নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
মানুষের রক্তের শুকনো দাগ
আর উৎকট পচা গন্ধ পেরিয়ে
আমরা প্রবেশ করি সেই ঘরে,
বিষণ্ণ একটি ঘর-
ফাঁকা।
পিশাচরা সব পালিয়েছে
নাখাল পাড়ার এই বাড়ি ছেড়ে।
বেদনার্ত বাতাসে নড়ে ওঠে
ছেঁড়া ডায়েরীর পাতা-
একটি টুকরো-
কাগজের।
স্থির হয়ে যায় আমাদের চোখ
ঝড় ওঠে মস্তিষ্কের মাঝে।
ছেঁড়া পাতাটিতে নামের তালিকা-বুদ্ধজীবিদের
নামের তালিকা
যাদের গলিত দেহ পাওয়া যাচ্ছে ঢাকার নানা স্থানে।
নামগুলি হাহাকার করে
আর বলে -তোমরা ছেড়োনা ওই পিশাচদের।
কে একজন চীৎকার করে ডাক দেয়
ভাইয়া,দেখে যাও তোমরা!
আমরা খুঁজে পেলাম
মানুষের উপড়ানো চোখ-
এক বস্তা!
এরপর-
থমকে যায় সময়
বাতাসের নীরবতা
হৃৎস্পন্দনের দ্রুত লয়।
তারপর-
কতবার বন্যায় ডুবে যায় ফসল
কত কৃষক হয় সর্বশান্ত
এই পোড়া চোখ শুধু সাক্ষী রইলো।
শুনেছি -জল্লাদ চৌধুরী এখন লন্ডনে
এক মসজিদের ইমাম
এক নরঘাতক
এক নর পিশাচ
এক যুদ্ধাপরাধী
আজ সেজেছে ধার্মিক-
বক ধার্মিক।
২৫/০১/২০১৫
©somewhere in net ltd.