নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

স্রোতের অজানা টানে সমুদ্র বালিয়াড়ি বেয়ে বোহেমিয়ান- গৃহকোন, জীবন যাপন ফেলে চলে যায়। তুমি দুহাত বাড়িয়ে আলিঙ্গনে বাঁধতে চাও জোছনা গলে হারিয়ে যায় সুখ । আছড়ে পরা ঘূর্ণিজল মনে বাজায় অচেনা সবুজ দিগন্ত ..

রোকসানা লেইস

প্রকৃতি আমার হৃদয়

রোকসানা লেইস › বিস্তারিত পোস্টঃ

শুটকি আর আবহাওয়া সমাচার

১৮ ই আগস্ট, ২০২৩ রাত ১২:২৮

প্রতি বছর গ্রীষ্মকালে আমি কিছু মাছ নিজে শুটকি করি। আগে বাংলা দোকান থেকে কিনতাম। কিন্তু দেখলাম ডিডিটি দেওয়া খেয়েও মজা নাই। প্রায় সময় শখে কিনে অনেক কষ্ট করে রান্না করে ফেলে দিতাম। একসময় ভিয়েতনাম, থাই, চীনের শুটকি কিনেছি সেটাও শুধু পয়সা নষ্ট হয়েছে সময় নষ্ট করে রান্না করেছি কিন্তু খেতে পারিনি। তারপর বেশ কয়েক বছর ধরে নিজে মাছ শুটকি করা শুরু করলাম। ভালো করে লবন পানিতে ধুয়ে কড়া রোদে বেশ কিছুদিন ঝুলিয়ে রাখতাম বাইরে। আর ঢেকে দিতাম, মাছগুলো হালকা নেটের কাপড় দিয়ে যাতে পোকা, মাছি বসতে না পারে।
আমি কুয়াকাটায় দেখেছিলাম সাগরপাড়ে তারে ঝুলিয়ে রাখা সারি সারি হাজার হাজার মাছ শুটকি হচ্ছে রোদে পুড়ে। কিন্তু সে সব মাছ খোলা থাকত আর হাজার হাজার মাছি তার মধ্যে বসত। ভালো মাছ বা পচা মাছ শুটকি হচ্ছে কিনা তাও বোঝা যেত না।
ব্যবসায়িক ভিত্তিতে এই শুটকি প্রক্রিয়া যেমন তেমন যখন গুদামজাত করা হতো তখন তাতে পোকা লেগে যেত। আর এই পোকা থেকে রক্ষা করতে ডিডিটির মতন মারাত্মক মানুষের শরীরের জন্য ক্ষতিকর পাউডার ব্যবহার করা হতো শুটকি সুরক্ষা করতে। এই সব শুটকি প্যাকেটজাত হয়ে চলে আসে বিদেশের বাজারেও নানারকম ব্রান্ডের নামে।
আমি শুটকি খাওয়াই ছেড়ে দিয়েছিলাম অনেক বছর।
তারপর নিজের বানানো শুটকি বেশ মজা করে খেতাম। তাজা মাছ কিনে এনে গ্রীষ্মে বানিয়ে রাখলে সারা বছর মোটামুটি চলে যেত।
কিন্তু এ বছর গ্রীষ্মটা কেটে গেল বর্ষাকালের মতন এত বৃষ্টির ভিতর যদিও এখানে বর্ষাকাল নাই কিন্তু এবছর আকাশ কালো করা মেঘ ঝুম বৃষ্টি বজ্রপাত সব মিলিয়ে মনে হচ্ছে বর্ষাকাল চলছে।
