নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ক্লাস শেষে বেশ ক্লান্ত লাগছিল সেদিন। । খাওয়া শেষ করে তাই শুয়েছিলাম। এমনিতে দুপুরে শুয়ে থাকা আমার হয় না। দুপুরটা বেশ ঝিমধরা, শান্ত থাকে। সবাই দুুপুরের ভাত ঘুম পছন্দ করে। সকাল থেকে ক্লাস সেরে একটু ঘুমিয়ে নেয় দুপুরের প্রখর রোদের সময়টা।
রোদ একটু হেলে পরলেই হলের বাইরে ব্যস্ততা বাড়ে। দাদুদের হাঁটাহাঁটি, ডাকাডাকি বাড়ে। রুমে এসে খবর দিয়ে যায়, আপা আপনার ভিজিটার এসেছে। মেয়েরা তখন তৈরি হয়ে ভিজিটারের সাথে দেখা করতে যায়।
এখন হয়তো তেমন নেই। মোবাইলে আগেই জানিয়ে দেয় যে আসছে। মেয়েটিও গেটে গিয়ে দাঁড়িয়ে থাকে পৌঁছানোর আগেই, সময় হিসাব করে।গেটের দাদুদেরও সংখ্যবার হাঁটা হাঁটি করতে হয় না রুমে রুমে চিরকুট নিয়ে। কিন্তু আমাদের সময় এত সহজ ছিল না। ভাবলে এখন অবাক লাগে কত সময়ের অপচয় ছিল। যে মানুষটি আসল, গেটের বাইরে সে ঘন্টাখানেক অপেক্ষা করে ভিতরের মেয়েটির সাথে দেখা হওয়ার জন্য।
যাক সেটা অন্য বিষয়।
যা বলছিলাম এক শান্ত নিথর বিকালে ছায়া ছায়া অন্ধকার আমাদের রুমের দরজা খুলে একটি মেয়ে ঢুকল। সাধারনত দিনের বেলা দরজা ভেজানোই থাকে। বন্ধ করা হয় না।
আমরা ছিলাম চারজন রুমমেট। চারজন তিন বর্ষে পড়ছি তখন। আমাদের দুজন রুমমেটের নাম ছিল এক । ওরা একজন আরেকজনকে মিতা বলত। তবে তেমন মিতালী ছিলনা তাদের মধ্যে । রুমমেট হিসাবে যতটুকু কথা বলতে হয় ডাকাডাকি করতে হয় ততটুকু মিতা ছিল। তবে দুজনই খুব ভালো মনের মানুষ ছিল। একজন খুব মিষ্টি দেখতে শান্ত হালকা পাতলা মেয়ে। কথা বলত কম। অন্যজন খুব বাক্যবিলাশী মানুষ। মোটাসোটা বড়সর আকৃতির। তবে তার কণ্ঠটা ছিল দারুণ । এত মিষ্টি করে কথা বলত মেয়েটি। ওর কথা বলা শুনলে মনে হতো অন্য কেউ কথা বলছে। কেন যেন ওর দেহ আর কণ্ঠ দুটো আলাদা মনে হতো আমার কাছে। মনে হতো দুটো মানুষ।
এই মেয়েটিকে আমি প্রথম আপাদমস্তক ঢাকা অবস্থায় দেখি। যখনই বাইরে যেত সারা শরীর ঢাকা পোষাক পরে মাথা প্যাঁচিয়ে, মুখ, কপাল ঢেকে, চোখে সানগগ্লাস পরে । হাতে দস্তানা পরে বাইরে যেত। খুব কম সময় ওর মুখ দেখতে পেতাম। খুব যে নামাজী ছিল তানা। কখনো নামাজ কোরান পরতে দেখি নাই। কেন সে এমন পোষাক পরত কখনো জানতে চাইনি। ওর মুখে বড় বড় বসন্তের দাগ গাড় ক্ষত ছিল সে জন্য কি, জানি না জানার সুযোগ আর নাই। ওর পছন্দ ছিল ও পরত এ নিয়ে আলাদ কিছু ভাবিনি।
আর ছিলাম আমরা অন্য দুজন সাধারন। আমরা সবাই নিজেদের মধ্যে, নিজেদের কাজে, পড়ায় বেশি ব্যস্ত থাকতাম। তবে মাঝে মধ্যে চারজনের আড্ডা জমত রাত গভীরে। ব্যাক্তিগত বিষয় নিয়ে কেউ মুখরিত ছিলাম না।
