নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি একটি পথ, আপনি চাইলে হেঁটে দেখতে পারেন....

জীয়ন আমাঞ্জা

পৃথিবীর সবচেয়ে বড় দর্শন হল হিসাব বিজ্ঞানের ডেবিট এবং ক্রেডিট । সবসময় যতখানি ডেবিট, ঠিক ততখানিই ক্রেডিট হয় । পরকালের হিসেব যা-ই হোক, এই ইহকালে আমরা ঠিক যেভাবে শূন্য হাতে পৃথিবীতে এসেছি, সেভাবে শূন্য হাতেই পৃথিবী ছেড়ে যাব । এটাই পৃথিবীর আবর্তনিক নিয়ম । অনেকে আমরা এটা বুঝতে ব্যর্থ হই ।আপনি কারো ক্ষতি করবেন তো আজ অথবা কাল আপনার ক্ষতি হবেই হবে । ভালো করলেও তার ফল আপনি জীবদ্দশাতেই পাবেন ।অনেকে দেখবেন রাস্তাঘাটে অযথা হোঁচট খায়, অসুখে ভোগে- এসব এমনি এমনি নয়, হয় এর অতীত, নয়তো ভবিষ্যৎ প্রসারী কোন কারণ আছে । যদি আপনি কারো ক্ষতি না করেন, তবে আমি নিশ্চয়তা দিচ্ছি, আপনার কোন ক্ষতি হবে না । কেউ চেষ্টা করলেও আপনার ক্ষতি করতে পারবে না ।শুদ্ধ থাকুন, শুদ্ধতার শুভ্রতাকে উপভোগ করুন । জীবন সুন্দর হবে ।আমি সবার মতের প্রতিই শ্রদ্ধাশীল।আশা করি আপনিও তাই।সৌজন্যবোধ ও মানবতার জয় হোক !

জীয়ন আমাঞ্জা › বিস্তারিত পোস্টঃ

এবারের হোলি এবং আমাদের প্রতিক্রিয়া

১৮ ই মার্চ, ২০১৭ দুপুর ১:১০


বাংলাদেশের সংস্কৃতিতে রঙ মাখামাখির কোন রেওয়াজ মূলত ছিল না। এক হত বিয়ের পর্বে রঙ ছোড়াছুড়ি, কিন্তু সেটাও সংকীর্ণ পরিসরে, নিম্নবর্গীয় সমাজে। কোন সম্ভ্রান্ত পরিবারে রঙ মাখানোর মত হীন স্পর্ধা বা অভিরুচি কখনই হত না।
আমি পূব অঞ্চলের বিয়েতে রঙ মাখামাখিও দেখার অভিজ্ঞতা পেয়েছি, তবে সেটা বেশিরভাগই ছিল রসিকতার সম্পর্কীয় দাদী -ননদ - ভাবীদের রঙ কাদায় ঠাসাঠাসি, পুরুষদের এখানে অংশ নিতে দেখা যেত না, চক্ষুলজ্জা ও মানসম্মানের ভয়ে। দুঃসাহসিক দুয়েকজন থাকলেও তা বিশেষ দৃষ্টান্তযোগ্য নয়।

আমি এসব বেশ আগের কথা বলছি, বর্তমানে একটি বিয়েও পাওয়া কষ্টকর হবে যেখানে রঙ ছোড়াছুড়ি পর্ব পালন হচ্ছে। রুচি এবং উপযোগিতার প্রেক্ষাপটেই এটা বর্জিত হয়েছে। কারণ খুবই স্পষ্ট, এক. ভালো জামা কাপড়গুলো অযথা নষ্ট করবার কোন মানে হয় না, আর দুই. রঙ মাখামাখির ঘটনার ফল কোথাও কখনই ভালো হয়নি, প্রায়ই মারামারি বেঁধেছে, নয়ত ঝগড়া হয়ে থেমেছে।

