নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি একটি পথ, আপনি চাইলে হেঁটে দেখতে পারেন....

জীয়ন আমাঞ্জা

পৃথিবীর সবচেয়ে বড় দর্শন হল হিসাব বিজ্ঞানের ডেবিট এবং ক্রেডিট । সবসময় যতখানি ডেবিট, ঠিক ততখানিই ক্রেডিট হয় । পরকালের হিসেব যা-ই হোক, এই ইহকালে আমরা ঠিক যেভাবে শূন্য হাতে পৃথিবীতে এসেছি, সেভাবে শূন্য হাতেই পৃথিবী ছেড়ে যাব । এটাই পৃথিবীর আবর্তনিক নিয়ম । অনেকে আমরা এটা বুঝতে ব্যর্থ হই ।আপনি কারো ক্ষতি করবেন তো আজ অথবা কাল আপনার ক্ষতি হবেই হবে । ভালো করলেও তার ফল আপনি জীবদ্দশাতেই পাবেন ।অনেকে দেখবেন রাস্তাঘাটে অযথা হোঁচট খায়, অসুখে ভোগে- এসব এমনি এমনি নয়, হয় এর অতীত, নয়তো ভবিষ্যৎ প্রসারী কোন কারণ আছে । যদি আপনি কারো ক্ষতি না করেন, তবে আমি নিশ্চয়তা দিচ্ছি, আপনার কোন ক্ষতি হবে না । কেউ চেষ্টা করলেও আপনার ক্ষতি করতে পারবে না ।শুদ্ধ থাকুন, শুদ্ধতার শুভ্রতাকে উপভোগ করুন । জীবন সুন্দর হবে ।আমি সবার মতের প্রতিই শ্রদ্ধাশীল।আশা করি আপনিও তাই।সৌজন্যবোধ ও মানবতার জয় হোক !

জীয়ন আমাঞ্জা › বিস্তারিত পোস্টঃ

-স্বপ্নকথন-

০৬ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:১৩

ঘুমটা ভেঙেছিল একটা স্বপ্ন সম্পূর্ণ করে । স্বপ্নে অনেক পুরনো মুখের সমাগম হয়েছিল, অনেকটা শওকত ওসমানের 'সমাগম'-এর মত । অবশ্য সেখানে আইন্স্টাইন- রবীন্দ্রনাথের মত অত বিরাট মাপের স্মরণীয় কেউ ছিল না ।

তবে, যারা ছিল, আমার নিত্য জীবনে তাদের স্মৃতিও কম গুরুত্বপূর্ণ নয় ।



দেখলাম, যুক্তফ্রন্টের বিড়িখোড় পম্পি দিদিকে । তাঁর কালো বিদঘুটে চেহারাটি কেমন জানি আরো বেশী অন্ধকার আর বিদঘুটে হয়ে গিয়েছে । তিনি কোন এক ময়লা খালের পাড়ে একটি কুড়ে ঘর ভাড়া নিয়েছেন । তার পাশেই আরেকটি মেয়ের ঘর । মেয়েটি আমার পরিচিত, তবে চেহারা ও নাম কোনটিই মনে করতে পারছি না । তার ঘরে উঁকি দিলাম, সে অসুস্থ । মেঝেতে বালিশ পেতে কাতরাচ্ছে শুয়ে শুয়ে । দেখলাম উদীচীর আয়াজ'দা কে ।



একটু পরেই দেখছি সেই নর্দমার পানিতে ভরা খালটি ফুলে ফেঁপে প্লাবন ঘটিয়েছে । প্রবল পানির স্রোত বেড়ে গিয়ে হাঁটু থেকে ক্রমে গলা পর্যন্ত উঠেছে । আমার কোন এক ক্লাসমেইট মেয়ে, নেকাব বিহীন বোরখা পরা, অত্যন্ত সুন্দরী, তবে তার নামও মনে পড়ছে না, প্লাবনের নষ্ট পানির বিরুদ্ধে দুই হাত প্রশস্ত করে দাঁড়িয়েছে । তার পিতা নাকি ছিলেন '৭১ এর মুক্তিযোদ্ধা ।

দেখলাম, আমিও সেই পানিতে । ওপর থেকে কেউ আমাকে চিত্‍কার করে বলছে, তাকে তুলে আনতে, নইলে সে মারা পড়বে নির্ঘাত্‍ ।



আমি তাকে ফিরে আসতে জোরাজুরি করলাম, কিন্তু সে অনড়, একচুলও সরতে চাইছে না । অগত্যা, আমি তাকে কোলে তুলে নিয়ে এলাম । কোথায় নিয়ে এলাম মনে নেই ।



