নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
-তোমাকে ছাড়া আমার থাকতেই ইচ্ছা করেনা
-তবে এই এক মাস কোথায় ছিলে?
রিতীকার কথার প্রতি উত্তর দেয় আজাদ।
-আসলে আমি জরুরী কাজে কুমিল্লায় গিয়েছিলাম।
-কুমিল্লার কোথায় তোমাদের বাড়ি?
-বুড়িচং।
-বুড়িচং হতে ইন্ডিয়ার বর্ডার খুব কাছে।
আজাদ বলে।
-হ্যাঁ।তুমি বুড়িচং গিয়েছো?
-অনেকবার।
-ওসব কথা থাক।অনেকদিন তোমার আদর খাইনা।এসো আদর করো।
রিতীকা উর্ণা ফেলে সরে আসে আজাদের কাছে।
-আজ থাক।মনটা ভালো নেই।
আজাদ বলে।
-আমাকে জড়িয়ে ধর তোমার মন ভাল হয়ে যাবে।
-রিতীকা,রিটু কোথায়?
-দেখো ওসব ফালতু কথা রাখো।
এই কথা বলে রিতীকা সেমিজ আর ব্রা খুলে ফেলে।
-রিতীকা আজ নাহয় থাক।
দুর্বল গলায় আজাদ বলে।
রিতীকা হাসতে হাসতে আজাদের লুঙ্গীর গিট খুলে দেয়।
(৪)
সকাল সাতটা।কুয়াশা ঘিরে রেখেছে স্থানটিকে।তারেক গাড়ি থেকে নেমে আসে।আজ খুব ঠান্ডা পড়েছে।এই সকালেই বেশ কিছু আবাল জুটেছে,-তারেক মনেমনে আওড়ায়।
-ইষ্টার্ণ হাউজিং এর এই স্থানটা এমন ভুতড়ে কেন বাবর সাব?
তারেকের কথায় বাবর সাহেব পিছিয়ে আসে।
-স্যার এখনতো কিছু বিল্ডিং চোখে পড়ছে।আগে তো পুরোই জনমানবহীন ছিল।রেগুলার লাশ পড়তো এখানে।
কথা বলতে বলতে তারেক আর বাবর লাশের কাছে আসে।
-পিটিয়েছে দেখছি।
তারেক ভালভাবে লাশ দেখে বলে।
-জ্বি স্যার।
-লাশের ছবি তোলা শেষ হলে ঢাকা মেডিক্যালে পাঠিয়ে দেন।
বাবর সাহেবকে নির্দেশ দিয়ে তারেক স্থানীয়দের সাথে কথা বলা শুরু করে।
-বাবর সাহেব আগের কেসের খবর কি?
-কোন খবর নেই।
-মিসিং কেস হতে কোন তথ্য পাওয়া গেল?
-না স্যার।
এই সময় অখিল ভৌমিক বেশ উত্তেজিতভাবে একটা ফাইল নিয়ে এগিয়ে আসে ওদের দিকে।
-স্যার মিরপুর থানার একটি মিসিং কেসের সাথে গতকালের কেসের মিল পাওয়া গিয়েছে।
এই কথা বলে অখিল বাবু ফাইল মেলে ধরে তারেকের সামনে।তারেক এক নিঃশ্বাসে ফাইল পড়ে নেয়। তারপর কিছুক্ষণ শূণ্যে চেয়ে থাকে।
-বাবর সাহেব পাইক পাড়ায় খবর দিন।
-হেলাল সাহেব,আপনার বোনজামাই কতদিন ধরে নিখোঁজ?
-চারদিন ধরে।চারদিন আগে দুপুরে উনার ব্যাবসা প্রতিষ্ঠান হতে বেরিয়ে আর বাসায় ফিরেনি।
তারেক সব তথ্যই যাচাই-বাছাই করে।হেলাল চলে যাবার পর বাবর সাহেবকে ডেকে পাঠায়।
-লোকেশন ট্র্যাকিং হয়েছে?কল লিস্ট,লাস্ট কল?
-সব আপনার নির্দেশ মোতাবেক হয়েছে স্যার।
-সোর্স কি বলে?
-কল্যাণপুরের ১০ নম্বর রোডের ১ নম্বর বাসার চারতলার দ্বিতীয় দরজা।
-দুইজন লেডি কনস্টেবল রেডি?
-রেডি স্যার।
-আজ রাত তিনটায়।
অখিল বাবু বেদম পিটাতে শুরু করেন আর অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ দিয়ে যান।
-এই মাদারচোদ বল কয়জন ছিলি তোরা?
রাজু টর্চার সহ্য করতে পারেনা।ভেঙ্গে পড়ে।
(৫)
ঠিক মাঝ পথে দরজায় প্রচন্ড আওয়াজ হয়।ছিটকিনি দুর্বল থাকায় দরজা খুলে যায়।ঘরে রিটু আর ওর আব্বা ঢুকে পড়ে।আজাদ ঝটপট লুঙ্গী পড়ার চেষ্টা করে।রিটুর আব্বা আজাদকে লাথি মেরে লুঙ্গী কেড়ে নেয়।
-এই মাদারচোদ মাগী চুদবা আবার লজ্জাও পাবা?
রিটুর আব্বার কথা শুনে আজাদের মনে হতে থাকে ও বুঝি দুঃস্বপ্ন দেখছে।রিটু ফটাফট মোবাইলে ছবি তোলে।ছবি তোলা শেষ হলে রিতীকা জামা কাপড় পড়ে নেয়।
-চাচা পান এনেছো?
রিতীকা প্রশ্ন করে।
আজাদ একবার রিতীকার মুখের দিকে চায় একবার ওদের কথিত আব্বার দিকে চায়।পরেরদিন দুপুরে দু’ লক্ষ টাকা এনে ওদের হাতে দেয়।
-আজাদ সাহেব আপনি ঢাকায় কতদিন?
তারেক নিরস গলায় প্রশ্ন করে।
-এক বছর।
আজাদ বলে।
-ছেলে মেয়ে কয়জন।
-দুইটা।
-এই পথে পা দিলেন কেন?
তারেকের কথায় আজাদ কোন উত্তর করেনা।ওর ছোট বেলার কথা মনে হতে থাকে।আজাদের মামা কোন সমস্যায় পড়লে ইয়ার্কি মেরে বলতো,গরু হারালে তাই হয় মারো।এই কথা মনে হওয়া মাত্র আজাদ হো হো করে হেসে উঠে।তারেক আজাদের চোখের দিকে ঠান্ডা ভাবে তাকিয়ে থাকে।
-এখানে হাসির কিছু ঘটেছে?
তারেক প্রশ্ন করে।
-গরু বেঁধে রেখেছিলাম ছুটলো কেমন করে?
আজাদ প্রশ্ন করে।
-আপনার টয়লেট কষা নাকি?
তারেক পাল্টা প্রশ্ন করে।
প্রথম পর্ব(Click This Link)
দ্বিতীয় পর্ব (Click This Link)
চলবে.......
১৫ ই অক্টোবর, ২০১৮ রাত ১১:১৩
সুদীপ কুমার বলেছেন: সত্যিইতো,কই?
©somewhere in net ltd.
১| ১৫ ই অক্টোবর, ২০১৮ সকাল ৮:১২
রাজীব নুর বলেছেন: ফাঁদ টা কই?