নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
রাতের খাওয়া-দাওয়া জমজমাট ডাউনটাউনে জম্পেশ হলো বেশ রাত করেই আমরা হোটেলে ফিরলাম । সকালে প্যাকআপ করে বেরিয়ে পড়লাম। আজ নেপলসের শেষ দিন আমরা নেপলসের বাইরে অন্য একটা শহরে ব্রেকফাস্ট করব,পথে যেতে যেতে যেখানে ভালো লাগবে থেমে যাবো।
কিন্তু সমস্যা দেখা গেল সেই হাইওয়ের, আমরা যদি মেইন হাইওয়ে ধরে যাই তাহলে টোল দেয়া আর ভিড়ের ভিতরে যাব আর দৃশ্য থাকবে মোটামুটি চেনা,অনেক গাড়ির সাথে চলা যেমনটা হাইওয়েতে হয় আরকি। আর অন্য ছোট রাস্তা দিয়ে গেলে, একদম জঙ্গলের ভিতর দিয়ে যাব। জঙ্গলের ভিতর দিয়ে যাওয়ার রাস্তাটাই আমাদের পছন্দ হলো। পথে যে খাওয়ার পাওয়া যাবে না তা নয়। তবে বেশ ভিতরে যেতে হবে হয়তো অথবা আমাদের জানা নেই। অনিশ্চয়তা ভালোলাগল না। সকালে নাস্তা করেই রওনা হওয়া ভালো। তাই জঙ্গলে ঢোকার আগেই হোটেল থেকে মিনিট দশ দূরে ওল্ড নেপলসের নতুন ধরনের রেস্টুরেন্টে, অনেক রকম পদ দিয়ে হেবী ব্রেকফাস্ট করে নিলাম ।
হাইওয়ে ৭৫ যেটা সরাসরি পূবে গিয়ে, দক্ষিণে নেমে গেছে সেটা ধরলে টোল দিতে হবে আর মোটামুটি হাইওয়ের চিত্র দেখে যাওয়া যাবে অনেক গাড়ির ভীড়ে আর ৪১ নাম্বার রাস্তা যেটা পুবের দিকে ঢালু হয়ে দক্ষিনে গেছে তারপর নয়শ সাতানব্ব্ই ধরে কিছুটা গিয়ে হাইওয়ে একের সাথে মিশে দক্ষিণে নেমে গেছে, সেটা যাবে প্রকৃতির ভেতর দিয়ে। চলার পথে মিশে যাবে বন্য প্রাণীর উপস্থিতি। জঙ্গলের ভিতর দিয়ে বৈচিত্রময় রাস্তাটাই পছন্দ বেশী হলো। দেখে শুনে ধীরে সুস্থে যাওয়া যাবে সময় মোটামুটি পৌনে পাঁচ ঘন্টা দুই রাস্তাতেই লাগবে।
কিছুটা যেতেই ঘন জঙ্গলের ভিতর হারিয়ে গেলাম। দুই পাশে উঁচু উঁচু সারি সারি সবুজ গাছের সুরঙ্গে ঢুকে পরলাম।
আমাদের বা পাশে উত্তরের দিকে রয়ে গেল জীবজন্তুর অভয়ারণ্য। ফ্লোরিডা প্যান্থার ন্যাশনাল ওয়াইল্ডলাইফ রিফিউজী, প্যান্থারের সাথে আরো বিভিন্ন ধরণের বন্যপ্রাণী যেমন কালো ভালুক, চিতা, সিংহ ,ববক্যাট, পাইথন, কুমির এরাও সহ অবস্থান করে এখানে।
উঁচু ঘন গাছ গুলো ছড়ানো এবং বিস্তৃত হতে থাকল ঘন সবুজ চারপাশ। গাছের ডালে ডালে নানা রকমের পাখি। চেনা ঘুঘু মাছরাঙ্গা কাঠঠোকরা ছাড়াও। ক্রেন, চিল, কাক রোজ স্পুন বীল এত্ত সুন্দর সাদায় মেশানো গোলাপি রঙের এই পাখিটা। আরো যে কত নাম না জানা পাখি। তাদের রাজত্বে তারা আপন মনে ডাকাডাকি করছে বিচরণ করছে। রাস্তার পাশে খালের মতন জল, কখনো রাস্তার পাশাপাশি চলছে। কখনো ঘন গাছের ভিতরে পানি দেখা যাচ্ছে । আবার কখনো জঙ্গলের ভিতর দিয়ে যেন নদী বয়ে যায়। অপূর্বসব দৃশ্যপট। জলের মাঝে এ্যালিগেটর । জলের উপরেও রোদ পোহাচ্ছে। গাছের মঝে পাখির বাসা থোকা থোকা দেখা যায়। আর দেখা যায় কত্ত রঙ বেরঙের ফুল ফুটে আছে। গাছে গাছে অসংখ্য অর্কিড আপন মনে বিস্তার লাভ করছে। ফুল ফুটাচ্ছে। আমার ফার্মের মোরগের মতন অর্কিড না। শত যত্নেও যাদের ফুল ফোটে হঠাৎ কখনো। আহা প্রকৃতির কি অপরূপ লীলাভূমি।
