নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

স্রোতের অজানা টানে সমুদ্র বালিয়াড়ি বেয়ে বোহেমিয়ান- গৃহকোন, জীবন যাপন ফেলে চলে যায়। তুমি দুহাত বাড়িয়ে আলিঙ্গনে বাঁধতে চাও জোছনা গলে হারিয়ে যায় সুখ । আছড়ে পরা ঘূর্ণিজল মনে বাজায় অচেনা সবুজ দিগন্ত ..

রোকসানা লেইস

প্রকৃতি আমার হৃদয়

রোকসানা লেইস › বিস্তারিত পোস্টঃ

সামাজ সংসার

০৭ ই জানুয়ারি, ২০২৩ রাত ৩:৫৫

একটা বিষয় আমি খেয়াল করেছি। যারা নিজেরা বিদেশে থাকেন বা মা বাবা থেকে দেশে থেকেও দূরে থাকেন। তারা অনেক সময় অন্যদের সমালোচনা করেন।
আহা অমুকের মা, বাবা একা জীবন যাপন করছে বুড়ো বয়সে। আহা তাদের দেখার কেউ নেই।
আহ বাবাটা একা ঘরে মারা গেলো ছেলে মেয়ে কেউ পাশে থাকল না।
এই কথাগুলো তারা একটা ঘোরের মধ্যেই বলতে থাকেন যেন।
তারা কখনো নিজের দিকে তাকিয়ে দেখেন না তারা নিজেরাও দূরে আছেন বাবা মা থেকে। নিজেরা কিছু করছেন না কাছে থেকে।
আমি অনেক জ্ঞানী গুণিজনদের অন্যদের এমন সমালোচনা করতে দেখেছি।
দেশে বা বিদেশে, অনেকে মা বাবাকে সাথে রাখেন। কিন্তু যে মা বাবার নিজস্ব একটা সংসার ছিল পুরো একটা বাড়ির অধিকার নিয়ে কতৃত্ব করেছেন তারা। তাদের কে অনেক সময় নিজের ঘর থেকে বিতাড়িত করা হয়। অনেক সময় তাদের ভাগাভাগী করে একটা ঘরে থাকতে হয়, অন্য ছেলে মেয়ে বা নাতি নাতনীর সাথে।
মুখে অনেক কথা বলা যায় কিন্তু কাজে আর বাস্তবতায় মুখের কথার মতন সব করা যায় না।
যৌথ পরিবারের গুণগাণে এবং যৌথ পরিবারের ভেঙ্গে যাওয়ার কষ্টেও অনেকে ম্রিয়মান হয়ে পড়েন।
কিন্তু যৌথ পরিবারে নিজেরা থাকেন না। নিজেরা নিজের পরিবার নিয়ে আলাদাই থাকেন। এক দিকে তারা সুখেই থাকেন কিন্তু অন্যেদের সমালোচনায় তারা মুখর না হলেও পারেন।

