নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি একটি পথ, আপনি চাইলে হেঁটে দেখতে পারেন....

জীয়ন আমাঞ্জা

পৃথিবীর সবচেয়ে বড় দর্শন হল হিসাব বিজ্ঞানের ডেবিট এবং ক্রেডিট । সবসময় যতখানি ডেবিট, ঠিক ততখানিই ক্রেডিট হয় । পরকালের হিসেব যা-ই হোক, এই ইহকালে আমরা ঠিক যেভাবে শূন্য হাতে পৃথিবীতে এসেছি, সেভাবে শূন্য হাতেই পৃথিবী ছেড়ে যাব । এটাই পৃথিবীর আবর্তনিক নিয়ম । অনেকে আমরা এটা বুঝতে ব্যর্থ হই ।আপনি কারো ক্ষতি করবেন তো আজ অথবা কাল আপনার ক্ষতি হবেই হবে । ভালো করলেও তার ফল আপনি জীবদ্দশাতেই পাবেন ।অনেকে দেখবেন রাস্তাঘাটে অযথা হোঁচট খায়, অসুখে ভোগে- এসব এমনি এমনি নয়, হয় এর অতীত, নয়তো ভবিষ্যৎ প্রসারী কোন কারণ আছে । যদি আপনি কারো ক্ষতি না করেন, তবে আমি নিশ্চয়তা দিচ্ছি, আপনার কোন ক্ষতি হবে না । কেউ চেষ্টা করলেও আপনার ক্ষতি করতে পারবে না ।শুদ্ধ থাকুন, শুদ্ধতার শুভ্রতাকে উপভোগ করুন । জীবন সুন্দর হবে ।আমি সবার মতের প্রতিই শ্রদ্ধাশীল।আশা করি আপনিও তাই।সৌজন্যবোধ ও মানবতার জয় হোক !

জীয়ন আমাঞ্জা › বিস্তারিত পোস্টঃ

শিশুশ্রম এবং আমরা

১২ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১:৫৮

শিশুশ্রম আইনতঃ দণ্ডনীয়। আমাদের দেশে "আইনতঃ দণ্ডনীয়" কথাটা নিজেই একটা বিরাট গোলক, গোলকের ধাঁধাটা যে কত বড় তা আর এযাবত কারও মাথায় এঁটেছে কি না বলা যায় না। আত্মহত্যা করার চেষ্টাকারী কেউ ধরা পড়লে আইন অনুযায়ী তার জরিমানা হয় নগদ দশ হাজার টাকা!! যে বাঁচার পথ না পেয়ে মরে গিয়ে বেঁচে যাওয়ার চেষ্টা করছে, সে দশ হাজার টাকা কোথায় পাবে?? বুঝুন অবস্থা! বেচারা নির্ঘাত বলবে, বাবারা, দশ হাজার টাকা জরিমানার চাইতে আমার তো মরণই ভালো ছিল!
দশ লাখ টাকা ঘুষ খাওয়া ব্যক্তির আদালতে জরিমানা হয় তিনশো টাকা!! বুঝুন অবস্থা!!! যে লাখ লাখ টাকা ঘুষ খেয়ে পেট ফুলিয়ে ঢোল করছে, তাকে তিনশো টাকা জরিমানা দিয়ে একদম জনমের তরে শিক্ষা দিয়ে দেবার উপায় বাতলেছে আদালত!!!

যাইহোক, লেখার শুরুতেই এই গোলক ধাঁধা নিয়ে সংলাপ আরম্ভ করলে আমার মূল লেখা তার উদ্দেশ্য হারাবে। শিশুশ্রম আইনতঃ দণ্ডনীয়; এই দণ্ডটা কার উপর তা আমি নিজেও জানি না। যে শিশু শ্রম দিচ্ছে, সে দিচ্ছে পেটের দায়ে, তার কাজ বন্ধ করলে সে খাবে কী?
তাহলে দণ্ড কার? তার অবিভাবকের? পথশিশুর আবার অবিভাবক?? অথবা দণ্ডটা কাকে দেব? যে লোকটা একটা বাচ্চাকে কাজের সুযোগ দিয়ে দু'বেলা খাবার উপায় করে দিচ্ছে, তার???
বলিহারি হে!!

