নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

স্রোতের অজানা টানে সমুদ্র বালিয়াড়ি বেয়ে বোহেমিয়ান- গৃহকোন, জীবন যাপন ফেলে চলে যায়। তুমি দুহাত বাড়িয়ে আলিঙ্গনে বাঁধতে চাও জোছনা গলে হারিয়ে যায় সুখ । আছড়ে পরা ঘূর্ণিজল মনে বাজায় অচেনা সবুজ দিগন্ত ..

রোকসানা লেইস

প্রকৃতি আমার হৃদয়

রোকসানা লেইস › বিস্তারিত পোস্টঃ

ট্রেন্সজেন্ডার

২৩ শে জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ৩:৫৭

আমাদের দেশে একজন শিক্ষক বইয়ের পাতা ছিড়ে ফেলেছেন। বেশিরভাগ মানুষ সেই শিক্ষককে সাপোর্ট করছেন। কারন দেশে এই সমস্ত শিক্ষা দেয়া ঠিক না । বইয়ের সে পাতায় কি ছিল; বলা হয়েছে একজন ট্রান্সজেন্ডার মানুষের কথা। শরীফার গল্প আসলে একটি সত্যি ঘটনা, সম্ভবত আশির দশকের খবর, সেই সময়ে বাংলাদেশের পত্রিকা খুঁজলে ঘটনাটি পাওয়া যাবে। পড়েছিলাম আমার মনে আছে।
ট্রান্সজেন্ডার গ্রহণ করা তো দূরের কথা, এই ভাবনাটাও তো অনেক দূরের বিষয়। যে দেশের ছেলেমেয়েদের ইচ্ছারই কোন মূল্য দেওয়া হয় না। সন্তানকে সব সময় থাকতে হয় অভিভাবকদের ইচ্ছার অধীনে।
অনেক সময় শুনি, অনেক ছেলে মেয়ে আত্মহত্যা করছে। কেন সেই মেধাবী ছাত্র-ছাত্রী আত্মহত্যার পথ বেছে নেয়? অনেক ক্ষেত্রেই দেখা যায় তাদের উপর অভিভাবকের চাপিয়ে দেওয়া মত তারা নিতে পারে না । অনেক সময় তুলনা করা হয়, অন্য ভাই-বোনদের সাথে, কাজিনদের সাথে অথবা পাশের বাড়ির সন্তান বা সহপাঠী কারো সাথে। এই সমস্ত ব্যবহার অভিভাবকরা করে আসছেন আদি থেকে, একজন মানুষকে নিজস্ব গুণাগুণে চিহ্নত না করে সব সময় আর কারো মতন হওয়ানোর চেষ্টা এবং তুলনা। এই সময় পর্যন্ত এভাবই তারা অভ্যস্ত। তারা কখনো ভাবতেই পারেন না, সন্তান তার নিজের মতো চলবে।
সন্তানকে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেয়া হয়।
ভাবনা পরিবর্তন না করে বরং অভিভাবক গর্ব করে বলেন, আমরাতো বাবা-মা শিক্ষকের হাতে বেদম মার খেয়েছি তারপরে মানুষ হয়েছি। কিন্তু তাদের মনের ভিতরে যে দুঃখ ছিল তারা যা হতে চেয়েছেন তা না হতে পারার কষ্ট এসব বিষয়গুলো তারা কখনো বলেন না। তারা অভিভাবককে শ্রদ্ধা করেন, শিক্ষককেও শ্রদ্ধা করেন খুব ভালো। কিন্তু তার মানে এই নয় পরবর্তি প্রজন্ম নিজের পছন্দে চলতে পারবে না ।বরং আদি অকৃত্তিম তাদেরই ঐতিহ্য বহন করে একই ধারা চালু রেখে নিজেদের প্রতিবিম্ব হলে অভিভাবক দারুণ সন্তুষ্ট হন।
অনেক ছেলে মেয়ে প্রেম করে। তাদের সে প্রেম, অহংকারের কবরের নিচে চাপা পরে। প্রেমের সমাধির কারণ অভিভাবকের পছন্দ হয়নি, নানা বিষয়ে মিলেনা দুই পরিবারে। কিন্তু দুটি মনের যে মিল হল সেটা কেউ চোখে দেখে না, মন বোঝা সে তো অনেক দূরের কথা।
অনেক সন্তান, জন্মগতভাবে দৈহিক ভিন্ন আকৃতি নিয়ে জন্মায়। পুরুষ ও নারীর মধ্যবর্তী অবস্থানের এই সব মানুষকে তৃতীয় লিঙ্গ বলা হয়। মানুষের সন্তান কিন্তু কুসংস্কারে আচ্ছন্ন পরিবার। সমাজের নানা নিয়মে, সন্তানদেরকে পরিবারের পরিচয় দেওয়া হয় না।
সমাজে তৃতীয় লিঙ্গর আলাদা সমাজ গড়ে উঠেছে, ধর্ম এবং সমাজ ব্যবস্থার মাধ্যমে। সুস্থ পরিবারের মানুষরা তাদের সন্তাদের তৃতীয় লিঙ্গর মানুষদের সাথে পরিচয় করিয়ে দেন না তাদের কথা বলেন না। সব কিছু থেকে আলাদা করে রাখতে চান আপাত সুস্থ পরিবার নিজেদের এবং সন্তানদের।
শিক্ষা ব্যবস্থায় তৃতীয় লিঙ্গের কোন জায়গা নেই। তাদের কথা বলতে চাইলে হৈ হৈ করে উঠেন বিশাল জনগোষ্টি।
যারা এই তৃতীয় লিঙ্গ, এদেরকে মানুষ হিসাবে গণ্য করা হয় না, তুচ্ছ তাচ্ছিল্য করা হয়।
তারা জোড় করে নানান রকম চেষ্টা করে নিজেদের জীবন যাপন করে ভিক্ষাবৃত্তি করে। এই মানুষগুলো কি ভাবে জীবন চালায় এ বিষয়ে কেউ ভাবে না।
বর্তমান সময়ে তাদের অধিকার আদায়ের আন্দোলন চলছে এটা খুবই একটা ভালো বিষয়। পঞ্চাশ উর্ধ, বাংলাদেশে হাসিনা সরকার তাদের অধিকারের জন্য কিছু বলছেন, করছেন।
কিন্তু কুসংস্কার মনে রাখা মানুষরা তৃতীয় লিঙ্গের, সামাজিকভাবে চলাফেরা মেনে নিতে পারেন না। এদের সাথে বাচ্চাদের স্কুলে পাঠাতে এদের সাথে অফিসে কাজ করতে, পরিবারে বসবাস করতে সংকোচ বোধ করেন। অসম মানুষ যেন অস্পৃশ্য।