প্রায় চল্লিশ পঞ্চাশ বছর ধরেই যৌথ পরিবার গুলো ভাঙ্গছে। পড়ালেখা, চাকরী নানা কারণে মানুষদের পরিবার থেকে দূরে যেতে হচ্ছে।
অনেক পরিবারের বাচ্চাগুলোকে বাবা মা খুব ছোট বয়সে হোস্টেলে পাঠিয়ে দেন। ছোট থেকে এরা পরিবারের বাইরে থেকে এক ধরনের মানসিকতায় অভ্যস্থ হয়ে যায় একা থাকার। বন্ধু বান্ধবের সাথে থাকার। ছোট বয়সে হোস্টেলে না পাঠালেও আঠার বছর বয়সে অনেকেই পরিবারের বাইরে চলে যায় পড়ালেখা করতে।
এরপর চাকরি শুরু করলে বিয়ে দেয়ার পর এদের উপর চাপিয়ে দেয়া হয় পরিবার দেখার গুরু দায়িত্ব। যা হয় অনেক সময় সমাস্যা আক্রান্ত। বিশেষ করে নতুন চাকরি করে অল্প অর্থে যখন নিজের সংসার চালানো কষ্টকর হয় তখন তাদের ভাইবোনসহ বিশাল পরিবার দেখার দায়িত্ব দেয়া হয়।
আমাদের দেশের যৌথ পরিবার ভেঙ্গে যাওয়ার পরও অনেক মানুষ যৌথ পরিবারের ধারনায় আটকে আছেন। নিজেস্ব পরিবার নিয়ে দূরে থাকার পরও। তাই দেখা যায় বাড়ির বড় ছেলেদের দায়বদ্ধতা থাকে, পরিবারের সবার দেখভাল করার। নিজের সম্পদ থাকুক আর না থাকুক।
অনেক কারণে অর্থের চাপে ঢুকে পরে মানুষটি অবৈধ আয়ের সন্ধানে। এটা অবশ্য অনেকে ইচ্ছাকৃত ভাবেও করতে পারে, প্রয়োজন না থাকার পরও।
এক ধরনের মানসিকতা আছে বিভিন্ন উৎসবে পরিবারের সবাইকে উপহার দিতে্ হবে। না হলে মান সম্মান থাকে না।
এছাড়া অকারণ কিছু নিয়মএলাকা ভিত্তিক এখন পর্যন্ত চালু আছে। মেয়ের বাড়িতে রোজার ইফতার পাঠাতে হবে। কোরবানীর গরু ছাগল দিতে হবে। যে কোন সময় বাড়িতে কেউ আসলে তাকে উপহার দিতে হবে। আরো কত কিছু। এসব অর্থহীন যুক্তিহীন নিয়মের ফলে অনেক মানুষ নাজেহাল অবস্থায় থাকেন নিয়ম পালন করতে গিয়ে।
বিদেশ থেকে কেউ গেলে পরিবারের সবার জন্য উপহার নিতে হয়। এক সুটকেস ভরে যায় উপহার সামগ্রীতে। প্লেনে এত কিছু নেওয়া কষ্টকর। তারপরও অনেকে নিয়ে যান। কিন্তু উপহার আবার অনেকে পছন্দ করেন না। বিদেশ থেকে কি এনে দিল এই সমালোচনা চলতেই থাকে। মানুষ কখনো সন্তুষ্ট নয়।
একটা সবচেয়ে বড় সমস্যা হলো। যে ছেলেটি বিয়ে করল নতুন, সে নতুন বউয়ের সাথে সময় কাটালে বিষয়টা অনেক পরিবারে ভালো চোখে দেখে না কেউ। অথচ বউ আনা হয়েছে তারা দুজনে আনন্দ করবে এক সাথে এ জন্য।
এছাড়া বউকে শ্বশুড়বাড়ি রেখে নিজে একা প্রায় সময় স্বামী মেসে বা একা অন্য শহরে যেখানে চাকরি করে সেখানে থাকে। অনেকে বিদেশেও থাকে বছরের পর বছর। বিয়ে নামের একটা শৃঙ্খলে আবদ্ধ হয়ে থাকা বউটি, স্বামী নামের একটি মানুষের মুখ মনে রেখে জীবন যাপন করে যৌবনের আনন্দের সময়গুলো একা কাটায়। শ্বশুড়বাড়ির মানুষের দায়িত্বপালন করে।
