নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

স্রোতের অজানা টানে সমুদ্র বালিয়াড়ি বেয়ে বোহেমিয়ান- গৃহকোন, জীবন যাপন ফেলে চলে যায়। তুমি দুহাত বাড়িয়ে আলিঙ্গনে বাঁধতে চাও জোছনা গলে হারিয়ে যায় সুখ । আছড়ে পরা ঘূর্ণিজল মনে বাজায় অচেনা সবুজ দিগন্ত ..

রোকসানা লেইস

প্রকৃতি আমার হৃদয়

রোকসানা লেইস › বিস্তারিত পোস্টঃ

হিজাব

২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ৩:০১

মাহসা আমিনীর মৃত্যুর মাধ্যমে ধসে পড়ুক হিজাব সংস্কৃতি ইরানের। মেয়েরা জ্বালিয়ে দিচ্ছে হিজাব প্রকাশ্যে রাস্তার উপর আগুনে। আর কতকাল বন্দী করে রাখবে আভরণে অন্ধকারে।
এই সব নিয়ম মেয়েরা মানে না। ওদের প্রতিবাদ সফল হোক । ফিরে যাক ১৯৭৯ সালের আগের আধুনিক সময়ে আবার। যখন ইরানের মেয়েদের এমন হিজাব পরে ঢেকে রাখার প্রয়োজন ছিল না নিজেদের। শান্তি এবং সুন্দর ভাবেই জীবন চলছিল তখন।
ধর্মের নামে মেয়েদের উপর পোষাকের ভাড় চাপিয়ে আনন্দ পায় ধার্মিক নেতা। অথচ নিজেদের কু চিন্তাকে সংযত করতে পারে না।
আর এদিকে বাংলাদেশের শাড়ি সংস্কৃতি হারিয়ে যাচ্ছে বোরখা, হিজাবের ভাড়ে। মাথামোটা ধর্ম বিশ্লেষকরা প্রাকৃতিক পরিবেশের প্রয়োজনে বাংলাদেশের শাড়ি পরা নারীদের আরবের মরু অঞ্চলের পোষাকে দেখতে চাচ্ছে। নারীরাও মেনে নিচ্ছে অনেকে বুঝে না বুঝে। ধর্মের অন্ধ বিশ্বাসে। এবং সাথে প্রতিবাদ করছে যারা হিজাব নিয়ম মানছে না তাদের দেখে।
বাংলাদেশের মেয়েরা সাফ গেমসে সোনা জিতে ফিরেছে। নারীদের হাটু বের করা জার্সি পরে ফুটবল খেলা নিয়ে কারো কারো মাথা খারাপ হয়ে যাচ্ছে। যত না আনন্দ তার চেয়ে বেশি কুৎসিত ভাষার গালাগালি ছূঁড়ছে ধার্মিক পুরুষরা।
এই পুরুষদের উচিত নিজেদের অন্ধকার ঘরে লুকিয়ে রাখা। আর ধর্মের নাম জপ করা একা একা। মেয়েরা খেলল নাকি জিন্স, সর্ট, টপ পরে ঘুরল তা দেখার কোন অধিকার তাদের নেই। মেয়েরা নিজের পছন্দে নিজেদের পোষাক পরবে যেমন ইচ্ছা তেমন।
অন্যরা কে কি করবে তা নির্ধারন করে দেওয়ার এরাকে। যখন রাষ্ট্র মেয়েদের খেলার অনুমতি দিচ্ছে মেয়েরা বিজয়ী হয়ে ফিরছে দেশের অহংকার হয়ে ।
ধার্মিক এসব পুরুষের কোন যোগ্যতা নেই এই সব মেয়েদের সমকক্ষ হওয়ার। কিন্তু মাথামোটা অন্ধ ধর্মভিত্তিক পশ্চাৎপদ ভাবনায় সমালোচনা নয়, কুৎসিত চিন্তা ভাবনা উৎগড়ে দেওয়া এই সব মন্তব্যকারীদের ধর্ষক হিসাবে গ্রেফতার করা রাষ্ট্রের দায়িত্ব মনে করি।
রাষ্ট্র যখন নারীদের স্বাধীন ভাবে চলার সুযোগ দিচ্ছে তখন মেয়েদের চলায়, বলায়, খাওয়ার সমালোচনাকারী পুরুষ, নারী, যারা পাশে থেকে বিরোধীতা করে এবং অর্ন্তজালে নোংরা মন্তব্য মেয়েদের নিয়ে করে, এরা অপরাধীর পর্যায়েই পরে। এদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া জরুরী মনে করি, নয় তো সমাজ পিছিয়েই যেতে থাকবে। সহজ সাবলীল ভাবে কেউ এগুতে পারবে না। নারী পিছিয়ে গেলে সমাজ আরো বেশি পিছিয়ে পরবে।

মন্তব্য ৪৩ টি রেটিং +৭/-০

মন্তব্য (৪৩) মন্তব্য লিখুন

১| ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ ভোর ৪:১৪

কামাল৮০ বলেছেন: খুঁজে খুঁজে এদের আইনের আওতায় আনা দরকার।যারা নারী ফুটবলারদের বিরুদ্ধ আন্দোলন বা মন্তব্য করছে।দেশটাকে তালেবান বানাবার পায়তারা করছে দেশের একটা শ্রেনী।

২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ সকাল ৮:২২

রোকসানা লেইস বলেছেন: আইনের আওতায় আনা খুব জরুরী।
নয়তো আবার হলি আর্টিজনের মতন কিছু দেখতে হতে পারে । অথবা মাহসা আমিনীর মতন কিছু হতে পারে।

২| ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ ভোর ৪:১৭

কামাল৮০ বলেছেন: ইরানের হিজাব বিরোধী আন্দোলন ছড়িয়ে পড়ুক দেশে দেশে।

২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ সকাল ৮:২৩

রোকসানা লেইস বলেছেন: ছড়িয়ে পড়ুক সব দেশে

৩| ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ ভোর ৪:৩০

সোহানী বলেছেন: দেশের এখনকার হিজাবের অবস্থা দেখে নিজেরই অবাক লাগে। মেয়েরা কি ধর্মকে ভয় পাচ্ছে, নাকি লুলুপ পুরুষদের নাকি তার নিজেকে।

২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ সকাল ৮:৪০

রোকসানা লেইস বলেছেন: দেশের এখনকার হিজাবের অবস্থা দেখে নিজেরই অবাক লাগে"
অবাক লাগারই কথা। এটা তো বাঙলাদেশীদের চির চেনা সংস্কৃতি নয়।

আশি সালের পর থেকে হিজাব সংস্কৃতির উত্থান শুরু হয় বি এনপি জিয়ার সময়ে। জামাত পন্থিরা শহরে গ্রামে ধর্ম নিয়ে ঝাঁপিয়ে পরে। সাইদিরা এসময় ধর্ম গুরু হয়ে ওয়াজ সংস্কৃতিও চালু করে। নতুন করে ধর্মের নামে নানা রকম নিয়ম আশা শুরু হয়। তখন থেকে পুরুষদের মাথায় সাধারন বাঙালি পোষাক পরা নারীরা হয়ে উঠে বেপর্দা।
অনেক নারীরাও ধর্মের নামে হিজাব আর আলখেল্লায় নিজেদের ঢাকতে শুরু করে। সে সময় এনজিওর নারীদের মোটর সাইকেল, সাইকেল চালিয়ে যাওয়ায় মেয়েদের বাঁধা দেওয়ার সাথে মেয়েদের স্কুল কলেজে বাঙালি পোষাকে যাওয়ার সময়ও উত্যাক্ত করা হতো। মেয়েরা নিজেদের রক্ষা করার জন্য অনেকে তখন বোরখা হিজাব পরা শুরু করে। অনেকে আবার পোষাকের ধর্মে নিমজ্জিত হয়ে পরে। এই সময়ে আবার সিনেমা হলের পরিবর্তে নানা জায়গায় ভিসি আরের মাধ্যমে হিন্দি মুভি দেখানোর চল শুরু হয়। এইসব হিন্দি মুভি আবার নীল মুভিও হয়ে যায় অনেক জায়গায়। তাই নীল ছবি দেখা পুরুষরা আবার বেশি উত্তেজিতও থাকত।
সমাজের এই পরিবর্তন গুলো অতি সুক্ষ ভাবে শুরু হয়। অনেকটা সময় জুড়ে মানুষের মননে দখল নিয়ে বসেছে।
খুব তাড়াতাড়ি বদলে ফেলার একটাই উপায় রাষ্ট্রিয় ভাবে পদক্ষেপ নেয়া।

৪| ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ ভোর ৫:৪২

স্বদেশ১ বলেছেন: হিজাব হোক যার যার স্ব-ইচ্ছায়। যার ইচ্ছা হিজাব পরবে, যার ইচ্ছা হিজাব পরবে না।

২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ সকাল ৮:৪২

রোকসানা লেইস বলেছেন: ধন্যবাদ স্বদেশ১
এটাই হওয়া জরুরী। সবার ইচ্ছার মূল্যায়ন করা। কিন্তু হিজাব পক্ষের লোকরা মনে করে অন্যদের উপর জোড় করে হলেও চাপিয়ে দিতে হবে।

৫| ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ ভোর ৬:৫৯

তানভির জুমার বলেছেন: হিজাবের সংস্কৃতি কখনোই ধসে পরবে না। মুসলিম মেয়েরা কখনোই পশ্চিমা দাসত্ব মেনে নিবে না। মুসলিম মেয়েরা নিজের শরীর কে অধুনিকতার নামে টাকার বিনিময়ে বিকিয়ে দিবে না। মাহসা আমিনীর মত ইসলাম বিদ্বেষীরা পৃথিবীর সব জায়গায় ঘাপটি মেরে বসে থাকে। আশার কথা হচ্ছে মেয়েরা এখন পশ্চিমাদের, ডাবল স্ট্যান্ডার্ড, ভোগবাদী ধোকা বুঝতে পারছে।

যারা নারী ফুটবলারদের দিয়ে এদেশে 'ধর্মবিদ্বেষ' কায়েম করতে চাইছেন। মহিলা ফুটবল দলের শিরোপা জেতায় যারা অতি উৎফুল্ল, মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষায় পর্দানশীন মেয়ে প্রথম স্থান অধিকার করার ঘটনায় তাদের উৎফুল্ল হতে দেখা যায় নি কেন? লক্ষ্য যদি নারীর উন্নতি হয় তাহলে দ্বিতীয় ঘটনায় কেন অভিনন্দন জানানো হয় না?

