নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

লিখতে ভালো লাগে তাই লিখি।

সুদীপ কুমার

মন যা চায়।

সুদীপ কুমার › বিস্তারিত পোস্টঃ

অসমাপ্ত গল্প

০৪ ঠা মে, ২০১৮ রাত ৯:৩২





জিহাদ প্লাস্টিকের কয়েনটা হাতে নেয়।আর এগিয়ে দেয় ছেলেটার দিকে।চায়ের কাপ হাতে নিয়ে সরে আসে।ভীড় এড়িয়ে ফাঁকা জায়গায় দাঁড়ায়।অন্যমনস্ক ছিলো হয়তো,তাই জিহাদের জিহ্বায় ছেঁকা লাগে।এক চুমুক দিয়ে জিহাদ সামনে তাকায়।বেশ বড় বড় দুটি চোখে জিহাদের চোখ আটকে যায়।জিহাদ চোখ সরিয়ে নেয়।আজ শুক্রবার আনারকলি মার্কেটে বেশ ভীড়।আর চায়ের দোকানে মেয়েদের ভীড়টা একটু বেশীই।সামনে এগিয়ে আসা মেয়াটার বুকের দিকে তাকায়।অত্যন্ত সুন্দর মেয়েটির বুক।বোঝাই যায় শরীরের প্রতি মেয়েটি যত্মশীল।মেয়েটি স্মার্টভাবে হেঁটে চলে যায়।মনে মনে প্রশংসা করে মেয়েটির।জিহাদের চোখ আবার সামনে দাঁড়ানো মেয়েটির বড় বড় চোখে আটকে যায়।এবার জিহাদ চোখ সরিয়ে নেয়না।জিহাদ বুঝতে পারে মেয়েটি তাকেই দেখছিল।জিহাদের চোখ হতে মেয়েটি চোখ নামিয়ে নেয়।জিহাদ মেয়েটিকে মাপতে থাকে।মোটামুটি ধরণের।একটু মোটা।তেমন আকর্ষণ বোধ করেনা সে।চা শেষ করে সিদ্ধেশ্বরী মন্দিরের পাশ দিয়ে হাঁটা ধরে।

-তোমরা গ্রামটিকে ভালোভাবে ঘিরে ফেলবে।কোন পুরুষ যেন না বাঁচে।
মেজর ব্রিফিং করে।তারপর অদ্ভুদ ভাবে হাসে আর বলে
-অবশ্য মেয়েদের আদর করা যেতেই পারে।বাঙালি মেয়েদের স্বাদ তোমরা নিও।
সেনাদের ভেতর হাসির হল্লোড় উঠে।
শেষ রাতের দিকে জিহাদরা গ্রামটি ঘিরে ফেলে।অচেনা মানুষ দেখে কুকুরগুলি তারস্বরে চেঁচিয়ে উঠে।জিহাদ কয়েকটার দিকে গুলি ছুঁড়ে।ঘেউ ঘেউ থেমে যায়।বাড়ি বাড়ি ঘুরে বাঙালি পুরুষদের ধরে এনে নদীর ধারে জড়ো করে জিহাদরা।
-জিহাদ,ক্যাপ্টেনকে দেখছি না?অনেক বেলা হলো।অপারেশন শেষ করতে হবে।
আমজাদ জিহাদকে জিজ্ঞাসা করে।
-আমি গ্রামের ভেতর দেখে আসছি,স্যার।
ক্যাপ্টেনসাব আর তিনজন সৈন্য মিলে জনা পাঁচেক মেয়ে ধরে এনে একটা বাড়িতে একত্রিত করেছে।ক্যাপ্টেন চেয়ারে বসে মেয়েদের মাপছে।জিহাদকে দেখে মুচকি হাসে।
-কি সোনার চাঁদ।কোনটা লাগবো?
জিহাদ বুঝতে পারে ওর প্যান্টের নীচে নড়াচড়া শুরু হয়েছে।ক্যাপ্টেন আর বাঁকীরা ওর অবস্থা দেখে হো হো করে হেঁসে উঠে।
জিহাদের যখন সুযোগ আসে তখন মেয়েটির ব্লিডিং হচ্ছে।জিহাদ সঙ্গমরত অবস্থায় মেয়েটির চোখে চোখ রাখে।অসহায় দুটি বড় বড় চোখ।জিহাদ হারিয়ে যায় ওই চোখের মধ্যে।চোখের মধ্যে ভেসে উঠে মৌচাক,আনারকলি মার্কেট,গরম চা আর বড় বড় চোখের মেয়েটি ওর দিকে তাকিয়ে আছে।বিছানায় ধড়ফড় করে উঠে বসে জিহাদ।প্রচন্ড মেঘ ডাকছে।জিহাদ ঘড়ির দিকে তাকায়।সকাল সাতটা বাজে।বিছানা থেকে নামে জিহাদ।বাথরুমের দিকে এগিয়ে যায়।