নানাভাবে কাজ করে মানুষের মনে বিভেদ, ধনী, দরিদ্র, শিক্ষিত, অশিক্ষিত, বংশ, চেহারা, সৌন্দর্য এবং ধর্মের নানা ভেদাভেদ। একজন সুস্থ মানুষ মোটা বা চিকন হলেও বডিশেমিং করা খুব আনন্দের বিষয়। কেউ না করেন না, একজন মানুষকে নিয়ে অপমানজনক এই ব্যবহারে। অনেক শিক্ষকও ছাত্র ছাত্রীদের, দেহ বৈশিষ্ট্য অনুযায়ী নানা নামকরনে তাদের ক্লাসে ডাকেন। কানা, চিকনা, মোটা এবং আরো অনেক এসব প্রচলিত নাম। এসব বিষয় বাংলাদেশে মেনে নেয়া হয়, অনন্দের সাথে ।
সেখানে এখন নতুন করে প্রচলিত হয়েছে, ট্রেন্সজেন্ডার । কিভাবে দেখা হয় এই বিষয়। বোঝার আগেই এরা বিকৃত মনোভাবের মানুষ এই তকমা লাগিয়ে দেয়া হয় তাদের।
বিষয়টিকে আমাদের সমাজের মানুষ মেনে নিতে পারে না আর মানসিকভাবে ভাবনা চিন্তা সেটা তো অনেক দূরের বিষয় । এই সময়ে খুবই প্রচলিত ট্রেন্সজেন্ডার। তাদের কে সমমর্যাদা দেয়া হচ্ছে । বিদেশে তারা অনেকদিন থেকেই প্রতিষ্ঠিত। এই প্রতিষ্ঠাও তারা আদায় করেছে অনেক কষ্ট করে, আগের প্রজন্মের চেষ্টা বর্তমান প্রজন্ম ভোগ করছ। বিদেশে সামাজিকভাবে নানা কিছু করছে ট্রেন্সজেন্ডার মানুষ। স্বাভাবিক আমার আপনার মতনই তাদের অবস্থান। কিন্তু আমাদের দেশে যখন এই বিষয়টিকে নিয়ে কাজ করার চেষ্টা করা হচ্ছে ,মানুষের ভাবনার মূল্য দেয়া হচ্ছে তখন কিছু মানুষের মাথায় বাজ পড়েছে যেন । তেমনি সেই শিক্ষক যিনি নিজেই অনেক বিষয়ে কুসংস্কারে আবদ্ধ তিনি ছিড়ে ফেলেছেন সপ্তম শ্রেণীর একটি গল্প বই থেকে।
যেখানে একটি ছেলে মেয়ে হয়েছিল ।
মেয়ে কিন্তু ভাবনা ছেলের মত। তেমনি আবার অনেক ছেলে আছে, যাদের শরীরটা ছেলের কিন্তু ভাবনা মেয়েদের মত। শারীরিক ভাবে ভিন্ন অবস্থানের স্বীকৃতি যেখানে পাওয়া যায় না, মানসিক ভাবনায় নিজের শরীরটা বদলে ফেলবে এটা মানার জন্য তাদের বহু দূর হাঁটতে হবে।
প্রতিবাদ করে কিছু হবে না। এখন সময়, মানুষ তার নিজের মতন বাঁচতে চায় সেটা মেনে নিতে হবে।
আমি এই বিষয়ে আগে অনেক লিখেছি । বিদেশে অনেক আগে থেকেই মানুষ তাদের লিঙ্গ পরিবর্তন করছে ভাবনা অনুযায়ী ছেলে থেকে মেয়ে, মেয়ে থেকে ছেলে হচ্ছে। কিন্তু আমাদের দেশে তৃতীয় লিঙ্গের মানুষ আছে এই বিষয়টাকে শিক্ষার মাধ্যমে প্রতিষ্ঠিত করার একটা উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে, মানুষ নিজে কি। সে কি ভাবে তার ভাবনাকে মূল্যায়ন করার একটা চিন্তা-ভাবনা শিক্ষায়, দেয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। বোঝার আগেই সেখানে না না বলার প্রবণতা তৈরি হয়েছে বেশি। কারণ এরা নিজেরাই জানে না অধিকার কি। তারা শুধু অভ্যস্থ প্রচলিত অভ্যস্থতায়, মেনে নেয়ায় আর বিজ্ঞান না বুঝে ধর্ম, কুসংস্কারের পিঠে সওয়ার হওয়ার।
এরা মনে করে, আমরা তো মানুষ হয়েছি পিটুনি খেয়ে, সেভাবেই আমাদের সন্তানরা মানুষ হবে। অভিভাবক যে ভাবে আমাদের মানুষ করেছেন নিজের ইচ্ছা চাপিয়ে দিয়ে। আমরাও তাই করব আমাদের সন্তানের সাথে। বানাব নিজের ইচ্ছার রোবট।
এটা কি এক ধরনের মানসিক বৈকল্য হতে পারে যেমন অত্যাচারিত শাশুড়ি, বউকে অত্যাচার করেন, অধিকার দেন না সংসারে। আসলে কাউকে নিজের মতন মানুষ করা যায় না সন্তান বলেই। প্রত্যেকটা মানুষ নিজস্ব চিন্তাধারায় আলাদা ব্যাতিক্রম। অনেক সন্তানকে দেখেছি, বাবা মায়ের ইচ্ছায় ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার হয়ে; পরে গান, নাটক, চিত্রশিল্পী হয়ে জীবন কাটাতে।
সুস্থ স্বাভাভিক সন্তানরাই যখন নানা বিষয়ে নির্যাতিত হয় পরিবারে, সমাজে। সেখানে তৃতীয় লিঙ্গ যারা অবহেলিত ছিল এত জীবন তাদের অধিকার দিতে অবশ্যই অনেক বাঁধা আসবে।
আর তৃতীয় লিঙ্গর সাথে জড়িয়ে যায় ট্রান্সজেন্ডার। যারা নিজেদের চিকিৎসার মাধ্যমে বদলে ফেলে একটা অন্য রূপ দেন। সেটা শারীরিক বা মানুষিক অবস্থা থেকে হতে পারে।
সন্তানকে নিজের মতন চালানো নয় তার উপরে নিজের অধিকার স্থাপন করা নয়। সন্তানকে লালন পালন করতে হবে তার নিজের জায়গায় স্থাপন করে দেওয়ার জন্য। তার নিজের মতন করে চলতে দেওয়ার অধিকার দিতে হবে। সব সময় যে সাফল হবে তার কোন যুক্তি নেই। একটা মানুষ তার নিজের ইচ্ছায় নিজের জীবন চালাচ্ছে,এই ভাবনায় নিজেকে উন্নত করতে হবে।