২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ সকাল ৮:৪৬

রোকসানা লেইস বলেছেন: বাঙালি সংস্কৃতি যখন মধ্যপ্রাচ্যের পোষাক, নিয়ম ধারন করে তখন কোন সমস্যা হয় না।
কিসের মধ্যে কি পান্তা ভাতে ঘি এই উপমাটাই মনে পরল আপনার মন্তব্যের শেষ অংশ পড়ে।

৬| ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ সকাল ৭:৪২

তানভির জুমার বলেছেন: গতকাল Joram van Klaveren এর ইসলামে কানভার্ট হওয়ার ইন্টারভিউ দেখতেছিলাম। সে ছিল নেদারল্যান্ডস পার্লামেন্ট মেম্বার, একজন পপুলার ইসলাম বিদ্বেষী, রেডিওতে নিয়মীত ইসলাম ধর্ম নিয়ে সমালোচনা করতো, সে এন্টি-ইসলামী বই লিখতে গিয়ে ইসলাম ধর্মে কানভার্ট হয়। ইন্টারভিউতে সে বলেছিল ৩ বছর গভেষনার পর যখন সে দেখতে পায় ইসলাম ধর্মই সত্য, তখন সে প্রার্থনা করেছিল যে, গড আমাকে এমন একটা সাইন দেখাও যেটা দেখে আমি সত্যটা চিনতে পারি।

তখন সে কোরআন খুলে সর্ব প্রথম যে আয়াতের অংশ তার সামনে আসে সেটা ছিল সূরা হজ্ব এর ৪৬ নং আয়াত: যার অর্থ "it is not the eyes that are blind but the hearts" প্রকৃতপক্ষে চোখ অন্ধ নয়, বরং বুকের ভিতর যে হৃদয় আছে তা-ই অন্ধ। দোয়া করি আল্লাহ যেন সবাই কে ইসলাম কে চিনার তৌফিক দেয়।

২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ সকাল ৮:৫৩

রোকসানা লেইস বলেছেন: ইসলামে কানভার্ট হওয়া বা ইসলাম থেকে বেরিয়ে যাওয়া, ধর্ম না মানা এসব কিছুই একজন মানুষের সতন্ত্র ইচ্ছায় হওয়া দরকার।
একজনের উদাহরণ দিলেন। তিনি স্ব ইচ্ছায় ইসলামে কানভার্ট হয়েছেন।
এমন অনেককে আমি নিজে চিনি বাস্তবে। যারা নিজের ইচ্ছায় ধর্ম বদল করেছেন।
কিন্তু বর্বর ভাবে জোড় করে মাহসা আমিনীর মতন কাউকে মেরে ফেলে কিছু পালন করানোর নাম ধর্ম নয় কিছুতেই। ইরানে যে সব নারী প্রতিবাদ করছে তাদের জোড় করে বাধ্য করা হচ্ছে। কিন্তু তাদের ইচ্ছার মূল্য দেয়া হচ্ছে না।

৭| ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ সকাল ৭:৫১

শ্রাবণধারা বলেছেন: ভালো লিখেছেন। তবে অন্ধকার থেকে বের হয়ে আসা কঠিন বটে।

আমাদের দেশে ধর্মীয় কুসংস্কারের সাথে দুঃশাসন, শোষন, বিচারহীনতা, নিপীড়ন, সবক্ষেত্রে দূষণ মিলে পরিস্থিতি আরো বেশি জটিল হয়ে গেছে। তাই জঙ্গি-তালেবানী মতাদর্শ নোংরা আবর্জনার মত ছড়িয়ে পড়ছে।

২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ১২:০১

রোকসানা লেইস বলেছেন: শ্রাবণধারা আপনিও ভালো মন্তব্য করেছেন। অনেক ধন্যবাদ ।
অন্ধকার চারদিক থেকে ঘিরে ধরছে।
এখনও না সামলাতে পারলে, সময় যত যাবে কঠিন হবে বেরিয়ে আসা।

৮| ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ সকাল ৮:৩৭

বিটপি বলেছেন: হিজাব ইরানের মত দেশকে কোন দিক থেকে পিছিয়ে রেখেছে? হিজাব পরিধান করে মেয়েরা পুরুষের পাশাপাশি সব ধরণের কাজই তো করতে পারছে। বিমান চালাচ্ছে, ফুটবল খেলছে, কর্পোরেট লিডার হচ্ছে। তারপরেও ইরানের সুন্দরী মেয়েদের ফিগার দেখা যাচ্ছেনা - এই ক্ষোভে কিছু শেয়াল মুরগির চলাফেরার স্বাধীনতা চেয়ে মাঠে নেমেছে।

হিজাব ধর্মীয় বিধান। এটি কোন কুসংস্কার নয়। হিজাব নিয়ে ইরান কেন, কোথাও কওন অপ্রীতিকর ঘটনা কখনো ঘটেনি, বরং অনেক অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটা ঠেকিয়েছে এই হিজাব। কাজেই হিজাবের সমালোচনা না করে মানুষের মানসিকতার সমালোচনা করুন।

২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ১২:২৫

রোকসানা লেইস বলেছেন: আপনার কাছে মনে হচ্ছে পিছিয়ে রাখে নাই আপনাকে বোঝানো দুঃসাধ্য।
শুধু বলি নিজের ইচ্ছায় যারা কিছু করতে চায় না ধর্মের দোহাই দিয়ে তাদের বাধ্য করা হচ্ছে সেজন্যই আজ এই বিদ্রোহ।
অপ্রীতিকর ঘটনা নয় আপনার কাছে!!!! বেশ বেশ !!!
শুধু হিজাব না পরার কারনে বাইশ বছরের একটি মেয়ে কে জীবন হারাতে হলো । কি আর বলার আছে।
মাইসা আমিনীর মৃত্যু না হলে আমরাও জানতাম না।
ফুটবল প্রিয় ইরানী মেয়েরা ১৯৭০ সালে ফুটবল খেলত কিন্তা তাদের উপর ফুটবল খেলা দেখাও নিষেধ ছিল।
বিদ্রোহ করে তারা আবার খেলতে আসে ১৯৯৭ এ।
যারা ইচ্ছা সে হিজাব পড়ুক কিন্তু জোড় করে মানানো ঠিক না।

