নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বাংলা লেখার কঠিন বিষয় হলো যুক্তঅক্ষর সেগুলো লেখা এখন আরো কঠিন। জানতে হবে যুক্তক্ষর কিভাবে লিখতে হয়।
ণ হবে না ন হবে। স হবে না ষ হবে এমন অরো সব কিছু। এছাড়া আছে তিন অক্ষরের যুক্তক্ষর যেমন ক্ষ।
এছাড়া কত রকমের চিহ্ন ব্যবহার করতে হয়। দীর্ঘ হ্রস র পাল্লা বেশ ভাড়ি। ও কার ই কার এগুলো নানা রকমের বাংলা লেখার টাইপে ভিন্ন রকম ভাবে ব্যবহার করতে হয়। যা তৈরি হয় ওয়েব নির্মাতার পছন্দ মতন। এবং অবশ্যই সাথে জানতে হবে নানা লেখার নানা নিয়ম। যার জন্য লেখা ভুল হবে। অনেক যুক্ত অক্ষর আপনি সঠিক লেখার পরে দেখবেন ভুল দেখাচ্ছে পোষ্টে । আবার অনেক সময় ওয়েব নিজের পছন্দে একটা শব্দ আপডেট করে ফেলে।
যখন বিদেশে প্রথম এলাম দেশের জন্য প্রাণ কাঁদে বেশি। তখন এত বাংলা ব্যবহারের সুযোগ ছিল না অন লাইনে।
বেশ ক বছর পর অন লাইনে পত্রিকা পাওয়া গেলো। পিডিএফ করা পত্রিকার নাম পড়তে পারি কিন্তু ভিতরের লেখা পড়তে পারি না। ছেলে বেশ পারদর্শি কম্পিউটারে। তাকে বলি লেখা গুলো পড়ার ব্যবস্থা করে দিতে। ও চেষ্টা করে জানায়। হবে না। এক একজনের এক এক নিয়ম। নানান নামের বাংলালিপি সবটা ডাউনলড করার সুযোগ নেই তাই পত্রিকা পড়াও সম্ভব হতো না। এখনের মতন পিডিএফ ছাড়া ইউনিকোড ব্যবহারের সুযোগ ছিল না। আমি অত কিছু না বুঝে বরং ছেলের উপর রাগ হতাম আমার কাজ করার জন্য সময় দিচ্ছে না ভেবে। অথচ ও যে সঠিক বলছে সেটা বুঝতে পারতাম না তখন। অজ্ঞতায় রাগ বেশি হয়।
বর্তমান সময়ে অনেক উন্নত হয়েছে বাংলা অনলাইনে।
নতুন করে গুগলে ভয়েস টাইপিং শুরু হয়েছে। ভালো লিখে, দ্রুত লেখা হয়। তবে অনেক কথা বুঝতে পারে না ভয়েস। আর দাড়ি কমা দিতে পারে না। সাথে ভাবনা মুখে বলে প্রকাশ করাতে হাতে লেখার মতন অনেক সময় হয় না। ভয়েস রেকর্ডিং শুধু ভয়েসেই করতে হয়। সেখানে হাতে লেখার কোন সুযোগ নাই। তাই অন্য কোন ওয়েবে গিয়ে আবার এডিট করতে হয়।
হয়তো বা আছে এক সাথে এডিটিং সুবিধাসহ আমি পাইনি। এখন এত বেশি ওয়েব তৈরি হয়েছে সবই ভালো নয়। সঠিক নিজের পছন্দ মতন পাওয়া কঠিন। অনেক ওয়েবের সাথে আবার স্পাম ওয়েব পাওয়া যায়। তাই সব লিঙ্কে স্পর্শ করতে ভয় হয়।
অভ্যস্ততার শুধুই পরিবর্তন দরকার। সাথে অভ্যস্থ হয়ে উঠারও। এ যেন বর্তমান সময়ে অফিসে কাজ করার মতন; প্রতিনিয়ত আপগ্রেড করাতে হয় নয় তো যে কেউ জায়গা দখল করে নিবে। কাজ হারানোর ভয়ও থাকে।
সনাতন পদ্ধতির টাইপ রাইটারের মতন এক ঘেয়ে খটাখট টাইপ করে যাওয়ার সুযোগ আর নাই।
গুগলে বাংলা যাওয়া মানে আর্ন্তজাতিক অবস্থানে বাংলা আছে। আগে গুগল ট্রেন্সলেশনে বাংলা পাওয়া যেত না। এখন সেটা যুক্ত হয়েছে। সাথে আবার প্রচুর ভুল বানান এবং বাক্যেরও ছড়াছড়ি আছে। এখন সঠিক খুঁজতে হয় এবং জানতে হয়।
