নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

লিখতে ভালো লাগে তাই লিখি।

সুদীপ কুমার

মন যা চায়।

সুদীপ কুমার › বিস্তারিত পোস্টঃ

বৃষ্টিস্নাত কোন এক দুপুর

০৬ ই অক্টোবর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:০৩



শরত ভুলে বসে আছে তার স্বভাব।উষ্ণতা যখন চেপে বসে শরীরের প্রতিটি কণায়,ঠিক তখন জঙ্গী একদল মেঘ ধেয়ে আসে ঢাকার আকাশে।তীব্র ঠাডায় ভয় দেখায় বৈষয়িক উষ্ণতাকে।

ঠিক ওভার ব্রীজটার নীচে,চায়ের দোকানগুলিতে পথ চলতি মানুষের মেলা।অবশ্য সাময়িক সময়ের জন্যে।বয়ে চলা বৃষ্টির শাস্ত্রীয় সংগীতে সবাই কেন যেন সম্মোহিত।এই আমার কথাই ভাবুন।চায়ের স্টলে বসে আছি চুপ করে আর শুনছি বৃষ্টির মায়াবী সুর।আর খালি পেটে দুপুর দুটোয় চায়ের কাপে নিজেকে ভিজিয়ে নিচ্ছি।

কেমন হতে পারে একটি আচমকা পড়ে পাওয়া বর্ষণ মুখুর দুপুর।বাতাসের শীতলতা ভেদ করে পুরুষের দুই চোখ আটকে থাকে নারীর ভেজা শরীরে।চোখ তো নয় যেন পাথরে খোদাই করা – স্থির অপলক।আর ওয়েলকাম হতে নেমে দৌড় দেওয়া মধ্যবয়সী তরুনীর শরীরে সাগরের ঢেউ লেগে রয়।বৃষ্টির ফোঁটায় লেগে রয় তার রেশ।

গল্পে গল্পে একজন বলছিল-ঠাডা(বজ্রপাত)এখন জাতীয় দুর্যোগের খাতায় নাম লিখিয়েছে।ওদিকে ক্ষমতায় থেকে তেলবাজদের তেলেও বিষের প্রভাব প্রকট হচ্ছে।

এক সময় বৃষ্টি চলে যায়।রেখে যায় ভেজা স্মৃতি-ওভার ব্রীজের নীচে,কল্যাণপুরের ঝকঝকে দুপুরে।

০৬/১০/২০১৭

মন্তব্য ৩ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৩) মন্তব্য লিখুন

১| ০৬ ই অক্টোবর, ২০১৭ রাত ৮:৫৭

পদ্মপুকুর বলেছেন: এ ধরণের ঝরঝরে গদ্য এখন আর কেউ লিখতে চায় না। সবাই কেবলি দৃষ্টি আকর্ষণী পোস্ট দিয়ে হিট হতে চায়।
প্রথম দিকে খুব সৃজনশীল গদ্য দেখতাম। কিন্তু এখন সৃজনশীল পড়ালেখার চাপে পড়ে ব্লগে সবাই বিশ্লেষণধর্মী লেখাই পোস্ট করে।
তবে আমার বরাবরের ভালোলাগা এই লেখার মত লেখাগুলো। বৃষ্টির ফোটার রেশটা যেন ছুঁয়ে গেল।

ভালো থাকবেন।

২| ০৬ ই অক্টোবর, ২০১৭ রাত ৯:০১

পদ্মপুকুর বলেছেন: বাই দ্য ওয়ে, ছবিটা ভাষা ইনস্টিটিউটের গেটের সামনের অথবা কলাভবনের মেইন গেটের সামনের মনে হচ্ছে... দীর্ঘদিন পর আজ ক্যাম্পাসে গিয়েছিলাম এবং দুপুরে বৃষ্টির ঠিক আগে আগে বের হয়ে এসেছি

০৭ ই অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১২:৩৫

সুদীপ কুমার বলেছেন: ছবিটি নেট থেকে নেওয়া ভাই।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.