৯| ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ সকাল ৯:১৪

কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: আপু আমরা মুসলিম পর্দা পালন নাইবা করলাম তাতে তো পর্দার বিধান মিথ্যে হয়ে যাবে না। যারা পরকাল ভয় পায় আল্লাহকে ভালোবাসে তারা পর্দা করে স্বইচ্ছেতেই ।জোর জবরদস্তি করার প্রশ্নই উঠে না। শালীন অশালীন বলতে একটা বিষয় আছে সেটাকে তো মানেন? অশালীন দৃষ্টিকটু ড্রেস কখনো সুন্দর সভ্যতা হতে পারে না। মুসলিম হয়ে থাকলে অন্তত লজ্জাস্থানগুলো ঢেকে রাখা উচিত। আর যারা অশালীন ড্রেস পরা দেখে বাজে মন্তব্য করে তারা নিজেরাও জানে না কটু/মন্দ বাক্য বলে কতটা পাপ অর্জন করতেছে।

আর হিজাব/বোরখা/ শালীন পোষাক পড়ে সমাজ হতে পিছিয়ে পড়বে এমন ধারণা হতে বের হয়ে আসুন ।

শুভকামনা।

২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ১২:৩৭

রোকসানা লেইস বলেছেন: পর্দার বিধান যারা নিজে মেনে পর্দা করবে তাদের নিয়ে আমি কিছু বলছি না। কিন্তু জোড় করে মানানোর যে প্রবনতা যার জন্য ইরানে মাহসা আমিনী মারা গেল। আর দেশে অনেকে প্রবল কটুক্তি,এবং খারাপ ব্যবহার সেটা পথে বেরুলে অচেনা মানুষ বা পরিবারে দু ধরনেরই হতে পারে তা থেকে নিজেকে বাঁচাতে নিজেকে ঢেকে রাখে।
গত বছর একটি রেস্টুরেন্টে গেলাম দেশে। কয়েকটি দল আসল মেয়ে পুরষের, মেয়েরা হিজাব বোরখায় ঢাকা কিন্তু টয়লেটে গিয়ে তারা হিজাব বোরখা বদলে চেঞ্জ হয়ে আসল অন্যরকম ড্রেসে। এই দুই ধরনের ব্যবহারের সুযোগও হিজাব বোরখা করে দিচ্ছে।
যারা পর্দা করবে তারা নিশ্চয়ই সব সময়ই পর্দা করবে তাই না। রেস্টুরেন্টে পর পরুষের সামনে খুলবে কেনো?
শালীন আশালীন ধারনাও প্রত্যেকের নিজস্ব।
পোষাক কে কি পরল তা আমার কাছে অশালীন নয় কিন্তু জোড় করে অন্যকে দিয়ে কিছু করানোর চেষ্টা অশালীন।

১০| ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ সকাল ৯:৪৪

তানভির জুমার বলেছেন: লেখক বলেছেন: বাঙালি সংস্কৃতি যখন মধ্যপ্রাচ্যের পোষাক, নিয়ম ধারন করে তখন কোন সমস্যা হয় না।
কিসের মধ্যে কি পান্তা ভাতে ঘি এই উপমাটাই মনে পরল আপনার মন্তব্যের শেষ অংশ পড়ে।

আপনার রিপ্লাই দেখে হাসি পেলুম, বাঙ্গালী সংস্কৃতি বলে কিছু আছে এখন? জিন্স, টপস্, টিশার্ট, শর্টস, স্লিভলেস, এইগুলো কোন দেশের সংস্কৃতি? কোন মেয়ে যখন জিন্স, টপস্, টিশার্ট, শর্টস, স্লিভলেস পড়ে তখন সে আপনাদের ভাষায় স্মার্ট, আধুনিক, প্রগতিশীল, নারী স্বধীনতা প্রতীক ইত্যাদি আবার যদি কোন মেয়ে বোরকা-হিজাব পড়ে তখন সে হয়ে যায় খ্যাত, সেকেলে, ধর্মান্ধ, মাথামোটা ইত্যাদি। কতবড় ডাবল স্ট্যান্ডার্ড তাই না?

আপনার পোস্টেই আপনি ফুটবল প্রসঙ্গ টেনে ধর্ম বিদ্বেষ উগলে দিয়েছেন, তাই সত্যটা তুলে ধরলাম পোস্টের বাইরের কোন প্রসঙ্গে বলিনি।

১১| ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ সকাল ৯:৫১

মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: কারো ইচ্ছা যেন শালীনতার সীমা অতিক্রম না করে। জনগণের ইচ্ছার গরমিল ইচ্ছাও পরিহার করা উচিৎ।

২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ১২:৪২

রোকসানা লেইস বলেছেন: অনেকদিন পর দেখলাম মহাজাগতিক চিন্তা।
শালীনতা সমাজ বিভেদে ভিন্ন রকম। মানুষের দৃষ্টিভঙ্গীতেও ভিন্ন হতে পারে।
গড়মিল ইচ্ছা কেউ পরিহার করবে বলে মনে হয় না।
প্রত্যেকের নিজের ইচ্ছায় চলায় বাধা দেয়াটা বন্ধ হলে অনেকটা ভালো হবে।

১২| ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ সকাল ৯:৫৪

মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: ১) মনের পর্দা ও চোখের পর্দাই বড় পর্দাই বড় পর্দা।
২)মগজে ঝামেলা না থাকলে ড্রেস কোন সুস্থ পুরুষকে সিডিউস করবে না।
৩) জোর করে হিজাব বা ওয়েস্টার্ন চাপিয়ে যারা দিতে চায় তারা মানুষের স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করে।
৪) বোরখা না পড়ার অপরাধে একটি মেয়েকে ইরানে প্রাণ দিতে হলো। ছিঃ!!
৫) আমাদের দেশেও এমন অনেক লোক পর্দা না করার কারণে সংবাদ পাঠিকা থেকে শুরু করে মন্ত্রী সবাইকে কটু কথা বলে। গালি দেয়।