ইংলিশের মতন বাংলা ডিকশনারি দরকার অনলাইনে। ব্লগে অনেকে বানান ভুল ধরেন, তাদের ওয়েব বাংলা ডিকশনারী যোগ করার দিকে মনোযোগী হওয়া দরকার। ইংলিশ লিখতে গিয়ে লাল দাগে ভুল ধরিয়ে দেয়। বানান জানার দরকার পরে না। লাল দাগ দেখে সচেতন হয়ে ঠিক করে নেয়া যায়, সাজেসন অনুযায়ী। সঠিক মনে না হলে সমার্থক শব্দ দেখে চট করে বের করা যায়।
বাংলা লেখা তেমন ভুল ধরলে সাথে সাথে ঠিক করে ফেলা যায়। কিন্তু আমাদের এক ভাষা, লেখার পদ্ধতি আবার নানা বৈচিত্রের।
তাই সরকার অনুমদিত সঠিক ভাষা চর্চার জায়গা থেকে,সঠিক বানানের অভিধান যোগ হলে ভালো হয়। প্রতিটি সফটওয়ারের সাথে অভিধানের শব্দ থাকবে। তা আমাদের লেখা সঠিক করতে সাহায্য করবে।
বর্তমান সময়ের বাচ্চারা ক্যালকুটের দিয়ে অংক করে। তাদের নামতা বা টেবিল শিখার জন্য বা বানান শিখার জন্য বেশি সময় ব্যয় করতে হয় না। তারা সময়টা অন্য ভাবনায় লাগিয়ে ভিন্নধর্মী কাজ করতে পারে। বিদেশে এই মুখস্ত করার জন্য খুব চাপ দিতে দেখি নাই বাচ্চাদের। আবার কিছু বাচ্চা আছে বিরাট লম্বা সংখ্যার অংকের গুন ভাগ বিয়োগ বা যোগের ফল মুখে মুখে বলে দেয়। বানান প্রতিযোগীতা করে পুরস্কার পায়। তবে যারা শিখতে চায় না তাদের জন্য জোড় করার কোন ব্যবস্থা নেই। সফ্টওয়ার আছে বানান ঠিক করে নেয়ার, অংক করার।
তবে দেশের ভিতর ভাষার মান বদলে যাচ্ছে। এক সময় করছস খাইছস, গেছস এমন শব্দ রেডিও, টিভিতে শুনে কেমন জানি লাগত। সাথে ছিল ইংলিশ মিক্স কথা, এই আমি যেমন লিখলাম। এখন সেগুলো লেখায় যুক্ত হয়ে গেছে। আবার এই কথা গুলোও বদলে যাচ্ছে আরো নতুন প্রজন্মের মুখে। ভাষা বদল হবেই নয় তো ভাষা মরে যাবে। তবে এত বদল মানা অনেক সময় সহজ হয় না অভ্যস্থতার জন্য। কিন্তু উপায় নাই, মেনে নিতেই হবে।
আমার সবচেয়ে বড় অসুবিধা আমি বিজয়ে লিখি। আর ল্যাপটপ বদল করলে প্রতিবার জব্বর সাহেবের থেকে সিডি কিনতে হয়। পুরানোটা আর ব্যবহার করতে পারি না। সিডি ভালো থাকলেও তিনি অনুমতি দেন না।
আমি বাংলা লেখা শিখেছি আশির দশকে এবং বিজয়ে। বিজয়ে লিখতেই আমার সাচ্ছন্দ। কিন্তু এখন বেশ ঝামেলায় থাকি প্রতিবার নানা রকম নিয়ম বদল হওয়ার জন্য। অভ্র যখন আসল তার আগে দুহাজার সালের দিকে অভ্রর নিয়মে বাংলা লেখার একটা প্রোগরাম পেয়েছিলাম আমি ইণ্ডিয়ান ওয়েবে। বেশ ভালো লেখা হতো। কিন্তু যেহেতু আমার লেখা আবার বই আকারে প্রকাশ পায় তাই প্রকাশনার সুবিধায় আমি বিজয়ের সাথেই থাকি। অন্য ভাবে লিখলে প্রকাশকরা সেটা আবার বিজয়ে করে দিতে বলেন।
কিন্তু দিন দিন বিষয়টা কঠিন হয়ে যাচ্ছে।