অন্য দিকে পুরুষটিও বউ বা ছোট সন্তানের ছবি পকেটে নিয়ে অন্য শহরে জীবন যাপন করে। কখনো কেউ খুব আন্তরিক থাকে পরিবারের প্রতি দূরে থেকেও। আর কখনো কেউ এই অবস্থায় ভুল পথে পা বাড়ায় অন্য নারী, পুরুষের সঙ্গে জড়িয়েও পরে।
একটা সংসার সুন্দর থেকে অসুন্দর হয়ে যায়।
আমাদের দেশে একটি মানুষ, নিজে সয়ংসম্পূর্ণ হয়ে চলবে এই ভাবনায় কখনো তাকে বড় করা হয় না। বাচ্চা মানেই আমার পুতুল সবটাই আমার মতন হবে। আমার ইচ্ছায় কিছু হবে, কিছু করবে। আমার শেষ বয়সে আমাকে দেখ ভাল করবে। এই ধারনা বেশির ভাগ পরিবারে বদ্ধমূল ধারনা। খুব কম মানুষ আছেন যারা নিজের মতন সয়ং সম্পূর্ণ এবং সন্তানদের তাদের মতন নিজস্ব জীবন যাপন করতে দেখে সুখি হন।
নিজের জন্য সন্তানকে নিজের প্রয়োজনে আটকে ফেলাটা যেমন ঠিক না। তেমনি নিজস্বতায় বেড়ে উঠতে না দিয়ে পিতামাতার উপর নির্ভরশীল করে রাখা সন্তানদের মানসিকতাও একটা কঠিন অবস্থার সৃষ্টি করে।
এখন সময়, নিজের শেষ বয়স কেমন কাটাবেন সেই ব্যবস্থা নিজেরই ভাবা এবং পরিকল্পনা এবং ব্যবস্থা নিয়ে রাখা দরকার, সন্তানের উপর নির্ভর না করে। যাতে সন্তান বাইরে থাকলে কাছে না থাকলে আহাজারী করার কোন মনোবৃত্তি তৈরি না হয়। নিজের শেষ সময়ে নিজের মতন জীবন যাপন করে কাটিয়ে দিতে পারেন।
আবার সন্তানরাও মাতাপিতার সম্পত্তি দখলের চিন্তায় তাদের দেখভাল করবে, এমন নিকৃষ্ট ভাবনা না করা ভালো। আঠরো বছর থেকে নিজের মতন নিজের জীবন যাপন করার জন্য নিজের পায়ে দাঁড়ানোর পরিকল্পনা প্রত্যেকের জন্য জরুরী। বাবা মায়ের অজস্র সম্পত্তি থাকলেও নিজের মতন নিজের ক্যারিয়ার গড়ে তোলার চেষ্টা করা উচিৎ। অভিভাবকদেরও এই বিষয়টি বাচ্চাদের ছোট বেলা থেকে শিখানো কর্তব্য নিজের দ্বায়িত্ব নেয়ার নিজের পায়ে দাঁড়াতে শিখানো । অনেক অভিভাবক মনে করেন বাচ্চাদের সাথে কিছু আলোচনা করবেন না। নিজেদের অঢেল সম্পত্তি আছে বা নিজেদের দূর্দশার অবস্থা সন্তানরা জানবে না। অন্য পরিবারের শিশুদের দেখে চাহিদা বাড়লে না খেয়ে হাতে আই ফোন বা অন্য কিছু কিনে দেন সন্তানকে কিন্তু নিজেদের সামার্থ অবস্থা সন্তানদের বুঝতে দেন না। যা খুব জরুরী। সন্তান সচেতন না হয়ে অজ্ঞ হতে থাকে আর নির্ভর করতে থাকে অভিভাবকের উপর।
নিজের পরিবারের বাইরে যে একটা জগৎ থাকে মানুষের কল্যাণে কাজ করা এমন শিক্ষাও খুব কম পরিবারে দেওয়া হয়। সবটাই আমার আমাদের মধ্যে সীমিত। অথচ শিশু বয়সে মানুষের জন্য আদ্র হয় মন। অনেক পরিবারের মানুষ সেই সুন্দর মনটি নষ্ট করে দেন শিশুর। নিজেদের টানাপূড়েণ, ঝগড়া নিষ্ঠুরতা দেখিয়ে।
অন্যের সমালোচনা না করে সামাজিক মনোভাব পরিবর্তন করা জরুরী।