এসব অসুস্থ মানুষ গুলোর সমর্থক আপনার পোস্টের কমেন্টেই পাবেন। আমি এগুলো নিয়ে লিখে অনেকের চক্ষুশূল। শাড়ী বাংগালী নারীর ঐতিহ্য এবং অহংকার।

২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ১২:৫৮

রোকসানা লেইস বলেছেন: দারুণ সুন্দর মন্তব্য মোহাম্মদ গোফরান
ভালো পয়েন্ট আউট করেছেন।
মনের পর্দা চোখের পর্দা আসলে আইন দিয়েই তৈরি হয়। রাষ্ট্রিয় আইন।
যেমন ইরান বদলে গেল ১৯৭৯ পরে রাষ্টীয় আইনে।
অনেক দেশে খোলামেলা বিচে যেমন কোন হামলা হয় না এ সবই হয় আইন মনের পর্দা তৈরি করে দেয় তাই।
কয়েক বছর আগে নিউ ইয়ার উজ্জাপনের সময় জার্মানীতে মেয়েরা হামলার শিকার হয়েছিল। এসব করেছিল সিরিয়ান রিফিউজি পুরুষরা। যারা আশ্রয় পেয়ে জার্মানে গিয়েছে কিন্তু তখনও দেশটির নিয়ম নীতি শিখে নাই। কিন্তু মেয়েদের এবিউস করার রীতি তাদের মধ্যে প্রচলিত ছিল।
এই যে ওয়েবে মন্তব্যে জর্জরিত করছে এক শ্রেণীর মানুষ এরা নিজেদের ভাবনা অন্যদের উপর চাপিয়ে দিতে চায়। এদের যথেষ্ট সময় আছে এসব করার।
বাঙালি নারীর শাড়ি পোষাক প্রাকৃতিক পরিবেশের ভিত্তিতেই এসেছিল ।
বর্তমানে বদলে যাচ্ছে সহজ এবং সুযোগে নানারকম পোষাক পরায়।
নিজের কাজ করে যান ।

১৩| ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ সকাল ১০:০১

এ আর ১৫ বলেছেন: বর্তমানে যে মাথার হিজাবের প্রচলন দেখি --- এটা ২০ বৎসর আগেও আমাদের দেশে ছিল না । এটা খৃষ্ঠানদের রিচুয়াল এবং মুসলমান মেয়েদের জন্য হারাম । দু:খের বিষয় আমাদের মোল্লারা খৃষ্ঠান রিচুয়ালকে গ্রহন কোরলো কিন্তু হিন্দু রিচুয়াল মাথার সিদূরকে হারাম বলছে ।
এটার কারন বুঝলাম না । হাদিসে বলা আছে --যে অন্য ধর্মের রিচুয়াল অনুসরন করে সে তাদের দলের অন্তর্ভুক্ত , তাহোলে খৃষ্ঠান রিচুয়াল হালাল হোল কি করে ? যদি খৃষ্ঠান রিচুয়াল গ্রহন যোগ্য হয় তাহোলে কেন হিন্দু রিচুয়াল গ্রহনযোগ্য নহে ।

২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ১:০৩

রোকসানা লেইস বলেছেন: ধন্যবাদ এ আর ১৫

অনেকটাই রাজনীতির প্রতিফলন। সুযোগ মতন কিছু বর্জন কিছু গ্রহণ।

১৪| ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ সকাল ১১:০৩

অপু তানভীর বলেছেন: ধর্মের প্রধান একটা ক্রাইটেরিয়াই হচ্ছে একজন সেটা স্ব ইচ্ছাতে পালন করবে । এই যে সব থেকে বড় ক্রাইটেরিয়া এটা ধর্মান্ধরা ভুলে যায় । তাদের কাছে তারা জোর করে ধর্মের নিয়ম অন্য মানুষের উপর চাপিয়ে দিবে ! বাধ্যতামূল হিজাবের ব্যাপারটাও তাই । একটা মেয়ে যদি স্বইচ্ছেতে হিজাব পরে তাহলে সেখানে কোন প্রকার বাঁধা দেওয়া যাবে না আবার একজন মেয়ে যদি হিজাব পরতে না চায় তাকে বাধ্য করা যাবে না । কিন্তু এই কাঠ মোল্লা গুলোর ভাস্য হচ্ছে মেয়েদের হিজাব পরতে বাধ্য করতে হবে । নয়তো নাকি তারা ইমান চলে যাবে !

মেয়েদের ফুটবল বিজয় নিয়ে সব চেয়ে গ্যারাকলে পড়েছে এই কাঠমোল্লা আর তার সমর্থকদের । মেয়েদের ফুটবল খেলা এরা কোন দিন ভাল চোখে দেখেনি, এখনও দেখে না । এটা নিয়ে কত ফতেয়া দিয়েছে, মিছিল বের করেছে মেয়েদের ফুটবল বন্ধে আর এখন এই জয় নিয়ে যখন পুরো দেশ আনন্দ করছে তখন তাদের জ্বলে যাচ্ছে ।

২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ১:১০

রোকসানা লেইস বলেছেন: ধন্যবাদ অপু তানভীর
জোড় করে ধর্ম মানানো যে ধর্মেরই বিধান না। সেইটাই মনে থাকে না। আর সকল জোড়াজুড়ি নারীদের উপর। পুরুষ কি ভাবে ভুলে যায় নারীর গর্ভে তাদের জন্ম।
নারী না থাকলে এই পৃথিবীতে পুরুষের আগমন বন্ধ হয়ে যাবে।
ফুটবল যারা খেলেছে তারা ফুটবল খেলার ড্রেসকোড মেনেই খেলেছে। আর বেশির ভাগ ফুটবল প্লেয়ার অন্য ধর্মবলম্বী তাদের কেন মুসলিম ড্রেস পরতে হবে এই আহাম্মকের মতন আবদারটা কেন?