আমার উল্টো দিকের বিছানার কাছে এক মিতার কাছে ঘরে ঢুকা সেই মেয়েটি গেল এবং ঘুমন্ত সবার কান বাঁচিয়ে খুব আস্তে আস্তে নাম ধরে ডাকল।
মিতা উঠে খুব খুশি হয়ে উঠল, আরে ঝিলিক আপা তুমি! ছদ্ম নাম দিলাম।
মেয়েটি ঘরে ঢুকার সময়েই আমি টের পেয়েছি তবে নিজের মতন ছিলাম, চুপচাপ। এখন মেয়েটির নাম শুনে আমার মনে চট করে একটা ঘটনা মনে পরে গেল। মেয়েটির নামটিই একটা আইকন। এমন নাম খুব সচরাচর শোনা যায় না।
এবং আমার খুব লজ্জা লাগল ঘটনাটি মনে পরে। যদিও এই ঘটনার সাথে আমার কোন যোগ সূত্র নাই। তবুও নিজেকে কেমন যেন অপরাধী মনে হলো। ঘটনাটি বলি।
ঝিলিক নামের মেয়েটি ছোট একটা শহরে নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবারের একটি মেয়ে। কিশোর বয়সে হঠাৎ একদিন একটি ছেলের সাথে দেখা হয়ে যায়। এরপর দুজনের মধ্যে ভালোবাসা প্রেম হয়।
ছেলেটির বাবা খুব নাম করা ডাক্তার । আর ছেলেটি তখন ক্যাডেট কলজে পরে । ছুটিতে বাড়ি এসেছে। এই সময়ে ঝিলিকের সাথে পরিচয়। টিন এইজ বয়সের গভীর প্রেমে জড়িয়ে পরে তারা। দুজন দুজনকে গোপনে চিঠি লিখে, ছেলেটি ক্যাডেট স্কুলে ফিরে গেলে। কেটে যায় দু বছর। স্কুল গণ্ডি শেষ হয়। ছেলেটি খুব ভালো রেজাল্ট করে। মেয়েটি স্কুল ফ্যাইনাল মেট্রিক পরীক্ষা দিয়েছে তখন আর ছেলেটি উচ্চ মাধ্যমিক দিবে দিবে এসময়ে ছেলেটি বাড়ি এলে তারা সিদ্ধান্ত নেয় বিয়ে করার। এবং গোপনে বিয়েও করে ফেলে দুজনে।
কিন্তু বিষয়টা আর গোপন থাক না। পরিবারের কাছে জানাজানি হয়ে যায়।
ছেলের বাড়ি থেকে ছেলেকে নানা শর্ত দেওয়া হয় মেয়েটির সাথে না মেশার জন্য, মেয়েটির সাথে বিয়ে কিছুতেই মেনে নেয় না ছেলের বাবা। ডির্ভোস দেয়ানাের চেষ্টা করে। ছেলে কিছুতেই মানবে না। ছেলে ভুলানোর জন্য তাকে নিয়ে ঢাকা আসা হয়। তাকে ননো কিছু দেখিয়ে ভুলানোর চেষ্টা করা হয়।
এদিকে ক্যাডেট কলেজে পরীক্ষার আগে আগে যখন জানে, ছেলে বিয়ে করে ফেলেছে তাকে নানান শাস্তি দেয়া হয় যেমন শিক্ষকের পক্ষ থেকে তেমনি ছেলেরা মিলে তাকে নানা ধরনের কি বলব, বুলি বা র্যাগিং করে । নির্মম এইসব কর্মকাণ্ড। একটি টেলেন্টেট ছেলে বিয়ে করে ফেলেছে তার মেধা মননের কোন দাম রইল না তাকে শুধু নানারকম ভাবে নির্যাতন করা হলো, যেমন পরিবারে, তেমন শিক্ষাকেন্দ্রে, শিক্ষক এবং ছাত্র মিলে।
একটি উদাহরণ দেই তাকে ড্রেনের ভিতর শুইয়ে দেওয়া হতো এবং নোংরা পানির ধারায় ভেসে যেত সে। সাথে সবাই মিলে আনন্দ উৎসব করত নেচে গেয়ে। ছুঁড়ে ফেলা হতো তার উপর আরো বর্জ্য অবর্জনা।
টেনে ছিঁড়ে ফেলা হতো কাপড়। জামাইবাবু জামাইবাবু বলে আঙ্গুলের আংটি ধরে টানাটানি করত। যেমন ইচ্ছা তেমন ভাবে কেটে দিত চুল। ঠিক জানি না কি ভাবে কোন নিয়মে, আইনে এই সব কাণ্ড একজন ছাত্রের সাথে করা হয় একাডেমিতে। এবং তার পরীক্ষা দেওয়ার উপরও নিষেধাজ্ঞা আসে।