কদিন আগে প্রখররোদের আলোয় গ্রোসারী করতে গেলাম কিন্তু পনের বিশ মিনিটের মধ্যে প্রকৃতি পুরো বদলে গেলো । এমন ঝুম বৃষ্টি দোকান থেকে বেরিয়ে গাড়ি পর্যন্ত যেতে পারছিলাম না। অনেকটা সময় অপেক্ষা করে থামার কোন নাম গন্ধ নেই তখন বৃষ্টির মধ্যেই দৌড় দিলাম গাড়িতে চড়ার জন্য।
ভালোই ভিজে গেলাম । যা হোক বাড়ি গিয়ে গোসল করে নেব। কিছুটা চলার পরে শুরু হলো শিলাবৃষ্টি। হাইওয়ের মধ্যে ধুমধাম শিলা পরছে গাড়িতে। আর এত জোড় বৃষ্টি যে কিছুই দেখতে পাচ্ছি না খানিক দূরে। ওয়াইপার ফুল স্পিডে চলেও কাঁচ পরিস্কার করতে পারছিল না।
প্রতিদিনের এই বৃষ্টি ভেজা মেঘলা দিনের মাঝে গ্রীষ্মকাল শেষ হয়ে যাচ্ছে মনে হচ্ছে না এবার একটানা সাতদিন আর কড়া রোদের প্রচণ্ড গরম দিন পাবো। যা আমার শুটকি বানাতে সাহায্য করবে।
এখন দিনে বিশ বাইশ তাপমাত্রার গরম থাকলেও রাতে বারো তের তাপমাত্রা হয়ে যাচ্ছে । আর রাত থেকে সকাল শিশির ভেজা কুয়াশা ডাকা দিগন্ত দেখতে হয় যদি না বৃষ্টি না হয়।
এবছর গ্রীষ্মের শুরু দিকে চলল প্রচণ্ড খড়তাপে বনপোড়া আগুনের প্রভাব যার জন্য ঘরের বাইরে বের হতে পারলাম না ।ধোঁয়া আর পোড়া গন্ধ চারপাশ ঘিরে ছিল অনেক দিন। বৃষ্টির প্রয়োজন ছিল কিন্তু এমন তুমুল বৃষ্টির মাঝে কিছুই করার উপায় নাই। আর বেড়েছে মশা প্রচণ্ড রকম এ বছর।
বাগান সাফ করতে গিয়ে মশার কামড়ে ঝালাপালা হয়ে গেছি। ভাগ্য এখানে ডেঙ্গি নাই। তবে কোভিট বাড়ছে আবার। সাবধানতা কত রকমের কত দিক থেকে।
গত শনিবার বসেছিলাম খোলা আকাশের নিচে সকালে আমরা কজনে মিলে। হঠাৎ বৃষ্টি নামল। তাড়াতাড়ি টেন্ট টানিয়ে তার ভিতরে কাটিয়ে দিতে হলো ঘন্টা তিনেক সময়। বৃষ্টি আমাদের কিছুই উপভোগ করতে দিচ্ছে না এবার বৃষ্টি ছাড়া।
টেন্টের ভিতর বসে শুনছিলাম ঝুম বৃষ্টির গান। কয়েকটা ফুটো ছিল টণ্টেে সেদিকে তাকিয়ে মনে হচ্ছিল অন্ধকার আকাশে তারা। যদিও দুপুর সময়। ভাবতে দোষ কি কল্পনায় নিজের মতন উড়াল দেয়াই যায়।
বড় একটা হা্ইওয়ের মাঝখানে সিঙ্কহোল হয়ে গেছে কদিন আগে। রাস্তা বন্ধ ভাগ্য কেউ ভিতরে পরে যায়নি। আগে এমন ঘটনায় কত রূপকথার গল্প শুনা যেত। বেশ অন্যরকম কিছু ভাবার সুযোগ ছিল সাইন্স যে কি করল কল্পনার জগতে ভেসে যাওয়ার সুযোগটাই রাখল না।
এবার নাকি ভালো শীত পরবে শুনছি আবহাওয়া বার্তায়। যাক অপেক্ষা করি বরফের পাহাড়ে গড়াগড়ি খাওয়ার।