মন্তব্য ২১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২১) মন্তব্য লিখুন

১| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০২৩ ভোর ৫:১১

সোনাগাজী বলেছেন:




মানুষ প্রবাসে আসছে অর্থনৈতিক কারণে; আবার ১ম জেনারেশনের জন্য আমেরিকা, ইউরোপ ও কানাডা খুব একটা সহজ ব্যাপার নয়।

বাংগালীরা অন্যের দোষটা সহজে দেখে।

০৭ ই জানুয়ারি, ২০২৩ সকাল ১১:১৯

রোকসানা লেইস বলেছেন: অর্থনৈতিক প্রয়োজনে দেশে বা বিদেশে পরিবার ছাড়া মানুষ জীবন যাপন করে এক হিসাবে এই জীবন যাপন অসুস্থ।
আগে তো বিদেশে পরিবার নিয়ে আশা সহজ ছিল না। কত নারী একা সারা জীবন সংসার করে গেছে।

বাংগালীরা অন্যের দোষটা সহজে দেখে।
এই স্বভাবটা পরিবর্তন করা দরকার।

২| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০২৩ ভোর ৫:৫৮

হাসান জামাল গোলাপ বলেছেন: একমাত্র সুশিক্ষাই পরিবর্তন আনবে।

০৭ ই জানুয়ারি, ২০২৩ সকাল ১১:২১

রোকসানা লেইস বলেছেন: সুশিক্ষা বলতে অনেকেই বড় বড় ডিগ্রীধারী হতে হবে এমনটা ভাবেন।
কিন্তু মানবিক মানুষ হয়ে উঠার শিক্ষা বিস্তারে চেষ্টা করতে হবে।

৩| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০২৩ সকাল ৮:৫২

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: গরীব দেশের মানুষ অর্থনৈতিক কারণে এরকম করে। এই দেশে ১৮ বছরে খুব কম ছেলেমেয়েই আয় রোজগার করতে পারে বা সুযোগ পায় আর্থ সামাজিক কারণে। আমাদের দেশের শিক্ষা এবং চাকরীর অবস্থার কারণে প্রতিষ্ঠিত হতে ২৬- ৩০ বছর বয়সে হয়ে যায়। উন্নত দেশে রাষ্ট্র অনেক দায়িত্ব নেয় এবং সহযোগিতা করে। আমাদের দেশে বুড়ো হলে ছেলেমেয়ে ছাড়া আর কোন গতি নাই যদি না সেই ব্যক্তি সচ্ছল হন। একটা জাতির আর্থ সামাজিক অবস্থা তাদের জীবনাচরণকে প্রভাবিত করে। আমাদের দেশ যখন ধনী হবে তখন অনেক সমস্যা কমে যাবে। উন্নত দেশের সাথে বাংলাদেশের তুলনা করলে এমনই মনে হবে। এই দেশের পরিবর্তন হতে সময় লাগবে। মানুষ সচ্ছল না হলে এই সামাজিক সমস্যাগুলি থেকে যাবে।

