নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

Never Say Never Again

...

মধুমিতা

আমি তোমার কাছে পৌছতে পারিনি পথে হয়েছে দেরী। তবু আজো স্বপ্ন দেখি - বন্ধ দড়জায় কড়া নাড়ি ।। আমি এক অতি সাধারণ মানুষ, আড়ালে থাকতেই পছন্দ করি ...

মধুমিতা › বিস্তারিত পোস্টঃ

আরব ডায়েরি-৪৮ (অভিশপ্ত সামূদ জাতির দেশে-৮)

২৪ শে মার্চ, ২০১৩ দুপুর ১:৪৫



নাবাতিয়ান রাজারা



১ম পর্ব

২য় পর্ব

৩য় পর্ব

৪র্থ পর্ব

৫ম পর্ব

৬ষ্ঠ পর্ব

৭ম পর্ব







শহরে ঢুকার সরু পথটিকে ‘সিক’ বলা হয়। এটি প্রাকৃতিকভাবে তৈরি। পাশেই ‘আদ দিওয়ান’। এখানে উপাসনা করা হত, বাহিরের লোকজন বিশ্রাম নিত। লোকজন এটাকে ‘সুলতানের মজলিস’ নামেও ডাকে। এর আশেপাশে ও দেয়ালে এক সময় মুর্তি ছিল। এখন নেই, ভেঙ্গে ফেলা হয়েছে। ‘সিক’ এর আশেপাশে অনেকগুলো মন্দির ছিল যার চিহ্ন এখনো বিদ্যমান।

আয়তকার মজলিসটি ১২.৮ মিটার দৈর্ঘ্য, ৯.৮ মিটার প্রসস্থ ও ৮ মিটার উচু।





গুগুল হতে শহরে ঢুকার পথটি



শহরে ঢুকার পথটি







‘সিক’ ও ‘আদ দিওয়ান’



‘আদ দিওয়ান’



আমরা এখানে অনেক্ষন বিশ্রাম নিলাম। সবার চোখে মুখেই তৃপ্তির ছাপ ছিল। আমরা এবার সবাই মিলে মামুনকে ধরলাম, ‘আগেরবার তোমরা এখানে এসেছিলে?’

মামুন মিউ মিউ করে বলল, ‘হাবিব স্যার এটা দেখতে চেয়েছিলেন কিন্তু আমরা এটা খুঁজে পাইনি।’

আমাদের সাফল্যে আমরা আনন্দিত হলাম। সাথে সাথে হাবিব স্যারের জন্য দুঃখবোধ করলাম। আর কখনো এখানে আসার সৌভাগ্য হয় কিনা কে জানে? ওসামা ও হাবিব স্যার তাদের গ্রুপের নাম দিয়েছে সিম্বিয়ান অথবা এ্যাম্ফিবিয়ান। আমরা, বিশেষ করে সাঈদ, তাদের উপর্যপরি ব্যার্থতায় উল্লাস প্রকাশ করলাম।



সাঈদ এবার মামুনকে ক্ষেপিয়ে দিল। মামুন স্বীকার করল, তাদের গ্রুপের গাইড কাম ক্যাশিয়ার ওসামা একদম ব্যার্থ। মাদায়েন সালেহ ২ দিন ঘুরাঘুরি করলেও তারা অনেক গুরুত্বপূর্ন কয়েকটি স্থাপনা খুঁজে পায়নি। মামুন ওসামাকে অযোগ্য ঘোষণা দিয়ে তাকে তার পদ থেকে বহিস্কার করল। আমরাও ব্যাপক আমোদিত হলাম।



পাশেই ছিল সামূদ/নাবাতিয়ানদের (সঠিকভাবে জানা নেই) তৈরি করা একটি কুপ। এক সময় এখানে ৬০ টির মত কুপ ছিল। এখন অনেকগুলোই ধ্বসে গেছে। একেকটি কুপ প্রায় ৩০ মিটার বা তারো বেশী গভীর। সামূদ আমলে এ শহরটি পানি’র জন্য প্রসিদ্ধ ছিল। এখানে ভূ-গর্ভস্থ পানি ছিল ও প্রচুর বৃষ্টিপাত হতো। আমরা তেমনি একটি কুপ দেখতে গেলাম। এখন নিরাপত্তার জন্য ঘেরাও করে রাখা হয়েছে। মসৃণ ও গোলাকার কুপটি অনেক গভীর।







কুপ



আমি মাদায়েন সালেহ’র বিভিন্ন তথ্য ও ম্যাপ প্রিন্ট করে নিয়ে গিয়েছিলাম। সেখানে Elephant Rock এর কথা বলা আছে। আমি ইন্টারনেটে বিশাল এক হাতী’র ছবি দেখেছিলাম যা এবার দেখতেই হবে। কিন্তু শহরের ভেতর কোথাও Elephant Rock খুঁজে পেলাম না। শেষ পর্যন্ত আমাদের ড্রাইভার এক সৌদি’র সাথে কথা বলল। সেই সৌদি জানাল হাতীটি মাদায়েন সালেহ’র ভেতরে নেই, এটা শহরের বাহিরে। আমরা মাদায়েন সালেহ ট্যুর এখানে শেষ করলাম।