যদি মনে করেন সুন্দরবনের ভিতর দিয়ে গাড়ি চালিয়ে যাচ্ছেন তাহলে কেমন মনে হবে। অনুভুতিটা তেমনই হলো গাড়ি আর নৌকায় চলার পার্থক্য বাদে।
এক সময় আমরা গেটর এলাকায় থামলাম। এখানে আরো কিছু ভিজিটর আছেন। কিন্তু প্রাণীদের ডির্স্টাব না হয় তাই সবাই চুপচাপ প্রাণীরা যা করছে তাদের তা করতে দিয়ে। শুধু নিরবে চোখের দেখা। প্রাণীরা শব্দ করছে নিজের মতন। পাখিরা পাশাপাশি বসে আছে ভয়হীন। প্রাণীদের বিরক্ত করা বা খাওয়ানো নিষিদ্ধ।
অনেকে ট্রেইল ধরে হাঁটতে পছন্দ করেন। আর অনেকে কায়াকে চড়ে ঘুরে আসেন। একা একা জলাভূমির ভিতর যেদিকে যাওয়ার জন্য নির্ধারিত আছে সেখানে। আর অনেকে পানিতেও নেমে যান হেঁটে জঙ্গলের ভিতর ঢুকেন। এদের সাহসের প্রসংসা করতেই হয়।
এখন যাচ্ছি তিন দিকে সাগর দিয়ে ঘেরা আমেরিকার মধ্যবর্তি অংশের যে চিকন লেজের মত ভূমির শেষ প্রান্ত সাগরে মিশে গেছে সেখানে। উত্তর আমেরিকার মাঝখানে যে জায়গাটি পানি ছুয়ে আছে দক্ষিণে তার নাম হলো কী ওয়েস্ট।
অনেকদিন থেকেই ভূমির সেই শেষ প্রান্তে যাওয়ার ইচ্ছা ছিল। ফ্লোরিডায় কী, নামে অনেকগুলো দ্বীপ মিলে এই কী ওয়েস্ট। উত্তর আমেরিকার ভূমির শেষ প্রান্ত।
দুই মাইল আর চার মাইল বিস্তৃত এই দ্বীপটি গালফ অফ মেক্সিকো, আটলান্টিক মহাসাগর ফ্লোরিডা উপসাগর দিয়ে ঘেরা।
উত্তর থেকে দক্ষিণের চার মাইলের মধ্যে বেশ কয়েকটি কী যাদের বিভিন্ন নাম আছে। কিন্তু আশেপাশে ছড়িয়ে আছে সতের হাজার দ্বীপ। যার মোটামুটি সবগুলোই ব্রিজ দিয়ে সংযুক্ত করা হয়েছে। দু একটা যেখানে যেতে হয় নৌকা দিয়ে ।
যেতে হচ্ছে খুব ধীরে রাস্তার গতিসীমা অল্প । এদিকে পুলিশ পাহারাও অনেক বেশি তারপরে রাস্তার কয়েক জায়গায় কাজ হচ্ছে সেখানে থেমে থাকতে হলো অনেকটা সময়। তাতে সমস্যা নাই দুই পাশের দৃশ্য এই অপেক্ষার সময় পুষিয়ে দিচ্ছে তাদের ভালোবাসা দিয়ে।
এখন যাচ্ছি বিগ সাইপ্রেস এলাকা ধরে। এদিকের পুরোটাই সংরক্ষিত অঞ্চল। প্রাণী এবং উদ্ভিদের জন্য।পানি এবং জলজ প্রাণী ও উদ্ভিদ, গুল্ম, লতা সব কিছুই ভূীম পরিবেশ বিজ্ঞানীরা নানা ভাগে ভাগ করে যেমন আছে তেমন থাকতে দিচ্ছেন। আবার বিপন্ন সব প্রাণীকুল থেকে উদ্ভিদের লালন পালন করা হচ্ছে এই এলাকায়। উনত্রিশটি রির্জাভ, ওয়াল্ডলাইফ এবং পার্ক সুরক্ষিত ভূমি রয়েছে ফ্লোরিডায়। এভারগ্লেডস, বিগ সাইপ্রাস এই এলাকাটা বিশাল। পূর্ব দিকেও অনেক গুলো সংরক্ষিত এলাকা দেখে এসেছি।