মোবাইলে রিদিমিক ব্যবহার করি। বেশ ভালো। অনেক যুক্ত অক্ষর আমাকে লিখতে হয় না শব্দ এসে যায়, বসিয়ে দেই তবে টাইপ করতে অনেক সময় লাগে আমার। রিদিমিকের টাইপের সিস্টেম আবার ল্যাপটপের মতন নয়। ভয়েস টাইপও ভালো এদের। তবে বড় লেখা রাখার মতন জায়গা মোবাইলে নাই। তাই সমস্যা হয় ।
একটা না একটা নানা রকম সমস্যা চলেই বাংলা লেখায়।
এবং এই বিভিন্ন ধরনের টাইপে লেখা গুলো প্রকাশনার জন্য সহযোগী হবে কিনা সেটা নিয়ে ভাবনা থেকে যায় সাথে।
উন্নত হচ্ছে, আরো কিছুদিন পর হয় তো স্থির একটা ব্যবস্থা পাব অনলাইনে সঠিক বাংলা লেখার, ইংরেজি লেখার মতন। বারে বারে বদলের চেয়ে স্বস্থি হবে তখন এই আশা করি।
এই লেখাটাও হলো শেরজা তপনের লেখার উত্তর দিতে গিয়ে।
লেখার নানা অবস্থা নিয়ে আগে একটা লেখা দিয়েছিলাম। অর্ন্তজালে বা!লা লেখায় কত বর্ণ কত রঙ অনেকে পড়েন নাই এখানে লিঙ্ক যোগ করে দিলাম।
অর্ন্তজালে বাংলা লেখায় কত বর্ণ কত রঙ
১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ রাত ২:৫৪
রোকসানা লেইস বলেছেন: আমাদের ভাষা যত্ন করার দায়িত্ব আমাদের।
২| ১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ দুপুর ২:৩৯
আফলাতুন হায়দার চৌধুরী বলেছেন: আমিও বিজয়ে লিখি। অনলাইনে লিখি ইউনিজয়ে। জব্বর আংকেলের বিজয় ম্যাকে আটকাইতে পারে না। উনার বিজয় আমার ম্যাকবুক যতবার আপগ্রেড করসি ওই আগেরটাই ইউজ করতেছি। বেচারা ম্যাক আটকাইতে পারেনা কেন কে জানে?
১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ রাত ৩:০১
রোকসানা লেইস বলেছেন: জেনে ভালোলাগল আপনিও বিজয়ে লেখেন। আমি মনে করেছিলাম আমিই এক মাত্র বিজয় ব্যবহার করছি এখনও।
আপনার বুদ্ধিটা বেশ ভালো। তবে আমাকে আবার উনডজ থেকে ম্যাকে যেতে হবে। অ্যাপেল সবাই খুব পছন্দ করে আমি কেন যেন মানিয়ে নিতে পারি না।
তবে ব্যবহার শুরু করলে অভ্যস্ত হয়ে উঠব। কত কিছুতেই অভ্যস্ত হলাম।
অনলাইনে কোন বিজয় ভার্ষন আছে নাকি ডাউনলড করা যাবে, জানা থাকলে বলে যাবেন আসা করি।
৩| ১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ বিকাল ৩:৫১
রাজীব নুর বলেছেন: জব্বর সাহেব এক ভোগান্তির নাম।
১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ রাত ৩:০৫
রোকসানা লেইস বলেছেন: উনি প্রথম বাংলা লেখার আবিস্কারক কম্পিউটারের জন্য এই ক্রেডিড তাকে দিতেই হবে। নিজে পণ্য ফ্রি দিতে না চাইলে তাকে জোড় করার কোন যুক্তি নাই।
আমি সিডি কিনি, কিন্তু দেশ থেকে আনাতে অনেক সময় চলে যায় হঠাৎ ল্যাপটপ নষ্ট হয়ে গেলে।
৪| ১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:০০
নয়ন বড়ুয়া বলেছেন: বাংলা ভাষা নিয়ে আলোচনা দেখলে খুবই ভালো লাগে...