সবাই নতুন উদ্যমে Elephant Rock এর পথে চললাম।

মন্তব্য ১৫ টি রেটিং +৫/-০

মন্তব্য (১৫) মন্তব্য লিখুন

১| ২৪ শে মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৫:৩২

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: প্রিয়তে

২৪ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ৯:০৬

মধুমিতা বলেছেন: ধন্যবাদ। আপনার শেষ লেখাটি অনেক ভালো লেগেছে। মাছ ধরা আমারও অনেক পছন্দের।

২| ২৪ শে মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৫:৪০

বোকামন বলেছেন: আস সালামু আলাইকুম



প্রিয়তে

২৪ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ৯:০৯

মধুমিতা বলেছেন: ধন্যবাদ।

৩| ২৪ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ১১:৪৫

মোঃমোজাম হক বলেছেন: জবাব নেই,অসাধারন লেখা।

দুঃখ সামুর ব্লগাররা এদিকে তাকাচ্ছেনা :(

২৫ শে মার্চ, ২০১৩ সকাল ১১:২৭

মধুমিতা বলেছেন: আপনি আসেন, এতেই ভালো লাগে। আমি নিজের জন্য লিখি। হয়তো একদিন বৃদ্ধ বয়সে এসব কিছুই মনে থাকবে না, যখন লেখাগুলো পড়ব আবার মাদায়েন সালেহ কল্পনায় ঘুরে আসব।

যারা এখানে ঘুরে যায়, কমেন্ট করে- এগুলো আমার বাড়তি পাওয়া।

আপনি ভালো থাকবেন। আপনার লেখা'র সমস্যা দূর হয়নি?

৪| ২২ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৩৯

আদম_ বলেছেন: জবাব নেই,অসাধারন লেখা।

দুঃখ সামুর ব্লগাররা এদিকে তাকাচ্ছেনা :

২২ শে ডিসেম্বর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৩০

মধুমিতা বলেছেন: ভালো লাগার জন্য ধন্যবাদ। আপনিতো এসেছেন, এতেই তৃপ্তি। আমি নিজের জন্য লিখি।

৫| ১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ৩:১০

আব্দুল্লাহ আল নোমান বলেছেন: মন্তব কম দেখে ভাইবেননা কেউ তাকায়না ........আপনার লেখা পড়তে পড়তে আল্লাহর ভয়ে এমন ভাবে কল্পনার রাজে হারিয়ে যাই যে মন্তব করার কথা মনেই থাকেনা....
আল্লাহ তুমি দয়া না করলে আমরা সবাই কই যামু :( :(

১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ৯:৩২

মধুমিতা বলেছেন: মন্তব্যের জন্য আমি ভাবি না। যারা এখানে ঘুরে যায়, কমেন্ট করে- এগুলো আমার বাড়তি পাওয়া।

আপনাকে ধন্যবাদ।

৬| ১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ৩:২৮

আব্দুল্লাহ আল নোমান বলেছেন: আমি ভাই আপনারে দুইটা কারনে হিংসা করি
এক. আপনার বর্তমান বাসস্থান
দুই. আপনার লেখার হাত
একটা সময় ছিল যখন সেবার ওয়েস্টার্ন পড়তাম আর আমেরিকা যাওয়ার কথা ভাবতাম...কিন্তু যেদিন থেকে আল্লাহ কোরআন বুঝে পড়ার অভাস গড়ে দিল সেদিন থেকে স্বপ্ন দেখি ........
মানুষ কতশত জায়গায় যায় অথচ.....এইসব জায়গায় বেশি বেশি করে যাওয়া দরকার নিজের বিশ্বাসকে আর শক্ত করার জন...জানিনা কবে আল্লাহ যাওয়ার সুযোগ করে দিবে ....ভালো থাকবেন .....আর লেখা কখনও বন্ধ করার চিন্তা স্বপ্নেও আইনেননা...

১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ৯:৩৩

মধুমিতা বলেছেন: আপনার মন্তব্যটি লেখা চালিয়ে যাবার জন্য প্রেরণা যোগাল। আপনিও ভালো থাকবেন।

অনেক অনেক ধন্যবাদ।

৭| ১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ৯:২০

আব্দুল্লাহ আল নোমান বলেছেন: আপনার লেখার হাত ভালো তাই আপনার অভিজ্ঞতায় সৌদিদের ইসলামী রীতিনীতি,মূল্যবোধ,শরীয়া আইন নিয়ে তাদের সাধারন মুসলিমদের চিন্তাভাবনা নিয়ে একটি বিশ্লেষণধর্মী পোস্টের অনুরোধ রইলো......

১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ রাত ১১:৩৭

মধুমিতা বলেছেন: চেষ্টা করব।

৮| ২৯ শে আগস্ট, ২০১৪ রাত ১০:০০

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:



চমৎকার +++

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.