বিগ সাইপ্রেস জলাভূমি আর এভারগ্লেডস, ওকিচোবি হ্রদের ওভারফ্লো জলের ধারা দিয়ে সৃষ্ট এলাকা। ধীর গতিতে প্রায় দশ হাজার বছর ধরে তৈরি হওয়া এই ভূমি অঞ্চল। এবং খুব অগভীর জলাসয়। বিগ সাইপ্রেস জলাভূমির জল বৃষ্টির জল। দুটোই জলাভূমি। কিন্তু এসব নানা ভাগে চিহ্নিত করেন ভুমি বিজ্ঞানীরা। সংরক্ষণ করা হয়। অনেক কিছু প্রকৃতির ক্ষতি হবে বলে স্পর্শ করা হয় না। এই সব ভূমিকে খুব যত্নের সাথে সংরক্ষণ করা হয়। আর সাথে এখানের জীব বৈচিত্রকেও রক্ষা করার চেষ্টা করা হচ্ছে। জঙ্গল, জলাভূমি এলাকা মাঝ দিয়ে রাস্তা, খুব অল্প সংখ্যাক গাড়ি পার হয় এই রাস্তা দিয়ে। পুরো রাস্তায় দশ বারোটার বেশি গাড়ি দেখি নাই আসা যাওয়া দুই পথ মিলিয়ে। বিশাল এই অঞ্চল জুড়ে শুধু ওয়াইল্ড লাইফ রির্জাভ, রিফিউজী।, ন্যাশনাল পার্ক এমন নানান নামে কয়েকটা অঞ্চল আছে। বিপন্নপ্রায় প্রাণী আর উদ্ভিদ এই সব সংরক্ষিত এলাকায় নতুন করে বিস্থার লাভ করছে। সেন্ট্রাল ফ্লোরিডা অ্যানিমাল রিজার্ভ বিশ বছরেরও বেশি সময় ধরে সিংহ, বাঘ, চিতাবাঘ এবং কুগার, বড় বিড়াল এবং বন্যপ্রাণীর অভয়ারণ্য হিসাবে কাজ করছে।
বড় বড় গাছের ঘন পরিবেশগুলো হঠাৎ করে সরে গেল, ঘাসের জলাভূমি দুই পাশে বিস্তীর্ণ সবুজ মাঠ মনে হয় যেন জল ভরা ধান ক্ষেত ।বড় কোন গাছই নেই এখন আর পুরোটাই ঘাসের জমি এবং গাছের ভারে ঘন হয়ে আসা রাস্তা হঠাৎ করে বড় বেশি ফাঁকা হয়ে গেল। খোলা দিগন্ত চারদিকে জলাভূমির ওপাড়ে।
এভারগ্লেডের জলাভূমি, ঘাসের জমি আর জলে ভরা ভূমি অনেকটা সময় ধরেই পার হতে হল বদলে যাচ্ছে প্রকৃতির দৃশ্য এক এক সময় এক এক রকম।
দক্ষিণ-পশ্চিমের এই জায়গাটা পুরোটাই এভারগ্লেড আর বিগ সাইপ্রেস অঞ্চল সবুজ আর জীবজন্তুর বাসভূমি। তার ভিতর আছে ট্রাইভদের বাসও।
আদি আমেরিকান উপজাতিরা এক সময়ে ফ্লোরিডা উপদ্বীপকে বাড়ি বলে অভিহিত করেছিল। কয়েক শতাব্দীর উপনিবেশ ছিল, এখন শুধুমাত্র দুটি ফেডারেল স্বীকৃত উপজাতি দক্ষিণ ফ্লোরিডায় রয়ে গেছে। ফ্লোরিডার সেমিনোল ট্রাইব এবং ফ্লোরিডার ইণ্ডিয়ান মিকোসুকি উপজাতি।
বর্তমানে ফ্লোরিডার সেমিনোল ট্রাইভের প্রায় তিন হাজার সদস্য রয়েছে উপদ্বীপ জুড়ে ছয়টি রিজার্ভেশনে। এরা বাস করে: হলিউড, বিগ সাইপ্রেস, ব্রাইটন, ফোর্ট পিয়ার্স, ইমোকালি এবং টাম্পা। নেটিভ আমেরিকান হেরিটেজ এবং মিকোসুকি |
মিকোসুকি ইণ্ডিয়ান ট্রাইভ ভিলেজ। নেটিভ আমেরিকান হেরিটেজ ওকিচোবি হ্রদের কাছে মিকোসুকি উপজাতির বাস। মিকোসুকি উপজাতীদের সাথে দেখা করার জন্যওদের গ্রামে ঢুকে পড়লাম।। ওখানে ওদের বাড়ি ঘর গুলো উঁচু তার দিয়ে ঘেরা। যে কোন সময় প্রাণীরা ঘরে না ঢুকতে পারে তার জন্যই এর ব্যবস্থা। চলার পথে অনেক সময় দেখা হয় তাদের বন্যপ্রাণীর সাথে। পোষা প্রাণীর মতনই মনে করে তারা বনের প্রাণীদের। বন্যরা বনে থাকে ওদের মতো, মিলেমিশেই এই মানুষরা থাকে প্রাণীদের সাথে।