মন্তব্য ৪০ টি রেটিং +৯/-০

মন্তব্য (৪০) মন্তব্য লিখুন

১| ২৩ শে জানুয়ারি, ২০২৪ ভোর ৬:০৮

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:

অত্যন্ত সুন্দর চিন্তা ভাবনা।
পড়ে খুবই ভালো লাগলো।

২৩ শে জানুয়ারি, ২০২৪ বিকাল ৩:৩৮

রোকসানা লেইস বলেছেন: কিছু মানুষের ভাবনা যদি বদলায়, এই আশা।
ধন্যবাদ

২| ২৩ শে জানুয়ারি, ২০২৪ সকাল ৭:২২

ঋণাত্মক শূণ্য বলেছেন: মধ্যেখানে আমেরিকার একজন শিক্ষিকার ইন্টারভিউয়ের একটা অংশ দেখছিলাম। সেখানে তিনি বলছিলেন যে তার ছোট্ট শিক্ষার্থীরা মাঝে মধ্যে হোম ওয়ার্ক না করে এসে বলে যে আমি বিড়াল হয়ে গেছি! এবং ম্যাও ম্যাও করে।

২-১০ বছরের কেউ এটা করলে সেটাকে কি মনে করেন?
১০-১৮ বছরের কেউ এটা করলে সেটাকে কি মনে করেন?
১৮ বছরের উপরে কেউ এমন করলে সেটাকে কি মনে করেন?

২৩ শে জানুয়ারি, ২০২৪ বিকাল ৩:৪১

রোকসানা লেইস বলেছেন:
নতুন ভাবে কিছু আসলে আমি পজেটিভ ভাবেই গ্রহণ করব।

৩| ২৩ শে জানুয়ারি, ২০২৪ সকাল ৭:২৩

কামাল১৮ বলেছেন: কিছু মানুষ আছে মানসিক বিকার গ্রস্থ।বইয়ের পাতা ছেড়া ব্যক্তি তাদের একজন।এমন লোক বাংলাদেশে অভাব নাই।

২৩ শে জানুয়ারি, ২০২৪ বিকাল ৩:৪৫

রোকসানা লেইস বলেছেন: মানুষ যত নির্র্বোধ থাকবে ততই লাভ তাদের। এরা মাসসিক বিকার গ্রস্থর চেয়ে চালাক বেশি

৪| ২৩ শে জানুয়ারি, ২০২৪ সকাল ৭:৪৫

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:



সমাজে বিদ্যমান গরুত্বপুর্ণ একটি অংশ ট্রান্সজেন্ডারদের নিয়ে মুল্যবান একটি লেখা ।
লেখাটিতে তাদের বিষয়ে দুরাবস্থার বাস্তব একটি চিত্র সহ অনেক সম্ভাব্য নীতি নির্ধারনীয়
কথা মালাও উঠে এসেছে ।

এখানে প্রসঙ্গক্রমে উল্লেখ্য বর্তমানে বাংলাদেশে বিদ্যমান হিজড়া ও ট্রান্সজেন্ডার জনগুষ্ঠি
অনেকটা ইতিবাচক গ্রহণযোগ্যতা পেলেও তা কাঙ্ক্ষিত পর্যায়ে পৌঁছেনি। সমাজে বিদ্যমান
ট্র্ন্সজেন্ডারদের উন্নয়নের সাথে সমাজের উন্নয়ন জড়িত । আর সমাজের উন্নয়নের মাধ্যমে
দেশের উন্নয়নকে ত্বরান্বিতকরণের জন্য সকলের সম্মিলিত সহযোগিতা , কর্মসুচী প্রনয়ন ও
বাস্তবায়ন প্রয়োজন।

