নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
পথে নেমে পরে উষার আলো তখনও ফুটেনি
অভিমান শব্দের উৎস খুঁজে কখনো সময় ব্যয় হয়নি।
মুখে গায়ে আঘাত লাগা পাঁচ আঙ্গুলের দাগ, যার যখন ইচ্ছে কয়েক ঘা শরীরে বসিয়ে দেয়,
চোখের পানিও কখনোও আসে না আর।
এটা স্বাভাবিক জীবনের অংশ।
সন্ধ্যার আলো গাড় হলে তাকিয়ে দেখা,
লাল লিপিষ্টিক রাঙানাো ঠোঁট। হাই হিলের সোনালী রঙ।
কাচুলির চিকন সোনালী ফিতার পাশে পুরুষালী হাতের বেষ্টন ।
যত্ন করে নিয়ে যায় পার্টি রুমে। মায়াবী দৃশ্য সুখ ঝরেঝরে পরে।
বাজনার শব্দ তালে তালে নাচ, আলোর ঝলকানী একটু ফাঁকফোকর দিয়ে চোখে ভাসে।
মনোহারী খাবারের ঘ্রাণ ভেসে আসে, পারফিউমের সুগন্ধ ম্লান করে।
পাতাকুড়ানী জীবন অবাক দৃশ্য দেখে যেন রূপকথার গল্প তাদের জীবন।
নদী গিলে খেয়েছে সবুজ কুঁড়ে ঘর। সাথে গল্প বুড়ি দাদী।
ভাসান জীবন শহরের পথে পথে।
বাবাটাও চলে গেলো চকমকি মেয়ের সাথে।
ঝিয়ের কাজে মায়ের সময় কই, কাছে বসার।
কখন শুরু হলো কুড়ানী জীবন। আর সব পথ শিশুরাই চিনাল জীবন।
কত কিছু ফেলে দেয় মানুষ যাদের আছে
আর ফেলানী কুড়িয়ে জীবন বাঁচে পথশিশুর।
অবাক হয়ে দেখে রূপকথার রাজ্যের মানুষ, ভালোবাসে কুকুর বিড়ালও কত,
কোলে নিয়ে ঘুরে, খাওয়ায় মজার বিস্কুট।
আহা কতদিন অপেক্ষায় আছে দোকানে সাজানো বোতল থেকে একটা বিস্কুট মুখে দিবে বলে।
কেমন স্বাদ জানতে ইচ্ছা করে।
অথচ পেটে পরে না প্রতিদিন খাবার।
কখনো বাসি খাবার নিয়ে আসে মা। কখনো শুখনা ভাত পান্তা করে খায় মরিচ ঢলে।
কুড়িয়ে পাওয়া একটা শিশির ঘ্রাণে কাটিয়ে দিয়েছিল এক সারাদিন।
লুকিয়ে রেখেছিল নিজের কাছে শিশিটা মাঝে মাঝে ঘ্রাণ নিত।
আতরের ঘ্রাণের মতন বাবার কথা মনে পরত।
সেটাও বেঁচে দিল মা তাকে না বলে।
অনেক নাকি দাম। সেদিন এক বেলা মাছ খেতে পেয়েছিল বহু বছর পরে।
খালি শিশির দামে মাছ পাওয়া যায় তাই আরো বেশি খুঁজে তেমন শিশি
মাছ ভাত জুটবে তবে। আরো ভোরে পথে নামে আর সবার আগে।
কখনো মনে আসে না কেন এমন জীবন, না খেতে পেয়ে পথে ঘোরা।
ময়লার মাঝে গড়াগাড়ি খেয়ে হাসিতে আকাশ ছোঁয় তারা।
দল বেঁধে কখনো মিছিলে হাঁটে পুলিশের লাঠি পিঠে পরে।
তবু দুহাত উঁচিয়ে চিৎকার করে শিশু অধিকার দিতে হবে।
যদিও অধিকার শব্দের কোন মানে জানা নাই।
এটা একটা কাজ মিছিলে চিৎকার করে পুলিশের ডান্ডার বাড়ি খাওয়া।
এই একটা খেলা তাদের সেদিন কিছু কড়কড়ে নোট পাওয়া যায় আর বাক্স ভর্তি খাবার।
এটাই অধিকার হয়তো। দিগন্তে চোখ মেলে হাড় মাংস চিবুতে চিবুতে ঘাসে বসে ভাবে।
যদি প্রতিদিন এমন মিছিল হতো, ডান্ডার বাড়ি খেলেও
মুরগির ঠেং চিবুনো যেত মজায়, পাওয়া যেত সাথে টাকা।
১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ১২:৫৪
রোকসানা লেইস বলেছেন: ধন্যবাদ মোহাম্মদ গোফরান
অনেক শুভকামনা রইল
২| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ১২:৪৩
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
বরাবরের মতোই চমৎকার।
অনেকদিন পরে এলেন,
নিয়মিত হবার প্রত্যশা।
১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ১২:৫৭
রোকসানা লেইস বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ নূর মোহাম্মদ নূরু
আন্তরিক শুভেচ্ছা জানবেন।
ইদানিং ইচ্ছা থাকলেও সময়ের অভাব হয়ে গেছে একটু।
লেখা আর লেখার সাথে থাকাটার আনন্দ অনেক। সুন্দর অনেক ব্লগের লেখাও আমিও মিস করছি।
৩| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ২:২৭
