নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
মোস্তফা ওটি রুমে অপারেশনের মাঝপথে।বেশ জটিল একটি অপারেশন।ওর পাশেই দাঁড়িয়ে আছে দু’ জন সহকারী।অপেক্ষাকৃত কম বয়সী মেয়েটিই ওর ওটি ইনচার্জ।মেয়েটি সব সময়ই ওর গা ঘেঁষে দাঁড়ায়।মোস্তফা ওর শরীরের স্পর্শ অনুভব করে।
রিনা জানে সে সুন্দর।ওর প্রতি পুরুষরা আকর্ষিত হয়। বিবাহিত জীবনে রিনা প্রচণ্ড অসুখী।একটিমাত্র সন্তান ওদের।ছোটবেলা হতেই রিনা খুব উচ্চ বিলাসী।কিন্ত প্রথম জীবনের অপরিণামদর্শী আবেগের ফল মাহাফুজের সাথে ওর বিয়ে।এখন মাহাফুজ বেকার এবং এডিক্টেড।বহু চেষ্টা করেছে কিন্ত লাভ হয়নি।রিনা কথাটি একদিন মোস্তফার কাছে পেরেছিল।বলেছিল মাহাফুজকে কোন জায়গায় ঢুকিয়ে দিতে।মোস্তফা আশ্বাস দিয়েছে।কিন্তু কোন ব্যবস্থা এখনও করে দেয়নি।শধু মাহাফুজের ব্যাপারটিতে নয় ওর দাম্পত্য সুখও অস্তাগত।মাহাফুজের ভেতর ইদানিং শরীরী ক্ষুধা ও খুঁজে পায়না।দিনের পর দিন মাহাফুজ ওকে অতৃপ্ত রাখছে।রিনার নিজের শারীরিক ক্ষুধা তীব্র।
-স্যার,শরীর খারাপ? রিনা প্রশ্ন করে মোস্তফাকে।
¬-হ্যাঁ,মাথা ধরেছে।
মোস্তফার চেম্বারে আজ রুগী কম ছিল।অসহযোগ চলছে।যানবাহন চলছে না।মোস্তফা এটেনডেনসকে বলে দেয় রুগী এখন আর দেখবেনা।
-আজকে তাহলে আসি স্যার। রিনা চলে যাওয়ার অনুমতি চায়।
-আমার প্রেশার মেপে দিয়ে যাও।
রিনা প্রেশার মাপতে থাকে।
-তোমার শরীর থেকে সুন্দর ঘ্রাণ আসছে। মোস্তফা বলে।
রিনা উত্তর করেনা, লাজুক হাসে।
-মাহাফুজের খবর কি? নেশা ছেড়েছে?
-না স্যার।
-কোথাও কাজ-কর্মে লাগিয়ে দাও।ভাল থাকবে।
-স্যার আপনাকে কতদিন ধরে বলছি একটা কোন ব্যবস্থা করে দেওয়ার জন্য।
-আচ্ছা যাও, এবার ব্যবস্থা হয়ে যাবে।বলে মোস্তফা চোখ বুঁজে।
-স্যার,আপনাকে খুব ক্লান্ত দেখাচ্ছে।মাথায় হাত বুলিয়ে দেই?
