নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
জাহানপুরের এই বাড়িটিতে চারজন
ব্যাচেলার ভাড়া থাকে।বাড়ির মালিক ইউনুস
সাহেব।উনাকে বেশ সাহসী বলা যায়।
বাড়িতে দু'দুটো উঠতি বয়সী মেয়ে,আর
তিনি কিনা ভাড়া দিয়েছেন চারজন
ব্যাচেলার ছেলেকে। তার বাড়িটি পাঁচ
তলা।তৃতীয় আর চতুর্থ তলা লিখে দিয়েছেন
দুই মেয়েকে।উনার ছেলে আফজাল রাজনীতি
করে বেড়ায়।বেশ ষন্ডা প্রকৃতির।তবে
ধ্রুবদের সাথে আফজালের খুব ভাব।
ধ্রুবরা ইউনুস সাহেবের বাড়ির তৃতীয় তলায়
ভাড়া থাকে।মহল্লায় তাদের বেশ সুনাম
আছে।দুটি রুমে তারা চারজন থাকে। ধ্রুব আর
রমিজ এক রুমে থাকে।অপরটিতে দীপু
এবং আসাদ।সকালে রমিজ চুপচাপ বসে ছিল।
খালা এসে সকালের নাস্তা তৈরি করছে।
দীপুও এসে বসে।
-ধ্রুব আজ ঘুম থেকে উঠেনি?
রমিজ হেসে ফেলে।বলে
-সারারাত ফোনে কথা বললে,সকালে উঠবো
কেমনে?
দীপু অবাক হয়।
-সারারাত!কার সাথে?
-একটি মেয়ের সাথে।
-ও যে প্রেম করে, বলেনিতো।ওকে সব সময়
মেয়েদের এড়িয়ে চলতে দেখি।
-ধ্রুবও চেনে না মনে হলো।
রমিজ একটি ব্যাংকে আছে।ধ্রুব এন জিও
কর্মকর্তা।দীপু আর আসাদ ঔষধ কোম্পানীর
প্রতিনিধি।তারা একে অপরের খুব ভাল বন্ধু।
নাস্তা খেয়ে দীপু আর আসাদ
কাজে বেড়িয়ে যায়। রমিজ পোষাক পড়তে
পড়তে ধ্রুবকে জাগিয়ে দেয়।
-এই ধ্রুব উঠ।নয়টা বাজে প্রায়।অফিস
যাবিনা।
-আজ উল্লাপাড়ায় ব্রাঞ্চ অফিসে যেতে
হবে।
দেরী করেই যাবো।
-তুই কী মেয়েটিরে চিনোস?
-নারে।
রমিজ আর কথা বাড়ায় না।বেরিয়ে পড়ে।
দুই বছর আগে ধ্রুব সিরাজগন্জে পোষ্টিং
পায়।তার এক কলিগ রমিজদের সাথে তার
পরিচয় ঘটিয়ে দেয়।আসার কিছুদিন পরই
আসাদের ভাইয়ের বিয়ে খেতে গিয়েছিল।
আসাদের বড় ভাই ঢাকার একটি ফার্মে
চাকুরী করেন।ভাবি সিরাজগন্জ কলেজে
পড়ে।ভাবি এখন হোষ্টেলে থাকেন।আসাদ
মাঝে মাঝে ধ্রুবকেও নিয়ে যায়,ভাবির সাথে
গল্প করতে।গতরাতের ফোন কলটার কোন
হিসাব মেলাতে পারে না ধ্রুব।
রাতে তাস খেলবার সময় ওরা ঠিক করে।
আবার যদি ফোন আসে,এবার ধ্রুব চেষ্টা
করবে মেয়েটির পরিচয় জানতে।
৩০/০৯/২০১৫
©somewhere in net ltd.