১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ রাত ৩:০৭
রোকসানা লেইস বলেছেন: প্রযুক্তির সাথে আছি তার সুবিধা নিচ্ছি আরো কি সুবিধা হলে সুন্দর এবং সঠিক হবে পথ চলা সে বিষয়ে ব্যবহারকারী হিসাবে কিছু দিকনির্দেশনা রেখে গেলাম।
৫| ১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ রাত ১০:৩৫
এম ডি মুসা বলেছেন: সুন্দর আলোচনা।
১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ রাত ৩:০৮
রোকসানা লেইস বলেছেন: ধন্যবাদ
৬| ১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ রাত ১১:৪৬
শেরজা তপন বলেছেন: পড়েছিলাম অনেক আগেই- মন্তব্য করার সময় পাইনি। আপনার অভিজ্ঞতার সাথে আমার অভিজ্ঞতা মিলে যায়। যদিও আমি শুরু করেছি বিজয় দিয়ে কিন্তু সময় মত অভ্রকে ধরে ফেলেছি। আপনি গুগোল কি-বোর্ডে স্পিচ টু রাইটে লিখলে টাইপে এডিটের অপশন তো পাবার কথা।
আমার সমস্যা হচ্ছে, প্রতিষ্ঠানিকভাবে টাইপিং না শেখার জন্য কি-বোর্ডের দিকে চেয়ে লিখি এখনো সে জন্য বানান ভুল হচ্ছে হর-হামেশাই, অটো স্পেলিং কারেকশন আর আর্টিফিশিয়াল বুদ্ধিমত্ত্বা তার মত করে বানান ভুল করে দিচ্ছে। বানান ঠিক করতে গিয়ে পুরো শব্দকে ফের কাটতে হচ্ছে, মাঝখান থেকে একটা বর্ণকে সরাতে গেলে পরেরটা মুছে যায়, মহা ফ্যাসাদ! তবে কি বোর্ডে চেয়ে লেখার জন্য রাইটিং স্পিড ভাল হয়।
আপনার অভিজ্ঞতার গল্প ভাল লাগল-সামনের দিনে ভাষা নিয়ে আরো গল্প কথা হবে, সাথে পাব আপনাকে সেই প্রত্যাশা রইল।
১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ সকাল ১০:২০
রোকসানা লেইস বলেছেন: সময় করে মন্তব্য করতে পেরেছেন এজন্য ধন্যবাদ। লেখাটা আপনার লেখায় মন্তব্য দিতে গিয়েই শুরু করেছিলাম।
স্পিচ টু রাইটিং বেশ ভালো দ্রুত অনেক লেখা হয়ে যায়।
সাথে এডিট করা আছে তবে এডিটে গেলে আবার লেখায় নতুন করে ফিরতে হয়। বারবার এধার ওধার করতে করতে লেখার গতি কমে যায়। এমনিতেই লিখতে লিখতে উঠিকত কাজ করতে।
অনেক সময় দেখি আধা মন্তব্য লিখে উঠে গেছি ফিরেছি কয়েক ঘন্টা পরে।
বানান ঠিক করতে গিয়ে পুরো শব্দকে ফের কাটতে হচ্ছে, মাঝখান থেকে একটা বর্ণকে সরাতে গেলে পরেরটা মুছে যায়, মহা ফ্যাসাদ!