এ কথা সত্য যে সমাজে বিদ্যমান ট্রান্সজেন্ডারগন অনেক প্রকার অসম সুযোগ সুবিধার
সন্মুখিন হচ্ছেন । যদিউ তারা এখন পৃর্বের তুলনায় অনেক বেশী নাগরিক অধিকার ভোগ
করছেন তার পরেও তাদের পক্ষে কথা বলা কিংবা তাদের ন্যয্য দাবী দাওয়া প্রাপ্তির জন্য
প্রয়োজনীয় উদ্যোগ খুবই সিমীত ।

বাংলাদেশের হিজরা ও ট্রান্সজেন্ডারগনও অনুধাবন করছেন যে, দেশের সার্বিক নীতিনির্ধারণী
পর্যায়ে তাদের জনগোষ্ঠীর অংশগ্রহণ ছাড়া পূর্ণভাবে জাতীয় উন্নয়ন পরিকল্পনায় সত্যিকার
অর্থে প্রয়োজনীয় কার্যক্রম নেওয়া সম্ভব না।

এই লক্ষটিকে সামনে রেখেই সদ্য সমাপ্ত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সংরক্ষিত নারী আসনে হিজড়া
ও ট্রান্সজেন্ডারদেরকে মনোনয়ন দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছিল ‘সুস্থ জীবন’ নামের একটি সংগঠন।
জাতীয় প্রেস ক্লাবের জহুর আহমেদ চৌধুরী হলে গত ১৮ই নভেম্বর ২০২২ সালে ‘মানুষের জন্য
ফাউন্ডেশন’ এর সহযোগিতায় ও গ্লোবাল অ্যাফেয়ার্স কানাডার অর্থায়নে ওই সংবাদ সম্মেলনের
আয়োজন করা হয়েছিল।

সংবাদ সম্মেলনে ‘সুস্থ জীবন’ এর চেয়ারম্যান পার্বতী আহমেদ তার লিখিত বক্তব্যে বাংলাদেশের
জাতীয় সংসদে সংরক্ষিত হিজড়া ও ট্রান্সজেন্ডার জনগোষ্ঠীর প্রতিনিধি মনোনয়ন দেওয়ার জন্য
রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়েছিলেন। জানিনা তাদের এ দাবী কতটা আলোর মুখ
দেখবে ।

আপনার মুল্যবান লেখাটির জন্য ধন্যবাদ ।

শুভেচ্ছা রইল

২৩ শে জানুয়ারি, ২০২৪ বিকাল ৫:৩৪

রোকসানা লেইস বলেছেন: ধন্যবাদ আপনার বিশ্লেষন ধর্মী মন্তব্যের জন্য।
সমাজে এখনও এত এত বৈসম্য। বিজ্ঞানের চেয়ে কুসংস্কারে মানুষের আকর্ষণ বেশি। আদিকালের ভাবনা থেকে বেরিয়ে আসার পথও বন্ধ করে রাখতে চায় অনেকে নিজের সুবিধার্থে, নিজের স্বার্থে ।
অসুস্থ ভাবনার ভিতরে আটকে রাখার চেষ্টা মানুষকে। কেউ বিশ্বাসে, কেউ নিরক্ষরতায় কেউ অপারগতায় নানা ভাবে বৃত্তের বাইরে যেতে পারে না। বঞ্চিত হয়।
এখন কিছু কাজ হচ্ছে দেশে যা মানুষের ভাবনা চিন্তা বদলাবে। এই ধরনের কাজ, কথাবার্তার প্রতিবাদও বোঝায় মানুষ কিছু সচেতন হচ্ছে।
এগিয়ে যাক মানুষের ভাবনা সচেতনতার পক্ষে, এই প্রত্যাশা করি।
শুভেচ্ছা রইল

৫| ২৩ শে জানুয়ারি, ২০২৪ সকাল ৮:০৯

ঢাবিয়ান বলেছেন: আমাদের দেশে একটা প্রধান সমস্যা হচ্ছে '' ignorance '' বা অজ্ঞানতা। হিজরারা ট্রান্স জেন্ডার নয়, থার্ড জেন্ডার। আমাদের দেশের পাঠ্য বই এর লেখক কি অজ্ঞানতা বশত এই কাজটি করেছে না কৌশলের আশ্রয়ের নিয়েছে বলা মুশকিল। তবে এই স্পর্শকাতর ইস্যূ নিয়ে বহুদিন ধরেই আমাদের দেশে জল ঘোলা করার প্রচেষ্টা চলছে। সব দেশেই ট্রান্স জেন্ডার ইস্যূ সতর্কতার সাথে মোকাবেলা করে থাকে কিছুটা আড়ালে আবডালে কেননা তা নাহলে সমাজে ব্যপকভাবে বিস্তারের আশংকা তৈরীর সম্ভাবনা থাকে। সেখানে আমাদের দেশে পাঠ্যবইয়ে এটা ঢোকানোর কারন কি ? বহু বছর ধরে বিদেশে আছি। এখানকার স্কুলের পাঠ্য বইয়েতো কখনও দেখিনি এ সংক্রান্ত কোন লেখা। আপনি দেখেছেন কি আমেরিকার স্কুলের পাঠ্য বইয়ে?