অফিসে কাজগুলি বড্ড বোরিং মনে হতে থাকে তার।রাব্বানী ভাই বিষয়টি খেয়াল করে।
-জিহাদ ক্যামেরা গুছিয়ে নাও।
-আজ বাহিরে ডিউটি নাই আমার।
-আরে চলো।টি এস সিতে যাই।কোটা সংস্কার আন্দোলনের আজকের দিনটা আমরাই কভার করি চলো।জিল্লুর ভাই রাজশাহী গিয়েছে।
জিহাদ রাব্বানীর সাথে বেড়িয়ে পড়ে।প্রচন্ড জ্যাম ঢাকা শহরে।ছাত্ররা বিভিন্ন পয়েন্টে রাস্তা অবরোধ করে বসেছে।ভীড় ঠেলে জিহাদ আর রাব্বানী টিএসতে পৌঁছায়।ছাত্ররা মিছিল করছে।অনেকের হাতে বঙ্গবন্ধুর ছবি।
-জিহাদ,আমরা এক জায়গায় বসি।মিছিল শেষ হোক।
রাব্বানী জিহাদকে বলে।
জিহাদ আর রাব্বানী কাগজ বিছিয়ে এক জায়গায় বসে পড়ে।
-রাব্বানী ভাই,কি বুঝতেছেন?
-ছাত্ররা কাঁপিয়ে দিচ্ছে সরকারকে।আরে ভাই মরে ভূত হয়ে যাচ্ছে মুক্তিযোদ্ধারা,আর তাদের নাতি-পুতিদেরও চাকরী দিতে হবে।মামার বাড়ির আবদার।
জিহাদ কথা বাড়ায়না।এ নিয়ে কথা বললেই রাব্বানী ভাইয়ের সাথে ওর ঝগড়া লেগে যাবে।
-তারেক জিয়ার সাথে এক শিক্ষকের আলোচনা হয়েছে।
-হ্যাঁ,শুনেছি।জিহাদ তুমি খেয়াল করেছো,তারেক জিয়ার গলা।কেমন ম্যানলি।গলা শুনলেই বুঝা যায় তুখোড় নেতা।
-মিছিল শেষ হয়েছে।ওরা বক্তৃতা করছে।চলেন ওখানে যাই।

রাব্বানী আর জিহাদ ছাত্রদের সমাবেশ কভার করা শুরু করে।জিহাদ ছবি তোলা শুরু করে।হঠাৎ দু’জনের দিকে চোখ পড়ে জিহাদের।সামনের সারিতে ছেলেটি দাঁড়িয়ে আছে।কিছুক্ষণ আগে বক্তৃতার মাধ্যমে আগুন ঝরিয়েছে।কেন সংসদে মতিয়া চৌধুরী সবাইকে রাজাকারের বাচ্চা বলেছে তার জবাব জানতে চেয়েছে।ছেলেটির পর মেয়েটির দিকে তাকায় জিহাদ।মেয়েটিকে চিনতে পারে।গতকাল আনারকলি মার্কেটে দেখেছে।মেয়েটিও ওর দিকে তাকিয়ে আছে।বেশ বড় বড় চোখ।জিহাদ মেয়েটির চোখের মধ্যে হারিয়ে যেতে থাকে।জিহাদের সামনে হেঁসে উঠে ক্যাপ্টেন।জিহাদ শুনতে পায়,ক্যাপ্টেন বলছে তাকে,-সোনার চাঁদ কোনটা লাগবে।জিহাদ প্যান্টের জিপার লাগাতে লাগাতে পড়ে থাকা মেয়েটির দিকে তাকায়।বড় বড় কালো চোখদুটি ওকে দেখছে।মেয়েটির নিম্নাঙ্গ বেয়ে রক্ত পড়ছে।জিহাদ হাসতে হাসতে ঘর হতে বাহিরে এসে দাঁড়ায়।আকাশের দিকে তাকায়।আর মনে মনে ভাবে,বাঙালিরা এক অদ্ভুদ জাতি।
-জিহাদ,ছবি তোল।
রাব্বানী ভাইয়ের কথায় জিহাদ মেয়েটির চোখ হতে চোখ সরিয়ে নেয়।এই সময় সে খেয়াল করে মেয়েটির গালে লেখা আছে,-“আমি রাজাকার”।

০৪/০৫/২০১৮

মন্তব্য ৯ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৯) মন্তব্য লিখুন

১| ০৪ ঠা মে, ২০১৮ রাত ৯:৫৯

ব্লগার_প্রান্ত বলেছেন: ভাই, চায়ের দোকানে মেয়েদের ভীড়- বিষয়টা বুজলাম না। ধন্যবাদ।

০৬ ই মে, ২০১৮ রাত ১:৩৯

সুদীপ কুমার বলেছেন: আমিও বুঝলামনা।

২| ০৪ ঠা মে, ২০১৮ রাত ১০:০৮

বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: ছিঃ। একটা দলীয় চিন্তার ভেতর থেকে গল্প লিখলেন। কোটা বিরোধীদের পাকি বীর্যের সন্তান বানিয়ে দিলেন। আপনার মানুষ না, আওয়ামী লীগ...

০৬ ই মে, ২০১৮ রাত ১:৪০

সুদীপ কুমার বলেছেন: তালগাছ বিক্রি করে দিই।কি বলেন?

৩| ০৪ ঠা মে, ২০১৮ রাত ১১:২৪

আকতার আর হোসাইন বলেছেন: তালগোল পাকিয়ে গেল... কি বুঝাতে চাইলেন ঠিক বুজলাম না...

০৬ ই মে, ২০১৮ রাত ১:৪১

সুদীপ কুমার বলেছেন: এতো কঠিন প্রশ্ন কেন?

৪| ০৫ ই মে, ২০১৮ সকাল ১১:১৬

রাজীব নুর বলেছেন: বুঝতে বেগ পেতে হয় কেন?

০৬ ই মে, ২০১৮ রাত ১:৪১

সুদীপ কুমার বলেছেন: সেটাইতো?

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.