নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
স্বাগতম! এখানে আমি রাজনীতি, অর্থনীতি ও সামাজিক বিষয়গুলোকে গভীরতার সঙ্গে বিশ্লেষণ করি। এই ব্লগে প্রতিটি লেখার মাধ্যমে নতুন চিন্তার জাল বুননের চেষ্টা করি। চলুন সবাই মিলে একটি নতুন দিগন্তের সন্ধান করি!
প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মাদ (সাঃ) এর বিরুদ্ধে কটুক্তি একটি গুরুতর অপরাধ। সম্প্রতি ভারতে এমনই একটি ঘটনা ঘটেছে, যা মুম্বাইয়ের মুসলিম ভাইদের গভীরভাবে ক্ষুব্ধ করেছে। তারা রাস্তায় নেমে ইসলামের সম্মান রক্ষায় প্রতিবাদ জানাচ্ছে, যা আমাদের সবার জন্য এক অসাধারণ অনুপ্রেরণা। মুম্বাইয়ের মুসলিমরা আজ যে সংগ্রামে নেমেছে, তা শুধু তাদের শহরের নয়, বরং সারা ভারত উপমহাদেশের মুসলিমদের একতাবদ্ধ হওয়ার প্রেরণা দিচ্ছে।
বর্তমান রাজনৈতিক পরিবেশে ভারত উপমহাদেশে মুসলিমদের অবস্থান দিন দিন কঠিন হয়ে উঠছে। তবে মুম্বাইয়ের এই জাগরণ প্রমাণ করছে, সত্যের পথে প্রতিবাদ করলে পরিবর্তন আসবেই। আজ আমাদের সকলের একটাই দাবি—কটুক্তিকারীর শাস্তি হোক, আর কালেমার পতাকা এই ভূখণ্ডে উড়ুক।
এ প্রসঙ্গে প্রিয় নবী (সাঃ) এর একটি ভবিষ্যদ্বাণী উল্লেখযোগ্য, যা গাজওয়াতুল হিন্দ নামে পরিচিত। হাদিসে বলা হয়েছে:
“আমার উম্মতের দুটি দল আছে, যাদেরকে আল্লাহ (সুবঃ) জাহান্নামের আগুন থেকে রক্ষা করবেন: একটি দল হলো সেই, যারা হিন্দুস্তানে যুদ্ধ করবে, এবং অপর দল হবে তারা, যারা ঈসা ইবনে মরিয়ম (আঃ) এর সঙ্গে থাকবে।” (সুনান আন-নাসায়ি)
এই হাদিসের আলোকেই অনেকে মনে করেন, মুসলিমদের জন্য উপমহাদেশে একটি বড় বিজয়ের সময় আসতে পারে। গাজওয়াতুল হিন্দের এই ভবিষ্যদ্বাণী মুসলিম উম্মাহর জন্য একটি বিশেষ দায়িত্বের কথা স্মরণ করিয়ে দেয়।
আসুন, আমরা সবাই মুম্বাইয়ের মুসলিমদের এই আন্দোলনে সমর্থন জানাই, তাদের সাহসিকতা ও একতা থেকে শক্তি অর্জন করি। ইনশাআল্লাহ, একদিন সারা ভারত উপমহাদেশে কালেমার পতাকা পতপত করে উড়বে। আল্লাহ সাহায্য করুন।
২| ০২ রা অক্টোবর, ২০২৪ সকাল ১০:৪৪
ধুলো মেঘ বলেছেন: মুম্বাইয়ের এই জাগরণ কিভাবে প্রমাণ করল যে সত্যের পথে প্রতিবাদ করলে পরিবর্তন আসবেই?
কটুক্তি যারা করেছে, তারা কি ক্ষমা চেয়েছে? তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক কোন ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে?