ট্রাইভ ভিলেজ যাদুঘরে, কুমিরের সাথে যুদ্ধরত ভাস্কর্যটা দেখলে বোঝা যায় প্রাণীর সাথে যুদ্ধ করেই তারা এ জীবন কাটিয়েছে । শিকারী ছিল তারা পাকা। এই জীবনযাপন তাদের ভালোলাগা শহরের অনেক কিছু এখানে নাই তাতে কোন সমস্যা নাই, তারা প্রয়োজনে কেনাকাটা করতে নেপলসে যায় যদিও একটু দূর কিন্তু এই বন্যদের সাথে থাকতেই ওরা পছন্দ করে। এখন পর্যটকদের প্রকৃতি দেখানের কাজ করে অনেকে। জঙ্গলে এবং পানির মধ্যে নিয়ে যায় প্রাণী দেখাতে। বিশেষ উৎসব আয়োজনে কুমিরের সাথে খেলা দেখায়। আমরা সব কিছু চুপচাপ পেলাম। কোন বিশেষ আয়োজন ছিল না।
সামনে সাজানো ট্রাইভ মার্কেট দেখলাম, উপজাতির সমৃদ্ধ এবং সৃজনশীল সংস্কৃতি যেমন থাকে সব জায়গায় । উপজাতি সদস্যদের ঐতিহ্যগত দক্ষতায় তৈরি পুতুল, পুঁতির কাজ, প্যাচওয়ার্ক এবং ঝুড়ি বোনা, হাতের তৈরি জিনিসপত্র,হ্যাট, অলংকার পোশাক।
আমি একটা জিনিস খেয়াল করেছি আদিবাসীদের কাজের মধ্যে জ্যামিতিক ফর্ম এর ব্যবহার খুব বেশি এবং তারা খুব উজ্জ্বল রং ব্যবহার করে। নানা রঙের কি সুন্দর নকশা । পশুর চামড়া আর পাখির পালক খুব ব্যবহার করে, নানা ধরনের হাতিয়ার তৈরি করে যা দিয়ে তাদের যুদ্ধ করে বাঁচতে হতো একসময় তারই প্রতিকৃতি।
মার্কেট দেখার পর খুব বেশি কিছু দেখার নেই গ্রামের ভিতর দিকে কিছুটা ড্রাইভ করে তারপরে আবার ফিরে এলাম ভেবেছিলাম পথে হয়তো পান্থার বা চিতার সাথে দেখা হবে কিন্তু তেমন সুযোগ মিললো না। হয়তো গাছের আড়ালে ঘাসের জঙ্গলে লুকিয়ে ছিল কুমিরের মতন সামনে এসে রোদ পোহাচ্ছিল না তাই চোখে পরল না। অদ্ভুত ধরনের গিরগিটির মতন প্রাণী দেখলাম। যাদের পিঠের উপর শক্ত খোলস আর লম্বা লেজ। আর ছিল খরগোশ, কাঠবেড়ালি নির্ভিক পথ চলা।
ওকালোয়াকুচি ওয়াল্ড লাইফ, এভারগ্লেডস ন্যাশনাল পার্ক হল বেশ কিছু বিপন্ন উদ্ভিদ ও প্রাণী প্রজাতির আবাসস্থল। এর মধ্যে সবচেয়ে পরিচিত কিছু হল ফ্লোরিডা প্যান্থার, আমেরিকান ক্রোকোডাইল, আমেরিকান অ্যালিগেটর, ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান মানাটি, উড স্টর্ক এবং স্নেইল কাইট।
এলাকাটা খুব বেশী পুলিশের পাহাড়া । এত পুলিশ অন্যদিকে দেখি নাই। প্রাণীদের স্পর্শ করলে অনেক ফাইন দিতে হয়।
বদলে যাচ্ছে পরিবেশ একটু পর পর। একসময় ৪১ নাম্বার রাস্তাটা শেষ হয়ে গেল পূবের দিকে ঢালুতে নয়শ সাতানব্বইর সাথে মিশলো এখান থেকে আমরা সোজা দক্ষিণে নেমে যাব দক্ষিনের শেষ প্রান্তে কী ওয়েস্টে।
একশ এগার মাইল চলার এই স্মৃতিটি একদম অন্যরকম। দারুণ এক স্মৃতি হয়ে রয়ে গেলো এই চলাটা। পশ্চিম থেকে পূবে চলে এলাম।
পূবের দিকের হাইওয়েতে ওঠার আগে আমরা একটু থেমে গেলাম। জিরিয়ে নেওয়ার জন্য খুব বেশি দূর চলা না হলেও ধীরে ধীরে চলার জন্য গাড়িতে বসে থেকে হাত পায়ে খিল লেগেছে একটু নড়াচড়া দরকার।
একটা রেস্টুরেন্টে ঢুকে বাইরে পাতা টেবিলে বসলাম। উত্তাপ বড়ই সহনশীল এখানে শীতের সময় এমন আরামদায়ক উষ্ণতা থাকে গ্রীষ্মকালে অবশ্য অনেক গরম থাকে।