বাংলাদেশে শিশুশ্রম বন্ধের শ্লোগান চালু হয়েছে বছর পনের আগেই, কিন্তু শিশুর বেঁচে থাকার ব্যবস্থা করার শ্লোগান এক মহাপুরুষের বা মহানেত্রীরও গলায় আসেনি, না আসারই কথা।
আমি আবেগতাড়িত হয়ে একক কাউকে (হোক সে স্বয়ং সরকার) দোষ দিচ্ছি না, দারিদ্র্য নামক দুষ্টচক্রটির সেই যে প্রাচীন কাল হতেই আরম্ভ হয়েছে, তার ঘূর্ণিপাক থেকে বের হওয়া আমার লেকচার দ্বারা সম্ভব নয়। কখনও হয়নি, হবেও না নিশ্চিত। একটা জিনিস আসলে অনেক অনেক জিনিসকে প্রভাবিত করে, একটার অভাব বা ঘাটতি আরো অসংখ্য জিনিসের ঘাটতি সৃষ্টি করে, চেতনা ও রুচির উন্নয়ন আমি কখনই জ্ঞান বা শিক্ষার বদৌলতে অর্জন সম্ভব বলে মনে করি না, এটা আসলে কার কপালে কিভাবে আসে তা ঐশ্বরিক আজ্ঞা বলেই মনে হয়। অতএব, একজন পিতা বা মাতা, হোক সে দরিদ্র, তার সন্তান নিয়ে কী ভাবছে বা পরিকল্পনা করছে, তা একান্তই তার অভিরুচি বা পারিপার্শ্বিকতা হতে প্রভাবিত হবে। রিকশাওয়ালা প্রথম দিকে ছেলেকে স্কুলে পাঠিয়ে একদম জজ ব্যারিস্টার বানানোর বিকট স্বপ্ন দেখলেও দুবছরের মাথায় সেটা উধাও হয়ে যায়, খরচে পোষায় না, সন্তানকে কাজে পাঠায়।

আচ্ছা ঠিক আছে, খরচ লাগবে না, শিশুদের পড়ার খরচ তুলে নেওয়া হল, বিনামূল্যে পড়ার সুযোগ দেওয়া হল; তারপর?
একবেলা কাজে গেলে পঞ্চাশ টাকা আসে, সেই একবেলা কাজ বাদ দিয়ে ইশকুলে গেলে জজ ব্যারিস্টার হয় না ছাই, ওই পঞ্চাশ টাকা ইনকামটাও গোল্লায় যায় আর কি!
এই দৃষ্টিভঙ্গিটা আমার নয়, বুঝতেই পারছেন, একজন বস্তিবাসী পিতার বা মাতার। এখানে যুক্তি তর্ক আর লেকচার দিয়ে তাদের পেটের চিন্তা সাঙ্গ করা সম্ভব কি?
সরকার পারেনি যা, তা আমার প্রবন্ধ পারবে, সে আশা করার মত কল্পনাবিলাসী আমি নই। কবিতায় লিখেছিলাম যে, আমরা প্রত্যেকেই আমাদের স্ব স্ব কক্ষপথে আবর্তন করছি, সে আবর্তন রাতারাতি বদলাবার শক্তি মহাকালেরও নেই। হয়, খুবই ধীরে ধীরে, হাজারে একজনের কপালে বড়জোর, একজন আব্রাহাম লিংকন ঘরে ঘরে রোজ রোজ মাথচাড়া দিয়ে ওঠে না, তবে এটা আমি নিশ্চিত জানি যে, একজন লিংকন বা একজন শেরে বাংলা পৃথিবীর প্রতিটি মায়ের গর্ভেই রোজ রোজ জন্ম নিচ্ছে। আফসোস তারা বিকশিত হবার সুযোগ পায় না।

আমি সীমারের আত্মকথন নামক গল্পে একজন দূরদৃষ্টিসম্পন্ন পিতার চিত্র এঁকেছিলাম, যেখানে একজন বাবা সন্তানের ভরণপোষণের আর ভবিষ্যতের আগাম ব্যবস্থা সুনিশ্চিত করার আগ পর্যন্ত কোন সন্তান জন্ম দেওয়া হতে বিরত থাকার প্রতিজ্ঞা করে। এরকম বাস্তবে কজনে কতটা করে আমার জানা নেই। এটুকু জানি যে, দরিদ্র বাবাগুলো এই প্রস্তুতির ব্যাপারে কখনই ভাবে না। তাদের চিরন্তন প্রবাদ "মুখ আল্লায় দিলে খাওয়াবেও আল্লায়"!! আল্লাহ খাওয়ায় বৈকি, আল্লাহর নামে ভিক্ষা করে খেতে হয় সেই অপরিকল্পিত জন্মলব্ধ মানব শিশুর বিরাট এক অংশকে।