-দাও।
মোস্তফা বুঝতে পারে রিনা খুব যত্নের সাথে ওর মাথায় হাত বুলিয়ে দিচ্ছে।রিনার শরীরের উত্তাপ ওর শরীরকে ছুঁয়ে যায়।মোস্তফা আলতো করে রিনার কোমর জড়িয়ে ধরে।রিনা বাধা দেয়না।রিনা অনুভব করে স্যারের হাত ওর শরীরের স্পর্শকাতর অংশে কিছু খুঁজছে। রিনা শক্তি হারাতে থাকে।যোনীদ্বার পিচ্ছিল হতে থাকে।শুধু অস্পষ্ট শব্দে বলে-স্যার দরজা খোলা।
-যাও লাগিয়ে দিয়ে এসো।
রিনা কিছুতেই হিসাব মেলাতে পারেনা,কিভাবে এটা সম্ভব হলো।ও ভাবে শরীররেও কি ভাষা আছে?যা অনেক সময় আপনার বশে থাকেনা।কাপড় ঠিক করতে করতে রিনা ভাবে।আর এভাবেই মোস্তফা জীবনের দ্বিতীয় সম্পর্কে জড়িয়ে যায়।রিনাকে নিয়ে মোস্তফা অনেকদিন দ্বিধা-দ্বন্দে্ব ভুগেছে,আজ তার অবসান হলো।দুটি অতৃপ্ত শরীর একে অপরের সকল জড়তা কাটিয়ে উঠে।
প্রেম কি?যৌনতা ছাড়া প্রেম সম্ভব?দুটি নর-নারীর মাঝে যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে তার সমাপ্তী কি যৌন মিলনে?নাকি যৌনতা প্রেমের প্রভাবক?এই যে ¬মোস্তফা-রেনু,মাহাফুজ-রিনা তারা প্রত্যেকেই ভালবেসে বিয়ে করেছিল।কিন্তু সময়ের সাথে সাথে তাদের চাহিদা বদলাতে থাকে।পরিবর্তন ঘটে যায় ভালবাসার ধরনে।মোস্তফা নিজের বিবেকের আয়নায় দাঁড়ায়।আয়নায় দেখে ওর আর রেনুর ভালবাসা।আর সেখানে খুঁজে পায় ভালবাসার অভ্যাস।সামাজিক অভ্যাস।ও জানে জেনা করা পাপ।মহাপাপ।তবুও সে জেনা করে।শরীরের চাহিদাকে অস্বীকার করতে পারেনা।কেন পারেনা,তা সে নিজেও জানেনা। রেনু,রিনা তারাও বিবেকের আয়নায় নিজেদের দেখে।রেনু ভাবে সময় কেমন বদলে দিয়েছে ওর নীতিবোধকে।পরকীয়ায় ও এখন তীব্রভাবে আসক্ত।ওর কাছে এটা পরকীয়া মনে হয়না।ওর কাছে এটা হলো স্বকীয়া।ও চেয়েছে বলেই ওর জীবনে মাসুদ এসেছে।এসেছে টগর।শরীরি ভাষাকে ও অস্বীকার করতে পারেনা।করতে চায়ওনা।সমাজ কি ভাবলো ,এ নিয়ে ওর কোন মাথা ব্যাথা নেই। রিনার দুটি বিষয় মুখ্য ছিল শারীরের ক্ষুধা নিবারণ আর আর্থিক নিরাপত্তা।বৈবাহিক স্বীকৃতি নিয়ে ও ভাবেনা।তবে মোস্তফাকে এখন আর স্যার বলেনা যখন তারা একান্তে থাকে।ও জানে মোস্তফা ওকে ভালবাসে।আর এতেই ও খুশি।
যারা এই গল্পটি পড়ছেন,তারা হয়তো ভাবছেন সকলেই সামাজিক অপকর্ম করছে আর কেউ তা জানছে না?আসলে এ ধরণের অপকর্ম ঢেকে রাখা যায়না।জানাজানি হয়ে যায়।এটাই নিয়ম।ভাবছেন জানাজানি হলে কি ঘটেছিল?এই ঘটনাগুলি আমাদের সমাজেরই।আপনারা তাকালেই দেখতে পাবেন।প্রথমে ওদের মধ্যে প্রচণ্ড সংঘাত ঘটে।সম্পর্কের মাঝে গভীর ক্ষত সৃষ্টি হয়। বিচ্ছেদ?না,বিচ্ছেদ হয়না।সময় অনেক কিছুই ভুলিয়ে দেয়।অনেকগুলি নিয়ামক একসাথে কাজ করে ওদের ক্ষত সারিয়ে তুলতে।এক সময় সমাজ দেখেও না দেখার ভান করে সমাজের সুস্বাস্থ্যের জন্য।
©somewhere in net ltd.
১| ২০ শে জুলাই, ২০১৬ রাত ৩:৪০
আহম কামাল বলেছেন: 'স্বকীয়তা হোক আর পরকীয়া'- এটা মানুষের আদিম প্রবৃত্তি| কারও সুপ্ত| কারও গুপ্ত| কারও প্রয়োজনে| কারও নেশায়| কেউ শৃংখলায় বিশ্বাসী| কেউ অদম্য| কেউ দমন করেন সাধনায় আর আদর্শে|