০৭ ই জানুয়ারি, ২০২৩ সকাল ১১:৪৩

রোকসানা লেইস বলেছেন: আপনার দেয়া অনেক বিষয়ে একমত হতে পারলাম না।
এই দেশে ১৮ বছরে খুব কম ছেলেমেয়েই আয় রোজগার করতে পারে বা সুযোগ
শিশু শ্রমকের সংখ্যা বাংলাদেশেই এখন পর্যন্ত বেশি। আর্থসামাজিক কারণে নিম্ন এবং নিম্নবিত্ত, মধ্যবিত্ত পরিবারের মানুষ সন্তানদের কাজে লাগিয়ে দেয়। ভিক্ষাবৃত্তিসহ।
মা বাবা ছাড়া সন্তানরাও নিজের জন্য কাজ করে।
উন্নত দেশের সাথে বাংলাদেশের তুলনা করলে এমনই মনে হবে।
উন্নত কোন দেশের সাথে তুলনা করা হয় নাই লেখায়। উন্নত দেশে অনেক মানুষ চলে যান সেটা বলা হয়েছে। অনেকে দেশে থেকেও দূরে থাকেন।
প্রতিষ্ঠিত হতে ২৬- ৩০ বছর বয়সে হয়ে যায়। যে কোন কাজ করার জন্য প্রস্তুত না থেকে উন্নাসিক এক ধারনা থেকে চাকরীর পিছনে সবাই ছোটে। সেজন্য বয়স অত বেড়ে যায়।
শ্রমিক কৃষকের সন্তান উচ্চ শিক্ষার পরে শ্রমিক কৃষক হয় না।
বর্তমানে শিক্ষিত কিছুলোক এমন কাজ করছে। এটা ভাইরাল হয়।
আর্থ সামাজিক অবস্থা যথেষ্ট ভালো হয়েছে এখন কিন্তু মানসিকতা খারাপের দিকে বদলে গেছে। আমি গ্রামে কুড়েঘরের বদলে দালান কোঠার লাইন দেখেছি। যে সন্তানটি নিজের জীবন শেষ করে টাকা পাঠান তার কথা না ভেবে বিলাসিতায় সব টাকা পয়সা শেষ করে ফেলার প্রবনতা অনেক বেশি হয়েছে।
বাবা মায়ের এখন সন্তানের উপর শেষ বয়সে নির্ভর যাতে না করতে হয় সে জন্য মন পরিবর্তন করতে হবে।
একজন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসারের খবর জানলাম যার সব টাকা পয়সা পরিবার দখল করে উনাকে নিকৃষ্ট অবস্থায় রেখেছিল শেষ বয়সে। উনাকে কারো সাথে কথা বলতে দেয়া হতো না।
একজন শিক্ষিত লোক নিজের ব্যবস্থা নিজে করার চিন্তা করার দরকার ছিল সময় থাকতে। অথচ সামাজিক নিয়ম মেনে বিশ্বাস করে তিনি ঠকেছেন। এমন ভুড়ি ভুড়ি উদাহরণ আছে।
সরকার এখন যথেষ্ট সুযোগ দিচ্ছে। সেটা যেন বয়স্ক মানুষ ব্যবাহার করে ভালো থাকেন তার চিন্তা করতে হবে।

৪| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০২৩ সকাল ১১:১৫

কামাল১৮ বলেছেন: চেলে মেয়েদের স্বাবলম্বী করা পিতা মাতার দায়িত্ব।পিতা মাতাকে দেখাশুনা করা ছেলে মেয়েদের দায়িত্ব।এটা যে যার সাধ্যমত করবে।এটাই আমাদের দেশের প্রচলিত ধারনা।যুগের পরিবর্তনের সাথে সাথে এই ধারনার পরিবর্তন হবে।

৫| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০২৩ সকাল ১১:১৮

কামাল১৮ বলেছেন: চেলে মেয়েদের স্বাবলম্বী করা পিতা মাতার দায়িত্ব।পিতা মাতাকে দেখাশুনা করা ছেলে মেয়েদের দায়িত্ব।এটা যে যার সাধ্যমত করবে।এটাই আমাদের দেশের প্রচলিত ধারনা।যুগের পরিবর্তনের সাথে সাথে এই ধারনার পরিবর্তন হবে।

০৭ ই জানুয়ারি, ২০২৩ সকাল ১১:৪৭

রোকসানা লেইস বলেছেন: প্রচলিত এই ধারনা অনেক পরিবারে সুন্দর ভাবে মানা হয় দূরে থেকেও সবাই দায়িত্ব পালন করে। কিন্তু জোড় করে বা একজনের উপর যখন দ্বায়িত্ব দিয়ে অন্যরা কিছু করে না তখন সমস্যা দেখা দেয়।
এই ধারনাগুলো পরিবর্তন হওয়া দরকার।

