নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

লিখতে ভালো লাগে তাই লিখি।

সুদীপ কুমার

মন যা চায়।

সুদীপ কুমার › বিস্তারিত পোস্টঃ

অবদানের স্বীকৃতি

০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২১ রাত ৮:৪৬

পৃথ্বি হল রুমে এসে কাউকে পায় না। বেশ অবাক হয়।নিমন্ত্রণ পত্রে সময় দেওয়া আছে বিকাল পাঁচ ঘটিকা।আর এখন চারটা পঁয়তাল্লিশ।হল রুমে কেউ নেই।সে হল রুম থেকে বেরিয়ে আসে।করিডরে এক যুবককে পেয়ে যায়।
-ভাই,আজ এখানে রেনেসাঁ সংগঠনের প্রোগ্রাম আছে না?
-জ্বী ভাই।আমি সংগঠনের লিয়াঁজো কর্মকর্তা।প্রোগ্রামের সময় এক ঘন্টা পিছিয়েছে।ও হ্যাঁ,আমি হাবিব। আপনি?
-আমি পৃথ্বি,এস এন কোম্পানীর এসিস্ট্যান্ট ম্যানেজার।
মিষ্টি হেসে পৃথ্বি হাবিবকে বলে।

-তাহলে পৃথ্বি,তুমি ঠিক সাড়ে চারটায় পল্টনের এই ঠিকানায় পৌঁছে যাবে।যখন লোক সমাবেশ বাড়বে, আমাকে ফোন দিও।আমি চলে আসবো।
কথা শেষ করে,কবির সাহেব পৃথ্বির দিকে নিমন্ত্রণ পত্র এগিয়ে দেন।পৃথ্বি হাতে নিয়ে পত্রটি পড়ে।সমাজে বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিশেষ অবদানের স্বীকৃতি স্বরুপ সন্মাননা পুরুষ্কার প্রদান অনুষ্ঠান।
-এই রেনেসাঁ সংগঠনটি অনেকদিন ধরেই আমার পিছনে লেগে আছে।সংগঠনের নেতা এবার খুব করে ধরেছে।সমাজে বিশেষ অবদানের জন্যে তারা আমাকে পুরুষ্কৃত করতে চায়।
কবির সাহেব বেশ রাস ভারি কন্ঠে পৃথ্বিকে বলে। পৃথ্বি কবির সাহেবের দিকে চেয়ে তেলতেলে হাসি দেয়।
- তুমি একাউন্টসে গিয়ে ত্রিশ হাজার টাকা তুলে নিও।আগামীকাল অনুষ্ঠানে খরচ লাগতে পারে।
কথা শেষ করে কবির সাহেব ত্রিশ হাজার টাকার টোকেন লিখে পৃথ্বিকে ধরিয়ে দিয়ে উঠে দাঁড়ায়।
-আমার কাজ আছে।আমি বেরুলাম।তুমি ক্যাশ ক্লোজ না হওয়া পর্যন্ত অফিস থেকে বেরিয়োনা।
কবির সাহেব উনার রুমে পৃথ্বিকে রেখে চলে যান।
পৃথ্বী, স্যারের ঘরের চারপাশ বসে বসে দেখতে থাকে।ঘরটি অত্যন্ত সুচারুভাবে সাজানো।বিভিন্ন পুরুষ্কারে টেবিল ভর্তি।দেয়ালে বিভিন্ন সংগঠন কর্তৃক প্রদানকৃত বাঁধাইকরা সার্টিফিকেট।কবির সাহেব পোল্ট্রি সেক্টরের একটি বৃহৎ ট্রেডিং কোম্পানীর মালিক।দুটি সন্তানের জনক।দুটি সন্তানই লন্ডনে থাকে।

পাঁচটার পর অনুষ্ঠানস্থলে লোকজন আসতে শুরু করে।ঠিক ছয়টায় পৃথ্বি কবির সাহেবকে ফোন দেয়।
-স্যার,অতিথিগণ চলে এসেছে।আপনি এখন আসতে পারেন।
-অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি কে?
কবির সাহেব জানতে চান।
-একজন ভাষা সৈনিক।মিরপুরে বাসা।
-ঠিক আছে,আমি আসছি।
কবির সাহেব ফোন কেটে দেন।