নুপূর শর্মা মহিলা বলে তার উপর পার্ট নেয়া গেছে। কিন্তু এরা পুরুষ - এদেরকে এত সহজে দমানো যাবেনা।
৩| ০২ রা অক্টোবর, ২০২৪ সকাল ১০:৪৭
অগ্নিবেশ বলেছেন: সময় এসেছে এখন ভারতে আক্রমণ করার, অচিরেই হাদিসের বাণী সত্য প্রমাণ হইবে এবং উপমহাদেশে ইসলামের পতাকা পতপত করে উড়িবেই। - সহমত প্রকাশ করলাম। তয় জিহাদে যাওয়ার সময় লোহার আন্ডার পরিয়া যাইবেন, ভারতে বহু সমকামীর বসবাস।
৪| ০২ রা অক্টোবর, ২০২৪ সকাল ১১:৩৫
সৈয়দ মশিউর রহমান বলেছেন: সাম্প্রদায়িকতা যাতে ছড়িয়ে না পড়ে সেদিকে খেয়াল রেখে লিখতে হবে; এসব লেখা সম্প্রীতি নষ্ট করে।
০২ রা অক্টোবর, ২০২৪ দুপুর ১২:২১
তারিফ বিল্লাহ্ বলেছেন: ভারতে সাম্প্রদায়িক উস্কানিমূলক কাজ এবং ইসলাম বিদ্বেষী কার্যকলাপ দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন প্রেক্ষাপটে দেখা যাচ্ছে। এর মধ্যে কিছু উল্লেখযোগ্য বিষয় হলো:
1. ধর্মীয় বিদ্বেষমূলক প্রচারণা: ভারতের কিছু রাজনৈতিক দল ও গোষ্ঠী বিশেষ করে হিন্দুত্ববাদী সংগঠনগুলো ইসলাম বিদ্বেষী প্রচারণা ছড়ানোর মাধ্যমে নিজেদের শক্তি বৃদ্ধি করতে চায়। এই প্রচারণায় মুসলিমদের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ, অপপ্রচার, এবং বিদ্বেষমূলক বক্তৃতা তুলে ধরা হয়।
2. গরু সংরক্ষণ ও লিঞ্চিং: ভারতে গরু সংরক্ষণ আইনকে কেন্দ্র করে মুসলিমদের ওপর নির্যাতন ও লিঞ্চিং (পিটিয়ে হত্যা) বৃদ্ধি পেয়েছে। বিশেষত মুসলিম সম্প্রদায়ের লোকদের গরু ব্যবসা বা গো-মাংস নিয়ে কাজ করার অভিযোগে অনেকের ওপর হামলা চালানো হয়েছে।
3. CAA ও NRC বিতর্ক: ২০১৯ সালে ভারতের নাগরিকত্ব সংশোধন আইন (CAA) এবং জাতীয় নাগরিক নিবন্ধন (NRC) এর মাধ্যমে মুসলিমদের বিশেষভাবে লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছে বলে অভিযোগ করা হয়। CAA অনুযায়ী মুসলমানদের বাদ দিয়ে শরণার্থী হিসেবে অন্যান্য ধর্মাবলম্বীদের নাগরিকত্ব দেওয়ার প্রস্তাব রাখা হয়েছিল, যা মুসলিম সম্প্রদায়ের মধ্যে ব্যাপক আতঙ্কের সৃষ্টি করে।
4. ধর্মীয় স্থান ধ্বংস ও হামলা: বিভিন্ন সময়ে মুসলিমদের মসজিদ ও ধর্মীয় স্থানগুলিতে হামলার ঘটনা ঘটে। বাবরি মসজিদ ধ্বংসের মতো বড় ঘটনা থেকে শুরু করে ছোটখাট হামলা ও মুসলিমদের ধর্মীয় জমায়েত ব্যাহত করার প্রয়াসগুলো চালানো হয়েছে।