মন্তব্য ৩৬ টি রেটিং +৮/-০

মন্তব্য (৩৬) মন্তব্য লিখুন

১| ১৮ ই আগস্ট, ২০২৩ রাত ১:৪৮

কামাল১৮ বলেছেন: শুটকি খাওয়াতো দুরের কথ, গন্ধটাই সহ্য করতে পারি না।কিন্তু গিন্নির আবার শুটকি খুব পছন্দ।সেদিন দেখলাম তার ছোট ভাই(সে আমাদের সাথে থাকে)অনেক প্রায় ৩/৪ কেজি শুটকি নিয়ে আসছে বাংলা পাড়া থেকে।রাখা নিয়ে হয়ে গেলো সমস্যা।গিন্নি চাচ্ছে ফ্রিজে রাখতে ছোট মেয়ে কিছুতেই ফ্রিজে রাখতে দিবে না।সেও আমার মতো শুটকি খায় না।
বৃষ্টি সত্যি এবার সমস্যার সৃষ্টি করছে।প্রায় ভাবি শনি রবিবার বেড়াতে যাবো আবহাওয়া দেখে আর বাইরে যাওয়া হয়না।অগত্যা মলে মলে ঘুরে বেড়াই।

১৯ শে আগস্ট, ২০২৩ রাত ১২:২৬

রোকসানা লেইস বলেছেন: অনেকেই শুটকির গন্ধ পছন্দ করতে পারেন না। তবে কাঁচা আর রান্না করা শুটকির গন্ধ খুব তীব্র হলেও দুরকম গন্ধ। রান্না করার পর ঘরে যে গন্ধ থাকে সেটা আমার নিজেরও পছন্দ না।
আর বাচ্চারা তো দেশি তেল মশলায় রান্নার গন্ধটাই সহ্য করতে পারে না। বলে আমাদের কাপড় গন্ধ হয়ে থাকে খুব বাজে লাগে।

সংরক্ষণের জন্য প্যাকেট করে ফ্রিজারে রাখলে গন্ধ তেমন ছড়ায় না। ফ্রিজারে রাখাটাই সবচেয়ে নিরাপদ।
মেয়ে বা আপনার সমস্যা হওয়ার কথা না।
তবে রান্না যখন হবে এই তিনচার কেজি শুটকি তখন টের পাবেন আপনারা।

মলে ঘুরতে ভালোলাগে না সামারে বাইরে ঘোরতে ভালো লাগে।

২| ১৮ ই আগস্ট, ২০২৩ ভোর ৬:০৭

আহমেদ জী এস বলেছেন: রোকসানা লেইস,



আপনাদের ওখানে ঝুম বৃষ্টির কথা বললেন। আর আমি এখন যেখানে আছি সেখানে প্রতিদিন ৩৮ থেকে ৪২/৪৩ ডিগ্রী সেলসিয়াস গরম থাকছে দিনের বেলাতে। রাতে অবশ্য ১৩/১৪তে নেমে যায়। একটু বৃষ্টির অপেক্ষা করছি, দেখা নেই।
পৃথিবীর আবহাওয়াটাই আমূল বদলে গেছে এ কথা আর নতুন করে বলার কিছু নয়। এখানে তুমূল বন্যা তো ওখানে দাবানল, সেখানে তুষারপাত! এটাই দেখছি বেশ কিছুদিন থেকে। তবে সামনের দিনগুলোতে যে কি হবে ভাবলে ভয় লাগে।

দিনবদলের... থুড়ি..... আবহাওয়া বদলের কড়চা। লেখা শুটকির মতোই ঝরঝরে হয়েছে।

১৯ শে আগস্ট, ২০২৩ রাত ১২:৩৩

রোকসানা লেইস বলেছেন: হ্যাঁ ঠিক বলেছেন পৃথিবীর আবহাওয়া আমূল বদলে যাচ্ছে।
আপনার অবস্থা পুরো মরুভূমির মতন। দিনে প্রচণ্ড গরম রাতে শীত। তবে ওদিকে বৃষ্টি এবং বরফপাত তেমন হয় না। তবে ভুমিকম্পর জন্য সদা প্রস্তুত থাকতে দেখিছি মানুষকে। আর ক্ষণে ক্ষণে আগুন লেগে যাওয়া সেও এক সমস্যা আপনাদের।
ওখানে থাকার স্মৃতি নিয়ে আধেক লেখা লিখেছি বাকিটা শেষ হবার অপেক্ষায় আছি।
গতরাত থেকে যেমন বৃষ্টি ঝরছে মনে হয় বাংলাদেশের আষাঢ় মাস চলছে। শুধু কিছুরি খেতে ইচ্ছা করে। ইস কেউ যদি রান্না করে দিত।
ঝরঝরে শুটকির মতন মজাদার ধন্যবাদ