এরপর দেখলাম, আমি সিঁড়ি বেয়ে লোহার তৈরি একটি বহুতল বিশিষ্ট ফেরী বা লঞ্চ টার্মিনালের মত কিছুতে উঠছি । ওপর থেকে উদীচী'র রিপন'দা নিত্য অভ্যাসমত একটি গোল্ডলীফ ছুঁড়ে দিলেন, সেটি ধুলো মাখা ময়লা মেঝেতে পড়ে ঠোঁটে গোজার অযোগ্য হয়ে পড়ল । আমি ওঠা থামিয়ে সেটি হাতে নিয়ে উল্টেপাল্টে দেখছি । পরের সে দৃশ্যপট আর মনে নেই ।



এরপরেই দেখতে পাচ্ছি বিরাট আন্দোলন, শ্লোগানে মুখরিত চারদিক । কিসের শ্লোগান- তা মনে পড়ছে না । নিশ্চয়ই গুরুত্বপূর্ণ কিছু । শহরের সবগুলো মুক্তমনা দলই শামিল হয়েছে এতে । ঢল দিয়ে তরুণেরা ছুটে আসছে । প্রবল আক্রোশে ফুঁসছে সবাই ।



একটু পরেই দেখলাম, সেটি একটা স্কুল মাঠ । অসংখ্য কচি কচি মুখ । কোন একটি বিখ্যাত ব্যান্ড দল এসে গানে মাতিয়ে তুলেছে সেই আন্দোলনরত শিশুদের । শ্লোগান নয়, সবাই হাসিমুখে চিত্‍কার করে গাইছে আর তালে তালে নাচছে ।



আমি হতাশ মুখে অনতিদূরে দাঁড়িয়ে আপন মনে বলছি, "গেল, আন্দোলন গেল ! এই মুগ্ধ করা গান দিয়ে সবার আক্রোশে পানি ঢালা হয়েছে । ডাইভার্ট করে ফেলা হয়েছে সবাইকে । সবাই এখন শান্ত হয়ে গেল । আন্দোলন গোল্লায় গেল ।"



এর পরেই আমার ঘুম ভেঙে যায় ।









খোদার কসম, এটি কোন বানানো গল্প নয় । আসলেই স্বপ্ন এটি । আমি চেতনা পাওয়ার পর চোখ বুজেই ভেবে আশ্চর্য হচ্ছিলাম, বর্তমান আন্দোলনের সাথে আমার এই স্বপ্নের মিল খুঁজে পেয়ে । আন্দোলন পণ্ড হওয়ার ব্যাপারটাই শুধু আমার মনে ধরেছিল ঘুম ভেঙে ।

আর এখন লিখতে বসে বুঝতে পারছি, পম্পিদি'র নিকৃষ্ট পল্লীবাস থেকে শুরু করে নর্দমার প্লাবন, মুক্তিযোদ্ধার মেয়েটির রুখে দাঁড়ানো, অবশেষে আন্দোলন সৃষ্টি এবং তা পণ্ড হওয়া- সবই আসলে অর্থবহ ।



ইদানিং এসব নিয়ে খুব ভাবছি বলেই হয়তো এমন স্বপ্নটি দেখেছি ।





আমার অদ্ভুত অদ্ভুত স্বপ্ন দেখার বাতিক আছে । তারমধ্যে মজার একটি হল, আমি স্বপ্নে প্রায়ই পূর্ণদৈর্ঘ্য বাংলা চলচ্চিত্র দেখি । সে ছবিগুলো আসলেই অস্কার পাওয়ার যোগ্য । একটু টাকা পয়সার গোছগাছ হলে সিনেমা বানানোর ইচ্ছা আছে ।



আর, আমার দেখা অদ্ভুত এবং ভয়ংকর স্বপ্নগুলো নিয়ে লিখব অন্য একদিন ।



_____________

২৪.০২.২০১৩ (শাহবাগ আন্দোলনের সময়ে দেখা স্বপ্ন ।)

মন্তব্য ৩ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৩) মন্তব্য লিখুন

১| ০৭ ই নভেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৪৭

জীয়ন আমাঞ্জা বলেছেন: ব্লগের য়্যাকাউন্ট নিরাপদের তালিকায় প্রতিষ্ঠিত করার পূর্বশর্ত কী ?

২| ০৯ ই নভেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৫:১৭

জীয়ন আমাঞ্জা বলেছেন: কতক্ষণে মূল পাতায় লেখার সুযোগ হবে কে জানে !
আমার য়্যাকাউন্ট নিরাপ হবে যখন তখন কি এই লেখাগুলো প্রথম পাতায় প্রদর্শিত হবে ?

৩| ১৪ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১২:৫৭

জীয়ন আমাঞ্জা বলেছেন: মূল লেখাটি সংরক্ষিত আছে এখানে Click This Link

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.