5. ধর্মান্তর ও লাভ জিহাদ: ভারতে "লাভ জিহাদ" নামে এক মিথ্যা প্রচারণা চালানো হয়, যেখানে মুসলিম পুরুষদের বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলা হয় যে তারা হিন্দু নারীদের জোর করে ধর্মান্তরিত করে বিয়ে করছে। এই ধরনের অভিযোগের ভিত্তিতে আইন তৈরি এবং মুসলিমদের বিরুদ্ধে অত্যাচার বাড়ানো হয়েছে।
6. বিচারবহির্ভূত হত্যা ও হিংস্রতা: বেশ কিছু ক্ষেত্রে মুসলিম সম্প্রদায়ের ব্যক্তিরা বিচারের বাইরে হত্যা বা কারাগারে অন্যায়ভাবে আটক হয়েছেন। বিচারবহির্ভূত হিংস্রতা এবং মুসলিমদের অপরাধী হিসেবে তুলে ধরার প্রবণতা লক্ষ্য করা যায়।
এসব কাজ ভারতে সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা বাড়াতে সাহায্য করেছে এবং ইসলাম বিদ্বেষী মনোভাবকে উস্কে দিয়েছে। এখন বলেন সম্প্রদায়িকতা কারা করছে। উস্কানি কারা দিচ্ছে।
৫| ০২ রা অক্টোবর, ২০২৪ দুপুর ১২:১৫
সাখাওয়াত হোসেন বাবন বলেছেন: সুন্দর পোষ্ট । ভালো লেগেছে ধর্মীয় সম্প্রতি বাজায় রেখে হাদিস ও তথ্য নির্ভর এরকম আরো পোস্ট লিখুন ।
"রসুলের অপমানে যদি
না কাঁদে তোমার মনে /
তাহলে তুমি কিসের মুসলিম /
কি করে রুখবে আপন পতন ?"
০২ রা অক্টোবর, ২০২৪ দুপুর ১২:১৮
তারিফ বিল্লাহ্ বলেছেন: ধন্যবাদ। আমি ব্লগিং জগৎে নতুন। এখনো আমার জ্ঞান আহরণে ঘাড়তি রয়েছে। ভবিষ্যৎ এর জন্য দোয়া করবেন। যার ফলে দেশ ও ইসলামের জন্য আমার কলম হাতিয়ার হিসাবে কাজ করে।
৬| ০২ রা অক্টোবর, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:০৩
পবন সরকার বলেছেন: ৮৫% হিন্দুর ধর্মগ্রন্থ পড়া নিষেধ এবং তারা ধর্মীয় নিষেধাজ্ঞার কারণে নিজেদের ধর্মগ্রন্থ পড়েও না, যদি হিন্দু ধর্মের শূদ্ররা ধর্মগ্রন্থ পড়া শুরু করে তখন হিন্দু ধর্মের একটা বিরাট পরিবর্তন আসবে।
৭| ০২ রা অক্টোবর, ২০২৪ রাত ১০:৪০
কামাল১৮ বলেছেন: যে কোন লোকের বিরুদ্ধে কটুক্তি সমান নিন্দনিয়। এটা কোন অপরাধ হিসাবে গন্য করা হয় না।
০৩ রা অক্টোবর, ২০২৪ রাত ১০:৫৭
তারিফ বিল্লাহ্ বলেছেন: এটি অবশ্যই একটি অপরাধ। ধর্মীয় সম্প্রীতি নষ্ট করে। মহানবী হযরত মুহাম্মদ সাঃ মুসলিম ধর্মীয় বিশ্বাসীদের জন্য একটি আবেগ ও ভালবাসার জায়গা। আপনি তাকে যেকোন আম জনতার সাথে তুলনা করতে পারেন না।
©somewhere in net ltd.
১| ০২ রা অক্টোবর, ২০২৪ সকাল ১০:৩৩
জ্যাক স্মিথ বলেছেন: খুবই সময় উপোযাগী ও অসাধারণ একটি পোস্ট, পোস্ট'টি সকলেরই শেয়ার করা উচিৎ।
সময় এসেছে এখন ভারতে আক্রমণ করার, অচিরেই হাদিসের বাণী সত্য প্রমাণ হইবে এবং উপমহাদেশে ইসলামের পতাকা পতপত করে উড়িবেই।