২৩ শে জানুয়ারি, ২০২৪ বিকাল ৫:৫৭

রোকসানা লেইস বলেছেন: আমাদের দেশে কখনও খোলাখুলি ভাবে হিজড়া, তৃতীয় লিঙ্গ, ট্রেন্সজেন্ডার নিয়ে আলোচনা হয় না।
ট্রেন্সজেনন্ডার মানসিক বিষয় সেটা বোঝা অনেকের পক্ষে সম্ভব না। যেখানে সবটাই লুকানো।
বর্তমানে তাদের সুবিধা দেয়া হচ্ছে। এবং পাঠ্য বইয়ে যদি তাদের বিষয় অর্ন্তভূক্ত করা হয়, এটা তো ভালো একটা কাজ হয়েছে।
তাকে গ্রহণ করাই যুক্তিযুক্ত। সপ্তম শ্রেণীর ছাত্রীদের তো বিয়েও হয়ে যেত এক সময়ে। এখনও হয় এই বয়সে, অনেকের। বাচ্চা হওয়ার আগে বাচ্চা স্বাভাবিক হবে না অস্বাভাবিক হবে এটা জানাও জরুরী। ভিন্ন রকম বাচ্চা হলে তাদের পরিবারেই রাখতে হবে এটাও জানা দরকার।
আপনি কোথায় থাকেন জানি না।
আমি দেখেছি, পঞ্চম শ্রেনীর শিক্ষার্থীদের শরীর সম্পর্কে শিক্ষা দেয়া হয় । এবং ছবি, ভিডিও দেখিয়ে জানানো হয় শিশু কিভাবে জন্ম গ্রহণ করে।
যা শিক্ষা দেওয়া হচ্ছে তার মধ্যে আড়ালে আবডাল থাকার কোন কারণ দেখছি না।
এবং এটা মানুষের জীবন চক্র। অজ্ঞ থাকার চেয়ে শিক্ষার মাধ্যমে জানাটা অনেক ভালো।

৬| ২৩ শে জানুয়ারি, ২০২৪ সকাল ৮:৩৬

নয়ন বড়ুয়া বলেছেন: চমৎকার লিখেছেন আপা...

২৩ শে জানুয়ারি, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:০১

রোকসানা লেইস বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ নয়ন বড়ুয়া

৭| ২৩ শে জানুয়ারি, ২০২৪ সকাল ৮:৩৮

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:

বাংলাদেশ অলরেডি জাতিসংঘের জেন্ডার সনদ স্বাক্ষরকারি দেশ,
এই সরকার এসেই অন্যান্ন সভ্য দেশের মত ট্রান্সজেন্ডারদের অধিকারকে স্বীকৃতি দিয়েছে।
চাকরি দিচ্ছে, ভাতাও দেয়।
কিন্তু অনেকের কাছে এটা ভাল লাগেনি।
বাংলাদেশের কট্টরপন্থি ও চিহ্নিত তালেব সমর্থকরা এই অসভ্য লোকটির মানবতা বিরোধী বক্তব্য সমর্থন করছে। করবেও।
এখন আর অবাক হই না।

২৩ শে জানুয়ারি, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:০৮

রোকসানা লেইস বলেছেন: গভীরে নিমজ্জিত এই সব কট্টরপন্থি ভাবনা সমূলে উৎপাটিত হবে, একসময় আর তাল পাবে না।
সময় দ্রুত বদল হচ্ছে। আধুনিক চিন্তা চেতনা নতুনদের মাঝে। তারা ভেলকি লাগানো কথা শুনে আর ভুলবে না।
একটা প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে ধাপে ধাপে এগিয়ে যাবে।
যারা সমর্থন করছে তাদের বিশল স্বার্থ জড়িত। সব কিছু মানুষ বুঝে গেলে তারা বানিজ্যে লস খাবে। তাই যত ভয়।

৮| ২৩ শে জানুয়ারি, ২০২৪ সকাল ৮:৪৭

কলাবাগান১ বলেছেন: উনি কিসের শিক্ষক?? উনি কি ট্রান্সজেন্ডার বিষয়ে পড়ান???

২৩ শে জানুয়ারি, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৪৫

রোকসানা লেইস বলেছেন: খন্ডকালিন শিক্ষক ছিল ব্রাকে। এখন সেই চাকরি গেছে।
কিসের শিক্ষক জানি না।
বড় কথা হলো সে মানুষকে মানুষ মনে করে না।
তার বক্তবে বলছে ইংল্যাণ্ডে নাকি জোড় করে সবাইকে সমকামী বানানো হচ্ছে। সমকামীকে সাপোর্ট না করলে কোন অবস্থায় নিস্থার নাই। তাহলে সেকি বিদেশে সমকামী ছিল?

৯| ২৩ শে জানুয়ারি, ২০২৪ সকাল ১০:০৫

রাজীব নুর বলেছেন: সুন্দর লিখেছেন।
আমি আপনার সাথে একমত।

২৩ শে জানুয়ারি, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৪৬

রোকসানা লেইস বলেছেন: আচ্ছা

১০| ২৩ শে জানুয়ারি, ২০২৪ দুপুর ১২:১৪

আহমেদ জী এস বলেছেন: রোকসানা লেইস,




এই মূহুর্তের প্রয়োজনীয় লেখা।
যে দেশে কট্টরপন্থী আর ধর্মান্ধরাই বোঝাই সে দেশে তাদের সীমিত ও উদ্ভট জ্ঞানের কারনেই ট্রান্সজেন্ডার নিয়ে বিরুদ্ধভাবে সোচ্চার হবে এটাই স্বাভাবিক।

