাজবিজ্ঞানীদের গবেষণা করতে হবে, প্রতিরোধ ও প্রতিকারের পথ বাৎলে দিতে হবে।
আপনার এ লেখাটা ভালই হচ্ছিল, ভালই এগোচ্ছিল, কিন্তু শেষে এসে ধর্ষকামী পুরুষদেরকে তাদের রিরংসা দমনের জন্য স্বমেহনের পথ বাৎলে দেয়াটা সমীচীন হয় নি। এমন একটা গুরুতর অপরাধেচ্ছার এমন সরলীকৃত সমাধান সহজ নয়, বাস্তবসম্মতও নয়।
তবে আপনার এ লেখাটা পড়ে একটা নতুন শব্দ শিখলাম রিরংসা। অভিধান ঘেঁটে এর অর্থটাও জেনে নিলাম।
ধন্যবাদ এমন একটা অপরিচিত শব্দের সাথে পরিচয় করিয়ে দেয়ার জন্য।

১৭ ই মার্চ, ২০১৮ রাত ১০:০০

জীয়ন আমাঞ্জা বলেছেন: উৎস এবং প্রতিকার নিয়ে বেশ আগেই লিখেছিলাম।
কিন্তু যদি কেউ মানে তবেই তো প্রতিকার হবে! সবাই পড়বে, লাইক দেবে, হাত তালি দেবে, ব্যস দায়িত্ব শেষ।
নীতি বিধান কেউ মানে না বলেই পরে আবার এই নতুন ভাষায় লিখতে হল, যে ভাষা যৌনবিকারগ্রস্ত মানুষগুলো বোঝে!

৪| ১৭ ই মার্চ, ২০১৮ রাত ৮:৫৯

মোহেবুল্লাহ অয়ন বলেছেন: আমার মনে হয় প্রকাশে, দ্রুত মৃত্যুদণ্ড দিলে মানুষ ভয় পাওয়া শুরু করবে।

১৭ ই মার্চ, ২০১৮ রাত ৯:৫৭

জীয়ন আমাঞ্জা বলেছেন: প্রকাশ্য শাস্তির দাবি করে আসছি গত পাঁচ বছর ধরে।
কিন্তু আইন তো চলে তার নিজস্ব গতিতে।
আমাদের কথায় কারও কিছু যায় আসে না।

৫| ১৭ ই মার্চ, ২০১৮ রাত ১০:১০

আবু তালেব শেখ বলেছেন: গুরুত্ব পূর্ণ লেখাটা। তবে ধর্ষন ঠেকাতে হস্তমৈথুন মত জঘন্য পাপের পথ বাতলে দেয়াটা সঠিক মনে হয় নি। বাকি সব কথাগুলোর সংগে সহমত

১৭ ই মার্চ, ২০১৮ রাত ১০:২০

জীয়ন আমাঞ্জা বলেছেন: ভাই, ওরা কি পাপ পুণ্য আদৌ মানে? জীবনেও মানে?
তাহলে ওকে এই বাণী শুনিয়ে লাভ কী??

৬| ১৭ ই মার্চ, ২০১৮ রাত ১০:১২

আবু তালেব শেখ বলেছেন: বাংলা ছবিতে ধর্ষনের চিত্র না থাকলে যেন সয়ংসম্পর্নতা পায় না।
এ বিষয়ে আপনার বক্তব্য কি?

১৭ ই মার্চ, ২০১৮ রাত ১০:১৮

জীয়ন আমাঞ্জা বলেছেন: এটা নিয়ে আগে লিখেছি সাহিত্যে অশ্লীলতা শিরোনামের প্রবন্ধে।

৭| ১৮ ই মার্চ, ২০১৮ ভোর ৬:০১

রুদ্র নাহিদ বলেছেন: সবচে বড় যেই জিনিসটা দরকার তা হচ্ছে 'সেক্স এডুকেশন'। পরিবার, সমাজ, শিক্ষা-প্রতিষ্ঠানকে সেক্স এডুকেশনে মনোযোগ দিতে হবে। দৈহিক চাহিদা মানুষের থাকবেই কিন্তু তাই বলে তুমি যার উপর ইচ্ছা জুলুম করতে পারবে না। এই বিষয়টা মাথায় ঢুকিয়ে দিতে হবে। একজন নারীকে.. নারী হিসেবে না প্রথমে একজন মানুষ হিসেবে দেখতে হবে। ধর্ষকেরা মানসিকভাবে বিকারগ্রস্ত। সেক্স নিয়ে অতিরিক্ত ফ্যান্টাসি থাকার কারনে সুযোগ পেলে দৈহিক চাহিদা মেটাতে পশু হয়ে ওঠে। তাই সবার আগে এই ফ্যান্টাসি টাকে কন্ট্রোলে আনতে হবে। সবার আগে প্রকৃত শিক্ষা টা দরকার। আপাতত যার তেমন আশার আলো দেখি না। তাই বলা যায় সুদূরপ্রসারী পদক্ষেপ ছাড়া ধর্ষণ রোধ সম্ভব নয়। মামলা, কেস, পত্রিকায় লেখালেখি এসবে লাভ নেই।

