নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
http://www.somewhereinblog.net/blog/SudipKumar/30200773
http://www.somewhereinblog.net/blog/SudipKumar/30200852
মঙ্গলে বস্তি স্থাপনের সময় প্রধান দুটি সমস্যা প্রকট আকার ধারণ করেছিল।প্রথমটি ছিল এর বায়ুমন্ডল অত্যন্ত শীতল আর দ্বিতীয়টি হলো মঙ্গলের গ্রাভিটেশনাল ফোর্স। সে সময় পি এইচ ডি তে অধ্যয়নরত দু' জনের ডাক পড়ে এ সমস্যার সমাধানে।তার একজন হলো তিতাস,পদ্মার ভাই।আর অন্যজন হলো মাকারোভা,স্তেপসের বোন। তিতাস আর মাকারোভা দুটি সমস্যার দুর্দান্ত সমাধান বের করে। প্রথমে তিতাস যেটি করে তা হলো মঙ্গলের কার্বন-ডাই-অক্সাইড হতে কার্বন আর অক্সিজেন পৃথক করে ফেলে। কার্বন বাসা-বাড়ির কাজে লাগায়। অক্সিজেন ভেঙ্গে প্রথমে তাপ ও আলো পরে বায়ুমন্ডলে মিশিয়ে দেয়। যেন মানুষের শ্বাস-প্রশ্বাস নিতে কষ্ট না হয়। অপরদিকে মাকারোভা বস্তুর ভরের ঘনত্ব আর কেন্দ্রকে এমন ভাবে কাজে লাগায় যেন গ্রাভিটেশনাল ফোর্স কোন বাধা হতে না পারে।তাদের কাজে সবাই ধন্য ধন্য করতে থাকে।সাথে বিপদও আসে। তাদের এই আবিস্কারের কৌশল অন্যান্য দেশ জানতে চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়ে এখন অপকৌশলের রাস্তা ধরেছে।দু দুবার তিতাস আর মাকারোভাকে হাইজ্যাক করার চেষ্টা হয়েছে।
তিতাস নিজেকে প্রস্তুত করে বাহিরে যাবার জন্যে। পদ্মা বাসায় ঢুকে তিতাসের সাজ-সজ্জা দেখে প্রশ্ন করে কোথায় যাচ্ছে সে। তিতাস জানায় সে মাকারোভাকে নিয়ে ওলিম্পাসের শীর্ষ চূড়ায় বেড়াতে যাবে।
- আজ ধূলি ঝড় হবেনা? এর মধ্যে ওলিম্পাসে!
- ভাইয়া,ধূলি ঝড় শুরু হবে ১ ঘটিকায়। আমরা ১২ ঘটিকায় বাসায় চলে আসবো।
রোবট মোল্লা দাদু এসে বলে, মাকারোভা ভেতরে আসতে চায়।
- খুলে দাও কার্বন ওয়াল। তিতাস জানায়।
মাকারোভা ভেতরে আসে হাসি মুখে। ভলগার তীরের বাসিন্দা ছিল মাকারোভা।অসম্ভব সুন্দরী সে। রাশিয়ান নারীরা গড় ইউরোপিয়ান নারীদের চেয়ে সুন্দরী আর কিছুটা রক্ষণশীল।
- পদ্মা, শুভ সন্ধ্যা ভালো আছেন আপনি?
- ভালো।শোন মাকারোভা আজ রাতে তুমি আমাদের এখানে খাবে। কি খেতে চাও ডিনারে?
- ওয়াও! লবস্টার দিয়ে কালোঝিরা চাউলের খিঁচুরী আর ভদকা।
- ভদকা? পদ্মা বলে হেসে উঠে।
- ঝম্পেস আড্ডা হবে আজ।তোমরা ঘুরে আসো।আমি স্তেপসকে আসতে বলছি।
তিতাস আর মাকারোভা উড়ন্ত যানে গিয়ে বসে। ওরা দৃস্টি সীমার বাহিরে চলে না যাওয়া পর্যন্ত পদ্মা জানালায় দাঁড়িয়ে দেখে। তারপর স্টোর রুমে গিয়ে গ্যান্দার মা আর ভোন্দা নামক দুই রোবট সচল করে। যেহেতু মঙ্গলে এনার্জি এখনও বড় সমস্যা তাই সবাই এনার্জি সেভ করে।
- গ্যান্দার মা,তুমি জানো এখন তোমাকে কি করতে হবে।
- হ্যাঁ,জানি। খিঁচুরী আর লবস্টার হবে রাতের ডিনারের জন্যে।চারজন খাবে।
- ঠিক আছে। ভোন্দা,তোমার কি কাজ?
