নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

লিখতে ভালো লাগে তাই লিখি।

সুদীপ কুমার

মন যা চায়।

সুদীপ কুমার › বিস্তারিত পোস্টঃ

গ্রাম

০১ লা জানুয়ারি, ২০১৮ রাত ১১:৪১




আমি যখন মাটিতে পা দেই,আমার মেয়ে আমাকে প্রশ্ন করে, “বাবা গ্রাম কোথায়”?
আমি হামাগুড়ি দিতে শুরু করি,আর বাতাসে আমার মেয়ের চুল উড়তে শুরু করে।
গ্রামটাকে কে যেন বদলে দিয়েছে।ঠিক যেন এক তৈলচিত্রের উপর আর একটি তৈলচিত্র,
ভেরমিয়ার অবশ্য তার বিখ্যাত ছবি এভাবে আঁকেনি।–সময় ভেরমিয়ারের চেয়েও বড় শিল্পী।

চলন বিলের বুক চিড়ে বেরিয়ে গিয়েছে পাকা রাস্তা।
আমি হামাগুঁড়ি দিতে থাকি সময়ের বুকে
আর পীচ ঢালা পাকা রাস্তা কোথায় যেন হারিয়ে যায়
আর ঘন বাঁশ ঝাড় ফিরে আসে রাস্তা জুড়ে
আর ফিরে আসে ধুতি পড়া মানুষগুলি কীর্তন গাইতে গাইতে
আর ফিরে আসে মাছ ধরা খরা
আর ফিরে আসে ছোট্ট স্রোতস্বিনী নদী।

“বাবা,গ্রাম কোথায়”?- সময়ের বুকে ধাক্কা খায় প্রশ্নটি
আর জয়নুল আবেদিনের চিত্রকর্ম হতে বেরিয়ে আসে
এক গাড়োয়ান,-ঠেলছে সর্বশক্তিতে
কাদায় আটকে যাওয়া গরুর গাড়ির কাঠের চাকা।

পীচ ঢালা পথটি কি ভুলে গিয়েছে তার অতীত ইতিহাস?-
শুষ্ক মৌসুমে ধুলো-ধূসোরিত মেঠো পথ।বর্ষায় এক হাঁটু কাদা
শীতের নরম নরম বাতাস বয়ে আনে সরিষা ফুলের ঘ্রাণ।
সন্ধ্যায় পথটি ভুলে যেতো তার কষ্ট, হাটুরে মানুষদের পদভারে।

আমি মাটিতে পা দিই আর খুঁজতে শুরু করি আমার গ্রামটিকে
সবুজে শ্যামলে ঘিরে থাকা আমার প্রিয় গ্রামকে
আমার শিশুকালের গ্রামটিকে
আমার শৈশবের গ্রামকে।

আমি স্মৃতিস্বপ্ন ভেঙ্গে উঠে আসি,আর নিজেকে বন্দী করি ইট-পাথরের দেয়ালে।

০১/০১/২০১৮

মন্তব্য ৮ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৮) মন্তব্য লিখুন

১| ০২ রা জানুয়ারি, ২০১৮ রাত ১:৩২

নূর-ই-হাফসা বলেছেন: খুব সুন্দর লিখেছেন । এই আধুনিক গ্রামের চেয়ে আগের হারিকেন কুপির অন্ধকার গ্রাম টাই বেশি আকর্ষণীয় ছিল ।
তবে এটা তো স্বাভাবিক সবকিছুই উন্নত হবে ।

০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৮ রাত ১২:১৪

সুদীপ কুমার বলেছেন: স্বাভাবিক।

২| ০২ রা জানুয়ারি, ২০১৮ সকাল ৯:৩৩

সাইন বোর্ড বলেছেন: বর্তমান গ্রাম নিয়ে এরকম কিছু হাহাকার অামার মধ্যেও অাছে, নিচে অামার একটি কবিতা দিলাম, হয়ত অাপনার মত অত ভাল হবে না:

গ্রাম//

সবুজ পাতায় কিছু খলসেবুড়ি প্রেম
মাটির সুঘ্রাণ এনে দিতো ফসলি সুখ
পাশে নাটনাপাড়া, পাকা প্রাচীর দিয়ে ঘেরা
যখন চেঁচানিয়ার ঘাট মানে ডিঙ্গি নৌকায় সারাদিন

বর্ষায় কাদার পাহাড় ভেঙ্গে যেতে হতো মোল্লাপাড়া
কারন মাঠে পানি উঠেছে, চলে এসেছে মাছের চালান

মাথাভাঙ্গা, তুই আর কতটা কালের স্বাক্ষী হবি ?
তবুও ভাল, মরতে মরতে এখনো বেঁচে আছিস,
যেমন কানু জেলের খবর কেউ রাখেনি !

বিকেল হলে এখন ব্রিজের উপর মানুষের ভিড়
মোবাইলে নদীর খরা, ইমোতে কথা হয় সৌদি আরব
ঈদে পাঁচশো ষোলটি ফ্রিজ ঢুকে রেকর্ড-গ্রাম

তবু চোখের পাতায় কিসের যেন আবর্ত । কুটিল বলোনা
শেয়ালের লেজে বাড়ছে ভিলেজ পলিটিক্স...

এ সবুজ আর আমার সহ্য হয় না রে !

০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৮ রাত ১২:১৩

সুদীপ কুমার বলেছেন: খুব সুন্দর লিখেছেন।

৩| ০২ রা জানুয়ারি, ২০১৮ সকাল ১০:৩০

রাজীব নুর বলেছেন: এই জন্যই আমি বারবার বলি- গ্রামে ফিরে যাও।

০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৮ রাত ১২:১৩

সুদীপ কুমার বলেছেন: কথা সত্য।

৪| ০২ রা জানুয়ারি, ২০১৮ সকাল ১১:২৬

বিজন রয় বলেছেন: ধুলো-ধূসোরিত মেঠো পথ ঢেকে গিয়েছে গাঢ় কারো পীচে!

অামার গ্রাম কোখায়!!!??

সুন্দর।

০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৮ রাত ১২:১৩

সুদীপ কুমার বলেছেন: গ্রাম আর নেই।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.