সার্ভ করতে আসা লোক আমাদের দেখে অবাক হল। তোমরা কোথা থেকে এসেছ কৌতুহল থেকে জিজ্ঞেস করে ফেলল । ভেবেছিল আমরা স্প্যানিশ বা মেক্সিকান আমাদের চেহারা এমনই মিলেমিশে থাকে পৃথিবীর বিভিন্ন জাতি গোষ্ঠীর সাথে। ট্রাইবদের সাথেও মিলে যায় কখনো। আমাদের আসল অরিজিন কি কে জানে। ওর সাথে হাসাহাসি হলো তার দূর সম্পর্কের সিস্টার অনেকদিন পর দেখা, অনেক দূর থেকে এসেছি, ফ্রিতে খাওয়ানো হোক এইসব বলে। সে সত্যি সত্যি আমাদের চকলেট উপহার দিল। তাকেও ছোট একটি স্যুভিনিয়র দিয়ে এলাম দেশি।
খাওয়া-দাওয়া করে শরীর টানটান করে আবার রওনা হলাম দক্ষিণের পথে আরো একশ ত্রিশ মাইল যেতে হবে। গতি সীমা পঞ্চান্নর মধ্যেই চলতে হবে। রাস্তায় ভীড় তেমন একটা নাই আমাদেরও তাড়াহুড়া নাই দেখে শুনেই তো যাবো।
১২ ই জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ৩:০৭
রোকসানা লেইস বলেছেন: প্রতিটি প্যারা ধরে বিষয় ভিত্তিক মন্তব্য এবং সাথে ছবি যোগ খুব উপভোগ্য ।
সত্যি এত মনোযোগী পাঠক পাওয়া দারুণ ভাগ্য।
কন্যাকুমুরিতে যাওয়ার সৌভাগ্যটা ঈর্ষা করছি। ভারতের অনেক জায়গায় গেলেও কন্য কুমারি যাওয়া হয়নি। চেন্নাইতে যাওয়ার পরের বছর সেখানে যাওয়ার ইচ্ছা ছিল। কিন্তু বিদেশে চলে আসার পর আর ভারতে যাওয়া হচ্ছে না।
পৃথিবীর আশ্চর্য রূপগুলো সবাটাই আহরণ করতে চাই।
আমার তো সারাক্ষণ পথে থাকতে ইচ্ছা করে বহেমিয়ান হয়ে।
আদিবাসীদের রঙ এবং জ্যামিতিক ফর্ম ব্যবহার করার, এই বিষয়টা আমি অনেক জায়গায় দেখেছি। দেশের চাকমা, মনিপুরি, গাড়ো থেকে বিদেশের আদিবাসিদের কাজ যেন এক সূত্রে বাঁধা। এবং তাদের থাকাও প্রকৃতির সাথে মিশে।
দেশে মনে হয় এখন প্রাণী এবং উদ্ভিদের প্রতি মায়া তৈরি হচ্ছে সংরক্ষণের ব্যবস্থা হচ্ছে্ এতদিন তেমন কোন আগ্রহ ছিল না।
আমাদের প্রকৃতিকে নিজের মতন থাকতে না দিয়ে আমরা বদলে দিচ্ছি সারাক্ষণ।
পৃথিবীর নদীগুলো যে ভাবে বন্দি হয়ে যাচ্ছে আর তার পাড়ের মানুষরা হয়ে পরছে পানি শূন্য প্রকৃতির এই বিরূপ বাঁধনের ফল আমাদের ভোগতে হবে।
দেশের রাজশাহী অঞ্চল আমাদের চোখের সামনে বদলে গেল। নদীতে বাঁধ দেয়ার জন্য যে ক্ষতি হচ্ছে পৃথিবীর মানুষের তার উপর খুব ভালো একটা লেখা পড়েছিলাম সামুরপাতায়। আমি একটা লেখা লিখব ভাবছিলাম তখন কিন্তু উনার লেখাটার পরে আর লিখিনি। উনার লেখাটা খুব ভালো তথ্যবহুল ছিল। আমার নামটা মনে পড়ছে না এখন ব্লগারের।
কিন্তু আমাদের প্রকৃতি বদল করার যে নেশা চেপেছে সেটা সুন্দর ভাবে বদল যারা করবে, আমরা তো তাদের কেউ নই । তাদের ভাবতে হবে । দেশে কিছু কাজ করার সুযোগ হলে ভালো হয় ভাবনা দিয়ে দিলাম।
অনেক ভালো থাকবেন
২| ১১ ই জানুয়ারি, ২০২৪ সকাল ১১:০৭
নয়ন বড়ুয়া বলেছেন: বর্ণনা শুনে তো আপু, যেতে ইচ্ছে হচ্ছে...