৬| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ১:২৩

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আমি শিশু শ্রমের কথা বলিনি। শিশু শ্রম কোন ভালো জিনিসও না। আমি বলেছি শিক্ষার্থীদের চাকরী বাকরি কাজের কথা। ১৮ বছর বয়সে বাংলাদেশের একটা ছেলে বা মেয়ে ঘর থেকে বের হয়ে কি কাজ করবে। লেখাপড়া বজায় রেখে সেরকম কোন কাজে যোগ দেয়া সম্ভব না। কারণ বাংলাদেশে পার্ট টাইম কাজের সুযোগ খুব কম। আপনি যাদের উদাহরণ দিয়েছেন এরা নিম্নবিত্ত তাই তারা শিশু শ্রমের উপর চলে যেটার ভবিষ্যৎ ভালো না। বেকারের এই দেশে কম বেতনে ফুল টাইম লোক পাওয়া যায়। কে পার্ট টাইম রাখবে। বাংলাদেশের ছাত্র ছাত্রীরা শিক্ষা জীবনে অনেকেই টিইশনি করে। এখন অনেকে অন লাইনে কাজ করে। এর বাইরে পার্ট টাইম কাজের সুযোগ বাংলাদেশে নাই বললেই চলে। বিদেশে এগুলি আছে তাই তারা সেগুলি করে।

তবে বাংলাদেশের তরুণদের বিশ্ববিদ্যালয়ে সবার যাওয়ার দরকার নাই। বরং কারিগরি এবং বৃত্তিমূলক কাজ শিখলে এরা অনেকে ভালো করবে। এত বিবিএ এমবিএ এই দেশে দরকার নাই।

গ্রামে দালান কোঠা তৈরি হচ্ছে বেশীর ভাগই প্রবাসীদের টাকায়। দেশে যারা থাকে তারা তার প্রবাসী আত্মীয়ের কষ্ট বোঝে না। ফলে এরা দেশে বিলাসী জীবন যাপন করে যেটা কাম্য না।

বাংলাদেশে যারা প্রাইভেট চাকরী করে তারা চাকরী থাকা অবস্থাতেই অনেকে ভালো ভাবে চলতে পারে না। সেই লোক কিভাবে বুড়ো বয়সের জন্য সঞ্চয় করবে। যারা ব্যবসা বাণিজ্য বা অন্য পেশায় আছে তাদের কথা আলাদা। কেউ শখ করে ছেলে মেয়ের বোঝা হতে চায় না। তাই পরিস্থিতির কারণে সন্তানের উপর নির্ভর করতে হয়। এই দেশের মানুষকে বুড়ো বয়সে রাষ্ট্রও দেখে না। অনেকের ইচ্ছা থাকলেও বুড়ো বয়সের জন্য সঞ্চয় করতে পারে না।

সরকার কি সুযোগ দিচ্ছে আমি জানি না। আপনি হয়তো জানেন। বলার মত তেমন কিছু দিচ্ছে বলে আমার মনে হয় না। এই সরকার তেলো মাথায় তেল দিচ্ছে। গদি ঠিক রাখতে যেখানে দেয়া দরকার সেখানে দিচ্ছে। রাজনীতিকে যাদুঘরে পাঠানোর ব্যবস্থা করেছে এরা।