ছেলের বাবা অনেক কিছু করে শেষ পর্যন্ত পরীক্ষা দিতে বসার সুযোগ করতে পারেন, তার জন্য।
আর এদিকে ভালোবাসা যা দুটো নিষ্পাপ প্রাণকে এক করেছিল দুজন দুজানার পাশে থাকতে চেয়েছিল মনের আবেগে। তাদের সে বন্ধন ভেঙ্গে গুড়িয়ে দেয় সমাজ ব্যবস্থা।
বংশ মর্যাদা, পারিবারিক বৈষম্য, অপছন্দ কত কিছুর আত্ম গড়িমায় ভেসে যায় দুটি সহজ প্রাণের ভালোবাসা।
এই ছেলেটির পরিবারের সাথে আমার দূর সম্পর্কের আত্মিয়তা আছে। খুব ছোটবেলায় একবার তাদের বাড়িতে গিয়েছিলাম এতটুকুই মনে আছে। এছাড়া তারা আর আমরা থাকি শত শত মাইলের দূরত্বে। কিন্তু নানা ভাবে জীবনের গল্পগুলো শোনা হয়ে যায়।
যখনই ঝিলিক নামটা শুনলাম একরাশ লজ্জা আমার শরীর জুড়ে রইল। আমি মেয়েটার সামনে দাঁড়াতে পারলাম না। আমার পরিবারের কারো জন্য এই মেয়েটা একটা কঠিন সময়ের মধ্যে দিয়ে গিয়েছে জীবনের এক সময়, এ যেন আমারই লজ্জা, এমনটাই মনে হতে থাকল। তার নামটা শুনে তাকে আমি চিনেছি এবং তার জন্য আমার বুকে কষ্ট জমে আছে।
মেয়েটি চলে গেলে আমার রুমমেট মেয়েটির কথা বলল। এবং আমি বুঝতে পারলাম আমি ঠিক তাকে চিনতে পেরেছি। কিন্তু আমার কিছু করার না থাকলেও আমি মেয়েটি এবং ছেলেটির ভালোবাসার সাথে ছিলাম। তাও তাকে বলা হলো না।
০২ রা অক্টোবর, ২০২২ দুপুর ১২:২৩
রোকসানা লেইস বলেছেন: সেটাই মেনে নিলে কোন সমস্যা ছিল না। কিন্তু না মানাটাই সমজে সচল বেশি।
দুটি মনের চিন্তার চেয়ে বড়, অনেক কিছু দেখা এবং দেখানো।
২| ২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ ভোর ৪:২৪
ককচক বলেছেন: বিয়ে করা যেনো একটা অপরাধ। এমন কর্মকান্ড বেশি দেখা যায় গ্রামে, গতবছর শুনলাম গুষ্টির এক চাচাতো ভাই গোপনে বিয়ে করায় তার পরিবারকে একঘরে করে রেখে পুরো গুষ্টি; গ্রাম। বিস্তারিত খোজখবর নিয়ে যা বুঝলাম, বিষয়টা অনেকটা
'ঝি মেরে বউ শেখানোর' প্রবাদের মতো'
গুষ্ঠির পোলাপান, গ্রামের পোলাপান নষ্ট হয়ে যাবে, তাই এই ডিসিশন।
কলেজে বুলিং, রেগিং মূলত অন্যান্য স্টুডেন্টদের সাবধান করে দেওয়া।
০২ রা অক্টোবর, ২০২২ দুপুর ১২:২৫
রোকসানা লেইস বলেছেন: নিজের ইচ্ছায় বিয়ে করা সত্যি বিশাল অপরাধ সামাজিক নিয়মে।
আমি বলেছি অনেক আগের ঘটনা আর আপনার ঘটনা গতবছরের। পরিবর্তন কি হলো এতদিনে।
আবার একঘরে করে রাখা এমন নিয়ম তো আরো পুরানো তাও চলে এখনও।
এসব করে কখনও প্রেম বন্ধ হবে না।
৩| ২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ ভোর ৬:০২