১৫| ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ সকাল ১১:০৯

রানার ব্লগ বলেছেন: মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: ১) মনের পর্দা ও চোখের পর্দাই বড় পর্দাই বড় পর্দা।


বাংলাদেশের অধিকাংশ মেয়ে ও পুরুষদের এই দুই পর্দা নাই তাই তারা বোরকা আর হিজাবে পর্দা খোজে ।

২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ১:১৪

রোকসানা লেইস বলেছেন: এতবেশি রক্ষণশীল করে রাখা হয় তাই তারা নিজেদের সংযত রাখতে পারে না। সহজ জীবনযাপন করতে পারে না। এই রক্ষনশীল সমাজের লোকরাই জার্মানে অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটিয়েছিল নিউ ইয়ারে। বাংলাদেশেও এমন ঘটনা ঘটে তাদের মাধ্যমে।

১৬| ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ দুপুর ১:০৩

নতুন বলেছেন: আমাদের দেশের মেয়েরা শাড়ী, সেলোয়ার কামিজ পরে এবং এইগুলি কিভাবে অশ্বালীন হয় বুঝি না।

দেশে বর্তমানে বেশীরভার মেয়েই সম্ভবত বোরকা পরে। কিন্তু কতজন বোরকা পরিহিত নারী এবং বোরকা পরার পক্ষের পুরুষেরা নামাজ আদায় করে?

দেশের মানুষের ভন্ডমী এখন চরম পর্যায়। নিজেরা দূনিতি করবে, কিন্তু নারীদের হিজাব না পরলে ধর্ম শেষ হয়ে যাবে।

নারীরা কি পরিধান করবে সেটা নিয়ে পুরুষ সমাজের এতো চিন্তা ভাবনা না করলেও চলবে।

২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ১:২১

রোকসানা লেইস বলেছেন: ধন্যবাদ নতুন। খুব ভালো মন্তব্য করেছেন।
বোরকা পরার পক্ষের পুরুষেরা নামাজ আদায় করে?
এটা বিশাল প্রশ্ন কিন্তু অন্যদের বিষয়ে তারা ভীষণ ভাবে সোচ্চার। সবাই ধর্ম পালন করে না আর সবাই এক ধর্মের অনুসারীও নয় এটা তাদের মনে থাকে না।
নারীদের তাদের মতন স্বাধীন ভাবে চলতে দিলে সমাজ অনেক এগিয়ে যাবে। আমাদের দেশের বেশির ভাগ নারীই সহজ সাধারন জীবন যাপন করেন। পুরুষরা যখন সংসার দেখে না নারী অনেক কষ্ট, করে সংসার সন্তানের দেখাশোনা করে।
এ সবের স্বীকৃতি খুব একটা দেওয়া হয় না তাদের।

১৭| ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:৪৪

অক্পটে বলেছেন: এটা আসলে পুরুষতান্ত্রিক সমাজ। যদি এর উল্টো হতো? সেই চিত্রটা কেমন হতো।
সভ্যতার শুরুতে আমরা সবাই নগ্ন ছিলাম, পরে মানুষ তার বুদ্ধিবৃত্তিক বিবেচনায় পোষাক পড়া শুরু করে। সেই আদিম যুগে মানুষ বুঝেছিল তার লজ্জার স্থানগুলোকে ঢেকে রাখা দরকার। মানুষের সভ্যতার একটা সবচেয়ে বড় অর্জনই ছিল পোষাক। এখন কিছু মানুষকে দেখে মনে হচ্ছে তারা আবার জামা খুলে ফেলতে চায়। তারা খুবই আগ্রহী। সভ্যতার সেই যুগে মানুষ সামাজিক প্রয়োজনে যা শরীরে জড়িয়েছিল আজ তা ছেটে ফেলার কেন এমন দরকার হলো।
একটা ছেলে রাস্তায় দাঁড়িয়ে প্রস্রাব করে (উচিত নয়) একটা মেয়ে কেন করেনা। রেমের মধ্যে যে তরুনী আধা নগ্ন হয়ে মোহনীয় হেটে বেঁড়ায় সে কি লোকলয়ে এমনভাবে হেটে বেড়ায়? বিকিনি পড়ে সূর্যস্নান করা যায় রাস্তায় কি হাটা যায়? বিকিনি পড়ে অফিস করা যায়?

বাঙালির নিজস্ব সংস্কৃতি আছে তার পরও হিজাব বোরকা পড়লে অতি বাঙ্গালীরা টিপ্পনি কাটে, কিন্তু সর্ট টপলেস জিন্স পড়লে কোন উচ্চবাচ্য থাকে না। খুলে ফেলাকে স্বাধীনতা ভাববো কি করে। পোষাকের স্বাধীনতার মানে যে কি এটা মেয়েরাই বোঝে কিনা আমার সন্দেহ আছে।

২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ১:২৫

রোকসানা লেইস বলেছেন: এটা আসলে পুরুষতান্ত্রিক সমাজ। যদি এর উল্টো হতো? সেই চিত্রটা কেমন হতো।
মাতৃতান্ত্রিক সমাজ ছিল এবং এখনও আছে উপজাতীর মধ্যে । তারা খুব ভালো আছে তাদের সমাজে।
স্ব ইচ্ছায় যে যা পরুক অন্যদের সমস্যা কেন হবে?
জোড় করে তাদের নিয়ম মানানোর চেষ্টা অপ্রীতিকর।

১৮| ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ৮:১১

আহমেদ জী এস বলেছেন: রোকসানা লেইস ,



মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: ১) মনের পর্দা ও চোখের পর্দাই বড় পর্দাই বড় পর্দা।
২)মগজে ঝামেলা না থাকলে ড্রেস কোন সুস্থ পুরুষকে সিডিউস করবে না।