কামাল৮০ বলেছেন: গরিবরা না থাকলে সাহিত্যিকরা এতো সুন্দর করে কাব্য ,গল্প লিখতেই পারতো না।তাদের মুক্তির কথা কেউ বলে না।
১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ সকাল ১০:১২
রোকসানা লেইস বলেছেন: মানুষের জীবনের প্রতিটি নানান বৈচিত্র সাহিত্যিকের লেখার বিষয় আসলে, শুধু গরিব নয়। তবে পৃথিবীর অধিকংশ মানুষ গরীব।
আজ যখন ভেনগগরে আঁক ছবি অনেক মূল্যে বিক্রি হয় তিনি বেঁচে থাকাকালীন সময় কাটিয়েছেন শুধু অভাবে।
তাদের মুক্তির কথা অনেকেই বলেছেন।
অনেক শুভেচ্ছা রইল
৪| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:০৮
আহমেদ জী এস বলেছেন: রোকসানা লেইস,
প্রান্তিক মানুষের জীবন আলেক্ষ্য! সুন্দর অনুভবের কবিতা। তবে এ কবিতার ছবিতে আনন্দ নয় কান্না-ই আছে শুধু!
কবিতার শুরুর বক্তব্যের সাথে সমার্থক কথামালার একটি লিংক দিলুম--------
কোন এক রাতবিহারিনীকে ..................
১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ সকাল ১০:২৯
রোকসানা লেইস বলেছেন: ধন্যবাদ আহমেদ জী এস
সুচিন্তিত মতামত বরাবরের মতন।
কান্নাটা বেশি দেখা যায় যারা দূর থেকে দেখে এবং অনুভব করে। তবে যারা কান্নার মধ্যেই থাকে তাদের কাছে গতনুগতিক জীবন হয়ে যায়। এর মাঝেই হাসি আনন্দ তাদের। তারা আর কিছু পাওয়ার অপেক্ষা করে না ভাবেও না। এমনটাই দরিদ্র মানুষের জীবন তাই উন্নত বিশ্বের মানুষের চেয়ে, দরিদ্র সীমায় থাকা মানুষরা অনেক সুখি গবেষণায় পাওয়া যায়।
ময়লার মাঝে গড়াগড়ি খেয়ে হাসিতে আকাশ ছোঁয় তারা।"
তাই আনন্দটা যোগ করেছি।
আপনার ফুলির কবিতাটি অসাধারন হয়েছে পাঠ করে এলাম।
৫| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ১০:০৩
খায়রুল আহসান বলেছেন: "নদী গিলে খেয়েছে সবুজ কুঁড়ে ঘড়। সাথে গল্প বুড়ি দাদী" - কবিতার শ্রেষ্ঠ পংক্তি, অত্যন্ত সুন্দর!
কবিতায় ভাললাগা। + +
৬| ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ সকাল ১০:৩৫
রোকসানা লেইস বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ খায়রুল আহসান
ভালোলাগার একটা লাইন কি সুন্দর খুঁজে নিয়েছেন। আপনি খুব মনোযগী পাঠক সব সময়। প্লাস গুলো পেয়েও মন ভরে গেল।
অনেক শুভকামনা রইল
৭| ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ সকাল ১১:২৬
খায়রুল আহসান বলেছেন: ব্লগে আপনার আরও কবিতা দেখতে চাই।
২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ৩:২২
রোকসানা লেইস বলেছেন: ধন্যবাদ খায়রুল আহসান
অনেকদিন গল্প, কবিতা দেই না চুরি হয় তাই মন খারাপ হয়ে যায়।
ঠিক আছে দেব।
৮| ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ দুপুর ১:৫২
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: কবিতা ভালো লেগেছে।
২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ৩:২৪
রোকসানা লেইস বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ। অনেকদিন পর দেখলাম কেমন আছেন?
৯| ১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ১২:৪৮
সেলিম আনোয়ার বলেছেন: সুন্দর।
২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ৩:২৪
রোকসানা লেইস বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ সেলিম আনোয়ার
©somewhere in net ltd.
১| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ১২:২৫
মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: অসম্ভব সুন্দর এজ রেগুলার।