৩| ১৮ ই আগস্ট, ২০২৩ সকাল ১১:০২

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: শুটকি খেতে পারি না। গন্ধটাও ভালো লাগে না।

১৯ শে আগস্ট, ২০২৩ রাত ১২:৩৪

রোকসানা লেইস বলেছেন: তারপরও শুটকির পাতায় এসেছেন দেখে খুব প্রীত হলাম।
একটু চেখে দেখা শুরু করুন দেখবেন একদিন কেমন ভক্ত হয়ে যান।

৪| ১৮ ই আগস্ট, ২০২৩ সকাল ১১:১৪

শায়মা বলেছেন: আমারও শুটকি ভুড়ি এইসব এত বেশি ভালো লাগে না। আমার ভালো লাগে কালাভূনা, সরষে ইলিশ রুই মাছের কালিয়া চিংড়ি মালাইকারী দুনিয়ার যত মোটা হবার খাবার আছে তাই তবে হ্যাঁ একবার রাঙ্গামাটিতে লইটা মাছের ভুনা নাকি ভাজা কি যেন একটা খেয়েছিলাম! আহা আহা সেটা যে কতই না মজার ছিলো! যদি অমন করে রাঁধতে পারতাম। এবার কক্সেস বাজার থেকে লইটা শুটকি এনে তেমন করে কত রঙে ঢঙে ভাজা ভূনার ট্রাই করলাম! একবারও হলোই না। :(

১৯ শে আগস্ট, ২০২৩ রাত ১২:৪৭

রোকসানা লেইস বলেছেন: আমার তো তুমি যত খাবারের নাম দিয়েছো সবই ভালোলাগে সাথে যে আরো কত নতুন খাবার যোগ হয়েছে। তবে কোন কিছুর জন্যই অস্থির হই না। পেলে ভালো না পেলে খেলাম না ।
কালাভুনার নাম শুনেছি তবে আমার খাওয়া হয়নি কখনো। কেউ রান্না করে খাওয়ালে স্বাদ কেমন বুঝতে পারতাম। দেশে যখন যাই আমি বাইরে রেস্টুরেন্টে খেতে যাই না।
লইট্যা মাছ তাজা নড়ছিল কিনে এনেছিল বাজার থেকে মাছগুলো দেখে আমার খুব বাজে লেগেছিল কিন্তু এমাছের শুটকি খুবই মজা আসলে। তবে সেটা বানানোর সুযোগ নাই কারণ মাছ পাওয়া যায় না।
আসলে প্রত্যেকের রান্নার আলাদা স্বাদ থাকে তোমারটাও নিশ্চয়ই অন্য রকম ভালো হয়েছিল।

৫| ১৮ ই আগস্ট, ২০২৩ সকাল ১১:২৬

জুন বলেছেন: শুটকি নিজে বানিয়ে খেতে পারলে তো ভালোই রোকসানা লেইস। তবে কিনে খেতে হলে মিয়ানমারের শুটকি পেলে খেতে পারেন, কারণ ওরা শুটকিতে কোন ক্যামিক্যাল ব্যবহার করে না আমার ধারণা। থাই, ভিয়েতনাম ক্যাম্বোডিয়ার শুটকি আমিও কিনে না খেতে পেরে ফেলে দিয়েছি। ওরা মনে হয় অন্য প্রসেসে ড্রাই করে৷ কিন্ত মায়ানমারের শুটকি আমাদের মত সান ড্রাই।
আমাদের এখানেও প্রচুর বৃষ্টি হচ্ছে। যদিও অনেকের কষ্ট হচ্ছে তারপর ও আমার ভালো লাগছে অনেক।
ভালো লাগা রইলো আপনার লেখায়।
+