নানা রকম যন্ত্রনা আমারও আপনার মতন।
নতুন শিখছি এবং নিজে নিজে ,হয় তো আমি নিয়ম ভালো করে জানি না। অথবা প্রোগরাম আরো আপগ্রেড হলে আমি সহজেই পেরে যাব।
টেকনিক্যাল বিষয় যার কিছুই জানতাম না। নিজে নিজে তার কাজ চালিয়ে নিচ্ছি, আগে একে তাকে জিজ্ঞেস করতাম এখন নিজেই পারি কিছু, এ জন্য নিজেকে ক্রেডিড দেই।
অভ্র ধরে ফেলে ভালো কাজ করেছেন। আমার যে কেন ভালোলাগে না নতুন করে শিখতে। লেখা কঠিন না। কখনো লিখিও অভ্র দিয়ে তবে যুক্তক্ষর গুলো নিয়ে ঝামেলা হয় তখন আর লিখতে ইচ্ছা করে না।
কত কিছুর কত অভিজ্ঞতা প্রতিদিন অজিঁত হয় এও আমাদের ইতিহাস । থাকি মিলেমিশে ভাষার আলোচনায়।
শুভেচ্ছা
৭| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ ভোর ৪:০০
আফলাতুন হায়দার চৌধুরী বলেছেন: উনি প্রথম বাংলা লেখার আবিস্কারক কম্পিউটারের জন্য এই ক্রেডিড তাকে দিতেই হবে।
ডিয়ার রোকসানা,
ফর ইউর কাইন্ড ইনফরমেশন জব্বার আংকেল প্রথম বাংলা লেখার আবিষ্কারক নন। তবে কম্পিউটারে বাংলা সফ্টওয়্যারের ব্যাপারে তাঁর অবদান রয়েছে। কম্পিউটারে বাংলা লেখা শুরু হয় আশির দশকের শুরুর দিকে। সাইফ শরীফ এ্যাপল ম্যাকে বাংলা লেখেন যার সফ্টওয়্যার প্রোগ্রামিং করেন তিনি নিজেই তবে সেটার বানিজ্যিক উদ্যেশ্য ছিলো না কিংবা তিনি বানিজ্যের দিকে যান নি। আশির দশকের শেষের দিকে (৮৮ সালে) জব্বর আংকেল (আনন্দ কম্পিউটার্স) বিজয় বাংলা প্রোগ্রাম লেখেন এ্যাপল ম্যাক সিস্টেমের জন্য। এখানে একটা বিষয় জেনে রাখা প্রয়োজন প্রেস এবং পাবলিশিং জগতে সব সময় এ্যাপল ম্যাক ব্যাবহার করা হত। জব্বর আংকেলের বিজয় সফ্টওয়্যার এবং ফন্ট (Font: অনেকে ফ্রন্ট লেখে, পড়তে গেলে মনে হয় মাথায় কেউ হাতুড়ির বাড়ি মারছে) সমগ্র বাংলাদেশের প্রেস-পাবলিশিং এবঙ গ্রাফিক্স ডিজাইনিং জগতে যুগান্তকারি অবদান রাখে। কম্পিউটারে বাংলা লেখা ডাল ভাত হয়ে যায়। এই জন্য অবশ্যই জব্বর আংকেলকে ক্রেডিট দেয়া যেতে পারে। এরপর তিনি উইন্ডোজ এর জন্যেও বিজয় সফটওয়্যার লেখেন। ব্যাবসা-বানিজ্য ভালোই চলছিলো। কিন্তু বেশ কিছুদিন পর মেহেদী হাসান নামের এক মেডিক্যাল স্ট্যুডেন্ট, দুষ্ট বালক অভ্র প্রোগ্রাম লেখে, ইউনিকোড ফন্ট বানায় এতে করে কাউকে কোন ধরনের কী-বোর্ড লেআউট শেখার দরকার হয়না। ফোনেটিকে বীর বাঙ্গালী তরতর করে ইংরজী হরফে বাংলা লেখা শুরু করে। তারপর থেকে জব্বর আংকেলের পেটে পাত্থর বান্ধা শুরু।
আমি অল্প কথায় কিছু লেখত পারিনা। ভ্যাজর ভ্যাজর করতেই থাকি। কম্পিউটারে বাংলা ভাষার বিবর্তন, ইতিহাস, বিভিন্ন কী-বোর্ড নিয়ে হয়তো একদিন লেখবো। সেই 'একদিন' কবে আসবে জানিনা। - ভালো থাকুন। দুঃখ থেকে মুক্তি লাভ করুন।
১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ সকাল ১০:৩৫
রোকসানা লেইস বলেছেন: সাইফ শরীফ এ্যাপল ম্যাকে বাংলা লেখেন যার সফ্টওয়্যার প্রোগ্রামিং করেন তিনি নিজেই
এই তথ্যটা এবং উনার নাম অচেনা আমার কাছে এই প্রথম আমি শুনলাম। হয়তো বা উনার সফটওয়ারেই বাংলায় লেখা শিখেছিলাম প্রথম ম্যাকে। মাউস এত নড়াচড়া করত ঠিকমতন বসাতেই পারতাম না তখন থেকেই বিরক্ত আমি সে জন্য।