মানিক বন্দোপাধ্যায়ের প্রাগৈতিহাসিক কিংবা বনফুলের গল্পে বোধহয়, দেখান হয় যে, একজনের যৌবন এবং অপরজনের ব্যধিই তাদের ভিক্ষাবৃত্তির মূল সম্বল। আর শিশুদের বেলায় ইনভেস্টমেন্ট বা বিনিয়োগ হচ্ছে অঙ্গ কর্তন! আপনারা নিশ্চয়ই এই নির্মম সত্যটা জানেন। কেবল বেশি ভিক্ষা পাবার উদ্দেশ্যেই দিন দিন অসংখ্য শিশুর হাত বা পা রেল লাইনে নিয়ে কেটে ফেলা হচ্ছে!! আর যে শিশু জন্ম হতেই বিকলাঙ্গ বা প্রতিবন্ধী, সে তো সরাসরি ভগবানের আশীর্বাদ স্বরূপ; ভিক্ষা করার লাইসেন্স তাকে স্বয়ং ঈশ্বরই দিয়ে পাঠিয়েছেন! ব্যবসায় হিসেবে ভিক্ষাবৃত্তি যে কতটা লাভ জনক তার ব্যাখ্যা দিয়ে আর জল ঘোলা করতে চাই না। আমার মূল প্রসঙ্গ থেকে হারাইনি আমি, ভিক্ষাবৃত্তির সঙ্গে আমার প্রসঙ্গের বিশেষ যোগসূত্র আছে। ফাঁকে একটু অন্য কথা বলি, Siddika Rumpa'র একটা শিশুশিক্ষার মহান কার্যক্রম সম্পর্কে আমি জানি, সেখানে বস্তিনিবাসী বাচ্চাদেরকে বিনামূল্যে পড়ান হয়। সে বাচ্চাদের অনেকেই শিশুশ্রমের সঙ্গে জড়িত, এবং অবসরে লেখাপড়া করে। আমি বাহবা দেই এইসব এডিসন, লিংকনদের, যারা পড়তেও চায়, আবার কাজও করতে চায়। এরা জীবনের মূল্য বুঝুক, মহাসোপানের পথটা খুঁজে নিতে সক্ষম হোক- এ কামনা নিরন্তর। রুম্পাদের ইশকুলে বাচ্চাদের ঠিক কিভাবে কী শেখান হয় বা পড়ান হয় আমি এখনও গিয়ে দেখতে পারিনি। যাব শীঘ্রই, আমার কিছু পরিকল্পনা আছে, দেখি, শিক্ষা কার্যক্রমে সেগুলো যোগ করা যায় কিনা!

আরেকটা ভিন্ন কথা জুড়ে দিয়েই আমি আমার এই এলোমেলো কথাগুলোকে এক করে ক্ষান্ত হতে চাইছি, টিএসসি চত্বরে একদিন বসে আছে Drothi Chowdhury
। হঠাত একটি বাচ্চা এল লজেন্স বিক্রি করতে। বেচারা ভিক্ষা করছে না, লজেন্স বেচে পয়সা উপার্জন করতে চাইছে, ভালো নয় ব্যাপারটা?
কিন্তু ছেলেটির লজেন্স কেউ কিনছে না! ড্রথি তখন উঠে গিয়ে ছেলেটিকে সাথে নিয়ে একেকটি বসে থাকা জটলার দিকে গেল এবং তাদেরকে লজেন্স কিনতে অনুরোধ করল। মুহূর্তেই সব লজেন্স বেচা শেষ।

গাড়িতে মাঝে মধ্যে এমন কিছু বাচ্চা আসে লজেন্স বেচতে। যাত্রীদের প্রত্যেকের কোলে একটি করে লজেন্স রেখে যায় এবং নামার সময় হয় টাকা নয়ত লজেন্স ফেরত নিয়ে যায়। ক'জনে কেনে আমি জানি না, তবে আমি কিনি। ভিক্ষা তো করছে না, জীবিকার ব্যবস্থাই করছে ছোটখাট ব্যবসায়েরই মাধ্যমে!
অনেক পত্রিকা ফেরি করা বাচ্চাও দেখি, অনুনয় করে বলে, স্যার, লাস্ট পিস, কেনেন স্যার, বাইত যামু।
কিংবা বলে, ভাই, একটাও বেচতে পারি নাই, কেনেন না একটা!
আমার ইচ্ছে করে ওদের সবগুলো কিনে নিই, অবশ্য অত নাটকীয়তা হয়ে ওঠে না আদতে। তবে আমি কিনি। পত্রিকা আমি পড়ি না, তবুও কিনি।

আপনারা কেনেন কি?? বলুন কেনা কি উচিত নয়? কয় টাকাই বা যায়? ভিক্ষা তো দিচ্ছেন না, বিনিময়ে একটা পত্রিকা পাচ্ছেন, একটা লজেন্স পাচ্ছেন, নয়ত এক গোছা ফুল পাচ্ছেন, ক্ষতি কী, যদি এতে ওই পথশিশুটির একবেলা খাবারের ব্যবস্থা হয়???