১৯ শে আগস্ট, ২০২৩ রাত ১:০২

রোকসানা লেইস বলেছেন: হ্যাঁ নিজে বানাবো কখনো কল্পনা করি নাই। তবে সব সময় আমার অনেক কিছু করতে ইচ্ছা করে তার হুজোগে চেষ্টা করা এবং বেশ সফল হয়ে যাই।
এখন শুটকি যে খুব খাই তা না তবে মাঝে মধ্যে খাওয়ার জন্য নিজের বানানোটা বেশ বছর ধরে চলে যায়।
এখানে মিয়ানমারের গ্রোসারী দোকান তেমন দেখিনি। ইদানিং পোষাক শিল্পে তাদের কিছুটা উপস্থিতি দেখি। তবে তাদের জিনিস কেনা থেকে নিজেকে বিরত রাখি।
মিয়ানমারের দোকান আছে কিনা খুঁজে দেখব।
এবার বর্ষামুখর দিনগুলো শুটকি বানাতে দিল না। আসলে খাওয়ার চেয়েও বানানোর মজাটা আলাদা।
বৃষ্টি একটা রোমান্টিক ভাবনা আমাদের কিন্তু যখন কাজের জন্য দৌড়াতে হয় বৃষ্টিতে ভিজে তখন রোমান্টিকতা ছুটে যায়।
দেশের মতন পায়ে আলতা দিয়ে কৃষ্ণচূড়ার পাপড়ি ভাসা বৃষ্টিজলে ঘাসে হাঁটা হাঁটি করা বা বৃষ্টি এলেই দল বেঁধে সবার ভিজার আনন্দ করার সুযোগ পাওয়া যায় না । আর বৃষ্টিও প্রচণ্ড ঠাণ্ডা এখানে। তাও আমি সুযোগ পেলে ভিজতাম। কিন্তু কয়েক বছর আগে আমি বৃষ্টিতে ভিজে উঠে এলাম তারপরই ভীষণ রকম বাজ পরল। পরে খবরে জানলাম বাজে দুজন মারা গেছেন। তাই সতর্ক থাকি এখন উল্টা পাল্টা আনন্দে করার চেয়ে।
ধন্যবাদ পড়ার জন্য জুন

৬| ১৮ ই আগস্ট, ২০২৩ সকাল ১১:৫৭

জ্যাক স্মিথ বলেছেন: শুনেছি শুঁটকি খেলে নাকি ক্যান্সার হয়, বাট হু কেয়ার! আই লাভ শুঁটকি।

আর শুঁটকিতে ডিডিটির বা কোন না কোন কেমিক্যাল থাকবেই তাই রান্না করার আগে কমপক্ষে ৩০ মিনিট পানিতে ভিজিয়ে রেখে লবণ দিয়ে বার বার ধুঁয়ে নিতে হয়।

১৯ শে আগস্ট, ২০২৩ সকাল ৮:১৭

রোকসানা লেইস বলেছেন: এতক্ষণে আপনি বললেন আই লাভ শুটকি ধন্যবাদ। অনেকেই পছন্দ করেন না।
ক্যানসার হওয়ার কারণ হয়তো এইসব কীটনাশক শুটকিতে মিশানো হয় বলে। সরাসরি শুটকি দোষী নয়।
তা ছাড়া শুটকিতে কিন্তু প্রোটিন বেশি পাওয়া যায় বলে জানি।
পানি লবন আর একটু সিদ্ধ করে পানি ফেলে দিয়ে রান্না করতাম কেনা শুটকি। ভালো করে না ধুলে বালু কিচকিচ করে অনেক সময়।
আমাদের দেশের প্রোসেসিং পদ্ধতি উন্নত হলে শুটকি নিশ্চিন্ত মনে খাওয়া যেত।
শুটকি যে ভাবে বানায় তাতে তো সমস্যা হয় না বরং সূর্য়ের আলোয় ভিটামিন ডি ও পাওয়া যায়। সমস্যা সংরক্ষণে।
ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য

৭| ১৮ ই আগস্ট, ২০২৩ দুপুর ১২:০২

মোগল সম্রাট বলেছেন:



ডিডিটি আছে কিনা কেনার সময় বোজার কোন তরিকা আাছে?