আমার আবার ঘুরতে বেশি ভালো লাগে। ধন্যবাদ আপু।
১২ ই জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ৩:১১
রোকসানা লেইস বলেছেন: ধন্যবাদ নয়ন বড়ুয়া
যখন যাবেন তখন হয়তো এই লেখার কথা মনে পরবে আরো ভালো করে দেখার সুযোগ পাবেন।
৩| ১১ ই জানুয়ারি, ২০২৪ সকাল ১১:৫৪
প্রামানিক বলেছেন: আমি ঘুরুঞ্চি মার্কা লোক এসব বর্ণনা পড়লে মনটা ছটফট করে। খুব ভালো লাগল
১২ ই জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ৩:১৩
রোকসানা লেইস বলেছেন: ধন্যবাদ প্রামানিক
ঘুরুঞ্চি মন ছটফট করবে পথে নামার জন্য আর নেমেও পরবেন একদিন। এখানে নয় অন্য কোথাও দেখে আসুন আর শেয়ার করুন গল্প।
৪| ১১ ই জানুয়ারি, ২০২৪ দুপুর ২:৫৬
সেলিম আনোয়ার বলেছেন: মানুষ এক সময় জঙ্গলে বাস করতো। এখনও অনেকে করে। বনের পরিবেশে প্রকৃতির কোলে মানব জীবন অনেকের কাছে বৈচিত্র ময়। । প্রাচীন স্থাপত্যগুলো অনেক কিছু বলে দেয়। অনেকটা বইয়ের মত। আপনি লিখেছেনও বেশ। সুন্দর।
১২ ই জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ৩:১৭
রোকসানা লেইস বলেছেন: ধন্যবাদ সেলিম আনোয়ার
প্রকৃতির সাথে শখ্যতা অনেক মানুষ এখনও রাখেন। সাধারন আমরা যখন ভাবতে পারি না সে জীবন যাপনের কথা তারা কিন্তু প্রতিকুল পরিবেশেও সেই পরিবেশ ছেড়ে আসার কথা ভাবেন না।
যেমনটা দেখলাম তেমনই লিখলাম যা আমাকে মুগ্ধ করেছে তাই শেয়ার করলাম আপনাদের সাথে।
৫| ১১ ই জানুয়ারি, ২০২৪ বিকাল ৩:৩৩
বিজন রয় বলেছেন: কুমিরের ছবি দেখলে আমার ভয় করে।
মানুষ আবার জঙ্গলে বাস করার শুরু করলে ভাল হবে।
১২ ই জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ৩:৩২
রোকসানা লেইস বলেছেন: অনেক মানুষ শুরু করেছে। ভালেঅলাগায়
অনেক মানুষ থাকছে এফোর্ট করতে না পারায়।
ধন্যবাদ বিজন রয়
৬| ১১ ই জানুয়ারি, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:২১
রাজীব নুর বলেছেন: গাছপালা, বন জঙ্গল আমার ভালো লাগে।
সুন্দর বর্ননা করেছেন। যেন চোখের সামনে সব দেখতে পেলাম।
১২ ই জানুয়ারি, ২০২৪ সকাল ১১:০৫
রোকসানা লেইস বলেছেন: গাছ বন জঙ্গল প্রাণী কীট পতঙ্গর প্রতি ভালোবাসা আমাদের প্রকৃতি সুরক্ষা করতে সাহায্য করবে ।
প্রতিটি মানুষের ভালোবাসা উচিত। আমাদেরই ভালোর জন্য।
ভালো থেকো রাজীব নুর
৭| ১২ ই জানুয়ারি, ২০২৪ সকাল ৭:৩৪
ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
ঠিকই বলেছেন পৃথিবীর নদীগুলো যে ভাবে বন্দি হয়ে যাচ্ছে আর তার পাড়ের মানুষরা হয়ে পরছে
পানি শূন্য প্রকৃতির এই বিরূপ বাঁধনের ফল আমাদের ভোগতে হবে। এর হাত হতে বাচতে হলে
আমাদের দেশের নদীগুলিকে দিতে হবে মানুষের মত জীবন্ত সত্তার অধিকার । এপ্রসঙ্গে
নিউজিল্যান্ডের হয়াংগানুই নদীর জীবন্ত মানুষের সমান আইনগত অধিকার প্রাপ্তি : বাংলাদেশ প্রসঙ্গসহ একটি সচিত্র বিবরণ নামে