০৮ ই জানুয়ারি, ২০২৩ ভোর ৪:৪৪

রোকসানা লেইস বলেছেন: আমার লেখার মূল বিষয়টা হচ্ছে আমরা অন্যের সমালোচনা করতে পছন্দ করি।
আমরা উন্নাসিক জাতি। নিজের কাজ নিজে না করে অন্যকে দিয়ে করাই।
অকারণ এক অহাংকারে ভরপুর । এছাড়া আছে হিংসা এবং পরশ্রীকাতরতা।
বাচ্চাদের ছোট বয়সে শিখানো হয় এর, ওর সাথে মিশবে না। তার সাথে প্রতিযোগীতা করে প্রথম হবেই হবে।
এ এটা করল আমাকেও করে দেখাতে হবে তার চেয়ে বেশি।
এই যে বললেন, দেশে যারা তারা প্রবাসীর কষ্ট বোঝে না। এটা প্রকট হচ্ছে দিনে দিনে। এই মানসিকতা কেন হবে?
বুড়ো বয়সে সহজ হবে জীবন যদি বড় হয়ে যাওয়ার পর সন্তানদের নিজের দায়িত্ব নেয়া শিখানো হয়।
শুনতে এবং বাঙালি অনুভুতিতে কুৎসিত মনে হলেও প্রতেকে নিজের দ্বায়িত্ব নেয়া শিখানো সবার জন্য মঙ্গল। এতে পারিবারিক টান নষ্ট হয় না বরং সবাই ভাড় বহন করে হালকা হয় একজনের উপর সংসারের ভাড় থাকে না।
অনেক নিম্নবিত্ত পরিবার এভাবে উঠে দাঁড়িয়ে গেছে, পারস্পরিক সহযোগীতায়। যেখানে ধনী অনেক পরিবার মুখ থুবড়ে পরে গেছে বাবার মৃত্যুর পর অকমণ্য থাকার ফলে।
সব জনগণের কথা চিন্তা করতে হবে। কাউকে বাদ দিয়ে হিসাব করলে চলবে না।
অনেক মধ্যবিত্ত নিম্নবিত্ত পরিবার এখন সবাই মিলে নানা রকম কাজ করতে শিখেছে জীবনের প্রয়োজন। এবং ভালো করছে।
জাতির মানসিক চিন্তা ভাবনা অনেক বেশি পরিবর্তন করতে হবে সার্বিক ভালোর জন্য।

এই মন্তব্য আগেরটার চেয়ে ভালো।

৭| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ২:১৮

জ্যাক স্মিথ বলেছেন: সমাজ, সংসার অনেক কঠিন একটা বিষয়, সবাই সবকিছুর সাথে মানিয়ে নিতে পারে না।
সবচেয়ে বাজে ব্যাপার হচ্ছে, একজনের লাইফ স্ট্যাইল অন্যজনের চেয়ে একটু ভিন্ন হলেই একে অপরের সমালোচনা করে থাকে।

০৮ ই জানুয়ারি, ২০২৩ ভোর ৪:৪৭

রোকসানা লেইস বলেছেন: ঠিক বলেছেন। সবার জীবন চলন একরকম না ।
অন্যের সমালোচনা করা ঠিক না।
গতবাঁধা কিছু নিয়ম মেনে অন্যের সমালোচনায় মুখর কিন্তু বাস্তবিকতা দেখে না।

৮| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০২৩ বিকাল ৪:৩৯

রাজীব নুর বলেছেন: বাংলাদেশের যে অবস্থা, বিদেশ না গিয়ে মানুষ করবে কি।
সুযোগ থাকলে দেশের সবাই বিদেশ চলে যেতো। এই ভাঙ্গা দেশে কেউ থাকতো না।

০৮ ই জানুয়ারি, ২০২৩ ভোর ৪:৫৩

রোকসানা লেইস বলেছেন: বাংলাদেশের অসংখ্য মানুষ বিদেশে গিয়ে নিজের সব চাওয়া পাওয়া বাতিল করে দেশের মানুষকে দেখছে। কিন্তু দেশের মানুষ তাদের মূল্যায়ন করে না।
যারা বিদেশে থাকে তাদের নিজের সব অর্থ দেশে পাঠানো উচিৎ না।
যারা বিদেশে থাকেন দেশে গিয়ে বিয়ে করেন তখনই বিয়ে করা উচিৎ যখন দেশ থেকে স্বামী বা স্ত্রীকে বিদেশে নিয়ে আসতে পারবেন। এমন কি দেশেও যারা দূর শহরে থাকেন বিয়ে করবেন যখন বউ নিয়ে একটা ঘরে থাকতে পারবেন একসাথে তখন। বিচ্ছিন্ন জীবন যাপন করবেন না।

