নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

লিখতে ভালো লাগে তাই লিখি।

সুদীপ কুমার

মন যা চায়।

সুদীপ কুমার › বিস্তারিত পোস্টঃ

উন্মেষ (ছোট গল্প)

২৪ শে জুন, ২০১৬ দুপুর ১:২৭


খাটের উপর দুলে দুলে পড়ছে আকাশ।ছোট বোন খেলছে মেঝেতে।দরজায় কেউ কড়া নাড়ে।আকাশ তার বোনকে দরজা খুলতে বলে।বহ্নি মাথা নাড়ে।সে পারবেনা।অগত্যা আকাশই উঠে দরজা খুলতে।সামনে ফ্রক পড়া দারুণ সুন্দর এক কিশোরী দাঁড়িয়ে।দরজা খুলে আকাশ অবাক দৃস্টিতে চেয়ে থাকে ।
-তোমার বাবা বাড়িতে আছেন? পুরুষ কন্ঠের প্রশ্ন শুনে সম্বিত ফিরে আকাশের।পাশে বাবার বন্ধু দাঁড়িয়ে।আকাশ উনাদের ঘরে আসতে বলে।মাকে ডাক দিয়ে বলে শিশির কাকুরা বেড়াতে এসেছেন।মা উনাদের ভেতর ঘরে নিয়ে যায়।

রাতে খাবার টেবিলে বাবা-মায়ের আলোচনা থেকে আকাশ জানতে পারে কিশোরীর নাম রুপা।অষ্টম শ্রেণীতে ভি এম স্কুলে পড়ে।শিশির কাকুর দুই মেয়ে আর এক ছেলে।বাবার কাছে সকালে প্রাইভেট পড়তে আসবে।

রুপারা মালতীনগরে থাকে।আজ ও প্রাইভেট পড়তে যাবে পাইকার পাড়ায়।ইংরেজীতে ও বেশ দুর্বল।বাবা সত্যেন কাকুর কাছে ওর পড়া ঠিক করেছে।সেদিন সেও গিয়েছিল সত্যেন কাকুর বাড়িতে।বেশ জরাজীর্ণ বাড়ি।দুটি ঘর আর এক বিশাল বারান্দা।রুপা পাশের বাড়ির সুলতানাকে ডাকতে যায়।সুলতানা আগে থেকেই সত্যেন কাকুর কাছে পড়ে।

সকালে আকাশ ওর বন্ধুকে নিয়ে বটু স্যারের কাছে পড়তে যাচ্ছিল,পাড়ার মোরে শিশির কাকুর মেয়েটির সাথে দেখা হয়ে যায়।সাথে আর একটি মেয়ে।ওই মেয়েটি আগে থেকেই বাবার কাছে পড়ে।আকাশ আজ সালোয়ার কামিজ পড়া মেয়েটির সাথে ফ্রক পড়া মেয়েটিকে মেলাতে পাড়ে না।আজ তার কাছে রুপাকে অন্যরকম লাগে।
-সুলতানার সাথে নতুন মেয়েটি কে?সুদীপ প্রশ্ন করে আকাশকে।মাইরী ,মেয়েটির হেব্বী ফিগার।সুদীপ মুখে এক ধরণের শব্দ করে।আকাশের মন খারাপ হয়ে যায়।
-স্যারের ছেলেটা খুব সুন্দর দেখতে।তাইনারে রুপা? সুলতানা রুপাকে বলে।রুপা কোন উত্তর করেনা।

সুদীপ আকাশকে বাড়িতে আসতে বলেছে।দুপুরে বাড়িতে ওর বাবা- মা কেউ থাকেনা।ওরা কয়েক বন্ধু মিলে ভিসি আরে ছবি দেখে।জেমস বন্ডের সবগুলো সিনেমা দেখা ওদের শেষ।
-আজ কি সিনেমা দেখাবি?লিটন প্রশ্ন করে সুদীপকে।
-ব্লু লেগুন।

আকাশ দুই উরু শক্ত করে চেপে বসে আছে।সুদীপ লাফ দিয়ে উঠে-বাথরুমে চলে যায়।লিটন একবার উঠছে একবার বসছে।
-থাক ,এবার সিনেমাটা বদলা।আকাশ লিটনকে বলে।
-পথের পাঁচালী ছাড়া আর কিছুই নাই।
-ওটাই চালা।আকাশ বলে।
সুদীপ ফিরে এসে ব্লুলেগুনের ফিতা স্কুল ব্যাগে তুলে রাখে।


রাত প্রায় বারোটা।পড়ায় মনোযোগ আনতে পারছেনা আকাশ।ইদানিং এই সমস্যা হয়েছে।পড়তে বসলেই রুপার মুখ ভেসে উঠে।রুপার সাথে মনে মনে কথা বলে।লাইট অফ করে শুয়ে পড়ে আকাশ।

বাড়িতে আজ কেউ নেই।রুপা আসবে বলেছে।অনেকক্ষণ ধরে পায়চারী করছে আকাশ।রুপার আসার কোন লক্ষণ নেই।অস্থির হয়ে ওঠে আকাশ।অবশেষে দরজায় ঠকঠক শব্দ।আজ রুপা ফ্রক পড়েছে।চুল ছেড়ে দেওয়া।
-এত দেরী কেন?আকাশ প্রশ্ন করে।
রুপা কোন উত্তর করে না।অদ্ভুদ চোখে তাকিয়ে থাকে।কাছে আসে।আকাশকে জড়িয়ে ধরে।আকাশের শরীর ঝনঝন করতে থাকে।সেও শক্ত করে জড়িয়ে ধরে।পাগলের মত মুখ ঘষতে থাকে রুপার বুকে।

পরদিন সকালে দাঁত মাজার সময় আকাশ খেয়াল করে নাভীর নীচে লুঙ্গী খুব খরখরে হয়ে আছে।

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ২৪ শে জুন, ২০১৬ দুপুর ১:৩৯

অবনি মণি বলেছেন: :-P :-P :-P

২৪ শে জুন, ২০১৬ রাত ১০:৩০

সুদীপ কুমার বলেছেন: !!!

২| ২৪ শে জুন, ২০১৬ দুপুর ২:৪১

বেরসিক কথক বলেছেন: বাজে রকমের মানহীন লেখা!!

২৪ শে জুন, ২০১৬ রাত ১০:৩১

সুদীপ কুমার বলেছেন: আপনি বড্ড রসিক।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.