নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

লিখতে ভালো লাগে তাই লিখি।

সুদীপ কুমার

মন যা চায়।

সুদীপ কুমার › বিস্তারিত পোস্টঃ

স্বকীয়া অথবা পরকীয়া (পঞ্চম পর্ব )

১৫ ই জুলাই, ২০১৬ রাত ১:২০


সুপুরুষ বলতে যা বোঝায় মাসুদ তা নয়।কুচকুচে কালো আর রোগা।তবে সে খুব গুছিয়ে কথা বলতে পারে।আর ও খুব সহজেই মেয়েদের সাথে মিশে যেতে পারে।
-ভাবী,এইটা আপনার রুম।খুব ক্ষুদ্রায়তনে শুরু করলাম।ছাত্র-ছাত্রী বাড়লে অন্য বিল্ডিং এ যাবো আমরা।মাসুদ রেনুকে বলে।
আজ স্কুলে রেনুর প্রথমদিন।ছোট ছোট বাচ্চাদের হই-হুল্লোড় চারপাশে।প্লে থেকে অষ্টম শ্রেণী পর্যন্ত।রেনু অনুভব করতে থাকে বাচ্চাদের হুল্লোড় ওর ভাল লাগছে না।মাসুদ স্কুলের সব শিক্ষকদের সাথে পরিচয় করিয়ে দেয় রেনুর। স্কুল ছুটি হলে মাসুদ রুমে আসে।
-ভাবী,রিক্সা ডেকে দেবো?
-না,থাক।কাছেইতো।আমি হেঁটেই চলে যাবো। রেনু মাসুদকে বলে।
-চলেন আমি এগিয়ে দিয়ে আসি।
-আপনি আবার কষ্ট করবেন কেন?
মাসুদ রেনুর সাথে বেরিয়ে পড়ে।রাস্তায় যেতে যেতে মাসুদ রেনুকে বলে
-ভাবী,আজ আপনাকে খুব সুন্দর লাগছে।
-সে আপনার চোখ দেখেই বুঝেছি।ছেলেদের চোখ দেখলে মেয়েরা অনেক কিছুই বুঝতে পারে।
মাসুদ আর কথা বাড়ায়না।চুপচাপ হাঁটতে থাকে।

রাতে খেতে খেতে মোস্তফা রেনুকে প্রশ্ন করে –কেমন লাগলো?
-ভালো। ছোট্ট করে রেনু উত্তর করে।
বিছানায় শোবার পর রেনু মোস্তফার বুকের ভেতর মিশে যেতে চায়।আদুরে মিষ্টি আওয়াজ করে।মোস্তফা শুধু জড়িয়ে ধরে থাকে রেনুকে।
-তোমার ইচ্ছা নাই? খুব ধীরে রেনু প্রশ্ন করে মোস্তফাকে।
-আজকে রুগীর ধকল বেশী গিয়েছে।ক্লান্ত লাগছে। মোস্তফা উত্তর করে।
-আমি জাগিয়ে দিচ্ছি।
রেনু আলতো করে চুমু খায় মোস্তফাকে।নিজেই খুলে ফেলে লুঙ্গী।হাত দিয়ে আলতো করে স্পর্শ করে লিঙ্গ।নাড়াচাড়া করে।মুখে পুড়ে নেয়।
-শক্ত হচ্ছেনা কেন? খরখরে কন্ঠে রেনু বলে।
-বললামই তো ক্লান্ত।
-আমারে কি আজকাল আর পচ্ছন্দ হয়না?
-কি যাতা বলো।
-আমি যাতা বলছি।রেনু রাগত স্বরে বলে।
কিছুক্ষণ কেউ কোন কথা বলেনা।রেনু হতাশ হয়ে শুয়ে পড়ে।এক সময় ঘুমিয়েও পড়ে।মোস্তফা মৃদ আলোয় রেনুর মুখ দেখতে থাকে।ওর মায়াও হয় রেনুর জন্য।ভাবে ওরও দিনের পর দিন এমন গিয়েছে কিন্তু রেনু সাড়া দেয়নি।কখনও ঘুমের অজুহাতে কখনও শরীর খারাপের অজুহাতে।শারীরীক মিলন পুরোটাই রেনুর খুশি মত।চাপাচাপি করলেই খেপে গিয়ে বলবে এবর্শনের কথা।তখন মোস্তফা বাধ্য হয়ে চুপ করে থাকে।রেনু ঘুমিয়ে পড়লে হাত দিয়েই বীর্যপাত ঘটিয়ে সেও ঘুমিয়ে যেতো।তবে আজকের ঘটনা অন্য।আজ মোস্তফা চেম্বার শেষে আজাদের বাড়ি গিয়েছিল।আজ রিনার সাথে ও ডেটিং করেছে।রিনার কথা মনে হতেই মোস্তফা হেসে ফেলে।ভাবে এখনকার মেয়েরা পারেও বটে।খেলে,খেলিয়ে ধুঁকিয়ে মারে মোস্তফাকে।

মাসুদকে ইদানিং বেশ প্রশ্রয় দেয় রেনু।রুমে একা থাকলে ইচ্ছা করেই বুকের খাঁজ বের করে রাখে।মাসুদের দূষ্টি উত্তাপ উপভোগ করে।শরীরও কিছুটা চনমনে হয়।মাসুদও কম যায়না।নানা ছলনায় রেনুকে স্পর্শ করে।রেনুও বুঝতে পারে মাসুদের ছলনা।তবে অবাক হয় এই ভেবে ওর শরীর মাসুদের স্পর্শ উপভোগ করতে শুরু করেছে।রেনু বুঝতে পারেনা এটা ভাল হচ্ছে না খারাপ হচ্ছে।অথবা না বোঝার ভান করে নিজেকেই নিজে প্রবোধ দিচ্ছে।ও কি মাসুদকে পচ্ছন্দ করা শুরু করেছে?প্রেম?রেনুর মনে হয়-প্রেম নয়। অন্য কিছু।

প্রথমদিন মাসুদের আনাড়িপনা দেখে রেনু হেসেই খুন।ঢোকানোর সাথে সাথে মাসুদের বীর্যপাত হয়ে যায়।
-এই মুরোদ।আর এতেই এতো ছটফটানি।রেনু হাসতে হাসতে মাসুদকে বলে।মাসুদ মাথা নীচু করে রেনুর দুই উরুর ফাঁকে বসে থাকে।
-তোমার জ্বালাতো মিটলো।আমার?
মাসুদ তাকিয়ে থাকে রেনুর শঙ্খসাদা সুডৌল স্তনের দিকে।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.