নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
গোধূলী বেলার আকাশের রঙ বরাবরই তীর্থকে মুগ্ধ করে। তন্ময় হয়ে তীর্থ আকাশের দিকেই চেয়েছিল।
-বসতে পারি?
নারী কন্ঠের শব্দে তীর্থের মগ্নতা কেটে যায়।মেয়েটি অনুমতির অপেক্ষায় থাকে না।তীর্থের পাশে বসে পরে।তীর্থ বিরক্ত হয়েই পাশে চেপে বসে।অন্যরকম একটি গন্ধ তীর্থের নাকে আসে।সে ধরে নেয় নাগেশ্বর চাপার গন্ধ হবে হয়তো।
-বিরক্ত হলেন?
মেয়েটি বলে।তীর্থ উত্তর দেয় না।সে উঠে পরার কথা ভাবে।
-জানেন,আমিও আপনার মত।আমার যখন খুব মন খারাপ হয়,আমিও আকাশ দেখি।
তীর্থ বেশ অবাক হয়।তার মনের কথা মেয়েটি আন্দাজ করে নিয়েছে।আজকের সারা দিনের ঘটনা প্রবাহ ওর মনের উপর খুব চাপ ফেলেছে।সে মেয়েটির প্রতি মনযোগি হয়।
-আমার নাম কনক দ্যুতি।বসবার কোন জায়গা পাচ্ছিলাম না।একমাত্র আপনিই একা একা বসে আছেন দেখে বসতে চাইলাম।কিছু মনে করেননি তো?
-না না।
তীর্থ হেসে উত্তর দেয়।
গল্পে গল্পে বেশ কিছুটা সময় চলে যায়। আঁধার নেমে এলে তীর্থ মেয়েটির কাছ হতে বিদায় নেয়।বাকৃবির ক্যাম্পাস হতে ফেরার সময় আবার তার মনটা খারাপ হয়ে যায়।সেই ছাত্র জীবন হতেই ওর মন খারাপ হলেই ব্রহ্মপুত্রের পারে একা একা বসার অভ্যাস।চাকুরি জীবনে এসেও অভ্যাসের কোন পরিবর্তন হয়।সেই পুরানো বোটানিক্যাল গার্ডেন,সেই নাগেশ্বর চাপা গাছ আর ব্রহ্মপুত্র নদী।বাসায় এসেই ব্যাগ গুছিয়ে ফেলে।খাওয়া-দাওয়া শেষ করে ল্যাপটপ নিয়ে বসে।বসকে রিজাইন লেটার মেইল করে মোবাইল বন্ধ করে শুয়ে পরে।মাঝ রাত্রে তীর্থের ঘুম ভেঙ্গে যায়।নাকে সেই গন্ধ ধাক্কা দেয়।রুপার মুখটা মনে পরে।কতদিন দেখেনি রুপাকে।রুপার কথা ভাবতে ভাবতে আবার ঘুমিয়ে পরে তীর্থ।
ট্রেনে উঠে ময়মনসিংহ শহরকে মনে মনে বিদায় জানায়।ঢাকায় পৌঁছে ঝুটনের বাসায় উঠে।ঝুটনের অফিসেই ওর নতুন চাকুরি হয়েছে।অফিসের প্রথম দিনই ওর এই নতুন চাকুরি ভাল লেগে যায়।ঝুটনের বাসায় বেশ কিছুদিন থাকার পর সিদ্ধেশ্বরী মন্দিরের পাশে বাসা ভাড়া নেয়।
নাইট ক্লাব থেকে বেরিয়ে উজ্জলকে বিদায় জানায় কনক দ্যুতি। উজ্জল অবশ্য ওর গাড়িতে দ্যুতিকে বাসায় পৌঁছে দিতে চেয়েছিল।দ্যুতি রাজি হয় নি।আসলে গুলশানের নীরব রাস্তায় দ্যুতি হাঁটতে চেয়েছিল।রাস্তা ফাঁকা বলে মাঝ রাস্তা দিয়েই সে হাঁটতে শুরু করে।
মোবাইল বেজেই চলেছে।এমন বিশেষ মুহূর্তে কারই বা মোবাইল ধরতে ইচ্ছা করে।তবুও ধরে। উজ্জলের উত্তেজনা শিথিল হয়ে যায়।
-কি হলো ডার্লিং?
আদুরে গলায় প্রভা বলে।
-কনক দ্যুতির এক্সিডেন্ট হয়েছে।বাঁচবে না।
-খুব মন্দ খবর।তোমার দুধ দেওয়া গরু মারা যাচ্ছে।
প্রভা বলে।
উজ্জল প্রভার শরীর থেকে নেমে বাথরুমের দিকে যায়।
(চলবে)
©somewhere in net ltd.
১| ১৬ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ১০:০৯
রাজীব নুর বলেছেন: আপনার এই পোষ্ট পড়ে আমার মধ্যে ভাব এসেছে। আগামীকাল সকালে আমি বের হবো। কোথায় যাব জানি না।কিন্তু বের হবো।