রানার ব্লগ বলেছেন: ক্যাডেট কলেজে কিছু নিয়ম থাকে বিয়েটা সেই নিয়মের বাহিরে ছিলো। আর আপনি যে র্যাগিং এর কথা বলছেন এটা ক্যাডেট কলেজের সাধারণ বিষয়।ওটা সামরিক কলেজ। ওখানে এমন অনেক কিছুই হয় বিনা কারনে।
টিনএজ বয়সের আবেগ এর ফলাফল এই বিয়ে। কিছু সমস্যা তো হবেই।
০২ রা অক্টোবর, ২০২২ দুপুর ১২:৩০
রোকসানা লেইস বলেছেন: ক্যাডেট কলেজের নিয়ম আর্মি, ম্যারিন, এয়ারফোর্স এবং আরো কিছু পেশায় বিয়ের উপর বিশাল নিষেধাজ্ঞ দেয়া থাকে।
কিন্তু নির্মম এই দৈহিক মানসিক অত্যাচার গুলো মানা যায় না।
অবশ্যই টিনএইজ আবেগে বিয়ে কিন্তু কোন একটা কারণ হয়ত ছিলতাদের, সেটা আমার অজানা।
৪| ২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ সকাল ৭:১০
কামাল৮০ বলেছেন: প্রেম করা ঠিক ছিলো কিন্তু বিয়ে করার সিধান্ত ভুল ছিলো।সত্যি ঘটনা অবলম্বনে রচিত তাই লেখকের কিছুই করার নাই।যা ঘটেছিলো তাই বর্ণনা করেছেন।ভালো লাগলো স্মৃতি কথা।
০২ রা অক্টোবর, ২০২২ দুপুর ১২:৩৬
রোকসানা লেইস বলেছেন: বিয়ে করার সিদ্ধান্ত হয়তো বিশেষ কারণে তারা নিয়েছিল। তার আগে তো বেশ প্রেম চলছিল।
আসলে অভিভাবকের দায় দায়িত্বে প্রেমের খেলা শেষ।
আমি তো শুধুই শুনছিলাম ঘটনাটা। যখন সব ঘটনা শেষে।
তবে ঘটনাটা সেই সময়ে আমার খারাপ লেগেছিল । তাই মেয়েটাকে দেখে আমি কিছুই বলতে পারিনি।
৫| ২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ সকাল ৭:৩৪
সোহানী বলেছেন: বাবা-মায়েরা কেন পুরো সমাজ রাস্ট্রই এমন। অকারনে বাচ্চাদের জীবন ধ্বংস করতে তারা দ্বিধা করে না।
০২ রা অক্টোবর, ২০২২ দুপুর ১২:৩৯
রোকসানা লেইস বলেছেন: এক্কেবারে ঠিক। সবার মাথা মনে হয় নষ্ট হয়ে যায়।
অনেক ঘটনা শুনিতো পরিবার না মানায় প্রেমিক প্রেমিকা আত্মহত্যা পর্যন্ত করে ফেলে।
শুধু জোড় করে মানানো।
বোঝানোর দায় নেই।
৬| ২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ সকাল ৯:০৮
খায়রুল আহসান বলেছেন: টীন এজ লাভ বা ইনফ্যাচুয়েশন বড় মারাত্মক। ঝোঁকের বশে যারা বিয়ে করে ফেলে, অধিকাংশ ক্ষেত্রে তাদের বিয়েটা শেষ পর্যন্ত টিকে থাকে না।
০২ রা অক্টোবর, ২০২২ দুপুর ১২:৪৩
রোকসানা লেইস বলেছেন: টিন এজে ভালোবেসে বিয়ে করে ফেলাটা বর্তমান সময়ে মানার মতন নয় অবশ্যই। তবে এই বয়সটাই আবার সত্যিকারের কিছু না ভেবে প্রেমে পরার বয়স।
কিছু প্রেমের বিয়ে পরিনতী বেশ ভালোও হয়েছে দেখেছি। যখন পরিবার মেনে নেয়।
৭| ২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ দুপুর ১২:৫২
শেরজা তপন বলেছেন: সম্ভবত তখন দুজনেই অপরিণত বয়স্ক ছিল এই বয়সে বড় ধরনের ভুল হয় স্বাভাবিক। পরিবার তাদের মত করে চেষ্টা করেছে তবে ক্যাডেট কলেজের ঘটনাটা অনেক বেশি দুঃখজনক!