হা হা হা ফন্ট আর ফ্রন্টে তালগোল পাকিয়েই যায় ফর্ম আর ফ্রম এর মতন বেশির ভাগ মানুষই এমন দুটো শব্দ উল্টোটাই ব্যবহার করেন মনে হয়।
দুষ্ট বালক দুষ্টামি করে ভালো কাজটি করেছেন। সবার জন্য সহজ হয়েছে অন্তর্জালে বাংলা দেখা এবং লেখা।
অল্প কথায় সব সময় সেরে ফেলতে হবে কেন কথা বলতে থাকুন একটু বেশিই নাহয়।
লিখুন পড়ার অপেক্ষায় থাকলাম।
সেই একদিন আসলে বানান ভুলের ঝামেলা মুাক্ হবো। তাড়াতাড়ি আসুক এই অপেক্ষায় রইলাম।
শুভেচ্ছা
৮| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ ভোর ৪:১৬
আফলাতুন হায়দার চৌধুরী বলেছেন: @রোকসানা
অনলাইনে কোন বিজয় ভার্ষন আছে নাকি ডাউনলড করা যাবে, জানা থাকলে বলে যাবেন আসা করি।
অনলাইনে উইন্ডোজ বেইজড বিজয় থাকতে পারে। তবে ম্যাকের জন্য সরাসরি জব্বর আংকেলের অনলাইন সফটওয়্যারর দোকান আনন্দ কম্পিউটার্স থেকে অনলাইনে কিনতে পারেন। আমি কিনেছিলাম পাঁচ হাজার টাকা দিয়ে। এখন দাম বেড়েছে কিনা জানিনা। ম্যাকের জন্য একুশে বাংলা কীবোর্ড, দুনিয়ার সব ফন্টস (ইউনিকোড, ট্রু টাইপ নির্বিশেষে) একদম ফ্রী।
১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ ভোর ৬:৪৭
রোকসানা লেইস বলেছেন: কিছু পেয়েছিলাম ফ্রি ডাউনলড করতে ক্লিক করার সাথে কি কি সব আসতে শুরু করল। তাড়াতাড়ি বন্ধ করে ল্যাপটপ ক্লিন করলাম। তাই ঐদিকে আর যাচ্ছি না।
ঐরকম দামে আমি কয়েকবার কিনেছি। উন্ডোজ সিস্টেম বদল হলে কাজ করে না। আবার মেশিন বদল হলে নতুন করে নিতে হয়।
অনলাইন সফটওয়্যারর দোকান আনন্দ কম্পিউটার্স এর অনলাইন লিঙ্কটা দিবেন প্লিজ। প্রয়োজন হলে সেখান থেকে নেয়ার চেষ্টা করব।
ধন্যবাদ ফিরে আসার জন্য।
শুভেচ্ছা
৯| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ সকাল ১১:১১
রানার ব্লগ বলেছেন: বাংলা লেখা কে কঠিন করার পেছনে একমাত্র অবদান এই জব্বর সাহেবের। উনি চাইলেই উহা কে সহজ ভাবে সাজাতে পারতেন যেমন পেরেছেন অভ্র উদ্যাক্তা। অথচ জব্বর ভাই উঠে পরে লেগেছে অভ্রর পেছনে। বাংগালী অভ্র ব্যবহার করে যে সুবিধা পাচ্ছে তা কিন্তু জব্বর ভাইয়ের বিজয়ে পাচ্ছে না।
১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ ভোর ৬:৫৩
রোকসানা লেইস বলেছেন: উনি বাংলা বর্ণে টাইপ কম্পিউটারে ব্যবহার হয়তো নিজের ব্যবসার জন্য করেছিলেন। মনোপলি ব্যবসা করছেন।
অভ্র জায়গা দখল করলে তো লাগবেই।
তবে এখন অভ্র সব জায়গায় সবার হাতে উনি আর ঠেকাতে পারলেন কই।
গুগল ভয়েস রাইটিং অনতি বিলম্বে এই সব জায়গা দখল করে নিবে।
মানুষ চায় সময় বাঁচাতে এ সময়ে।
১০| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ বিকাল ৪:১২
রাজীব নুর বলেছেন: পোষ্টে আবার এলাম। কে কি মন্তব্য করেছেন সেটা জানতে।
১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ ভোর ৬:৫৪
রোকসানা লেইস বলেছেন: উপরের ছবিতে ডিগবাজী দেয়া ছেলেটি যে চিহ্ন বানিয়েছে এই অক্ষরের নাম কি? এ দিয়ে কিশব্দ অছে বাংলা ভাষায়?
©somewhere in net ltd.
১| ১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ দুপুর ২:০৫
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
ভালো হোক মন্দ হোক।
এটা আমার ভাষা।
এটা আমাদের ভাষা।