ডঃ এম এ আলীর মন্তব্যটি সুন্দর হয়েছে।

২৩ শে জানুয়ারি, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৫১

রোকসানা লেইস বলেছেন: ধন্যবাদ আহমেদ জী এস
ডঃ এম এ আলী তো বরাবর ভালো মন্তব্য করেন।
আপনার বক্তব্যও ভালো হয়েছে।
তৃতীয় লিঙ্গের বিষয়ে লেখাটাকে সমকামী বানিয়ে ফেলেছে। এই হলো ওর জ্ঞান।
সাথে কট্টরপন্থী আর ধর্মান্ধরা লাফাচ্ছে।
এইসব মূঢ়দের কবল থেকে দেশের মানুষ মুক্তি পাক

১১| ২৩ শে জানুয়ারি, ২০২৪ দুপুর ১২:৩১

এল গ্যাস্ত্রিকো ডি প্রবলেমো বলেছেন: সবখানে এসে একই ম্যাওম্যাও করেন কেন ঢাবিয়ান? আপনি কি একটি বিড়াল? আজকে কলাবাগানের পোস্টটি পড়েছেন? ওখানে গিয়েও কিছু বলেন যুক্তি দিয়ে পারলে।

২৪ শে জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ২:২৬

রোকসানা লেইস বলেছেন: এল গ্যাস্ত্রিকো ডি প্রবলেমো থাকনা তিনি জানতে চাচ্ছেন।
প্রকৃতি নানা বৈচিত্র মানুষের জীবন আমরা কত মানুষকে সুস্থ স্বাভাবিক হওয়ার পরও মেনে নেই না। এই চিন্তাধারাও এক ধরনের আজব প্রাণী মানুষের বৈশিষ্ট্য।

১২| ২৩ শে জানুয়ারি, ২০২৪ দুপুর ১:৪৮

ঢাবিয়ান বলেছেন: @ এল গ্যাস্ত্রিকো ডি প্রবলেমো , বিতর্কে সংযত ভাষা ব্যবহার খুবই জরুরী। ভিন্নমত সহ্য করতে না পেরে ব্যক্তি আক্রমন করছেন আবার বলছেন যুক্তি দিয়ে কলাবাগানের পোস্টে গিয়ে কিছু বলতে !! যাক তিনিও আপনার মতই ভিন্নমত সহ্য রতে না পারা একজন পাবলিক। তাই উনার ব্লগে আমাকে কমেন্টে ব্লক করে রেখেছেন !!!!!!!

১৩| ২৩ শে জানুয়ারি, ২০২৪ দুপুর ২:০৬

বিজন রয় বলেছেন: অতি মূল্যবান একটি লেখা। কিন্তু আমাদের বর্তমান সমাজ এটাকে ফলো করে না।

তাই বইয়ের পাতা ছিঁড়ে ফেলা হয়।

২৪ শে জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ২:৩২

রোকসানা লেইস বলেছেন: বিজন রয়
আমাদের সমাজকে উন্নত না করে পিছনের দিকে ধরে রাখার চেষ্টাও সমাজের একধরনের জনগোষ্টির। তবে সরকারী ভাবে যা প্রচলন করা হয় তার শিক্ষা প্রভাব সমাজে পরে।
যেমন এতদিন পরেছে আমাদের ইতিহাস বিকৃতির শিক্ষা। অনেক মানুষ ভুল জেনে বড় হয়েছে ভুলের বিশ্বাসে আস্থা রাখে। এসব কাটাতে সময় লাগবে।
মানুষ অজ্ঞ কুসংস্কার আচ্ছন্ন থাকলে কিছু মানুষের বিরাট সুবিধা।
ধন্যবাদ

১৪| ২৩ শে জানুয়ারি, ২০২৪ বিকাল ৫:৩৫

মিরোরডডল বলেছেন:




কিন্তু তার মানে এই নয় পরবর্তি প্রজন্ম নিজের পছন্দে চলতে পারবে না

একদম সঠিক।
একটা বয়স পর্যন্ত বাবা মা গাইড করবে, রাইট রং বুঝতে শিখাবে।
কিন্তু যখন তারা বড় হচ্ছে, ওদের ভালো লাগা মন্দ লাগা চাওয়া পাওয়াকে অবশ্যই গুরুত্ব দিতে হবে।

অনেক সন্তান, জন্মগতভাবে দৈহিক ভিন্ন আকৃতি নিয়ে জন্মায়। পুরুষ ও নারীর মধ্যবর্তী অবস্থানের এই সব মানুষকে তৃতীয় লিঙ্গ বলা হয়। মানুষের সন্তান কিন্তু কুসংস্কারে আচ্ছন্ন পরিবার। সমাজের নানা নিয়মে, সন্তানদেরকে পরিবারের পরিচয় দেওয়া হয় না।

এ বিষয়টা একদমই ব্রুটাল!
বাইরে কত সহজভাবে নেয় সবকিছু, আর আমাদের মাঝে কত বিধিনিষেধ আর লুকোচুরি, সময় এসেছে দৃষ্টিভঙ্গিতে পরিবর্তন আনার।

নানাভাবে কাজ করে মানুষের মনে বিভেদ, ধনী, দরিদ্র, শিক্ষিত, অশিক্ষিত, বংশ, চেহারা, সৌন্দর্য এবং ধর্মের নানা ভেদাভেদ।

আমাদের নিজেদের মধ্যেই সবচেয়ে বেশি রেসিজম।
কবে যে এ সমাজ এগুলো থেকে মুক্ত হবে!

