নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ছিল বুঝি তার সাধ
প্রতিমা গড়ার
সেই ছোট্ট বেলায় তূর্য ঠাকুর
গড়তো প্রতিমা
- পাথরের; পাথর কেটে কেটে
সে দেখতো চেয়ে চেয়ে।
একদিন সাহস করে বলেছিল- তূর্য ঠাকুর
আমাকে শেখাবে,কিভাবে পাষাণ কেটে কেটে মূর্তি গড়ে
হাতুড়ি,বাটালি, ছেনি দিয়ে।
তূর্য ঠাকুর খুব রেগেছিল সেদিন,বলেছিল-
যা ভাগ ছোটলোকের বাচ্চা।
শম্ভু ডোম কাজের আগে ডুবে যায় সোমরসের মাঝে
হৃদয়ে ছিল তার এক শিল্পী জীবনভর
তাই বুঝি আলতো করে স্পর্শ করে যোনীদ্বার
ধারালো ছুঁরি দিয়ে কেটে রাখে নমুনা তার
বাটালী,ছেনী দিয়ে মূর্তি নয়,সে কেটে ফেলে রমণীর বুকের হাড়।
"আহা,রমণীগো,সুন্দরী রমণী
ছিল বুঝি স্বপ্নে তোমার রাজকুমার
তাই ওই হৃদয় আজ বহে স্বপ্নের ভার"-
ভাবে শুম্ভু ডোম আর কাটে যকৃত খুব স্থিরতার সাথে।শিল্পী হৃদয় তার
বড় বাবু আর কিছু? - মগজটাও দিও, ভেসে আসে শব্দ বদ্ধ ঘরের মাঝে।
কত স্বপ্ন ছিল তার,বড় হয়ে গড়বে পাষাণ মূর্তি
ওই দেব- দেবীর। দেবতারা বুঝি হয় শুধুই মূর্তি
ওই মন্দিরের। সোমরসে সিক্ত রক্তচক্ষু শম্ভু ডোমের
সামনে তার স্থির ক্ষত- বিক্ষত দেহ এক রমণীর-
ঠোঁটে তার নেই লালীমা,আছে লেগে অব্যক্ত বেদনার
- গল্পগাঁথা।
২৩/০১/২০১৭
ময়মনসিংহ
©somewhere in net ltd.