১৯ শে আগস্ট, ২০২৩ সকাল ৮:২১

রোকসানা লেইস বলেছেন: ডিডিটি বোঝা যায় পোকা টোকা যখন থাকেনা বেশ পরিচ্ছন্ন আমার মনে হয়। এ ছাড়া বোঝার আর কোন উপায় জানা নাই। আর ডিডিটির সাথে সংরক্ষণের সম্পর্ক বহু আগে থেকে জানি সেই সুত্রেই বলা।

৮| ১৮ ই আগস্ট, ২০২৩ দুপুর ১:০২

রাজীব নুর বলেছেন: গরম ভাতের সাথে শুটকি ভালোই লাগে। হোক সেটা লইট্রা অথবা ইলিশের।
পোলাউ এর সাথে শুটকি খেতে মজা।

১৯ শে আগস্ট, ২০২৩ সকাল ৮:২৩

রোকসানা লেইস বলেছেন: লইট্টা বা যে কোন শুটকি সাদাভাতের সাথেই ভালোলাগে।
ইলিশ পোলাউর সাথে কেমন লাগে জানি না। মিক্স করি নাই কখনো। আলাদা ফ্লেভার ভালো লাগে।

৯| ১৮ ই আগস্ট, ২০২৩ বিকাল ৫:০৯

ঢাবিয়ান বলেছেন: একেক জাতি একেকভাবে শুটকি রান্না করে খায়। আমার এখানে ইকান বিলিচ ( কাচকি মাছের শুটকি ) চিনা বাদামের সাথে ফ্রাই খুব চালু একটি আইটেম। বাঙ্গালী জিহবায় এত বছরেও অখাদ্য একটি খাবার বলে মনে হয়।দেশী শুটকির স্বাদই অন্যঅরকম।

১৯ শে আগস্ট, ২০২৩ সকাল ৮:২৬

রোকসানা লেইস বলেছেন: বাদামের সাথে শুটকি ফ্রাই বেশ অন্য রকম তো।
আসলে মানুষ যে কত রকম ভাবে একই খাদ্য খায়। নিজেদের জন্ম থেকে খাওয়ার স্বাদ সব সময় বেশি ভালোলাগার।
মজা করে দেশি শুটকি খেতে থাকুন।

১০| ১৮ ই আগস্ট, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:৩৯

তারেক_মাহমুদ বলেছেন: আমি শুটকি পছন্দ করি, কিন্তু কিছুদিন আগে একটা রিপোর্টে দেখলাম শুটকিতে বিষাক্ত রাসায়নিক দ্রব্য থাকার কারণে চট্টগ্রামের লোকেরা বেশি ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়। এ কারণে এখন শুটকি কেনা বন্ধ করে দিয়েছি।

১৯ শে আগস্ট, ২০২৩ সকাল ৮:২৯

রোকসানা লেইস বলেছেন: শুটাকি খেতে মজা প্রোটিনও বেশি।
কিন্তু সমস্যা তো করছে এই রাসায়নিক দ্রব্য মিশিয়েই।
এটা বন্ধ করার উপায় বের করলে সমস্যার সমাধান হয়ে যায়। সবাই মজা করে আনন্দে শুটকি খেতে পারে।
ধন্যবাদ তারেক মাহমুদ

১১| ১৮ ই আগস্ট, ২০২৩ রাত ১০:২৮

মাহমুদুর রহমান সুজন বলেছেন: আহা এই শুটকি বড়ই পছন্দের কিন্তু প্রক্রিয়াজাতকরণের ধরনে এখন তেমন খাওয়া হয়না।

১৯ শে আগস্ট, ২০২৩ সকাল ৮:৩৩

রোকসানা লেইস বলেছেন: দেখুন আমার মতন বিকল্প ব্যবস্থা করে ফেলতে পারেন কিনা কিছু। দেশে যে গরম মাছ শুকিয়ে শুটকি হয়ে যাবে সহজেই। যদি একটু রোদ পাওয়ার মতন জায়গা থাকে তবেই হলো। তবে বাইরে করতে হবে। মাছের গা থেকে প্রচুর তেল ঝরে পরে যা সরাসরি মাটিতে গেলেই সুবিধা মাটিরও খোরাক হলো।

