নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ঠিক দুপুরবেলা শুনশান নীরবতার মাঝে পড়ছো তুমি।কত বয়স হতে পারে তোমার?আট কি নয়।তোমার খালাও পড়ছে তোমার পাশে।সৌন্দর্যের সংজ্ঞা বা বোধ ওই বয়সে কতটুকু পোক্ত হতে পারে?যখন পরিণত বয়সে তুমি ফিরে গিয়েছো শিশুকালে।অবশ্য শিশুকালে সব খালাই সব শিশুর কাছে প্রিয়।যে অবস্থার কথা বলা হচ্ছিল।তুমি পড়ছিলে।তোমার খালা পড়ছিল অথবা বই নিয়ে বসে ছিল।আর তৃতীয় একজন ছিল।একজন যুবক।কে হতে পারে?আত্মীয়?দুপুরে নির্জনতায় তোমার মনোসংযোগ বার বার ভেঙ্গে যাচ্ছিল তাদের ফিসফিস করে গঠিত শব্দের বাক্যমেলায়।“তোমাকে না খুব সুন্দর লাগছে”।“হুম”।“হাতটা ধরতে দাও”।শব্দগুলি যদিও তোমার পড়াতে ব্যঘাত ঘটিয়েছিল, তবে এর বেশীকিছু নয়।তোমার চিন্তায় ছিল তোমার পড়া।এরপর তুমি বড় হয়েছো।সেই পরবর্তী জীবনের অভিজ্ঞতার আলোয় দাঁড়িয়ে তুমি ভাবছো অতীত নিয়ে।আসলে শব্দগুলি চিরস্থায়ীভাবে বসে গিয়েছে তোমার মস্তিষ্কে।
হামিদ দুপুরের নির্জনতায় চুপ করে বসেছিল।যদিও তার মস্তিষ্কে আগুন জ্বলছিল।তুমি খেলতে খেলতে ঢুকে পড়েছিলে তার ঘরে।
-চকলেট খাবে?
-খাব।
তুমি কাছে গিয়েছিলে।তখন রহিম তোমাকে ঝাপটে ধরলো।আর হাতে ধরিয়ে দিল চকলেট।তুমি শিশু ছিলে।তবুও হামিদ চাচার স্পর্শ তোমার মধ্যে অস্বস্তি এনে দিচ্ছিল।তুমি সরে যাবার চেষ্টা করলে।আবার সেই ফিসফিস শব্দ।“আয় তোকে আদর করে দিই”।এরপর তোমার ভেতরে যা জন্ম নিয়েছিল তা হলো ভয় আর লজ্জা।আর তুমি যা শিখলে তা হলো ঘটনা গোপন করা।
আমি আর তুমি বসে গল্প করছি।আমাদের মত অনেক জুটি বসে আসে পার্কে।দুপুরের নির্জনতায় বৃক্ষেরা নিরুত্তর।আমি খেলা করছি তোমার আঙ্গুল নিয়ে।তুমি চুপটি করে বসে আছো আমার পাশে।ফিসফিস করে আমি বললাম-তোমাকে একটা চুমু খাই।তোমার হাত আমার হাতের তালুতে।তোমার হাত ঘামছে।ধীরে ধীরে সন্ধ্যা নামে রমনা পার্কে।পাখির শব্দে মুখরিত চারপাশ।
০২/০২/২০১৮
©somewhere in net ltd.
১| ০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ বিকাল ৫:১৪
রাজীব নুর বলেছেন: কি সুন্দর আবেগ !!