হিজাব পড়লে মেয়েদের বদসুরত ঢেকে রাখা যায়, মাথার অল্প চুল লুকিয়ে রাখা যায় , বেঢপ নাক আর কান আর গায়রন রংকে আড়াল করা যায়। এর সাথে হিজাবের বাইরে বেরিয়ে থাকা মুখের অংশে পাউডার আর চোখে খানিকটা কাজল লাগালে অপ্সরা অপ্সরা দেখতে লাগে। বেশীর ভাগ মেয়েদের হিজাব পড়ার এটা্ও একটা কারন, এই নিজেকে সুন্দর দেখানো। ধর্ম সেখানে গৌণ।

২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ১:২৮

রোকসানা লেইস বলেছেন: ধন্যবাদ আহমেদ জী এস
খুব মজা করে লিখেছেন আপনার মন্তব্য উপভোগ করলাম। এটও এক ধরনের ফ্যাশন হয়ে গেছে।
এবং হিজাবের ভিতর বিশাল উঁচা খোপা চুল থাকুক আর না থাকুক বেশ দেখানো যায়।

ধর্ম সেখানে গৌণ
তবে নারীদের মানতে হবে এটাই জরুরী

১৯| ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ৮:২০

অক্পটে বলেছেন: সাফজয়ী মেয়েরা যখন দেশে ফিরছে তখন কিছু ধর্মান্ধ ওদের পর্দার ব্যপারে টিপ্পনী কেটেছে যা লেবাসধারীদের হীনমন্যতাকেই প্রকাশ করেছে। আমাদের মেয়েরা জয়ী হয়েছে এটা জাতির জন্য খুবই সম্মানের পুরো জাতিই এতে গর্বিত।

২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ১:৩১

রোকসানা লেইস বলেছেন: ধন্যবাদ অকপটে
আমাদের মেয়েরা জয়ী হয়েছে এটা জাতির জন্য খুবই সম্মানের পুরো জাতিই এতে গর্বিত।

এই বিষয়টা অনেকের মাথায় ঢুকছে না। তারা হাঁটু দেখায় ব্যাস্ত সাথে চিল্লাতে।
এখানে একজন মন্তব্য দিয়েছেন ক্লাসে প্রথম হওয়া হিজাবধারীর তুলনা এই খেলোয়ারদের সাথে তিনি করেছেন।

২০| ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ৯:২২

অপ্‌সরা বলেছেন: হিজাব পরলেই সে শালীন আর শাড়ি পরলে অশালীন এই কথা বলা বড়ই বোকামী।

হিজাব পরে আবার লিপিত্তিক আইলাইনার লাগিয়ে সং সেজে সেটা হয় হিজাব ফ্যাশন! হিজাব যদি এতই পরে পর্দানশীন হতে চাও তো আবার লিপিত্তিক কাজল লাগিয়ে দৃষ্টি আকর্ষনের চেষ্টা কেনো!

আর কেনো বাবা বাংলাদেশে থেকে ভীনদেশী ফ্যাশন কেনো?

পর্দা করতে চাইলে শাড়ী বা ওড়না দিয়েও তো ঘোমটা দেওয়া যায়।

বাংলাদেশের মেয়েদেরকে শাড়ি আর সালোয়ার কামিজ ছাড়া আর কোনো পোশাকেই আসলে সুন্দর লাগে না।

আর এই দুই পোশাক মোটেও অশালীন না।

তবে হ্যাঁ যাদের চুল নাই হয়ে যাচ্ছে তারা হিজাব পরে এই বিপদ থেকে বাঁচতে পারে। ছেলেরাও এই উপায় অবলম্বন করতে পারে মনে হয়।

২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ১:৪৯

রোকসানা লেইস বলেছেন: বাংলাদেশের নারীরা আগে হিজাব পরত না. শাড়ির উপর ওড়নাও পরত না। খুব কম নারী বোরখা পরত।
খালী গায়ে শাড়ি প্যাঁচিয়ে যে নারীরা চলত তাদের দিকে খারাপ ভাবে কেউ দেখত না। অর্থাভাবে বা প্রচলন ছিল না বলে হয়ত এভাবে কাপড় পরত।
ঠাকুর বাড়ির মেয়েরা ব্লাউজ পরার প্রচলন শুরু করলে মধ্যবিত্ত পরিবারে অনেকেই সেটা গ্রহণ করে নেয়। জোড় জবরদস্তী করা হয়নি।
কিন্তু এখন সব কিছু জোড় করে করানোর একটা প্রচলন শুরু হয়েছে। যে সময় আমাদের আরোও অনেক নতুন বিষয় নিয়ে ভাবা দরকার তখন আমরা পোষাক পরা নিয়ে হৈ চৈ করে সময় কাটাচ্ছি। আমাদের অগ্র যাত্রা হবে কি ভাবে?
শেষের সাজেশনটা অনেকেই গ্রহণ করবে আশা করছি অপ্‌সরা

২১| ২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ১:৪৫

শার্দূল ২২ বলেছেন: একটা দল হিজাব পড়বোনা বলে যেমন ফতোয়া দেয় আরেক দল হিজাব পড়তেই হবে বলে ফতোয়া দেয় দুই দলই গন্ড মুর্খ।

সব চেয়ে অসহায় মানুষ হলো তারা যারা পঁচা মগজের উৎপিড়নে মানুষের পর্দা ধরে টান দেয়।