১২| ১৯ শে আগস্ট, ২০২৩ রাত ১২:৪৮

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: শুটকি মনে হয় খুব উপাদেয় খাবার। কারণ যারা খায় তারা খুব পছন্দ করে এবং মজা করে খায়। আমাদের পরিবারের খাওয়ার প্রচলন থাকলে হয়তো অভ্যাস হয়ে যেত। চিটাগাংয়ের মানুষ শুটকি বেশী খায়। আশা আছে ভালো ভাবে রান্না করা শুটকি খাওয়ার। হয়তো তখন থেকে খাওয়ার অভ্যাস হবে। একটা মজাদার খাবার মিস করছি মনে হয়। :)

২০ শে আগস্ট, ২০২৩ রাত ১:৫৯

রোকসানা লেইস বলেছেন: যারা খায় তাদের খুব মজা লাগে তাই খায়। তবে শুটকিতে তাজা মাছের চেয়ে প্রোটিন বেশি পাওয়া যায় বলে জানি ।
রান্না করলে যত গন্ধ ছড়ায় খেতে ততটা লাগে না। তবে খাওয়ার পর হাতে গন্ধ পাবেন অনেকক্ষণ।
চেষ্টা করেই দেখেন একবার কেমন লাগে।

১৩| ১৯ শে আগস্ট, ২০২৩ রাত ২:১১

কামাল১৮ বলেছেন: বাইরেই ঘোরতে ভালো লাগে । শনি রবি প্রায় সারা দিনের জন্য ঘোরা ঘোরিকরে কাটাই।সামনের সপ্তায় চার দিনের জন্য নায়েগ্রা যাবো।হোটেলের ২০/২৫ তালা থেকে নায়েগ্রা দেখতে অপূর্ব লাগে।

২০ শে আগস্ট, ২০২৩ রাত ২:০১

রোকসানা লেইস বলেছেন: বেশ ঘুরে আসুন। রাতে লাইটিং দেখতে ভালো লাগবে।
আমার হোটেলে বসে দেখার চেয়ে কাছে যেয়ে ভিজতে আর শব্দ শুনতে ভালোালাগে।

১৪| ১৯ শে আগস্ট, ২০২৩ সকাল ৮:৪৩

রানার ব্লগ বলেছেন: শুটকি জিনিস টা ভালো যদি ঠিকঠাক মতো প্রসেস করে রান্না করা যায় । আমার আবার ছুরি শুটকি ছাড়া অন্য শুটকি তেমন পছন্দ না ।

২০ শে আগস্ট, ২০২৩ রাত ২:০৪

রোকসানা লেইস বলেছেন: ঠিক রান্না ঠিকঠাক মতন না হলে মজা হয় না।
ছুড়ি শুটকি চট্টগ্রামের বাইরে তেমন পাওয়া যায় না মনে হয়।
নরসিংদিতে একবার শুটকি পিঠা খেয়েছিলাম। এই পিঠা ওখানে খুব প্রসিদ্ধ একটা খাবার। আমার তেমন ভালোলাগেনি।

১৫| ১৯ শে আগস্ট, ২০২৩ সকাল ৮:৫১

অপু তানভীর বলেছেন: শুটকি জিনিসটা কেন জানি আমি কখনো পছন্দই করতে পারলাম না । আমার বাসায় সবাই শুটকি খুব পছন্দ করে । বিশেষ করে আমার আব্বা আর মা । ছোট বেলায় রান্না ঘরে মায়ের রান্নার আশে পাশে ঘুরঘুর করার সময় দেখতাম মা শুটকি রান্না করছে তখন যে গন্ধটা আসতো সেটাই কখনো পছন্দ হয় নি । কোন দিন এই শুটকি মুখেই নেই নি ।
তবে জীবনে একবার শুটকি খেয়েছিলাম । গত বছরে গিয়েছিলাম সেন্টমার্টিনে । সেখানে যে রিসোর্টে ছিলাম সেখানে একবার দুপুর বেলা কোন একটা মাছের শুটকির ভর্তা করেছিলো । সেটা মুখে দেব না দেব না করেও মুখে দিলাম । সেখানে আসলে কোন গন্ধ ছিল না । খেতে স্বাভাবিক মাছ ভর্তার মত লাগছিলো । অবশ্য সেদিন প্রচুর হাটাহাটি করেছিলাম । শরীর ক্লান্ত ছিল বলেই হয়তো যা মুখে দিচ্ছিলাম তাই ভাল লাগছিলো ।

