নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
মদনের মাঠটি অনেক ছোট হয়ে গিয়েছে,কিম্বা আমি বড় হয়ে গিয়েছি
ছোট্ট ছোট্ট বালকদল খেলছে,যেমনটি আমরা খেলতাম অনেকদিন আগে।
সবকিছুই আছে চারপাশে।তবে নতুন কিছু স্থাপনা মাথা উঁচিয়ে উঁকি মারছে
তবুও কি যেন নেই।কিছু যেন হারিয়ে গিয়েছে আর আমি খুঁজছি তাই এখানে।
খুব ছোট কালে যখন ছোট পুকুরপাড়ে মাছ ধরতাম চুরি করে-
ভাবতাম মাছগুলি এতো বোকা কেন?-টপ ফেললেই গিলে খায়
নিজেদের মৃত্যু কেন ডেকে আনে বোকার মতন?
মদন লাঠি নিয়ে তেড়ে আসতো-ওই মাছ ধরিস না
আর আমরা মদন এলো মদন এলো বলে দিতাম দৌড়।
ওতো বয়ষ্ক মানুষ (ছিল জমিদারের নাতি)আমরা সবাই নাম ধরে ডাকতাম
একদিন সেই মদন কোথায় যেন চলে গেলো…….
মদনের মাঠটি কিছু বলতে চাইছে আমাকে।আমি বুঝবার চেষ্টা করি
আমার মনে হলো বলছে সে-ওই দেখো ওই পুরনো বাড়িটি দেখো
দরজাটি এখনো খোলা আগের মতন।আর একটি কিশোর দরজায়-হাফ প্যান্ট পড়া
পিছনে তার পলেস্তার খসা জমিদার বাড়ি।
সময়কে মুঠোয় পেতে খুব ইচ্ছা করে আমার।আমি শূণ্যে হাত চালাই-সময়কে ধরবো বলে
সময় পালিয়ে যায় রেখে যায় তার চিহ্ন মনোজগতে……
আমি দৌড়ে যাই বাবার দিকে-বাজারের ব্যাগ ধরতে
গরমে বাবা দরদর করে ঘামছে
আমিও কি ঘামছি?তবে জল কেন আমার গালে?
আমি কি খুঁজছি আমার বাবাকে?হয়তো আজীবন খুঁজবো
আমার মৃত বাবাকে-মনে মনে
আর মদনের মাঠটি সাক্ষী হয়ে রইবে আমার মানব জনমের।
মাছগুলি ছুটছে পুকুরের শান্ত জলে-তারা ছুটুক তাদের মতন করে……..
০৮/১০/২০১৮
০৯ ই অক্টোবর, ২০১৮ রাত ৮:৫১
সুদীপ কুমার বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই।তবে এই লেখার মূল উপজীব্য কি কৈশোর?
২| ০৯ ই অক্টোবর, ২০১৮ রাত ১:২২
মেহেদী হাসান হাসিব বলেছেন: উপলব্ধি করলাম লেখাটি। মানুষের জীবনে সময়ের ধুলোয় অনেককিছু জমে যায়। সেগুল আর ধুলো থেকে তুলে আনা যায় না।
০৯ ই অক্টোবর, ২০১৮ রাত ৮:৫২
সুদীপ কুমার বলেছেন: খুব ভালো লাগলো আপনার মন্তব্য।
৩| ০৯ ই অক্টোবর, ২০১৮ সকাল ১০:০০
বিজন রয় বলেছেন: স্মৃতিকাতর হলাম!
+++
০৯ ই অক্টোবর, ২০১৮ রাত ৮:৫৩
সুদীপ কুমার বলেছেন: ভালোলাগা জানালাম।
৪| ০৯ ই অক্টোবর, ২০১৮ রাত ৮:৫৯
রাজীব নুর বলেছেন: খুব সুন্দর।
০৯ ই অক্টোবর, ২০১৮ রাত ৯:২১
সুদীপ কুমার বলেছেন: ভালোলাগা জানালাম।
©somewhere in net ltd.
১| ০৯ ই অক্টোবর, ২০১৮ রাত ১২:২৬
শাহিন-৯৯ বলেছেন:
মদন নামের রুপক নাম দিয়ে আপনি দুরন্ত কৈশোরের যে ছবি তুলে ধরেছেন তা এককথায় চমৎকার।