এই সামুতে দিয়েছিলাম একটি লেখা । তার কিছুদিন পরেই আমাদের ধেশের হাইকোর্ট
ঢাকার একপাশ টঙ্গীর নিকট দিয়ে বয়ে যাওয়া মৃতপ্রায় তুরাগ নদীকে জীবন্ত সত্তার অধিকার দিয়েছিল একটি
যুগান্তকারী রায়, এর ফলে নীজেই তার প্রতি নদী খেকোদের বিরোদ্ধে করতে পারবে মামলা । মামলা সহ নদীকে
জীবন্ত মানুষের মত রক্ষনাবেক্ষনের জন্য দিতে হবে প্রয়োজনীয় অর্থসম্ভার ।
নদীতে বাঁধ দেয়ার ফলে রাজশাহী অঞ্চলে যে ক্ষতি হচ্ছে তা নিয়ে সামুতে বেশ কিছু পোষ্টই আছে । ব্লগার
নিরুদ্দেশের এবং জী এস আহমেদের পোষ্ট গুলি বেশ সমৃদ্ধ ছিল । আমিউ
পদ্মার সর্বনাশা নাম ও তার বুকের কলঙ্ক তীলক দুরীকরনার্থে পরিবেশবাদীদের কর্মপ্রচেষ্টার একটি নিকট পর্যালোচনা নামে একটি পোষ্ট দিয়েছিলাম ।
১৩ ই জানুয়ারি, ২০২৪ দুপুর ২:৩৮
রোকসানা লেইস বলেছেন: যুগান্তকারী রায় । তবে এমন রায় আর্ন্তজাতিক ভাবে থাকা প্রয়োজন। ইচ্ছে হলেই নিজ দেশের নদীর পানি বন্ধ করে অন্য দেশের ক্ষতি যেন না করা হয়।
অনেক নদী খাল মানুষ দখল করে নিয়েছিল । বেশ কিছু জায়গায় ঘরবাড়ি ভেঙ্গে নদী, খাল উদ্ধার করা হচ্ছে গত বছর দেখেছিলাম।
তুরাগ নদীর কি অব্স্থা এখন?
আমাদের দেশের মানুষ, ভাবনা চিন্তায় অনেক পিছিয়ে আছে। এই জায়গায় উন্নত হলে পরিবেশ রক্ষা সমৃদ্ধ হবে। অবশ্য পরিবেশ নিয়ে ভাবনা আধুনিক মানুষের মধ্যেও কম, তাই তো পরিবেশবাদী দলরা হেরে যায় ভোটেও।পরিবেশ নিয়ে সচেতন আদিবাসিরা।
আপনার পদ্মা নিয়ে লেখাটা পড়েছিলাম আগে। বাকিগুলো পড়ে নিব সময় করে।
পরিবেশ সচেতনতা আসলে অনেক কিছু অঙ্গাঅঙ্গি ভাবে জড়িত।
সচেতন এবং জ্ঞান বৃদ্ধি পেলে মানুষ আগ্রহী হবে প্রকৃতি রক্ষায়।
এভারগ্লেড বিগ সাইপ্রেস, ভূমি রক্ষণাবেক্ষণ দেখে আমাদের অসচেতনতার কথাই বেশি মনে হয়েছে ,যেখানে আমরা অনেক বেশি পিছিয়ে আছি।
ধন্যবাদ আলোচনার জন্য।
©somewhere in net ltd.
১| ১১ ই জানুয়ারি, ২০২৪ সকাল ১১:০১
ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
জঙ্গল বন্যপ্রাণী আর ফুলের বনের সুন্দর সচিত্র বিবরণ । পাঠে ও দেখে খুবই ভাল লাগল ।
ফ্লোরিডা প্যান্থার ন্যাশনাল ওয়াইল্ডলাইফ রিফিউজী, প্যান্থারের সাথে আরো বিভিন্ন ধরণের বন্যপ্রাণী যেমন
কালো ভালুক, চিতা, সিংহ ,ববক্যাট, পাইথন, কুমির এরাও যেখানে সহ অবস্থান করে সেখান থেকে ঘুরে
এলেন সাহস দেখে বিস্মিত । সেখানকার গাছের ডালে ডালে নানা রকমের পাখি। রয়েছে সেথায় চেনা ঘুঘু
মাছরাঙ্গা কাঠঠোকরা, সারস তথা ক্রেন, চিল, কাক রোজ স্পুন বীল এত্ত সুন্দর সাদায় মেশানো গোলাপি রঙের
পাখীদের কথায় মনে হল যেন আমাদের সুন্দর বনেই আছি ।
রাস্তার পাশে খালের মতন জল, কখনো রাস্তার পাশাপাশি চলছে, কখনো ঘন গাছের ভিতরে পানি দেখা যাচ্ছে ,