এখন সময়, মানুষ তার নিজের মতন বাঁচতে চায় সেটা মেনে নিতে হবে।

লেখার সাথে সম্পূর্ণ সহমত আপু।


২৪ শে জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ২:৪৭

রোকসানা লেইস বলেছেন: গাইড করে, রাইট রং বুঝতে শিখায়ে নিজেদের কপি বানানোই ইচ্ছা থাকে।
অথচ বুঝেই না এটা সম্ভব না।
শারীরিক ভাবে সুস্থ বাচ্চারাও কত অসুবিধার সম্মুখিন হয় আর যারা জেন্ডার পরিচয়ে ভিন্ন তাদের কথা চিন্তা করতেও খারাপ লাগে।
বিদেশেও এক সময় আমাদের মতন অবস্থা ছিল সেখান থেকে তারা উন্নত হয়েছে, সরকার নানা রকম ভাবে সমাজের, দেশের সব মানুষকে সমান ভাবে রক্ষা করার চেষ্টা করে, তাই তারা সুবিধাগুলো পায়। যা আমাদের দেশে শেখ হাসিনা কিছুটা হলেও প্রতিষ্ঠিত করার চেষ্টা করছেন।
প্রতিবন্দীদের নিয়ে কাজটাও উনার সময়ে হয়েছে।
ঘরে বন্দী করে রাখা হতো এক সময় তাদের পাগল বলে।
এই ধারা বজায় থাকলে মানুষের ভাবনা চিন্তা উন্নত হতে বাধ্য। চাই সব মানুষ সমান অধিকার নিয়ে বাঁচুক ।
তোমার মন্তব্য পেয়ে লেখাটি আলোকিত হলো।
শুভেচ্ছা

১৫| ২৩ শে জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ৯:৩৫

ঢাবিয়ান বলেছেন: আপু , আপনি কিন্তু এড়িয়ে গেলেন। ট্রান্স জেন্ডারদের বিরুদ্ধে আমি কোন বক্তব্য কোন জায়গাতেই দেইনি। আমি সপ্তম শ্রেনীর পাঠ্য বইয়ে ট্রান্স জেন্ডার ও থার্ড জেন্ডার গুলিয়ে ফেলার বিষয়ে বলেছি। এবং সেই সাথে জানতে চেয়েছি যে ট্রান্স জেন্ডার বিষয়টা শিক্ষার্থীদের বুঝিয়ে বলার জন্য কোন টপিক আমেরিকার স্কুলের পাঠ্যবইয়ে আছে কিনা ? আমি যে দেশে থাকি সেখানের পাঠ্য বইয়ে নাই। তাই জানতে চাচ্ছিলাম।

২৪ শে জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ২:৫৯

রোকসানা লেইস বলেছেন: আমি এড়িয়ে যাইনি ঢাবিয়ান
আপনি বুঝতে পারেননি হয়তো।
তৃতীয় লিঙ্গ ট্রান্স জেন্ডার কাছাকাছি বিষয়। খুব পার্থক্য করা যায় না। লেখক কোন কৌশল করেছেন এমন মনে হয়নি।
যে শরীফ শরীফা হয়েছে সে চিকিৎসার মাধ্যমে লিঙ্গ পরিবর্তনের সুযোগ না পেলেও তার মানসিক বিকাশ যে মেয়েদের মতন এবং সে ছেলে পরিচয় থেকে মেয়ে পরিচয়ে নিজেকে পরিচিত করছে তার ভালোলাগা থেকে। গল্পে এটাই বলা হয়েছে।
আর চিকিৎসার মাধ্যমে লিঙ্গ পরিবর্তন করে নিজের পছন্দের লিঙ্গ অনেকে নেন। তাদের ট্রেন্স বলে সেখানে ছেলে মেয়ে আবার ভিন্ন নাম আছে।
বাচ্চাদের যখন সেক্স এডুকেশন দেয়া হয় তখন শরীরের যাবতিয় বিষয়ে শিক্ষা দেওয়া হয়। পড়ার সিলেবাসে না থাকলে তো আর শিখাত না বিষয়টা তাই না।
প্রাইমারী শিক্ষার পরই বাচ্চারা ভাবতে শিখে কোন বিষয়ে পড়ালেখা করবে। আমাদের দেশে যেমন নবম শ্রেনী পর্যন্ত বাচ্চারা জানে না বিজ্ঞান না আর্টস না অন্য কিছু পড়বে। এরা অনেক আগেই বাস্তবতা শিখে পড়া লেখার মাধ্যমে।

১৬| ২৩ শে জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ১০:১৯

অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য বলেছেন: ভালো লিখেছেন। এমন লেখা দরকার আছে।

২৪ শে জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ৩:০১

রোকসানা লেইস বলেছেন: ধন্যবাদ অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য
এখন সময় বদলে যাওয়ার বদলাবেই ধীরে হলেও।
জোড় করে আটকে রাখা যায় না। স্বাভাবিকতা গোপন করে নয় পরিচ্ছন্ন ভাবে তার চর্চা করাই বাঞ্চিনীয়।

১৭| ২৩ শে জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ১১:২৩

মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: চলমান ইস্যুতে আরও একটি চমৎকার পোস্টের জন্য আপনাকে ধন্যবাদ লেইস আপু।

২৪ শে জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ৩:২০

রোকসানা লেইস বলেছেন: চলমান বিষয়ের সাথে আরো অনেক বিষয় যোগ করেছি যেগুলো বাংলাদেশে খুব স্বাভাবিক মনে করা হয় এই ২০২৪ শে এসেও।
আমাদের মনের উন্নতি অনেক বেশি দরকার।
চেতনার বিকাশ দরকার। কুসংস্কার থেকে রেরিয়ে আসার জন্য।

