নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

লিখতে ভালো লাগে তাই লিখি।

সুদীপ কুমার

মন যা চায়।

সুদীপ কুমার › বিস্তারিত পোস্টঃ

পৃথিবীর জন্যে ভালোবাসা ( আট)

০৭ ই জুলাই, ২০১৭ বিকাল ৫:১৫




দীর্ঘ সাত ঘন্টা ব্রক্ষ্মপুত্র স্পেসশিপের কনট্রোল রুমে কাজ করে। অবশেষে সফল হয়।স্পেসশিপ এখন পুরোপুরি ও কন্ট্রোল করবে।ড্রাইভিং রুমে যায়। মনিটর অন করে।ক্যালকুলেশন করে ব্লাকহোলের আওতার সীমান্ত আর কতদূরত্বে। সাতদিন সময় আছে। স্পেসশিপের রোবটটি চালু করে।

- রোবট, মঙ্গলের যাত্রাপথের ম্যাপ কোন কমপিউটারে আছে?

- আমার সাথে চলুন।দেখিয়ে দিচ্ছি।

পুত্র স্পেসশিপ এর গতিপথ পরিবর্তন করে।ব্ল্যাকহোল এড়িয়ে যায়। দীর্ঘদিন জেগে থাকার ফলে পুত্রের কেমন অস্বস্তি লাগতে শুরু করে। ভাবে স্লিপিং স্যুটে ঢুকবে কিনা। ও খেয়াল করে প্রাণীটি সারাক্ষণ ওর আশেপাশেই থাকে।ও খাবার সময় চুপচাপ দূরে বসে থেকে ওর দিকে তাকিয়ে থাকে। এই কয়দিনে প্রাণীটি বেশ শুকিয়ে গিয়েছে।একদিন খাবার শেষে পুত্র প্রাণীটিকে ওর খাবার দেয়। প্রাণীটি খাবার শুঁকে। পরে লেজ নাড়তে নাড়তে খাবার শেষ করে।দু'জনের মধ্যে বেশ ভালো বন্ধুত্ব হয়ে যায়। পুত্রের নিঃসঙ্গতা দূর করে ছোট্ট প্রাণীটি।রোবটিও সারাদিন ওর পাশেই থাকে।স্পেসশিপে ওকে খুব দক্ষ করে তৈরি করা হয়েছে। মঙ্গলে পৌঁছাতে আরও অনেক সময় বাঁকি। পুত্র স্লিপিং স্যুটে টাইম সেট করে। একটিতে প্রাণীটিকে শুইয়ে দেয় অপরটিতে সে শুয়ে পড়ে।

দীর্ঘ যাত্রা শেষ হয়। স্লিপিং স্যুট হতে বেরিয়ে আসে পুত্র।ড্রাইভিং সিটে গিয়ে বসে। রোবটটি বসে আছে সামনে। লাল একটি গ্রহ ওদের সামনে দৃশ্যমান হয়। তথ্য চার্টে একটির পর একটি তথ্য ভেসে উঠতে থাকে।আয়রন ও হেভি মেটালে সমৃদ্ধ মঙ্গলের উপরিভাগ। প্রাণীর প্রাণ ধারণের জন্যে উপযুক্ত নয়। কয়েকশো মিলিয়ন বর্ষ পূর্বে এখানে মানুষ নামক প্রাণী বসতি স্থাপন করেছিল। এখন নিঃস্প্রাণ।এর দুটি চাঁদ আছে,যথাক্রমে ফোবস ও ডেইমস। পুত্র মঙ্গলের কক্ষপথে একটু সময় নিয়ে প্রবেশ করে।

- রোবট এই গ্যালাক্সীর নাম কি?

- মিল্কি ওয়ে।

- এই সৌর জগতের নক্ষত্র কি মৃত?

- মৃত বলে মনে হচ্ছেনা।মৃত হলে আমরা মঙ্গলের লাল রঙ দেখতে পেতাম না।

- কিন্তু আমাদের গ্রহে যে তথ্য ছিল সেখানে এই নক্ষত্রকে মৃত দেখানো হয়েছে।আশ্চর্য!
নক্ষত্রটির জ্বালানী শেষ হওয়ারই কথা থিওরী অনুসারে।

- আমাকে কিছু সময় দিন।আমি বিভিন্ন তথ্য- উপাত্ত বিশ্লেষণ করে দেখি।

রোবট মেইন কমপিউটারে গিয়ে বসে। পুত্র মঙ্গল গ্রহের সৌন্দর্য দেখতে থাকে।

- পুত্র আমাদের কাছে কোন তথ্যই নেই।তবে যারা এই স্পেসশিপ ও কমপিউটার তৈরি করেছে তাদের তথ্য অনুসারে সূর্য নামের এই নক্ষত্র বেঁচে থাকার কোন সম্ভবনাই নেই।

পুত্র জায়গা খুঁজতে শুরু করে কোথায় স্পেসশিপটিকে নামাবে। ও স্ক্যানার অন করে। একটি স্থাপনা ধরা পড়ে স্কানারে। আর তার পাশে রানওয়েও আছে। পুত্র ধীরে ধীরে এগিয়ে যেতে থাকে মঙ্গলের দিকে।

প্রবল ধূলি ঝড় হচ্ছে মঙ্গলে।পুত্ররা কিছুই দেখতে পায়না জানালা দিয়ে। স্ক্যানার আর কোন তথ্য দিতে পারছেনা। পুত্র দ্রুত সিদ্ধান্ত বদলায়। ল্যান্ড না করে সরে আসে।মঙ্গলের কক্ষপথে চক্রাকারে ঘুরতে থাকে।একসময় ঝড় থেমে যায়। স্ক্যানারে বিশাল এক পর্বত ধরা পড়ে।পুত্র দ্রুত নেমে যায় মঙ্গলের পৃষ্ঠে।স্ক্যানারে বহু স্থাপনা ও রানওয়ে ধরা পড়ে। স্পেসশিপ ল্যান্ড করে মঙ্গলে।

http://www.somewhereinblog.net/blog/SudipKumar/30201438


( চলবে)

মন্তব্য ১ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ০৭ ই জুলাই, ২০১৭ বিকাল ৫:৫২

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: এত্ত অল্প!!!!!!!!!!!!!!

শুরুর আগেই শেষ হয়ে গেল ;)

++++

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.