নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
মানবতার গান, দু একজন আত্ম অহমিকায় ভরপুর শাসকের কাছে খুব খারাপ লাগে ।
তারা বোমা বারুদের মিউজিক শুনতে এবং রক্তের আলপনা দেখতে ভালোবাসে।
মানুষ নামের প্রাণীগুলো যখন অসম্ভব কাতরায় অত্যাচারের যন্ত্রনায়,
তাদের অর্গাজম হয়, সুখ হয় শরীরে, মনে।
নিজের বিলাশ বহুল আবাস, জীবন যাপনের মাঝে বাড়তি আনন্দ পাওয়া
ধুঁকে ধুঁকে কঙ্কাল হওয়া রক্তাক্ত শরীরের ঘ্রাণ।
চোখের শান্তি,মনের শান্তি, দীর্ঘ রাত্রির ঘুম বয়ে আনে,অত্যাচারীর মনে।
রেড ওয়াইনে চুমুকের সুখ, শ্যাম্পেইনের বোতল খোলার উচ্ছ্বাস
ভীষণ মারে, আত্মরক্ষার চেষ্টায় আর্ত চিৎকাররত মানুষ প্রাণীর
বেঁচে থাকার তাড়নায় লাফিয়ে ঝুঁকে এঁকে বেঁকে ঢলে, নড়ে উঠা
নৃত্যের ছন্দ আনন্দ দেয় তাদের মনে।
বেত্রাঘাতে ছিলে যাওয়া বিকৃত শরীর দেখে,
তাদের দিনটি আনন্দে পূর্ণ হয়।
যত নির্যাতন তত মজা যত কষ্ট যন্ত্রনা,তত অট্টহাসি ।
আপাতদৃষ্টিতে দু চারজন কট্টরশাসক পৃথিবী ব্যাপী চোখে পরে।
কিন্তু অলিতে গলিতে, বাড়িতে, পাড়ায় আত্ম অহমিকায় ভরপুর এমন শাসক বহু।
কারো বাড়িতে শান্তি থাকে না, তো কারো রাস্তায় বেরুনোর উপায় নেই।
মাস্তান ভাইয়ের উপদ্রব। তোমাকে চাই বা চাঁদা চাই।
থাকুক বা না থাকুক ধন,
শরীরের রক্ত, কিডনি বেঁচে তুলে দাও তাদের হাতে অর্থ, শেষ সম্বল।
বসে আছে এমন শাসক,অফিসে, মিডিয়া বা রাজনীতির সিংহাসনে চেপে।
সিন্ডিকেটের জুজু দেখাবে নয়তো তুলে নেবে চামড়া।
নিরীহ কিশোর সাধারন ছাত্র হয়েও রক্ষা পাওয়া যায় না কখনো রেগিং
বিভীষিকা জীবন অতিষ্ঠ অত্যাচার।
বোধহীন বিবমিষা ঘোরে ছেড়ে দেয়, অট্টহাসি হেসে, আনন্দে।
সারা জীবনেও আতংক ট্রমা, নির্যাতনের ঘোর কাটে না কারো।
কারো হাসি ঠাট্টা বীভৎস উল্লাস, করো নির্মম সর্বনাশ
ভবিষ্যত আশা এবং স্বপ্ন ভেঙ্গে যায়।
শান্তি নেই সাধারন মানব, নিরপরাধ সাহজ হয়েও
কচু কাটা হওয়াই সার ।
উত্তাল সিম্ফনি বাজে অত্যাচারের সাথে, উৎপীড়িত মানব জীবন শূন্যতায় কাঁপে।
২৬ শে নভেম্বর, ২০২২ দুপুর ১:৩৩
রোকসানা লেইস বলেছেন: ধন্যবাদ শায়মা কবিতা সুন্দর লেগেছে জেনে ভালোলাগল।
না কোন হতাসা থেকে লিখিনি। বাস্তব চিত্রটাকে আঁকার চেষ্টা করলাম।
মনে হয় না শেষ হবে। কিছু বেশি বোঝ এবং গোঁয়ার টাইপের মানুষ যতদিন থাকবে দ্বৈরথ চলতে থাকবে।
২| ২৫ শে নভেম্বর, ২০২২ দুপুর ১২:২৭
সোনাগাজী বলেছেন:
আপনি কি আমাদের দেশের সরকারের কথা ভেবে এত লাইন লিখে ফেলেছেন?
