নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

লিখতে ভালো লাগে তাই লিখি।

সুদীপ কুমার

মন যা চায়।

সুদীপ কুমার › বিস্তারিত পোস্টঃ

প্রেম তবু প্রেম নয় (২য় অংশ)

২০ শে জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ১২:৩৯


প্রিয়তির সময় আর কাটতে চায়না।আজ নিলয় আসবে।আগামীকাল ওদের বিবাহ বার্ষিকী।দেখতে দেখতে চৌদ্দ বছর পেরিয়ে এলো ওরা।সুখের সংসারই ওর.প্রিয়তি ভাবে।শুধু অর্থনৈতিক টানা পোড়ান ছাড়া।দুই দুটি কন্যা সন্তানের পিতা-মাতা ওরা।কন্যাদ্বয়ের বিয়ের কথা চিন্তা করলেই ওর টেনশন বেড়ে যায়।না আছে সঞ্চয় না আছে সম্পত্তি।বিয়ের পর যা জানতে পেরেছে তা হলো শ্বশুর মশাইয়ের চিকিৎসা করাতে গিয়ে সকল সম্পত্তি বিক্রয় করতে হয়েছে।মেয়ে দুটি খুব লাফাচ্ছে বাবা আসার খবর পেয়ে।প্রিয়তিরও ইচ্ছা হয় মেয়েদের মত উচ্ছাস প্রকাশ করতে।কিন্তু প্রকাশ করেনা পাছে শাশুড়ি দেখে ফেলে।এই যে বিয়ের এত বছর হলো তবুও বিয়ের দিনের সব কথা হুবহু মনে আছে ওর।এমনকি ওকে যখন দেখতে এসেছিল নিলয়।অবশ্য সেটিই প্রথম দেখা ছিলনা ওদের।প্রিয়তির সাথে নিলয়ের প্রথম দেখা হয় ওদের দাদুর বাড়িতে।নিলয় বসে ছিল বাড়ির বারান্দায়।নিলয়ের তখন গোঁপ ছিল।নিলয়কে দেখে ওর মনে হয়েছিল,-ইস এই ছেলেটির সাথে যদি ওর বিয়ে হতো!ঈশ্বর মনে হয় সেদিন ওর কথা শুনে রেখেছিলেন।তা না হলে নিলয়ের সাথে ওর বিয়ে হবে কেন?

-দেখতে দেখতে চৌদ্দ বছর হয়ে গেলো?
নিলয় বলে।
প্রিয়তি অনুভব করে নিলয়ের হাত ওর মসৃণ নাভিতে ঘুরছে।
-হু।
প্রিয়তির উত্তর শুনে নিলয় ওর গালে চুমু খায়।
-আমার আর দূরে থাকতে ভালো লাগেনা।
কাতর আর আদুরে গলায় প্রিয়তি বলে।
-আচ্ছা আমাকে প্রথম যখন দেখলে তখন তোমার বিয়ে করতে ইচ্ছে হয়েছিল কেন?প্রেম করতে নয় কেন?
-জানিনা।হয়তো পারিবারিক অনুশাসন।
নিলয় আর কথা বাড়ায়না।প্রগাঢ় চুম্বনে সিক্ত করে প্রিয়তিকে।নিলয় বুঝতে পারে প্রিয়তির শরীর জেগে উঠছে।

কিভাবে যে দুটি দিন কেটে যায় প্রিয়তি টেরই পায়না।প্রতিবারই ওর এমন হয়।এই বয়সেও নিলয় চলে যাওয়ার সময় ওর কান্না পায়।অবশ্য মেয়েদের সামনে ও প্রকাশ করেনা ওর আবেগ।

সারাদিন অনেকটা যন্ত্রের মতই কাজ করে।বড় মেয়েকে সকাল সাড়ে ছয়টায় শিক্ষকের বাসায় পড়তে দিয়ে আসা।ছোটটাকে স্কুলে নিয়ে যাওয়া, নিয়ে আসা।রান্না-বান্না আর ঘর গোছানোর মধ্যেই দিন শেষ হয়ে যায়।দিনের পর দিন একই রুটিন।কোন ব্যতিক্রম নেই।কোন ছুটি নেই।প্রিয়তির ছোট বেলার কথা মনে পড়ে।ভাবে সেই ছোট্ট বেলা হতে শুনে এসেছে ওর খুব ভাল ঘরে বিয়ে হবে।বর ওকে খুব ভালোবাসবে।আর তখন থেকেই এই স্বপ্ন নিয়েই বড় হয়ে উঠেছে।হ্যাঁ ও জানে নিলয় ওকে ভালোবাসে।তবু মনে হয় কোথাও কি যেন একটা নেই।কিছু একটা ঘাটতি যেন জীবনের কোথাও রয়ে গিয়েছে।

খবরটা শোনার পর থেকেই প্রিয়তির বুকের ভেতর ধরফড় করা শুরু করে।ছোট ভাই ফোন করে জানালো নিলয় কোথাও এফ্যায়ারে জড়িয়েছে।রাত বারোটার পর ফোনে অনেকক্ষণ কোন মেয়ের সাথে কথা বলে।প্রিয়তি ঠিক করে আজ রাতে ফোন দিয়ে নিশ্চিত হবে।নিলয়ের ফোন এনগেজ থাকলে যা জানার জেনে যাবে। ঠিক বারোটা পাঁচে ফোন দেয়।নিলয়ের ফোন বিজি।প্রিয়তির বুকের মধ্যে ধকধক করতে থাকে।কান্না পায়।দশ মিনিট পর আবার ফোন দেয়।বিজি।বারবার বিজি শো করে।প্রিয়তির শ্বাসকষ্ট হয়।কিছু একটা দলা পাকিয়ে ওঠে গলার ভেতর।
-মা মা,কি হলো?তুমি এমন করছো কেন?
প্রিয়তির ঘুম ভেঙ্গে যায় বড় মেয়ের ধাক্কায়।
-কেমন করছি?
-তোমার মনে হয় নিঃশ্বাস নিতে কষ্ট হচ্ছিল।কেমন যেন গোঁ গোঁ করছিলে।
-মনে হয় শোয়া ঠিক ছিলনা।ঘুমো তুই।
বড় মেয়ে শুয়ে পড়ে।প্রিয়তি বিছানা থেকে উঠে বাথরুমে যায়।ও বেশ ঘেমে উঠেছে।ওর কেবলই মনে হতে থাকে এমন অদ্ভুদ স্বপ্ন কেন দেখলো সে।নিজের কাছে নিজেকে খুব ছোট মনে হয়।

১ম পর্ব (Click This Link)

চলবে..

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ২০ শে জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ১২:৫৫

মা.হাসান বলেছেন: মন খারাপ করিয়ে দিলেন। আশা করি শেষটা এত কঠোর হবে না।

২২ শে জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ১:৩১

সুদীপ কুমার বলেছেন: আমিও তো এখনও জানিনা শেষে কি হবে?

২| ২০ শে জানুয়ারি, ২০১৯ সকাল ৭:৪৪

রাজীব নুর বলেছেন: যারা প্রেম করে শেষ পর্যন্য বিয়ের পিড়িতে বসতে পারে তারা ভাগ্যবান।

২২ শে জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ১:৩২

সুদীপ কুমার বলেছেন: অভিজ্ঞতা আছে নাকি?

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.