নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
এক মাকড়সা জাল বুনে
বিভ্রান্তির জাল বুনে,ধীরে ধীরে।
অতীত হতে কুড়িয়ে আনে
বিভ্রান্তি;আর বুনতে থাকে।
মাকড়াসার জাল আমরা চিনি
অতিসূক্ষ্ম,অতি মিহি,
ধুলো বা শিশির পড়লে দেখতে পাই তারে।
যেমনটি দেখা যায় ধানের ক্ষেতের পাশে
চলার সময়ে।
অথবা নির্জন বাড়িতে ধূলি ধূসর ঘরে।
আমি তেমন জালের কথা বলছি না
-বলছি না মাকড়াসার বুনা জালের কথা
বলছি বিভ্রান্তি দিয়ে বুনা
অতিসূক্ষ্ম জালের কথা।
এক মাকড়াসা জাল বুনে।
আমি কেন মাকড়াসা
মাকড়াসা বলছি,বলতে পারো?
আমারও কি ঘটেছে স্মৃতিভ্রম
কিম্বা অতীত সম্পর্কে ধারণা অস্পষ্ট
তবে
কেন জড়াই সেই কথার জালে?
ইতিহাসের পাতা হতে তুলে আনা হয়েছে
প্রতিষ্ঠিত সত্য আর তার সাথে
মেশানো হচ্ছে বিভ্রান্তি।
বেশ হয়ে গেলো
জাল বুনা হয়ে গেলো।
যেমন বলা যায়,ত্রিশ লক্ষ শহীদের কথা
যারা প্রাণ দিয়েছিল বাংলাদেশ নামক একটি দেশ পাবে বলে
এই যে যারা চায়নি এদেশের স্বাধীনতা
কিম্বা স্বাধীন বাংলাদেশে জন্মে একদল তরুণ স্বপ্ন দেখে
পাকিস্থানের
কিম্বা যারা একদা মুক্তিযোদ্ধা
বর্তমানে মানসিক রাজাকার
তারা বলছে শহীদের সংখ্যা নিয়ে বিতর্ক আছে!
একথা সঠিক নয়-তারা সবাই জারজ
অথবা জন্ম পাকিস্থান নামক বর্বর একটি দেশে,
তবে এটা নিশ্চিত,এই প্রতিষ্ঠিত সত্য ঘটনা নিয়ে
যারা বিভ্রান্তি ছড়ায়
তারা সবাই মানসিকভাবে ধর্ষিত
পাকিস্থানের কৌশলের কাছে ধর্ষিত
আর তাই তাদের মুখগহ্বর হতে
বেড়িয়ে আসছে
দুর্গন্ধযুক্ত বিষাক্ত শব্দ-
বিভ্রান্তির কথামালা।
যা দিয়ে সুকৌশলে কেউ বুনে চলেছে
অশান্তির জাল।
আমি কী পতঙ্গ
কেন আটকে যাবো সেই জালে?
২৭/১২/২০১৫
৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:৪৮
সুদীপ কুমার বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে।
©somewhere in net ltd.
১| ৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ২:৫৩
রক্তিম দিগন্ত বলেছেন: বাহ। অনেক ভাল কবিতা। ভাল লাগলো।