২৬ শে নভেম্বর, ২০২২ দুপুর ১:৩৬
রোকসানা লেইস বলেছেন: শুধু আমাদের দেশের সরকার কেন
পৃথিবী ব্যাপী তো এমন কিছু ঘটনা নানা ভাবে চলেছে, চলছে।
ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য সোনাগাজী
৩| ২৫ শে নভেম্বর, ২০২২ দুপুর ২:৫৫
রাজীব নুর বলেছেন: বাস্তব কবিতা লিখেছেন।
দ্বৈরথ নামে হুমায়ূন আহমেদের একটা বই আছে। পড়েছেন?
২৬ শে নভেম্বর, ২০২২ দুপুর ১:৪২
রোকসানা লেইস বলেছেন: ধন্যবাদ রাজীব নুর
বাস্তবতাকে উপেক্ষা করার উপায় নেই।
না পড়িনি। প্রথম দিকের দু একটা বই পড়েছি। উনার লেখা আমাকে টানেনি।তাই নামও জানি না
৪| ২৫ শে নভেম্বর, ২০২২ বিকাল ৩:২৯
শেরজা তপন বলেছেন: শায়মা বলেছেন: আপু
সুন্দর কবিতা কিন্তু হতাশা থেকে লিখেছো বুঝা যায়।
~ উঁহু হতাশা আপনাকে মানায়। প্রকৃতির সাথে মিলেমিশে থাকা মানুষ আপনি। বিন্দাস লাইফ কাটাচ্ছেন - তবে কবিতায় কেন এত উত্তল উন্মাদনা আর হতাশা?
২৬ শে নভেম্বর, ২০২২ দুপুর ২:০৭
রোকসানা লেইস বলেছেন: হেহেহে শেরজা তপন।
শায়মার মন্তব্যের কারণে কি আপনারও হতাসা থেকে লেখা মনে হলো?
ধন্যবাদ কবিতা সুন্দর লাগার জন্য। জেনে খুব খুশি হয়েছি।
আপনি বলেছেন, উঁহু হতাশা আপনাকে মানায়। প্রকৃতির সাথে মিলেমিশে থাকা মানুষ আপনি। বিন্দাস লাইফ কাটাচ্ছেন - তবে কবিতায় কেন এত উত্তল উন্মাদনা আর হতাশা?
আমি হতাস নই। কবিতা আমার জীবন না, কবিতা যে পরিস্থিতি চারপাশে দেখছি, ইতিহাস থেকে জানছি তার চিত্র আঁকার চেষ্টা।
পৃথিবী ব্যাপী কিছু মানুষের মাঝে উন্মাদনা। তারা সাজানো জীবন তছনছ করে দিতে পছন্দ করে।
শাসক শ্রেণীর নির্মম ইচ্ছার কারণে, অগুনতি মানুষ কষ্ট পায়। এই শাসকরা রাস্ট্র ছাড়াও বাড়ির শাসক। সিন্ডিকেট। রাস্তার রাজা। কত রকমের শাসকের কাছে অকারন জিম্মি হতে হয়।
শুভেচ্ছা ভালো থাকবেন
৫| ২৬ শে নভেম্বর, ২০২২ দুপুর ১:৩৬
সাহাদাত উদরাজী বলেছেন: চলুক।
২৭ শে নভেম্বর, ২০২২ সকাল ১১:৫১
রোকসানা লেইস বলেছেন: কি চলবে?
বোঝা গেল না।
©somewhere in net ltd.
১| ২৫ শে নভেম্বর, ২০২২ সকাল ১১:০১
শায়মা বলেছেন: আপু
সুন্দর কবিতা কিন্তু হতাশা থেকে লিখেছো বুঝা যায়।
এই দ্বৈরথের শেষ হয় কখনও?