১৮ ই মার্চ, ২০১৮ সকাল ৯:৪৪

জীয়ন আমাঞ্জা বলেছেন: সেক্স এডুকেশন আমেরিকাতে আছে তো, কিন্তু ওই যে ব্যাধিই সংক্রামক! জরিপে দেখবেন, ওখানেই ধর্ষণের মাত্রা সবচেয়ে বেশি, প্রতি সেকেন্ডে দুই জন :-)

৮| ১৮ ই মার্চ, ২০১৮ সকাল ৯:৪৯

হাঙ্গামা বলেছেন: এই বিষয়টা নিয়ে এরকম চমৎকার লেখা কমই পড়ছি। দারুন লেখা।
প্রতিরোধের চেয়ে প্রতিষেধন বেহতর। তাই মেয়েদের এবং তাদের পরিবারের সদস্যদের এই পরিবেশ সম্পর্কে সচেতন থাকা সবার আগে জরুরি! আমি আমার মেয়েকে ঘরে একা রেখে যাবার সাহস করি না, এতে কেউ আমাকে সংকীর্ণ রক্ষণশীল পুরুষতান্ত্রিক ভাবতে এলে সোজা জুতোপেটা করব। যে স্বাধীনতা আমাকে অরক্ষিত করবে, অনিশ্চিত বিপদে ফেলবে সে স্বাধীনতায় আমি থুথু নিক্ষেপ করি।

এই অংশটা মনে গেঁথে গেল।

১৮ ই মার্চ, ২০১৮ রাত ৮:১১

জীয়ন আমাঞ্জা বলেছেন: ধন্যবাদ!

৯| ১৮ ই মার্চ, ২০১৮ সকাল ১০:১৪

বারিধারা ৩ বলেছেন: বাসর রাতে দুজন অজানা অচেনা মানুষ কিভাবে সঙ্গমে লিপ্ত হতে পারে - এটাই তো বিস্ময়কর। এইকাজ যারা করে, তাদের পুরুষত্ব নিয়ে আমার সন্দেহ আছে। পুরুষত্ব আছে ক্ষমতা প্রয়োগে নয়, ক্ষমতা ধরে রাখায়। পশুরাজ সিংহকে পুরুষত্বের প্রতীক ধরা হয়। সিংহ কখনো কোন সিংহীর উপর চড়াও হয়না। তাকে প্রথমে নিজের দিকে আকৃষ্ট করে, সিডিউস করে - এই কাজ করতে ৩/৪ দিন পর্যন্ত সময় নেয়। এ কারণেই সিংহের সংসার অনেক দিন টিকে থাকে, যতদিন না কোন তরুণ সিংহ এসে তাকে পরাজিত করতে না পারে।

১৮ ই মার্চ, ২০১৮ রাত ৮:০৯

জীয়ন আমাঞ্জা বলেছেন: দারুণ বলেছেন!

১০| ১৮ ই মার্চ, ২০১৮ সকাল ১১:৪৪

সজিব ইসলাম বলেছেন: ধর্ষক কখনো স্বাভাবিক মানুষ হতে পারে না। এরা মানুশিক ভাবে অসুস্থ। তবে এইটা বেড়ে যাওয়ার কারন আমাদের সামাজিক অস্থিরতা ও রাষ্টিয় ভাবে বিচারহীনতা এবং সন্ত্রাসের পৃষ্ঠপোষকতা।

১৮ ই মার্চ, ২০১৮ রাত ৮:২১

জীয়ন আমাঞ্জা বলেছেন: একজন অপরাধ করার পর যখন তার তেমন কিছুই হয় না, তখন আরও একশোজন সাহসটা পায়।
শিউরে ওঠা দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দরকার।

১১| ১৯ শে মার্চ, ২০১৮ রাত ১২:০৯

এটম২০০০ বলেছেন: CENTURY MANIK OF CHATRA LEAGUE IS THE FATHER OF DHARSHON IN BANGLADESH. BEFORE HIM SHEIKH MUJIBUR RAHMAN LEGALIZED IT BY THE PAKISTANI ARMY THROUGH HIS IMMATURE AND WRONG PROGRAM. BANGLADESH IS THE ORST SUFFERER OF HIS FOOLISHNESS.

১৯ শে মার্চ, ২০১৮ সকাল ১০:৫৪

জীয়ন আমাঞ্জা বলেছেন: Yors is a very biased comment and has no relevance with the motto of this writing.

১২| ১৯ শে মার্চ, ২০১৮ বিকাল ৪:২০

টারজান০০০০৭ বলেছেন: আগুন আর ঘি একসাথে হইলে ঘি না গলাটাই অস্বাভাবিক ! তাই আগুন হইতে ঘি নিরাপদ দূরত্বে নাগালের বাহিরেই রাখা উচিত। কাছে আসার গল্প হইলে ইচ্ছায় বা অনিচ্ছায় ঘি গলিবেই !

যৌন চাহিদা দমাইতে বা মেটাইতে হস্তমৈথুন বা পতিতাগমন, প্রস্রাব দিয়া ওযু করার মতনই ! ইহার সমাধান বিবাহ ব্যাতিত আর কিছু নহে !

১৯ শে মার্চ, ২০১৮ রাত ১০:০৭

জীয়ন আমাঞ্জা বলেছেন: বিবাহিত ধর্ষকের সংখ্যা কত, হুঁশ আছে?

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.