এই বয়সের প্রেম বিয়ে সে সময় জীবন মরণের ব্যাপার বলে মনে হয়। কিন্তু পরবর্তীতে এগুলো অতি তুচ্ছ বিষয় হয়ে দাঁড়ায়।
০২ রা অক্টোবর, ২০২২ দুপুর ১২:৫১
রোকসানা লেইস বলেছেন: কিশোর বয়সের প্রেম আসলে মনে হয় নিখাদ। ভালোলাগাটাই মূখ্য। তারা আর কিছু দেখে না। হিসাব নিকাশ করে না।
অপরণিত বয়সে নিজের সিদ্ধান্ত নিয়ে তারা কি করে সেটা দেখার সুযোগও দেয়া হলো না। সাহায্যও করা হলো না।
বড়রা হিসাব নিকাশ করে মেনে নিল না। দুজনকে আলাদা হয়ে যেতে বাধ্য করল। এটা বড় সমস্যা।
এই বয়সের আবেগের মূল্য না দেয়র জন্য অনেকে পরবর্তিতে আবার বেশ নিষ্ঠুরও হয়ে যায়।
৮| ২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ দুপুর ১:১৪
ফ্রেটবোর্ড বলেছেন: প্রেম করে বিয়ে করবে আর তাতে সমস্যা থাকবে না তা কি করে হয় ?
০২ রা অক্টোবর, ২০২২ দুপুর ১২:৫৩
রোকসানা লেইস বলেছেন: একদম ঠিক বলেছেন। কত সন্তান ত্যাজ হয়ে গেল সমাজে। পরিবারের সব অধিকার হারাল। সমাজে কোথাও তাদের ঠাঁই হয় না শুধু প্রেমের কারণে ।
৯| ২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ দুপুর ২:০৩
মুদ্দাকির বলেছেন: ভালোবাসার বিরোধিতায় সমাজ ধর্ম পালনের চেয়ে কঠোর।
০২ রা অক্টোবর, ২০২২ দুপুর ১২:৫৬
রোকসানা লেইস বলেছেন: ভীষণ কঠিণ নিয়ম। কত রকমের নিয়ম, গোত্র বংশ, অর্থ, সম্মান কত কিছু যে মিলাতে হয়।
১০| ২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ বিকাল ৪:৪২
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: বয়সন্ধির প্রেম খুবই বিপদজনক। অভিজ্ঞতা যেটুকু দেখেছি পরবর্তী জীবন কখনোই সুখকর করা হয় না। উল্টে ক্যারিয়ারটা তছনছ হয়ে পড়ে। যেমনটা ঘটেছিল ঝিলিক আপুদের ক্ষেত্রে। মানবিক দিক থেকে দেখলে খুবই দুঃখজনক; বেদনার। কিন্তু অভিভাবকরাও যে এমন প্রেম সহজে মেনে নেননা। পরিনতিতে যা হবার তাই হয়েছে। আবার বলছি, খুবই দুঃখজনক বেদনার।
০২ রা অক্টোবর, ২০২২ দুপুর ১:০৪
রোকসানা লেইস বলেছেন: অপরিনত বয়সে ভালোবাসায় মজে ভুল করাই স্বাভাবিক।
তবে সমস্যা হচ্ছে কোন গাইড লাইন দেয়া হয় না। সন্তান যে বড় হয়ে যাচ্ছে এটা ভাবা হয় না। বাচ্চাদের বাচ্চাই ভবা হয় সব সময়। তাদের মন পরিবর্তনের হিসাব অভিভাবক রাখলে অনেক সমস্যা হয় তো কমত।
বাচ্চাদের দুঃখের মাঝে ঠেলে দেওয়াও কিন্তু অভিভাবক করেন। যখন জড়িয়ই গেছে তাদের মেনে নিয়ে সহযোগীতা করেন না সচরাচর।
দুঃখজনক ঘটনা প্রেমের, এটাই আমাদের মর্মমূলে দানা বেঁধে আছে।
আবেগের মূল্য দিয়ে সাহায্য সহযোগীতার হাত বাড়ান না অভিভবক। তা হলে হয় তো অন্য রকম ঘটনাও হতে পারত।
১১| ২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ৮:৩৭
অপ্সরা বলেছেন: ঝিলিকের জন্য কষ্ট!