শিশুশ্রম বন্ধ হয়নি, হবে কিনা জানি না, তবে যে শিশুটি বেঁচে থাকার যুদ্ধে বিক্রয় নামক ছোট্ট ব্যবসায় আরম্ভ করেছে, তাকে আমরা কেন সুযোগ দেব না বেঁচে থাকার??
দারিদ্র্য পৃথিবী থেকে নিশ্চিহ্ন হবে না ঠিক আছে, কিন্ত প্রত্যেক পরিবারই তো উন্নতির চেষ্টা করে, করে না? পরিবর্তন আসবেই, হোক সে ধীরে ধীরে।

শেষ কথা বলি, আমি ঠিক করেছি, রুম্পার ইশকুলে গিয়ে ওদের কারিগরী শিক্ষার জন্য উৎসাহিত করব, আর যারা পড়ালেখার পাশাপাশি এরকম কাজ করে, তাদের জন্য একটি করে গেঞ্জির ব্যবস্থা করব, সে গেঞ্জিতে লেখা থাকবে,

ভিক্ষা চাই না, বাঁচতে চাই।

Not begging, let me live!

এরকম শ্লোগান নিয়ে সামনে দাঁড়ালে হয়ত আপনাদের মনে দয়া জাগবে, তবে আমি একা মানুষ বা আমার দেওয়া অল্প কয়টি গেঞ্জি তো পুরো শহরের মানসিকতা পাল্টাতে পারবে না, আপনারাও নাহয় নিজ নিজ পরিকল্পনা বা সামর্থ্য অনুযায়ী ওদের পাশে এসে দাঁড়ান। জনসেবা সবার সাজে না জানি, যাদের সাজে না, তাঁরা নিজেরা না পারুন, অন্তত অন্যদের উৎসাহ দিন।

শিশুশ্রম বন্ধ করতে না পারি, শ্রমের ধরন বা খাটুনি তো যুৎসই করতে পারি, তাই না??

পুনশ্চঃ-
১.
এটা কোন সাহায্য চাওয়া পোস্ট নয়। আপনার সাহায্য করার ইচ্ছে হলে আপনি আপনার মত করে আপনার এলাকায় সাহায্য করুনগে। আমাঞ্জা আপনার সাহায্যকে উৎসাহ দেবে, তবে আপনার সাহায্যের অংশীদার হতে আগ্রহী নয়। আর কোন ক্ষেত্র না পেলে রুম্পার ইশকুল তো আছেই। এবং উল্লেখ্য যে, আমি ওদের ইশকুলের জন্য চাঁদা দেবার আগ্রহ প্রকাশ করলে রুম্পা সেটা প্রত্যাখ্যান করেছে!

২.
কেউ আবার এই পোস্ট দেখে ভেবে বসবেন না যে, আমাঞ্জা এখন বাচ্চাদের দিয়ে পত্রিকা ব্যবসায় আরম্ভ করেছে :-D :-D

মন্তব্য ৩ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৩) মন্তব্য লিখুন

১| ১৩ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:২১

আরজু পনি বলেছেন:

বাংলাদেশে শিশুশ্রম বন্ধের শ্লোগান চালু হয়েছে বছর পনের আগেই, কিন্তু শিশুর বেঁচে থাকার ব্যবস্থা করার শ্লোগান এক মহাপুরুষের বা মহানেত্রীরও গলায় আসেনি, না আসারই কথা।...খুব সত্যি কথা ।

প্রাগৈতিহাসিক মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের না ?

আমি একসময় রিক্সায় না চড়ে পাবলিক বাসে চড়েছিলাম কিছুদিন, রিক্সা ভাড়ায় যে টাকা লাগতো তা থেকে বাস ভাড়া দিয়ে বাকী টাকা বাসে যারা যা বিক্রী করতো তা কিনে ফেলতাম ।

খুব ভালো লাগলো লেখাটি ।
অবাক হলাম এমন লেখায় মন্তব্য নেই কেন ?! নাকি মডারেট করে রাখা...দেখি আমার মন্তব্য সাথে সাথেই প্রকাশ পায় কি না ...

২| ১৩ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:২২

আরজু পনি বলেছেন:

হায় হায় মডারেট করে রাখা নাতো !
তবে এমন পোস্ট কেন সচেতন (!) ব্লগারদের চোখ এড়িয়ে গেল !!!!

৩| ১৩ ই নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:৫৩

জীয়ন আমাঞ্জা বলেছেন: আমার কোন পোস্টই ব্লগে কারো দৃষ্টি পায়নি :-)
ব্যাপার না।

আর হ্যাঁ, মানিকের। আমি বোধকরি প্রেমেন্দ্র মিত্রের নাম করেছি। সংশোধন করে দিচ্ছি।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.