নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
প্রতিদিন সকালে আমি নিজেকে ছেড়ে দিই জনস্রোতে।ভাসতে ভাসতে চলে আসি বাজারে।মাছওয়ালার সাজিয়ে রাখা মাছ দেখি।খাঁচায় নির্জীব বসে থাকা মুরগী দেখি,যারা কিনা খুব ভাবলেশহীন চোখে চেয়ে দেখে সঙ্গীর মৃত্যু যন্ত্রণা।কিম্বা শরীর হতে ছাল ছড়ানোর দৃশ্য।চেয়ে দেখি তরকারি বিক্রেতা স্বামীকে সহায়তা করছে স্ত্রী,-তরকারি সাজিয়ে রাখার ক্ষেত্রে।ভাসতে ভাসতে চলে আসি বড় রাস্তায়।মিশে যাই অফিসগামী মানুষের ভীড়ে।এরপর আবার ভেসে চলা।পাশের যাত্রীর ঝিমুনী দেখতে দেখতে চলে আসি নিজ কর্মক্ষেত্রে।
পথের ধারে পড়ে থাকা পাখির শাবকের শবদেহ নিয়ে শেষকৃত্য অনুষ্ঠানে ব্যস্ত পিঁপড়ের সারি।শোকবার্তা জানানোর জন্যে নেই শাবকটির পরিবারের কেউ।আর ঠিক মাথার উপর বসে থাকা পাখিদের কলরবে মিশে আছে জীবনের কথা।একদিন জনস্রোত থেমে যায়।থেমে যায় ভেসে চলা।থেমে যায় সবকিছু ঠিক ওই পথে পড়ে থাকা মৃত দেহটির মত।স্বপ্নে শুধু খেতে থাকি নিকষ আঁধার।আর দূরে সরে যায় কল্পলোকের কাঙ্খিত মেলা।ভাঙ্গা মেলায় পড়ে থাকে জীবনগল্পের হারানো সুখ-দুঃখ।আর জনস্রোতে ভাসতে থাকে অপর কেউ। অন্যকোন খানে।অন্য পথে।অন্যভাবে।
১৩/১০/২০১৭
১৫ ই অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১২:০০
সুদীপ কুমার বলেছেন: ধন্যবাদ রাজীব ভাই।জন্ম-মৃত্যুর চক্র।
২| ১৪ ই অক্টোবর, ২০১৭ সকাল ১০:০৮
সুলতানা সাদিয়া বলেছেন: চমৎকার লিখেছেন। জীবন এমনই। চলছে।
১৫ ই অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১২:০১
সুদীপ কুমার বলেছেন: ধন্যবাদ।চলছে।চলবে।
৩| ১৪ ই অক্টোবর, ২০১৭ দুপুর ১২:৫৮
আখেনাটেন বলেছেন: বেশ গুছিয়ে লিখেছেন নিত্যকার বয়ে চলা ঘটনাগুলোর প্রবাহ।
১৫ ই অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১২:০২
সুদীপ কুমার বলেছেন: এই আর কি।ধন্যবাদ।
৪| ১৪ ই অক্টোবর, ২০১৭ রাত ৮:৩৮
সুমন কর বলেছেন: রোজ সকাল ঘুম থেকে ওঠা, একই রুটিন সেই একই ছোটা........
১৫ ই অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১২:০৩
সুদীপ কুমার বলেছেন: রুটিন একই।মুরগীর খাঁচার মুরগীর কথা ভাবুন।
©somewhere in net ltd.
১| ১৪ ই অক্টোবর, ২০১৭ সকাল ৯:৩৩
রাজীব নুর বলেছেন: প্রতিদিনের ঘটনা। এটা একটা চক্র।