তার চাইতেও কষ্ট হলো ঐ ছেলেটার নির্যাতনের ঘটনাবলী শুনে।
রাগে গা জ্বলে যাচ্ছে ...... ঐ বান্দরগুলোর উপর যারা তাকে এত কষ্ট দিলো।
০২ রা অক্টোবর, ২০২২ দুপুর ১:০৮
রোকসানা লেইস বলেছেন: এই কষ্টগুলো তৈরির করার মানসিকতা আমাদের মনে গেঁথে আছে। তাই সব প্রেমিক প্রেমিকাদের কষ্টই পেতে হয়।
নির্মম নির্যাতনের নিময়ও আমরা তৈরি করে রেখেছি । এবং সভ্য নিয়মে মেনে চলছি এখনও।
তোমার মতন আমারও গা জ্বলে।
১২| ২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ১০:২৯
রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: এখনকার অবস্থা জানেন? কে কোন অবস্থায় আছে?
০২ রা অক্টোবর, ২০২২ দুপুর ১:১০
রোকসানা লেইস বলেছেন: ছেলেটা ডাক্তার পরিবারের ইচ্ছায় বিয়ে করে ভালো আছে।
মেয়েটা তখন ভার্সিটিতে পড়ছিল। নিশ্চয়ই ভালো আছে।
১৩| ২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ১০:৪৮
মনিরা সুলতানা বলেছেন: আপনি যে সময়ের কথা বলছেন আপু, তখন এ ধরনের কর্মের ফল যে কী ভয়ংকর ছিল। এখন কিছু থাকলে ড্যাম কেয়ার অবস্থা।
হ্যাঁ এমন অনেক কিছু থাকে বলা হয়ে উঠে না।
০২ রা অক্টোবর, ২০২২ দুপুর ১:২০
রোকসানা লেইস বলেছেন: এখনও অনেকে সেই ভাবনা চিন্তা থেকে বেরিয়ে আসতে পারেন না। অনেক পরিবার সন্তানের মনের মূল্য দেয়ার চেয়ে পাছে লোকে কিছু বলে এই চিন্তায় ব্যাস্ত থাকে আর অহংকারে সম্মানের হানী নিয়ে পরে থাকে। সন্তানের মনের মানবিক মূল্য তাদের কাছে কম।
আবার সে সময়ও অনেক অভিভাবককে দেখেছি সব মেনে নিতে।
মজার একটা বিষয় হলো। অনেক প্রেমিক প্রেমিকা নিজেরা সংসার করে অভিভাবকের সাথে সম্পর্ক থাকে না। অভিভাবক মেনে নিতে পারে না বলে। তবে বেশ কিছু বছর পরে ঐ বউ বা জামাই পরিবারে কাছে সব চেয়ে প্রিয় হয়ে উঠে। অদ্ভুত লাগে তখন।
১৪| ০২ রা অক্টোবর, ২০২২ দুপুর ১:২৪
রোকসানা লেইস বলেছেন: ধন্যবাদ সবাইকে পড়ার জন্য এবং সুন্দর মন্তব্য করার জন্য। দুঃখিত দেরি করে উত্তর দেয়ার জন্য।
লেখাটা পোষ্ট করেই ব্যাস্ত হয়ে পরেছিলাম খুব। ল্যাপটপের কাছে আসা হয়নি কদিন।
মোবাইল থেকে প্রতিউত্তর দেয়ার চেষ্টা করেছিলাম। প্রতিউত্তর না হয়ে মন্তব্য হয়ে যাচ্ছিল। তাই আর চেষ্টা করিনি।
©somewhere in net ltd.
১| ২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ৩:০২
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: সবাই মেনে নিলেই হত। বেশী কম বয়সে বিয়ে করার কারণে ওরা পরনির্ভরশীল ছিল। আরেকটু ধৈর্য ধরে পরে বিয়ে করলে হয়তো পরিস্থিতি ওদের নিয়ন্ত্রণে থাকতো।