নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

পান্থশালার পথিক

সুমন শাহরিয়ার

সুমন শাহরিয়ার › বিস্তারিত পোস্টঃ

একজন ফিঙ্কেলস্টেইন: জায়নিজমের রক্তচক্ষুতেও সত্যভাষণে ব্জ্রকঠিন

১৪ ই অক্টোবর, ২০২৪ রাত ৯:২৩

Norman Finkelstein.
একজন ইহুদি।
নাৎসি কনসেন্ট্রেশন ক্যাম্পে অত্যাচারিত নিগৃহীত পিতা-মাতার সিন্তান।
তিনি একজন সত্যভাষী, নির্ভীক একাডেমেশিয়ান।
একজন হলোকাস্ট বিশেষজ্ঞ।
একজন অমুসলিম।
কিন্তু তথাকথিত মুসলিম কমিউনিটি,উপসাগরীয় নপুংসক ভোগবাদী, ইসলামের ধ্বজাধারী, জোব্বাপরা, দাড়িওয়ালা মুসলিম রাষ্ট্রের চেয়েও শক্তিশালী, শ্রদ্ধাজাগানিয়া ব্যক্তিত্ব।

ফিলিস্তিন ইস্যুতে একপেশে আপত্তিকর পশ্চিমা ইন্টেলিজেনশিয়ার অসার মিথ্যা বয়ানকে প্রতিনিয়ত ধুলিস্যাৎ করেন বস্তুনিষ্ঠতার দ্বারা, তার ইন্টেলেকচুয়াল একুমেন দ্বারা।

ফ্যাসিজম/জায়নিজম নিয়ে যাদের অল্পবিস্তর আগ্রহ আছে, তারা তার বইগুলো পড়ে দেখতে পারেন।
বিশেষ করে ২০০০ সালে প্রকাশিত The Holocast Industry.
সেখানে তিনি দেখিয়েছেন, কিভাবে নাৎসিদের হলোকাস্টকে জায়নিস্টরা ফিলিস্তিনিদের উপর অমানবিক অত্যাচারের জাস্টিফায়েবল সাইকোলজিক্যাল টুল বা ফ্যাক্টর হিসেবে ব্যাবহার করে।
কিভাবে ফলস ন্যারেটিভ বা বাতিল বয়ান দ্বারা গণমানুষকে বিভ্রান্ত,পথভ্রষ্ট করা হয়।
প্রকৃত ইন্টেলেনশিয়ার কাজ হচ্ছে এই বাতিল বয়ানগুলোকে সনাক্ত করা,ইন্টেলেকচুয়ালি সেগুলোকে বাতিল করা।
হায়ার লেভেলের সত্যপ্রেম হচ্ছে এটাই।

কীভাবে একটা ক্ষমতালোভী অত্যাচারী রেজিম এইসব ফলস ন্যারেটিভ তৈরি করে কিংবা ফলস ও টুইস্টেড ন্যারেটিভ কীভাবে একটা অত্যাচারী দানবীয় রেজিমের জাস্টিফায়েবল ফ্যাক্টর হিসেবে কাজ করে, আমরা তার অতিসাম্প্রতিক বাস্তব সাক্ষী।
দুটোকে মিলিয়ে দেখতে গিয়ে, আমার মনে হল, মানুষকে অত্যাচারের শয়তানি যুক্তি ও পদ্ধতি স্থানকালপাত্র নির্বিশেষে গড়েসড়ে একই।

যাহোক।
Norman Finkelstein এর কিছু অসাধারণ বিতর্কের ভিডিও ক্লিপ আছে ইউটিউবে।
আগ্রহীগণ পরখ করে দেখতে পারেন।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ১৫ ই অক্টোবর, ২০২৪ রাত ২:৩৫

আহরণ বলেছেন: ভাইয়া, আপনি "ফ্যাসিজম/জায়নিজম" নিয়ে বল্লেন বটে! একই ভাবে, সারা বিশ্বের সভ্য সমাজের আতঙ্ক ইসলাম ও ইসলামিজম নিয়ে কিছু বলেন, প্লিজ। ধন্যবাদ।


২| ১৫ ই অক্টোবর, ২০২৪ বিকাল ৩:১০

ধুলো মেঘ বলেছেন: তার এই কাজের কোন ফলাফল নেই। ইহুদীরা হলোকাস্টের শিকার হয়েছে জার্মানদের কাছে - খ্রিস্টানদের কাছে। কিন্তু খ্রিস্টানরা খুব শক্তিশালী। তাই তাদের সাথে লাগতে যাওয়া মানে আত্মহত্যার শামিল। তাই আপাতত প্রতিশোধ নেবার জন্য নিরীহ মুসলিমদের বেছে নিয়েছে, তাদেরকে সন্ত্রাসী তকমা দিচ্ছে, খ্রিস্টানদেরকে তাদের পেছনে লাগিয়ে দিচ্ছে।

মুসলিম আর খ্রিস্টানদের মধ্যে লাগিয়ে এখন মজা নিচ্ছে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.