২০ শে আগস্ট, ২০২৩ রাত ২:০৯

রোকসানা লেইস বলেছেন: হাঁটা হাঁটি ক্লান্তি বিষয় না বিষয়টা আসলে আগেই যত গন্ধ ছড়ায়। রান্নার পরে তেমন গন্ধ থাকে না ।
খুব পেয়াজ মরিচ দিয়ে রান্না করলে মজাই মজা।

১৬| ১৯ শে আগস্ট, ২০২৩ সকাল ১০:১৩

সোহানী বলেছেন: শুটকি থেকে ১০০০ হাত দূরে থাকি।

২০ শে আগস্ট, ২০২৩ রাত ২:১৩

রোকসানা লেইস বলেছেন: পছন্দ না হলে দূরে থাকাই ভালো। সবাইকে সব কিছু খেতে হবে এমন কোন আদেশ নেই।
জাপানে বিখ্যাত শুটকি খাওয়ানোর জন্য ওর্ডার করেছিল আমার কাছে খুব বিশ্রী লেগেছিল খেতে পারিনি।
যদিও শুটকি ছিল কিন্তু জাপানী স্টাইলের।
ওরা তো কাঁচা মাছও খেয়ে ফেলে । সেটা কখনো খেতে পারব বলে মনে হয় না যদিও বলে ভিনেগার বা লেবুতে চুবিয়ে রান্না হয়ে যায়।

১৭| ২১ শে আগস্ট, ২০২৩ বিকাল ৫:১৬

আখেনাটেন বলেছেন: একসময় 'শুটকি' নাম কেউ তুললেই মার 'মুটকি' মনে হত। :P

তবে শুটকির রাজ্যে কিছুদিন বাস করার পর এ জিনিস খাওয়া শিখে গিয়েছিলুম। মন্দ না। :D

দেশে 'ডেঙ্গি' বাবা তো রীতিমত ত্রাস সৃষ্টি করেছে। সাথে মাননীয় মেয়ররাও প্রমোদ ভ্রমণ ও মশাকে শায়েস্তাকরণের নানারকম ভেল্কিবাজি দেখিয়ে চলেছেন। জনগণও 'চলিতেছে সার্কাস' দেখছে বিনামূল্যে।

২৩ শে আগস্ট, ২০২৩ দুপুর ১:২৪

রোকসানা লেইস বলেছেন: শুটকির বিপরীত তো মুটকি :) তাই মনে হতো হয়তো
মাননীয় মেয়ররা, ডেঙ্গির কাছে ধরা পরে না কেন? ভেল্কিবাজি কমত তবে কিছুটা

১৮| ১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ সকাল ১১:৪৭

মিরোরডডল বলেছেন:




কেমন আছো লেইস আপু?
অনেকদিন পর দেখছি।

তোমার অনেকগুলো পোস্ট পড়ি পড়ি করে এখনো হয়নি :(

১৯| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ রাত ২:১৫

রোকসানা লেইস বলেছেন: ভালো আছি অনেক ধন্যবাদ মিরোরডল জিজ্ঞেস করার জন্য।
একটু ব্যাস্ততায় কাটছে। তাই ইদানিং সামুতে আগের মতন লেখা দিতে পারছি না।
তুমি কেমন আছো তোমার ভাইয়ের খবর শুনছি খুব খারাপ লেগেছে । প্রার্থণা করেছি মনে মনে। এছাড়া কি আর করতে পারি।
জীবন গতিময় নিজের মতনই চলে শোক দুঃখ আনন্দ দেয় আমাদের সময় মতন।
পড়ে ফেলো সময় হলে।

অনেক ভালো থেকো। আদর।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.