বাংলাদেশের সংস্কৃতিতে এই এইটুকুই রঙ পাওয়া যায়। হোলি নামক রঙ মাখামাখির ব্যাপারটা কেবলই ভারতের, উত্তর প্রদেশ, পাঞ্জাব ও আসামে এর রেওয়াজ বেশি। হোলি মূলত বসন্ত উৎসব, এবং বাংলাদেশে এই উৎসব উদযাপনে মেলার আয়োজনের নজীর আছে রেওয়াজ হিসেবে। আর সামান্য কিছু পরিবার পাওয়া যায় যারা আত্মীয় স্বজন নিয়ে হোলির আয়োজন করত। অবশ্যই সেটা শালীনতা বজায় রেখে।
আমি যা বলছি এসব কোন হলফ করার বিষয়ও নয়। প্রত্যেকেই এটা জানেন।

সম্প্রতি আমাদের দেশে ভারতীয় হোলি ইম্পোর্ট করার চেষ্টা দেখা গেল, এবং এর নতিজাও সুস্পষ্ট। রাস্তাঘাটের যে কোন নারীর গায়ে হাত দেবার এই ব্যাপারটি কোন আনুষ্ঠানিকতা বা উৎসব কি আদৌ হতে পারে?? ভিডিও ফুটেজে আমরা পথচারী যযুবতীর ওপর কয়েকজন যুবকের রঙ মাখা হাত নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়া এবং যত্রতত্র হাত দেবার অপচেষ্টাও দেখেছি, প্রতিবাদও দেখেছি, তারপর?
এই স্থুলতাটা কেন?
নিউজের রিপোর্টে দেখলাম, হোলির সার্বজনীনতা না কি যেন শিরোনাম, এবং সেটা কলঙ্কিত হয়েছে কতিপয় বখাটের উৎপাতে! তো সেই বখাটেদের চিহ্নিত করে কোন বিচারের আওতায় আনা হয়েছে কি?
হোলি হওয়া উচিত, যারা রঙ মাখাতে চায় কেবল তাদেরকেই নিয়ে। নিরীহ পথচারীদের কাপড় বরবাদ করা বা অচেনা অজানা মেয়েদের গায়ে হাত দেওয়া কেন??

অনলাইনে এর প্রতিক্রিয়ায় দেখলাম কেউ কেউ হিন্দুদের দোষারোপ করছে, এখানে হিন্দুদের দোষারোপ করার কারণ কী? পুরান ঢাকায় যারা হোলির নামে অশ্লীলতায় অংশ নিয়েছিল তারা কি সবাই হিন্দু ছিল??
মোটেই না! অতএব এই বিদ্বেষটাও উচিত নয়।

সর্বোপরি, এটা মোটেই আনন্দের ছিল না, বরং পুরোটাই হয়েছে নোংরামি। আমরা আশা করি না, একই নোংরামির পুনরাবৃত্তি পরের বছরগুলোতেও হোক।
যেখানে বিয়ে বাড়িতে পর্যন্ত রঙ মাখামাখি নিষিদ্ধ হয়ে গেছে, সেখানে নতুন করে এই ফাজলামিটার আয়োজন বন্ধ করাই উচিত।

বাকি সিদ্ধান্ত প্রশাসনের, আমার প্রতিবাদ করার অধিকার আছে, আমি সেটুকু করলাম।

মন্তব্য ৫ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৫) মন্তব্য লিখুন

১| ১৮ ই মার্চ, ২০১৭ দুপুর ১:৪৯

মোটরসাইকেল ভ্যালী বলেছেন: খুবই সময়োপযোগী লেখা।
সকলের সতর্ক হবার প্রয়োজন

২| ১৮ ই মার্চ, ২০১৭ দুপুর ২:০৯

তৌহিদ ইসলাম রোবন বলেছেন: সহমত পোষণ করছি

৩| ১৮ ই মার্চ, ২০১৭ বিকাল ৩:৪২

হাসান জাকির ৭১৭১ বলেছেন: অবশ্যই আমরা এর পুনরাবৃত্তি দেখতে চাইনা, ধন্যবাদ।

৪| ১৯ শে মার্চ, ২০১৭ সকাল ৮:১৩

জগতারন বলেছেন:
প্রিয় ব্লগার Zeon Amanza ভদ্রভাবে অল্প কথায় সুন্দর করে প্রতিবাদ করলেন।
আপনার সাথে সহমত পোষন করছি।

৫| ৩১ শে মার্চ, ২০১৭ দুপুর ১২:৫৯

জীয়ন আমাঞ্জা বলেছেন: ধন্যবাদ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.