১৮| ২৪ শে জানুয়ারি, ২০২৪ দুপুর ১২:০৬

রাজীব নুর বলেছেন: পোষ্টে আবার এলাম। কে কি মন্তব্য করেছেন সেটা জানতে।

১৯| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০২৪ বিকাল ৪:১৬

এম ডি মুসা বলেছেন: আপনি কি মনে করেন একটা ছেলে থাকে মেয়ে হয়ে যাওয়া, মেয়ে থেকে ছেলে এটা তার স্বাধীনতা?
সেটা তার ইচ্ছা এটা নিয়ে কিছু বলতে চাই না! যার ইচ্ছা সে হতে পারে না হলে নেই তার!
দেখেন জীবন টা নাটকীয়তা ভরা, দেখতে দেখতে সময় ফুরিয়ে যায় মানুষ বৃদ্ধ হয়ে যায় যার যেভাবে ভালো থাকতে পারে থাকুক।

২০| ২৭ শে জানুয়ারি, ২০২৪ সকাল ১১:৩৫

রোকসানা লেইস বলেছেন: প্রশ্ন করে উত্তর আপনিই দিয়েছেন।
যে যার মতন থাকুক

২১| ০৩ রা মার্চ, ২০২৪ রাত ৮:১১

ঋণাত্মক শূণ্য বলেছেন: আমি মন্তব্যে জিজ্ঞাসা করেছিলাম যে, "ঋণাত্মক শূণ্য বলেছেন: মধ্যেখানে আমেরিকার একজন শিক্ষিকার ইন্টারভিউয়ের একটা অংশ দেখছিলাম। সেখানে তিনি বলছিলেন যে তার ছোট্ট শিক্ষার্থীরা মাঝে মধ্যে হোম ওয়ার্ক না করে এসে বলে যে আমি বিড়াল হয়ে গেছি! এবং ম্যাও ম্যাও করে।

২-১০ বছরের কেউ এটা করলে সেটাকে কি মনে করেন?
১০-১৮ বছরের কেউ এটা করলে সেটাকে কি মনে করেন?
১৮ বছরের উপরে কেউ এমন করলে সেটাকে কি মনে করেন?"

আমার প্রশ্নের উত্তরে লেখক বলেছেন: নতুন ভাবে কিছু আসলে আমি পজেটিভ ভাবেই গ্রহণ করব।

এখন ধরেন একজন ১৮ বছরের উপরে (এডাল্ট) বয়স কেউ দাবি করলো সে সে বিড়াল। আপনি পজেটিভ ভাবেই গ্রহণ করলেন, আমরাও করলাম। ঐ লোক পরে কোন একটা দুর্ঘটনায় পড়লো। তাকে হাসপাতালে নেওয়া হলে ডাক্তাররা বললো যে আমরা তো পশু চিকিৎসক নই, তাকে পশু হাসপাতালে নিয়ে যান। আবার পশু হাসপাতালে বললো যে আমরা তো বিড়ালের এই ধরণের উপরে কোন লেখাপড়া বা জ্ঞান অর্জন করিনি, তাই আমরা এই ধরণের বিড়ালকে চিকিৎসা দিতে পারবো না।

আপনার এই ডাক্তারদের বিষয়ে কি বক্তব্য থাকবে, তাদের কর্মকান্ডও কি "পজেটিভ ভাবেই গ্রহণ করবেন"?

০৬ ই মার্চ, ২০২৪ দুপুর ২:৪৬

রোকসানা লেইস বলেছেন: গ্যালিলিয় যখন বলেছিলেন পৃথিবী সূর্যের চারদিকে ঘোরে তার জন্য তাকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। নতুন কিছু আসলে সব সময় মানুষ সেটার বিরোধীতাই করে। মানুষ সীমাবদ্ধ ধারনা থেকে বের হতে পারে না।
জাপানে একজন মানুষ কুকুর হয়ে গেছে এখন সে কুকুর জীবন যাপন করছে।
নিজেকে বিড়াল ভাবা মানুষ যদি বিড়াল না হয় তবে মানুষের মতন কথা বলতে পারবে, নিজেই সিদ্ধান্ত নিবে।
মানুষ কে কি ভাবে ভালো থাকবে তার নিজের সিদ্ধান্তই আসলে চূড়ান্ত।
অন্যদের ভাবনা আসলে অবান্তর।

২২| ০৬ ই মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৫:৩৫

ঋণাত্মক শূণ্য বলেছেন: আমার প্রশ্নের উত্তর এড়িয়ে গেলেন!

০৮ ই মার্চ, ২০২৪ দুপুর ১:০৯

রোকসানা লেইস বলেছেন: ২- ১০
১০-১৮
১৮ বছরের উপরে
সবাই নিজের ইচ্ছায় চলে এখন ।
দুই বছরের বাচ্চাকেও তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে কিছু করানো যায় না। আর উন্নত বিশ্বে থাকলে আপনি তাদের পিটাতে পারবেন না। সামাজিক কর্মি, পুলিশ এসে আপনার বাচ্চা নিয়ে যাবে।
ডাক্তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে চিকিৎসা করবেন না। উন্নত বিশ্বে হলে।
আর দেশে হলে তার ইচ্ছার কোন মূল্য দেয়া হবে না।
আপনার উত্তর এড়িয়ে যাই নাই। উত্তর দেয়েছি আপনাকে বুঝতে হবে।
সময় সমাজ বদলে যাচ্ছে তার সাথেই চলছি আমরা, আমাদের চলতে হবে। আমাদের দাদা বাবাদের সময়ের মতন আমরা কেউ চাইলেও থাকতে পারছি না। সামনে আরো পরিবর্তন হবে।
আমি জাপানের সত্যিকারে কুকুর হয়ে যাওয়া মানুষটির কথা ভাবি। তার চিকিৎসা এখন কে করছে। আপনার আমার ভাবনায় কি এসে যায়।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.