নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
প্রিয়তির আজ আনন্দের সীমা নেই।প্রায় দুই বছর পর ও সবার সাথে দাদুর বাড়িতে বেড়াতে যাচ্ছে।দাদুর বাড়ী ওর প্রিয় একটি স্থান ।মামা-মাসি আর পাড়ার এক দল ছেলে-মেয়ে নিয়ে হই-হোল্লড় করার জায়গা হলো দাদুর বাড়ি।অবশ্য এখন ও অনেক বড় হয়ে গিয়েছে।নিজেকে গুঁটিয়ে নিতে হয়েছে কত।এখন ও ছেলেদের চোখের ভাষা পড়তে পারে।ও এখন জেনে গিয়েছে ও আর ছোট নেই। দাদুর বাড়ি মানেই হলো ছোট্ট সেই নদী।সরিষার ক্ষেত।ঠাকুর বাড়ির ঘন্টার ধ্বনি আর দাদুর হুঁকো টানার গুড় গুড় শব্দ।ওর একটি জিনিস ভাবলে খুব মজা লাগে তা হলো টেপীর ভাবার দে…..এ……দে….এ এক ঘেঁয়ে একটানা সুর।টেপীর বাবা ফুলশোলার কারিগর।ফুলশোলা দিয়ে বিয়ের টোপর,ফুল,পাখি তৈরী করে হাটে হাটে বিক্রি করে।দুপুর বেলায় সবাই যখন বিশ্রামে যেতো ঠিক তখন টেপীর বাবা কাজে বসতো।বাড়ির পিছনে বাঁশ ঝাড়ে বাতাসের অদ্ভুদ শব্দ আর টেপীর বাবার সেই সুর দে…….এ……দে…….এ…….দে মিলেমিশে অন্য এক জগতের সৃস্টি হতো।সেই জগতে টেপী থাকতো,মাটির খেলনা থাকতো আর থাকতো সুশীলা,টেপীর সুন্দরী দিদি।গরীবের ঘরের মেয়ের যা হয়।একটু বর হলেই বিয়ে।একদিন জানতে পারলো সুশীলাকে ওর বর মেরে ফেলেছে।প্রিয়তি ওর মাকে প্রশ্ন করেছিল,কেন সুশীলাকে ওর বর মেরে ফেললো?ওর বর কি ওকে ভালোবাসতোনা?মা বলেছিল,মারে বিয়ে করলেই কি ভালোবাসা হয়?এত বছর ঘর করেও ভালোবাসা কি জিনিস বুঝতে পারলামনা।প্রিয়তি ওর মায়ের দিকে অবাক চোখে তাকিয়েছিল।মা কেমন উদাস মুখে নিয়ে সামনের দিকে চাইলে প্রিয়তি আর কোন প্রশ্ন করেনি।আজ এই ষোল বছরের জীবনে এসে ওর কাউকে খুব ভালোবাসতে ইচ্ছা করে।কিন্তু সাহসে একদম কুলোয়না।পড়তে গেলে বাবা কিম্বা কাকাদের কেউ না কেউ সাথে থাকে।কলেজে যাওয়া আসার সময়ও একই অবস্থা।
দাদুর বাড়িতে পৌঁছাতে ওদের সন্ধ্যা লেগে যায়।এত দূরের পথ।বাড়ির খোলার উপর দিয়ে যখন ওরা হেঁটে আসছিল তখন মোল্লা দাদুর সাথে ওদের দেখা হয়।
-আরে প্রিয়তি মা! কত বড় হয়ে গিয়েছো তুমি?জামাই ভালো আছো?
মোল্লা দাদুর প্রশ্নের উত্তরে প্রিয়তির বাবা মাথা নেড়ে জানায় ভালো আছে।
মোল্লা দাদু ওর দাদুর বাড়ির বান্দা কামলা।নাম আইচান মোল্লা।সবাই মোল্লা দাদু বলে।প্রিয়তি ছোটবেলা হতে মোল্লা দাদুকে একই রকম দেখছে।ছোট-খাটো, টারজানের মত দেহ।সকাল হতে সন্ধ্যা বাড়ির সকল কাজে মোল্লা দাদু আছে।মোল্লা দাদুর খাবারও তেমন।বিশাল এক গামলা ভর্তি ভাত, দুটি মরিচ আর লবণ,সাথে সরিষার তেল।তরকারি কখনও দেখেছে কিনা,প্রিয়তি মনে করতে পারেনা।
আইচান মোল্লা এগিয়ে গিয়ে প্রিয়তির বাবার হাত হতে ব্যাগ দুটি নিয়ে বাড়ির ভেতরে যায়।প্রিয়তিকে দেখেই ওর দিদা এসে জড়িয়ে ধরে।চুমু খায় গালে।দিদার গায়ের গন্ধটা সব সময় অন্যরকম।কেমন মায়া জড়ানো গন্ধ।ওদের আসার খবর পেয়ে টেপীও চলে আসে।
-প্রিয়তি মা,এই বঠিটা টেপীদের বাসায় দিয়ে আয়তো,ওর বাবাকে বলিস ভালো ভাবে ধার করে দিতে।
মামি প্রিয়তির হাতে বঠি ধরিয়ে দেয়
প্রিয়তি বঠি নিয়ে টেপীদের বাসার দিকে হাঁটতে থাকে।রঞ্জিতদের বাড়ির সিঁড়িতে রঞ্জিত আর নিলয়কে বসে থাকতে দেখে। নিলয়ও ওর মামার বাড়িতে বেড়াতে এসেছে।প্রিয়তি জানে নিলয় বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ে।ওদের পার হবার সময় ভাবে এই সুন্দর ছেলেটা যদি ওর বর হতো।ওই দিনই বিকেলে প্রিয়তি আবার ওই রাস্তা দিয়ে যায় কিন্তু নিলয়কে দেখতে পায়না।আচমকা প্রিয়তির মনটা খারাপ হয়ে যায়। রাত্রে বাঁশির খুব সুন্দর আওয়াজ পাওয়া যায়।টেপীকে প্রশ্ন করলে টেপী জানায় নিলয় বাঁশী বাজাচ্ছে।
১ম পর্ব (Click This Link)
২য় পর্ব (Click This Link)
৩য় পর্ব (Click This Link)
৪র্থ পর্ব (Click This Link)
চলবে……….
২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ১২:৫১
সুদীপ কুমার বলেছেন: দুর্বল হতে পারে লেখনীর কারণে।তবে প্রতিটি ঘটনা সত্য।
২| ২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ১:৩৪
মাহমুদুর রহমান সুজন বলেছেন: এই পর্বে এসে আগের সেই ট্রামটা ধরে রাখতে পারেন নি। যাই হোক গল্প লিখার ধরণ একেক জনের একেক রকম। লিখতে থাকুন। দেখা যাইক কোথায় গিয়ে থামে।
২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ১২:৪৮
সুদীপ কুমার বলেছেন: দেখা যাক কোথা গিয়ে থামে।
©somewhere in net ltd.
১| ২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ১২:৪১
রাজীব নুর বলেছেন: বড্ড দুর্বল লেখা।