৯| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০২৩ রাত ১০:২৬

নেওয়াজ আলি বলেছেন: সমালোচনা করা সহজ কারণ ওই সমালোচনাকারির বিবেক তখন বন্ধি থাকে।

১০| ০৮ ই জানুয়ারি, ২০২৩ ভোর ৪:৫৪

রোকসানা লেইস বলেছেন: নিজের বিবেক বন্দী করে অন্যের সমালোচনা করা একদমই ঠিক না।

১১| ০৮ ই জানুয়ারি, ২০২৩ বিকাল ৩:৩৪

রাজীব নুর বলেছেন: আপনি কি দেশ থেকে কাউকে নিয়ে গেছেন বিদেশ?

০৯ ই জানুয়ারি, ২০২৩ রাত ২:৪৬

রোকসানা লেইস বলেছেন: ব্যাক্তিগত প্রশ্ন
আমি কাউকে আনলে বা না আনলে অন্য কারো জীবনে কোন প্রভাব পরছে না তাতে।

১২| ০৮ ই জানুয়ারি, ২০২৩ বিকাল ৩:৫৬

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আমার মন্তব্য সবার ভালো লাগে না। ভালো খারাপ চিন্তা করে মন্তব্য করি না। যেটা বলা প্রয়োজন মনে করি সেটাই বলি।

০৯ ই জানুয়ারি, ২০২৩ রাত ১:৩৯

রোকসানা লেইস বলেছেন: আপনার মন্তব্য আমার খারাপ লাগেনি।
লেখার উপর যখন মন্তব্য হয় সেটা আমি পছন্দ করি।
এভাবে আলোচনা হয়। আপনি যা জানেন আমি যা জানি অন্যরা যা জানেন তা যখন একটা লেখায় প্রকাশ পায় সঠিক ভাবে। সেখান থেকে আমরা কিছু ভালো ধরনা পেতে পারি। নিজেদের ভাবনার উত্তরণ ঘটাতে পারি।
আমাদের এই ধারনাগুলো থেকে অন্যরাও উপকার পেতে পারেন। নিজের ধারনা উন্নত করতে পারেন। এজন্যই ব্লগে মুক্ত আলোচনা করা।
এজন্য সুস্থ আলোচনা হওয়া ভালো
খুব ভালো/ খুব সুন্দর বা অকারণ আক্রমণ না করে, সুস্থ মন্তব্য দেয়া দরকার লেখা পড়ে। হতে পরে সেটা বিপরীত ধারনার
আপনি সেটা করেছেন।
আপনার মন্তব্যের উত্তর দিতেও আমার ভাবতে হয়েছে লেখার আনন্দে লেখার চেয়ে বেশি। এবং সমস্যার আরো অভ্যন্তরে প্রবেশ করতে পেরেছি। যুক্তি খণ্ডনের জন্য নয় বরং বিষয়টা আরো গভীর ভাবে ভাবিয়েছে গভীরে প্রবেশ করিয়েছে সমস্যার। অকারণ নিজে জেতার কোন আনন্দ নিয়ে আপনার মন্তব্যর উত্তর করিনি । চেষ্টা করেছি সমাজের সংস্করনের জন্য একটা ধারনা দেয়ার যা আমার কাছে ভালো মনে হয়েছে। তথাকথিত কিছু ধারনা প্রবাহিত সমাজে, আসলে অনেকেই সেটা পালন করেন না এখন কিন্তু মনে ধরে রাখেন। এ থেকে বেরিয়ে গেলে সবার জন্য মঙ্গল সুস্থ ভাবে আমরা উত্তরণ ঘটাতে পারি।
ভালো থাকবেন সুস্থ আলোচনা অবশ্যই করবেন। সব সময় স্বাগতম আলোচনায়।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.