নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
দিনগুলির হয়তো পাখা আছে।তাই দ্রুতই চলে যায়।রোমান্টিক যে স্বপ্ন নিয়ে বিয়ের পিঁড়িতে বসেছিল তা স্বপ্নই থেকে যায় প্রিয়তির কাছে।নিলয় কোনদিন মুখ দিয়ে বলেনি ভালোবাসি।স্বামী হয়তো স্বামীই।প্রেমিক নয়।তবে নিলয় অত্যন্ত দায়িত্ববান।সব সময় প্রিয়তির প্রতি খেয়াল রাখে।
কিছুদিন যাবৎ প্রিয়তির সন্দেহ হচ্ছিল রিনাকে নিয়ে।আর যা ভেবেছিল তাই বাহির হতে ঘরে ঢুকেই হতভম্ব হয়ে যায় প্রিয়তি।রিনা আর নিলয় সঙ্গমে লিপ্ত ওর বিছানায়।যে বিছানায় নিলয় আর প্রিয়তির জন্যে বাসর সাজানো হয়েছিল।নিলয় আর রিনা প্রিয়তিকে দেখে নির্বিকার ভাবে। প্রিয়তি ঠায় দাঁড়িয়ে থাকে।রিনার চোখে চোখ আটকে যায়।প্রিয়তি সম্মোহিত হয়ে পড়ে ঘটনায়।নিলয়কে আস্তে আস্তে ডাকে প্রিয়তি।
-কি হলো?
নিলয় ঘুম জড়ানো গলায় প্রশ্ন করে।
-তোমাকে নিয়ে খুব খারাপ স্বপ্ন দেখলাম।
নিলয় প্রিয়তিকে বুকের মধ্যে টেনে নেয়।
-কি স্বপ্ন?
-বলা যাবেনা।
নিলয় খুব জোড়ে বুকে চেপে ধরে প্রিয়তিকে।কপালে চুমু দেয়।
-উফঃ দম আটকে যাবে যে।আস্তে।আচ্ছা তুমি আমায় ভালোবাস?
-কেন ভালোবাসবোনা বলো?
-কই তুমি তো কোনদিন বললেনা আমাকে, ভালোবাসি তোমায়।
-মুখে না বললে বুঝি ভালোবাসা হয়না?
-কই তুমি তো কোনদিন একটা চিঠি লিখলেনা আমাকে?
-এখন কি চিঠি লিখার যুগ?
-আমার না খুব শখ ছিল,আমার বর আমাকে সুন্দর সুন্দর প্রেমের চিঠি দেবে।
প্রিয়তির কথায় নিলয় হেসে ফেলে।প্রিয়তির বুকে মুখ গুঁজে দেয় নিলয়।প্রিয়তি বুঝতে পারে নিলয় ঘুমিয়ে গিয়েছে আবার।তার ঘুম আসেনা।কি লিখেছিল সজল ওই চিঠিতে,প্রিয়তি কোনদিন জানতে পারবেনা আর ।সোজা বাড়িতে এসে চিঠি মায়ের হাতে দিয়ে দিয়েছিল।
কঙ্কা মুখের সামনে সেই কখন থেকে ট্যাব ধরে আছে।কমল যে ওর পাশে আছে সেই দিকে হুঁসই নেই।
-আমি তো একটা মানুষ, না কি?
কমল বেশ রাগত স্বরে বলে।
কঙ্কা ট্যাব রেখে দেয়।চশমা খুলে বালিশের পাশে রাখে।
-বাড়িতে ফিরে কথা বলার কোন সময়ই নেই তোমার।যখনই সময় পাও শুধু ফেসবুক আর ফেসবুক।কি আছে ওই ফেসবুকে?
-আস্তে।ছেলের ঘুম ভেঙ্গে যাবে।
রাগে গজগজ করতে থাকে কমল।কঙ্কার বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেক কথাই এখন কমলের কানে আসে।যদিও কান কথা কমল বিশ্বাস করেনা।তবে ওসব শোনার পর মনটা খুব খারাপ হয়ে যায় কমলের।কঙ্কাকে এসব নিয়ে প্রশ্ন করতে কমলের ব্যক্তিত্বে বাধে।
-এখনতো ঘুমাবে?
কমল ঝাঁঝালো স্বরে বলে।
কমলের রাগ দেখে কঙ্কা হাসে।কমলকে বুকে টেনে নেয়।কমলের দুর্বলতা কঙ্কা ভাল ভাবেই জানে।কিছুক্ষণের মধ্যে কমল নাক ডাকতে শুরু করে।কঙ্কা আবার ফেসবুকে ঢুকে।অদ্ভুত এক সংযোগকারী এই ফেসবুক।পুরানো চরিত্রগুলি আবার নতুন ভাবে ওর কাছে ফিরে আসে।
-ঘুমিয়ে পড়েছো বন্ধু।
ম্যাসেঞ্জারে লেখে কঙ্কা।
-না এতো তাড়িতাড়ি ঘুমাইনা আমি।
উত্তর আসে।
-কি কর?
-লিখছি।
-কি লিখছো? কবিতা?
-না গল্প।
-ঠিক আছে বন্ধু লিখ।ডিস্টার্ব না করি।
-ঠিক আছে।
নিলয় একটি ফুলের ছবি পাঠায় কঙ্কাকে।
১ম পর্ব (Click This Link)
২য় পর্ব (Click This Link)
৩য় পর্ব (Click This Link)
৪র্থ পর্ব (Click This Link)
৫ ম পর্ব (Click This Link)
৬ ষ্ঠ পর্ব (Click This Link)
৭ ম পর্ব (Click This Link)
৮ ম পর্ব (Click This Link)
৯ ম পর্ব (Click This Link)
১০ ম পর্ব (Click This Link
জানুয়ারী টু ফেব্রুয়ারী,২০১৯
০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ রাত ১১:৫৬
সুদীপ কুমার বলেছেন: হা হা হা.....
©somewhere in net ltd.
১| ০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ সকাল ৮:১৭
রাজীব নুর বলেছেন: দারুন প্রেম ভালোবাসা ময়।