আবার কখনো জঙ্গলের ভিতর দিয়ে যেন নদী বয়ে যাচ্ছে। অপূর্বসব দৃশ্যপট সাথে প্রচ্ছদের ছবি দেখে মনে হলো
এটা আমাদের ম্যানগ্রোভ ফরেস্ট সুন্দর বনের মতই একটি বন।
জলের মাঝে এ্যালিগেটর , জলের উপরেও রোদের আলোছায়ায় গাছের মঝে অসংখ্য পাখীদের নীড়/ বাসা
আর দেখলেন কত্ত রঙ বেরঙের ফুল ফুটে আছে। গাছে গাছে অসংখ্য অর্কিড আপন মনে বিস্তার লাভ করছে
আর ফুল ফুটাচ্ছে। সেগুলী নীজের ফার্মের মোরগের মতন অর্কিড না, শত যত্নেও যাদের ফুল ফোটে হঠাৎ
কখনো অথছ সেখানে নীজে নীজেই ফুটে আছে অজস্র অর্কিড আহা সত্যিই প্রকৃতির কি অপরূপ লীলাভূমি।
তিন দিকে সাগর দিয়ে ঘেরা আমেরিকার মধ্যবর্তি অংশ যা চিকন লেজের মত ভূমির শেষ প্রান্ত সাগরে মিশে
গেছে বলেছেন তা দেখে মনে পড়লো আমার দেখা ভারতের সর্বশেষ দক্ষীণ প্রান্তে কন্যাকুমারিকায় তিন দিকে
তিন সাগর রেখে একটি বিশাল পাথর খন্ডের উপর স্বামী বিবেকানন্দ রক মন্দির । ছবিতে দেখুন , এর বাদিকে
বঙ্গোপসাগর , ডানদিকে আরব সাগর আর দক্ষিনে ভারত মহাসাগর । সারাদিন হাজার হাজার দেশী বিদেশী
পর্যটকের ভীর সেখানে লেগেই থাকে ।
সেন্ট্রাল ফ্লোরিডা অ্যানিমাল রিজার্ভ বিশ বছরেরও বেশি সময় ধরে সিংহ, বাঘ, চিতাবাঘ এবং কুগার, বড় বিড়াল
এবং বন্যপ্রাণীর অভয়ারণ্য হিসাবে কাজ করছে শুনে ভাল লাগল , এর অভিজ্ঞতা দেশে কাজে লাগানো যায় ।
মিকোসুকি ইণ্ডিয়ান ট্রাইভ ভিলেজ এর বিবরনটি মনে ধরেছে। নেটিভ আমেরিকান হেরিটেজ ওকিচোবি হ্রদের কাছে
বসবাসকরা মিকোসুকি উপজাতীদের সাথে দেখা করার জন্য ওদের গ্রামে ঢুকে যে বিবরণ দিলেন তাতে অভিভুত।।
ওখানে ওদের বাড়ি ঘর গুলো উঁচু তার দিয়ে ঘেরা যেন বন্য প্রাণীরা ঘরে না ঢুকতে পারে তার জন্যই এর ব্যবস্থা।
চলার পথে অনেক সময় নাকি দাদের দেখা হয় বন্যপ্রাণীর সাথে। পোষা প্রাণীর মতনই মনে করে তারা বনের
প্রাণীদের। বন্যরা বনে থাকে ওদের মতোই মিলেমিশেই তারা থাকে প্রাণীদের সাথে। আমাদের দেশে পার্বত্য
চট্টগ্রামের আদিবাসিরাও প্রাণীদের আক্রমনের হাত হতে বাচার তরে মাচার উপরে ঘর বানায়ে তাতে বসবাস করে ,
বন্য পশু পাখীদের সাথেও তাতের মিতালী কম নয় ।
সাজানো ট্রাইভ মার্কেটে উপজাতিদের সমৃদ্ধ এবং সৃজনশীল সংস্কৃতির বিবরণ সাথে যেখানে তাদের ঐতিহ্যগত
দক্ষতায় তৈরি পুতুল, পুঁতির কাজ, প্যাচওয়ার্ক এবং ঝুড়ি বোনা, হাতের তৈরি জিনিসপত্র,হ্যাট, অলংকার পোশাক
বিশেষ করে আদিবাসীদের কাজের মধ্যে জ্যামিতিক ফর্ম সাথে তাদের বেশ উজ্জ্বল রং ব্যবহার করার বি্বরনের
বিষয়টি আমার দৃষ্টি আকর্ষন করেছে । আমাদের পার্বত্য চট্টগ্রামের নৃতাত্বিক জনগুষ্টির মেয়েরাও কোমর তাতে
খুব আকর্ষনীয় রঙিন সুতায় অনেকটা জামদানীর মত জামিতিক ডিজাইনের কাপর তৈরী করে পাহাড়ী দোকান
গুলিতে বিক্রয় করে , ছবিতে দেখানো হল ।
সুন্দর পোষ্টটির জন্য ধন্যবাদ
শুভেচ্ছা রইল