- গ্যান্দার মাকে সাহায্য করা আর ভদকা আনতে হবে রাশিয়ান কলনী হতে।
- আচ্ছা, তাহলে কাজে লেগে যাও তোমরা। পদ্মা বলে।
গ্যান্দার মা চলে যায়।কিন্তু ভোন্দা দাঁড়িয়ে থাকে।
- কি ব্যাপার ভোন্দা কিছু বলবে?
- আমার নাম ভোন্দা না রেখে অন্যকিছু রাখা যায় না?
- নাম? বদলাতে হবে? আচ্ছা আবু বকর রাখি।
- বাংলা অর্থ কি?
- ছাগলের আব্বা।
- আমার নাম ভোন্দাই থাকুক।
পদ্মা তার হাতের ঘড়িতে চাপ দেয়। হাঁটতে থাকে।পাশাপাশি হাঁটতে থাকে স্তেপসের হলোগ্রাম ছবি।
- স্তেপস,আমাদের বাসায় চলে আসো। ডিনার এখানে করবে।
- কি আয়োজন?
- লবস্টার আর কালোঝিরা চাউলের খিঁচুরী। সাথে ভদকা।
- ফাটাফাটি।আর কেউ আছে?
- মাকারোভা।
- আমি আসছি।
ডিনার শেষে সবাই ডাইনিং রুমে এসে বসেছে। বাহিরে প্রচন্ড ধূলি ঝড়। জানালা দিয়ে তাই দেখছে সবাই। ভোন্দা ভদকা পরিবেশন করে যায়।
- পদ্মা,পৃথিবী হতে আমাদের সরকার গোপন বার্তা পাঠিয়েছে। পশ্চিমারা ওদের ইলেকট্রনিক অস্ত্র সক্রিয় করছে। আর পারমাণবিক অস্ত্র ভান্ডারে রোবটের যাতায়াত বেড়ে গিয়েছে। পশ্চিমারা মঙ্গলের একচেটিয়া অধিকার আাদায় করতে চায়। কিন্তু যেহেতু মঙ্গলের পাওয়ার প্লান্ট তোমাদের নিয়ন্ত্রণে তাই সাহস করছে না।
স্তেপসের কথা শুনে তিতাস পদ্মার দিকে তাকিয়ে থাকে।
- হ্যাঁ,বাংলাদেশ সরকার আমাকে জানিয়েছে বিস্তারিত। আমার ভয় শুধু গুজরাট আর রাওয়ালপিন্ডিকে নিয়ে।ওরা সব ঘরের শক্রু বিভীষণ। ওরা পশ্চিমা জোটে গিয়ে আমাদের মাথা ব্যথার কারণ হয়েছে। পদ্মা বলে।
- শোন পদ্মা, আমাদের সরকার চীন সরকারের কাছে গোপন বার্তা পাঠিয়েছে। যদি যুদ্ধ লেগে যায় তবে হিমালয় যে প্লেটের উপর দাঁড়িয়ে আছে তা গলিয়ে দেবে। সেক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় রিস্ক বাংলাদেশ বঙ্গোপসাগরে তলিয়ে যাবে।
- স্তেপস, তোমার সরকারকে বলো বাংলাদেশকে নিয়ে চিন্তা না করতে।বাঙালি পৃথিবীর চেয়ে কয়েক হাজার বছর এগিয়ে আছে।
- পদ্মা,আমাদের গবেষণাগারগুলি আরও সুরক্ষিত
করা উচিত।
- স্তেপস,ভালো বলেছো।এই কাজটা দ্রুতই করতে হবে।
(চলবে)
©somewhere in net ltd.