নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ওরে আমি ওকে কোলে পিঠে করে মানুষ করেছি
আমাকে শেষ বারের মত দেখতে দে- বৃদ্ধা কেঁদে কেঁদে বলেন
আমি শুনছি ইতিহাসের প্রাচীর ভেঙ্গে বেরিয়ে আসা বৃদ্ধার করুন আর্তি
আর আমার চোখ বেয়ে নেমে আসে দুঃখের নদী
আমি সামলাতে পারিনা এই প্লাবন।
গুলিতে মারা গিয়েছিলেন তিনি?
তার বুকে,তার মাথায় ছিলনা কোন বুলেটের ক্ষত
তাই হয়তো মৃত্যু নিশ্চিত করতে কেটে ফেলা হয়েছিল পায়ের গোড়ালীর রগখানি
তারা চেয়েছিল কফিনসহ লাশটি মাটি চাপা দিতে
কিন্তু নির্ভয় চিত্ত মৌলভী সীমার সৈনিকের সামনে দাঁড়িয়ে বলেন-
ইসলামী মতে লাশ দাফনের আগে গোসল করাতে হবে
তবে আপনি যদি বলেন
আপনি যদি লিখিত দেন
উনি শহীদ,তবে লাশ দাফন করা হবে
আমি শুনছি একজন মহামানবের দাফনপূর্ব সময়ের কথা
আর আমার হৃদয় মাঝে দুঃসহ বেদনামেঘের ঘনঘটা।
লাশটি ফুলে গিয়েছিল,তাই খোলা যাচ্ছিলনা তার সফেদ রঙা
পান্জাবীখানা।
দা দিয়ে কেটে ফেলা হলো পড়নের বসনখানা
গোসলের জন্য এলো পাঁচশো সত্তর সাবান আর রেডক্রসের গুদাম হতে আনলো
সাদা কাপড়,
পেট হতে উঁকি দেওয়া বুলেট ভেসে গেলো
জলের স্রোতে সহস্র বেদনার ভার কাঁধে নিয়ে
আমি শুনি,বারবার শুনি
মৌলভী শেখ আব্দুল হালীমের কথা-
" এটা যে শেখ মুজিবের লাশ আমাকে নিজ চোখে দেখে
নিশ্চিত হতে হবে,তারপর আসবে দাফনের কথা।
এটি ধর্মীয় বিধান"।
থমকে যায় দানবের দল, শেখ মুজিবের লাশের পাশে দাঁড়িয়ে
অকুতোভয় মানুষটিকে দেখে বলে-
কফিন খুলেন।
©somewhere in net ltd.
১| ১৭ ই আগস্ট, ২০১৭ রাত ১২:০১
নুর ইসলাম রফিক বলেছেন: শোকের মাতনে দুখ গুলি হয়ে এলো ম্লান
মনটা যেন মন নয়, ছাই ধোয়া উড়া কোন শ্নাশান।
কাব্যে শোকের মাতনটা বেস ফুটে উঠেছে প্রিয় সুদীপ কুমার দাদা।