আল-কোরাণে মানুষের ড্রেস কোড স্পষ্ট করে দেয়া আছে। সবাইকে সেটা ফলো করতে হবে, এর বাইরে যারা একটু বেশি করতে চাইবে তারা করুক, যারা করতে চাইবেনা তাদের কোন অপরাধ নেই। ছেলেরা নাভি থেকে হাটু অব্দি ঢাকবে, মেয়েরা তাই করবে আর বুকের উপর কাপর টেনে দেবে। নবিদের বউরা মাথায় কাপড় দিয়ে চলবে। এই হলো আল কোরাণের ড্রেস কোড। এখন কোন নারি যদি নিজেকে আরো বেশি ঢেকে রাখতে চায় তো সে করতে পারবে, এটা নিয়ে যেমন বাড়াবাড়ি চলবেনা তেমনি নিজেকে পায়ের আলতা মডার্ণ বানিয়ে যারা নগ্নাবাদিতা করবে তারা নিশ্চিৎ সময়ে নর্দমায় গিয়ে পড়বে।

কথায় কথায় উন্নত দেশের দোহাই দেয়া মানুষ গুলোকে বলি - উন্নত দেশের রক্তাক্ত পাছার মধ্যে বসেই এই মন্তব্য করছি। শালিন পরিবারের মানুষ গুলো যে প্রশান্তি নিয়ে বউ স্বামী সংসার ছেলে মেয়ে বুকে নিয়ে ঘুমায় সেই ঘুম ব্রা পেন্টি পড়ে রাত ১২ টায় বাসায় ফেরা মানুষ গুলো পারেনা। জ্ঞান বলেন আর সম্পদ। ধর্ম বলেন আর কর্ম । সব কিছুই আমাদের মানসিক প্রশান্তির জন্য। কথাটা মাথায় রাখবেন।

২২| ২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ১:৪০

রোকসানা লেইস বলেছেন: আল-কোরাণে মানুষের ড্রেস কোড স্পষ্ট করে দেয়া আছে। খুব ভালো।

এই ড্রেসকোড কি সব জতি ধর্ম নির্বিশেষে সব মানুষের মানতে হবে?
কে সুখে থাকে আর কে থাকে না এটা আপনি কি ভাবে নির্ধারন করছেন।
আরবের হেরেমের নারীরা অনেক সতীনের সাথে সুখে জীবন কাটায় নাকি? অথবা বাংলাদেশের ধর্মপ্রাণা নারী, নিজেদের যারা ঢেকে রেখেছেন স্বামী এবং ধর্মের নামে তাদের স্বামী যখন অন্য নারীর রিসোর্টে দরা পরেন পরকীয়া করতে গিয়ে বা মাদ্রাসার শিশুর সাথে সংগম করেন, সেই সব দম্পতির সুখের তুলনা কি আপনার কাছে?
উন্নত বিশ্বে কেন বসে আছেন?

২৩| ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০২২ রাত ১:৪৮

রোকসানা লেইস বলেছেন: মাহসা আমিনীর মৃত্যুর মাধ্যমে ধসে পড়ুক হিজাব সংস্কৃতি ইরানের। মেয়েরা জ্বালিয়ে দিচ্ছে হিজাব প্রকাশ্যে রাস্তার উপর আগুনে। আর কতকাল বন্দী করে রাখবে আভরণে অন্ধকারে।
এই সব নিয়ম মেয়েরা মানে না। ওদের প্রতিবাদ সফল হোক । ফিরে যাক ১৯৭৯ সালের আগের আধুনিক সময়ে আবার। যখন ইরানের মেয়েদের এমন হিজাব পরে ঢেকে রাখার প্রয়োজন ছিল না নিজেদের। শান্তি এবং সুন্দর ভাবেই জীবন চলছিল তখন।
লিখেছিলাম সেপ্টেম্বরে, যখন মাহসা আমিনীর মৃত্যুর মধ্য দিয়ে নারীদের হিজাব না পরার আন্দোলন শুরু হলো ইরানে। আশা ছিল একটা উত্তরণ ঘটবে।
অবশেষে নারীদের হিজাব না পরার অধিকার অন্দোলন সফল হলো। যদিও দুই মাস ধরে অনেকের মৃত্যু হয়েছে, অনেক অত্যাচারের মধ্যে দিয়ে ইরানের নারীরা গিয়েছে।
অবশেষে তারা পেয়েছে অধিকার। আর কোন পুলিশ গোষ্টি থাকবে না নারীরা হিজাব পরল কিনা তা দেখার জন্য।
হিজাব পরা না পরা নারীদের স্বাধীনতা।
১৯৭৯ সালে খোমেনির হিজাব নিয়ম চালু হওয়ার পর অনেক ইরানী দেশ ছেড়ে চলে যায় ইউরোপ, আমেরিকা, কানাডা এবং আরো অন্য দেশে।
অনেকের সাথে আমার পরিচয় হয়েছে। তারা আধুনিক মনের মানুষ । ধর্মের নামে নারীদের উপর চাপিয়ে দেয়া পোশাকের চাপ তারা পছন্দ করেনি। তারা নিজেদের পছন্দের জন্য দেশ ছেড়ে চলে এসেছিল, শাসকের মোকাবেলা করার শক্তি ছিল না তাই। কিন্তু তাদের উত্তরসূরী প্রমাণ করল ইরানে থেকেও তারা নিজেদের স্বাধীনতায় বাঁচতে চায়। আইন এখন তাদের পক্ষে।
মাহসা আমিনী একটি অধ্যায়ের সমাপ্ত করল। ইতিহাসে আইকন হয়ে থাকল।

২৪| ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০২২ সকাল ৯:৩৯

কাঁউটাল বলেছেন: অনেক মেয়ে স্কিন টাইট হিজাব পড়ে, এইটার চেয়ে ওড়না অনেক ভাল ছিল। মূল বিষয় আসলে হিজাব না, মূল বিষয় পর্দা।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.