দীর্ঘ বক্তৃতা পর্ব শেষে শুরু হয় পুরুষ্কার প্রদান অনুষ্ঠান।পুরুষ্কার দেওয়া হয় একজন রাজনীতিবিদকে।যার নামও কোন দিন শুনেনি পৃথ্বি।একজন কবিকে।যার কোন কবিতা কোন মূল ধারার পত্রিকা ছাপেনি।একজন নারীকে।ঘোষকের বর্ণনা মোতাবেক উক্ত নারী নাকি বাংলাদেশের নারী আন্দোলনের পথিকৃৎ।সবার শেষে পুরুষ্কার প্রদান করা হয় কবির সাহেবকে।পৃথ্বি দ্রুত মঞ্চের দিকে এগিয়ে গিয়ে বিভিন্ন অ্যাঙ্গেল থেকে কবির সাহেবের ছবি তোলে।পুরুষ্কার প্রদান শেষ হলে,ঘোষক ঘোষণা দেয় যে ডিনারের ব্যবস্থা দ্বিতীয় তলায়।সবাইকে সেখানে যাবার অনুরোধ করা হয়।আরও জানানো হয়, যাঁরা সন্মানিত হয়েছেন তাদের প্রতিনিধি ডিনার শেষে ঘোষকের সাথে দেখা করে সার্টিফিকেট নিয়ে যায়।
-পৃথ্বি,তুমি ডিনার করে সার্টিফিকেট নিয়ে এসো।আমার আর একটি মিটিং আছে।আমি সেখানে যাচ্ছি।
কবির সাহেব তাঁর পুরুষ্কারটি পৃথ্বির হাতে প্রদান করে চলে যান।

-স্যার, আপনি কবির স্যারের প্রতিনিধি?
ঘোষক প্রশ্ন করেন।
-জ্বী।
পৃথ্বি উত্তর দেয়।
-ত্রিশ হাজার দিন।
সার্টিফিকেট খামে ঢুকিয়ে ঘোষক বলেন।
-মানে?
পৃথ্বি অবাক হয়ে প্রশ্ন করে।
-পুরুষ্কার নিলেন।খরচা-পাতি দেবেন না?
পৃথ্বি কিছুক্ষণ বোবা হয় থাকে।বিষয়টি ঠিক বুঝে উঠতে পারেনা।এরই মধ্যে পুরুষ্কারপ্রাপ্ত কবির প্রতিনিধি ত্রিশ হাজার টাকা জমা দিয়ে সার্টিফিকেট নিয়ে যায়।যাওয়ার সময় পৃথ্বির দিকে চেয়ে মুচকি হাসেন।পৃথ্বি কবির সাহেবকে ফোন দেয়।
-স্যার,এরা ত্রিশ হাজার টাকা চাচ্ছে।
ফোনের অপর প্রান্ত কিছুক্ষণ নিরব হয়ে থাকে।তারপর উত্তর ভেসে আসে।
-পৃথ্বি,এইসব পুরুষ্কার প্রদান অনুষ্ঠানে খরচ করতে হয়।

রুহীগাঁও
০৫/০২/২০২১

মন্তব্য ৬ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২১ রাত ১:০২

রাজীব নুর বলেছেন: গল্পটা বুঝতে পারি নি।

রুহীগাও কোথায়?

০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২১ রাত ৯:০৮

সুদীপ কুমার বলেছেন: দিনাজপুর।

২| ০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২১ দুপুর ১২:০৭

মাসুদুর রহমান (শাওন) বলেছেন: সচরাচর ঘটে যাওয়া ঘটনাই যেন...

০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২১ রাত ৯:০৯

সুদীপ কুমার বলেছেন: ঠিক তাই।

৩| ০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২১ সকাল ৯:৪১

এল গ্যাস্ত্রিকো ডি প্রবলেমো বলেছেন: বাস্তব চিত্র। তবে উপস্থাপন বড়ই সাদামাটা। আরেকটু রঙ ঢং এবং নাটকীয়তা যোগ করলে ভালো হত।

০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২১ রাত ৯:১০

সুদীপ কুমার বলেছেন: সুন্দর মন্তব্য।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.